নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ এগিয়ে চল..

বিশ্বাস করি বাংলাদেশ বিশ্বসেরা, যতই হোক আমাদের বিভেদ দিন শেষে সবাই মিলে আমরা এক মহান জাতি! বাংলাদেশী! বাঙালী!

বিশ্বাস করি 1971-এ

Someone wanna share ideas! :)

বিশ্বাস করি 1971-এ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশকে জামাত শিবির মুক্ত করাতে হলে! কিছু প্রস্তাবনা এবং বিবেচনা

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

১৯৭১ সনে যে কালসাপ বাংলার মানুষকে ছোবল দিয়েছিল, ১৯৭১ পরবর্তী সময়কালে তার যে বিরতি পরেছিল তা মোটামুটি ১৯৮০ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। পরবর্তীতে গোপন আস্তানা থেকে বেরিয়ে আসা, সাধারণ জীবনে অংশগ্রহণ, রাজনীতিতে নিয়মিত হওয়া, ৯০, ৯৬ এবং ২০০১ এর আন্দোলনে প্রধান দুই দলের সাথে অংশগ্রহন, সংসদে আসনলাভ এবং সবশেষে স্বাধীর বাংলাদেশের মন্ত্রীত্বলাভ- সবকিছুই জামাত শিবির করেছে ধাপে ধাপে।



আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি সবাইকে জামাত ব্যবহার করেছে সুচারুরুপে। বলতে দ্বিধা নেই বাংলাদেশে জামাত শিবিরের মত সাংগঠনিক দক্ষতা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগেরই রয়েছে। বিএনপি কিংবা বামদল কারোরই সমপরিমান দক্ষতা নেই।



স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে বাঙালী জাতীয়তাবাদের যে উত্থ্যাণ ঘটেছিল তা পরবর্তীতে আর বিদ্যমান থাকেনি।



অতি ক্ষুদ্র ইহুদী সম্প্রদায় যেমন নিজেদের নিয়ন্ত্রণ, কৌশল, শঠ্‌তা আর মেধাকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘ পরিকল্পনার মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ খৃষ্টান আর মুসলামানদের কাচকলা দেখিয়ে বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করছে তেমনি বাংলাদেশে জামাত শিবির বাঙালী জাতিয়তাবাদের অনৈক্য আর দূর্বল নেতৃত্বের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের সমাজ, আর্থনীতি আর ধর্মীয়, প্রাতিষ্ঠানিক জগতে নিজেদের অবস্থানকে শক্ত করেছে। আর লিপ্ত থেকেছে বাংলাদেশ বিরোধী চক্রান্তে। আজ বাংলাদেশের এক নম্বর অর্থসরবরাহকারী সংস্থাটি হচ্ছে জামাত শিবির গংয়ের ইসলামী ব্যাংক। স্বাস্থ্যসেবা খাত, শিক্ষা খাত, বিনোদন খাত, সংবাদপত্র কিংবা শিল্প খাতে জামাত শিবিরের লোকেরা শক্ত অবস্থান নিয়ে আছে। অনেক আগেই প্রফেসর আবুল বারাকাত দেখিয়েছেন যে বাংলাদেশে জামাত শিবির গংয়ের বছর প্রতি ব্যবসা কয়েক হাজার কোটি টাকার। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জামাতের ছাত্র সংগঠন শিবির আছে কঠোর নিয়ন্ত্রণে। এরাই গড়ে তুলেছে মানারাতের আর রেটিনার মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্মের মগজ ধোলাই চলছে চমৎকারভাবে। সরকারের অংশ হয়ে সেনাবাহিনী পুলিশ কিংবা জনপ্রশাসনে নিজেদের লোক ঢুকিয়ে দেয়া জামাতীদের গভীর চক্রান্তেরই অংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন, উকিল কিংবা ব্যবসায়ী সংগঠন জামাতের শক্ত উপস্থিতি জামাত শিবিরের। শুধুমাত্র প্রকাশ্যে যে তাই নয় বরং গোপনীয়ভাবে নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে জামাত শিবির গড়ে তুলেছিল জেএমবি-র মত সংগঠনকে। এখনও বলা হয়ে থাকে যে বেশীরভাগ ইসলামী উগ্রপন্থী দল জামাতেরই অংগ সংগঠনই মাত্র। স্বাধীনতা পরবর্তী ৪০ বছরে জামাত শিবির তিল তিল করে নিজেদেরকে শক্তিশালী করে তুলেছে। তাই আজ স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী জামাত শিবির স্বাধীর বাংলার বুকে হরতাল ডাকতে পারছে।



অন্যদিকে আমরা যদি স্বাধীনতার পরবর্তী নেতৃত্ব কিংবা শাসকদের কিংবা রাজনীতিকদের দিকে তাকাই তবে দেখব স্বাধীনতার চেতনার ক্রমাগত ক্ষয় আর ব্যক্তিগত স্বা:র্থপরতার উত্থ্যান। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বহুবিভক্তি, ক্ষমতা আর সম্পদের লালসা। মুক্তিযোদ্ধাদের গড়া দল সময় সময় হাত মিলিয়েছে জামাত শিবিরের সাথে। ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বা:র্থ আর হানাহানির ফলে মুক্তিযুদ্ধের যে ঐক্য তা প্রায় বিলুপ্ত। এমনকি স্বাধীনতার যে ইতিহাস তাও সময়ে সময়ে হয়েছে পরিবর্তিত এবং বির্তকিত। আজ আমরা ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ কোন সাধারণ কিংবা জাতীয় বিষয়ে একমত হতে পারি না । মেধাশূন্য আর নের্তৃত্ব শূণ্য হয়ে পড়েছে আমাদের রাজনীতি, প্রশাসন কিংবা আইন কেন্দ্রগুলো। আজ স্বাধীনতার পর আমরা জয় বাংলা নাকি বাংলাদেশ জিন্দাবাদ আমাদের জাতীয় শ্লোগান হবে তা নিয়ে বির্তকে জড়িয়ে পড়ি। প্রধান দলগুলো হয়ে পড়েছে ব্যক্তিবিশেষ কিংবা পারিবারিক নিয়ন্ত্রণাধীন। সাধারণ জনগণ সর্বংসহা চেতনায় সময় পার করছে। এমনসময় জামাতে শিবির গংয়ের উত্থ্যান খুব স্বাভাবিক ভাবে সবাই গ্রহণ করেছে। আর নরকের কীট রাজাকারেরা সমাজে নিজেদের স্থানকে শক্ত করেছে। আর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা শুধুই হয়েছেন আশাহত।



অন্ধকার যেমন কেবলই একা থাকতে পারেনা তেমনি এই দেশে কিছু মানুষ স্বাধীনতা প্রকৃত চেতনা আর জামাত শিবির বিরোধী ধারা প্রচলনে নিরবাচ্ছিন্ন কাজ করে গেছেন। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম থেকে ঘাতক দালাল র্নিমূল কমিটি কিংবা আজকের শাহবাগ এর সবই এই ক্ষীণ ধারাকে আজ জাতীয় ধারায় রূপান্তরিক করেছে। আজ শাহবাগে জেগে উঠেছে বাংলার দামাল সন্তানেরা। মন বলছে পরিবর্তন আসন্ন। এই আন্দোলন কেবলই সাধারণের, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে। আর এখনই সময় এই চেতনাকে কাজে পরিণত করার। শুধুমাত্র আবেগকে প্রশয় না দিয়ে আমাদের ভাবা উচিত কিভাবে জামাত শিবিরকে বাংলার বুক থেকে চিরতরে বিদায় দেয়া যায়। সেক্ষেত্রে জামাত যেভাবে ধীরে ধীরে আমাদের ভেতরে পরিকল্পিতভাবে ঢুকেছে সেভাবে পরিকল্পিতভাবে এদেশ থেকে এদের বিতারিত করতে হবে। আমি আমার কতগুলো চিন্তা নীচে দিচ্ছি:



(১) সব দলকে একমত হতে হবে যে জামাতের সাথে কোন রকম জোট বাধা চলবে না এবং বর্জন করতে হবে। এবং জামাত শিবিরির সাথে যুক্ত কেউ যাতে অন্য কোন দলের সাথে যুক্ত হতে না পারে তা বাধ্যতামূলক করতে হবে।



(২) জামাত শিবির ইসলাম ধর্মের পক্ষের নয় বরং ইসলাম বিরোধী সে ব্যাপারে সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কিংবা নেতাদের সচেতন করে তুলতে হবে।



(৩) যে কোন ধরনের সংস্থা হোক সরকারী কিংবা বেসরকারী সব জায়গায় জামাত শিবিরের কর্মীদের বয়কট করতে হবে।



(৪) আর্থিক কিংবা সামাজিক যে কোন সংগঠন যা বর্তমানে জামাত বা শিবিরের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণাধীন আছে তা থেকে জামাতীদের আস্তে আস্তে দূর করতে হবে তবে তা অবশ্যই যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে।



(৫) ধর্মীয় রাজনীতিকে আপাতত নিষিদ্ধ করা যাবে না কারণ তাতে জামাত গং গোপনীয়ভাবে আরো শক্তিশালী হবে এবং অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর সাথে জোট বাধবে।



(৬) সর্বোপরি আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম হোক সে ধনী কিংবা গরীব নিজের দেশের সঠিক ইতিহাস জানবে।



(৭) সব ক্ষেত্রে যোগ্য নের্তৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে এবং পরিবারতন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং নিষিদ্ধ করতে হবে।



(৮) জাতীয় ইস্যূ গুলোতে ঐক্যমত্য সৃষ্টি করতে হবে। দরকার হলে প্রাকাশ্য বির্তক আর গনভোটের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থানকে ঠিক করতে হবে।



(৯) জাতি হিসেবে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী নীতি তৈরী করতে হবে যাতে কেই ক্ষমতায় এসেই ইচ্ছেমত নিয়মনীতি পরিবর্তন বা তৈরী করতে না পারে।



(১০) ব্যক্তিপূজা কিংবা ক্ষুদ্র স্বা:র্থ চরিতার্থ করার জন্যে কেউ যাতে ক্ষমতায় না যেতে পারে সে ব্যাপার নিশ্চিন্ত করা হোক সে সংবিধানের মাধ্যমে বা অন্য কোন আইনগত মাধ্যমে।



এবং সর্বোপরি রাস্ট্রের নাগরিক হিসেবে প্রত্যেককে সচেতন থাকা এবং রাখা।



আমাদের ভুলে গেলে চলবে না ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ছিলো প্রাথমিকভাবে সফল আর দীর্ঘমেয়াদে ব্যর্থ। আজ তৎকালীন স্বৈরাচার এরশাদ স্বপ্ন দেখে ক্ষমতায় যাবার কিংবা নূর হোসেন কিংবা ড: মিলনের মৃত্যূদিবসে অট্টহাসে ফেটে পরে। আজ ১৯৯০ আন্দোলন ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই নয় যা ব্যর্থ হয়েছে এর দীর্ঘকালীন লক্ষ্য অর্জনে। আর সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের আগানো দরকার জাতে পরবর্তী প্রজন্মকে আমরা বলতে পারি শাহবাগ আন্দোলন ছিলো আমাদের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ আর আমরা সব এই মুক্তিযুদ্ধে সব লক্ষ্য অর্জন করেছি!! জয় বাংলাদেশ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

বোকামন বলেছেন:




(১) সব দলকে একমত হতে হবে যে জামাতের সাথে কোন রকম জোট বাধা চলবে না এবং বর্জন করতে হবে। এবং জামাত শিবিরির সাথে যুক্ত কেউ যাতে অন্য কোন দলের সাথে যুক্ত হতে না পারে তা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

(২) জামাত শিবির ইসলাম ধর্মের পক্ষের নয় বরং ইসলাম বিরোধী সে ব্যাপারে সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কিংবা নেতাদের সচেতন করে তুলতে হবে।

(৩) যে কোন ধরনের সংস্থা হোক সরকারী কিংবা বেসরকারী সব জায়গায় জামাত শিবিরের কর্মীদের বয়কট করতে হবে।

(৪) আর্থিক কিংবা সামাজিক যে কোন সংগঠন যা বর্তমানে জামাত বা শিবিরের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণাধীন আছে তা থেকে জামাতীদের আস্তে আস্তে দূর করতে হবে তবে তা অবশ্যই যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে।

(৫) ধর্মীয় রাজনীতিকে আপাতত নিষিদ্ধ করা যাবে না কারণ তাতে জামাত গং গোপনীয়ভাবে আরো শক্তিশালী হবে এবং অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর সাথে জোট বাধবে।

(৬) সর্বোপরি আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম হোক সে ধনী কিংবা গরীব নিজের দেশের সঠিক ইতিহাস জানবে।

(৭) সব ক্ষেত্রে যোগ্য নের্তৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে এবং পরিবারতন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং নিষিদ্ধ করতে হবে।

(৮) জাতীয় ইস্যূ গুলোতে ঐক্যমত্য সৃষ্টি করতে হবে। দরকার হলে প্রাকাশ্য বির্তক আর গনভোটের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থানকে ঠিক করতে হবে।

(৯) জাতি হিসেবে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী নীতি তৈরী করতে হবে যাতে কেই ক্ষমতায় এসেই ইচ্ছেমত নিয়মনীতি পরিবর্তন বা তৈরী করতে না পারে।

(১০) ব্যক্তিপূজা কিংবা ক্ষুদ্র স্বা:র্থ চরিতার্থ করার জন্যে কেউ যাতে ক্ষমতায় না যেতে পারে সে ব্যাপার নিশ্চিন্ত করা হোক সে সংবিধানের মাধ্যমে বা অন্য কোন আইনগত মাধ্যমে।

এবং সর্বোপরি রাস্ট্রের নাগরিক হিসেবে প্রত্যেককে সচেতন থাকা এবং রাখা।


২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

বোকামন বলেছেন: সম্মানিত লেখক,
আপনার পর্যবেক্ষণ বাস্তবসম্মত
আসলে ১৯৭১ এর মত আমাদের আরও একবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে । আর এ বিষয়টা বাস্তবে ঘটানোটাই আস্তে আস্তে কঠিন থেকে কঠিনোতর হচ্ছে.....

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০১

বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: ভাই হঠাৎ করে মনে হলো নিজের মনের কথাগুলো লেখা দরকার। আর এক বসাতেই কিভাবে যেন তা হয়ে গেল। আমার জীবনে মনোযোগ দিয়ে যে কটা কাজ করেছি এটা তার মধ্যে অন্যতম একটা, এটা বলতে কোন দ্বিধা নেই।

৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৪

বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: সব বড় অর্জনগুলো কিন্তু কঠিন ত্যাগ, পরীক্ষা, কষ্ট আর ধৈয্যের মাধ্যমে আসে।

৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৫

বোকামন বলেছেন: হূম......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.