![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Someone wanna share ideas! :)
রূপপুরে হাজার মেগাওয়াটের পরমাণু বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনে তিন শ’ কোটি ইউরোরও বেশি খরচ হতে পারে। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তবে প্রকৃতপক্ষে এই বিনিয়োগের পরিমাণ কত দাঁড়াবে তা নির্ভর করবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও পরিবেশগত মূল্যায়নের পর। সেক্ষেত্রে প্রকল্প এলাকা ভূমিকম্পপ্রবণ হলে এই ব্যয় আরও বেড়ে যেতে পারে। আগামী জুন মাসে এই সমীক্ষা পরিচালনার জন্য রাশিয়ার রোসাটমের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। তারপর শুরু হবে সমীক্ষা পরিচালনার কাজ।
বুধবার রাজধানীতে পরমাণু বিদ্যুতবিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। সকালে এ সেমিনারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি ঘোষণা দেন, ‘পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক সফল হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলেও একই ধরনের আরেকটি পারমাণবিক ফাটানো করা হবে। ইহা আব্বুর স্বপ্ন’
বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের দেশীয় সামর্থ্য অর্জন করতে হবে। এটা অত্যন্ত অপরিহার্য। আপনাদেরই একদিন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের দায়িত্ব নিতে হবে। সেই সামর্থ্য আপনাদের অর্জন করতে হবে। এজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কমিশন রোসাটম যৌথভাবে রূপসী বাংলা হোটেলে এই সেমিনারের আয়োজন করে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পারমাণবিক শক্তির গুরুত্ব শীর্ষক এই সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী পরমাণু বিদ্যুত পরিচালনায় সক্ষমতা অর্জনে দক্ষতা বাড়াতে প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।
পাবনার রূপপুরে এক হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার দুই চুল্লিবিশিষ্ট একটি পরমাণু বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরমাণু বিদ্যুত উৎপাদনে রাশিয়ার উন্নত প্রযুক্তি, ব্যাপক অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা রয়েছে। সেই প্রযুক্তি ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা নিরাপদ বিদ্যুত উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছি। এক্ষেত্রে নিরাপদ পারমাণবিক অবকাঠামো নির্মাণের ওপরে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা পারমাণবিক বিদ্যুত উৎপাদনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার নিরাপত্তা-মান ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা অনুসরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ প্রণয়ন করে পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি আইনী বাধ্যবাধকতার মধ্যে আনা হয়েছে। এই আইনের আওতায় একটি স্বাধীন পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি রোসাটম ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে।
তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমরা কোন আপোস করব না। রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমার বৈঠকের সময় আমি তাঁকে সবচেয়ে নিরাপদ এবং সর্বাধুনিক রি-এ্যাক্টর প্রদানের জন্য অনুরোধ করেছি। তিনি আমাকে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন’।
তিনি জানান, যে কোন দুর্ঘটনা মোকাবেলায় পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে দক্ষ জনবল তৈরি, পারমাণবিক বর্জ্য ও স্পেন্ট ফুয়েল ব্যবস্থাপনারও ক্ষেত্রে রাশিয়া সহযোগিতা করবে। রাশিয়া পারমাণবিক চুল্লির জ্বালানি বর্জ্য ফেরত নেবে।
পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের বিভিন্ন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে রোসাটম ঢাকায় যে নিউক্লিয়ার ইন্ডাস্ট্রি ইনফরমেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ শুরু করেছে তা শিগগিরই কার্যক্রম শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
২| ৩০ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:১০
মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: ***চোতেরা ৫বছর লাগাইয়া খালি সাইন করছে এই ভোটের আগে আইসা। এইডা আবার একখান নিউজ.......।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
রিওমারে বলেছেন: উদ্যোগ ভাল কিন্তু সফলতার মুখ দেখবে কিনা সেটাই বিবেচ্চ্য বিষয়। বাংলাদেশে বিদ্যুতের যে ডিমান্ড তাতে পারমানবিক প্রকল্প ছাড়া মেটানো সম্ভব নয়। কারন দেশের সকল কন্সুমার চোর। পারমাবিক প্রকল্প হলে ২৪ ঘন্টা ব্যাবহার করলেও কোণ ঘাটতি পরবে না এটা নিশ্চিত।