নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর্নল্ড টয়েনবী\'- দাইসাকু ইকেদা.....

০৯ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৮:৫৮

'আর্নল্ড টয়েনবী'- দাইসাকু ইকেদা

'আর্নল্ড টয়েনবী' আমার পড়া অসংখ্য মৌলিক প্রশ্নে আলোড়িত একটি অসাধারণ বই যা মানুষের জীবনে সংজ্ঞা ও প্রজ্ঞার পার্থক্যকে সম্যকভাবে তুলে ধরেছে।

কোনও কোনও বই কীভাবে যেন সমসাময়িক হয়ে ওঠে! যেমন এই বইটি বহুদিন আগে মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়েছিলাম। এখন আবার নেট থেকে ডাউনলোড করে পড়তে গিয়ে দেখছি ঠিক যেন আজকের কথা। আজকের সভ্যতার সঙ্কট, প্রকৃতির প্রতিশোধ ও প্রযুক্তিবিদ্যার অক্ষম আস্ফালন সব যেন ধরা আছে বইটিতে।

টয়েনবির বারো খণ্ডের ইতিহাস আমার স্বপ্নের বই।কতবার যে লাইব্রেরিতে গিয়ে বইটির গায়ে হাত বুলিয়েছি! 'টাইম' পত্রিকা একে 'এক আন্তর্জাতিক ঋষি' বলে অভিহিত করেছিল। দাইসাকু ইকেদা জাপানের একটি বৌদ্ধ জনসংগঠনের সভাপতি। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও শান্তি প্রসারে নিবেদিত প্রাণ।

১৯৭১ থেকে ১৯৭৪-এর মধ্যে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের দুই দার্শনিকের মধ্যে ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক, দার্শনিক ও ধর্মীয় ইত্যাদি সবরকম বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। কখনও লিখিত আবার কখনও রেকর্ড।

তাঁরা আলোচনা করেছেন আত্মহত্যা ও ক্ষমামৃত্যু থেকে জনসংখ্যাবৃদ্ধি, দূষণ বা প্রকৃতিক সম্পদক্ষয় অবধি বিভিন্ন বিষয়ে। মানবিক নীতিবোধ কতটা মানব-ভবিষ্যতের নিয়ন্ত্রক হবে? অন্য প্রাণী প্রকৃতি বা বিশ্বের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক কতটা জরুরি তার টিকে থাকবার ক্ষেত্র? গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে যখন দেখি মানুষই(হোমো সাপিয়েনস্) একমাত্র প্রজাতি যারা তাদের স্বজাতি-সগোত্রদের হিংসাত্মক এবং নিষ্ঠুর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হত্যা করে থাকে।

খুব সঙ্গত প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের রোগীর সম্পূর্ণ সত্তাকে উপলব্ধি না করে বা শরীরের সার্বিক দিকটার চর্চা না করে শুধু শুধুমাত্র একক-অঙ্গ বা রোগের চিকিৎসা করাটা সঠিক কিনা!

শেষে বলেছেন করুণার কথা। করুণাই(জিহি) দুঃখ দূর করে অপরের জন্য সুখ নিয়ে আসে। বাককু শব্দটির মানে হল মানবজীবনের গভীরে লুকিয়ে থাকা দুঃখের মূল কারণ দূরীভূত করা। বাককু শুরু হয় হৃদয় দিয়ে হৃদয় অনুভব করা(দোকু) বা পরের দুঃখ নিজের মনে করার অনুভূতির মধ্য দিয়ে। একেই তো কেউ কেউ প্রেম বলে। জিহি বুককাই ও বোসাৎসু-কাই। করুণা, বুদ্ধাবস্থা ও বোধিসত্ত্ব অবস্থা। এভাবে আমরা প্রেম ফিরিয়ে আনতে পারি।

চ্যারিটি শব্দটি বর্তমানে বিবর্তিত হয়ে বদন্যতা বা দাক্ষিণ্য হয়েছে। মূল ল্যাটিন শব্দ 'চারিতাস'- এর অর্থ প্রিয়পাত্রত্ব বা প্রেমাস্পদত্ব। কীভাবে শব্দকে স্বার্থে বিকৃত করা হয়। মূল শব্দে গ্রহীতা অপমানজনক অবস্থানে ছিল না। কিন্তু চ্যারটির আধুনিক অর্থে তাকে প্রেমাস্পদ থেকে তুচ্ছ-জ্ঞান করা হল।

যেন আজকের কথা বলছেন। বলছেন মিতব্যয়িতা অভ্যাস করবার কথা। কী কারণে মিতব্যয়ী হতে হবেঃ

(১) মানুষের মর্যদা রক্ষা করা।
(২) পৃথিবীর সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত করা।
(৩)দূষণের বিপদ থেকে প্রজন্মকে আগলে রাখা।

কোনও কোনও বই সময়ের ডানা হয়ে ফিরে আসে।সময়ের ঝড়ে প্রলেপ হয়। শান্ত কোনও নদীতটের কথা মনে পড়ে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:০৮

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: আপনিও চমৎকার বিশ্লেষন করেছেন।

২| ০৯ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:১১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.