![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Someone wanna share ideas! :)
নিচের বিজ্ঞাপনটি দৈনিক সমকাল, ইত্তেফাক আর যুগান্তর সহ বিভিন্ন পত্রিকার প্রথম পাতায় বড় আকারে ছাপা হয়েছে:
->এটা কি একজন নারীর তথা সমগ্র নারী সমাজের প্রতি চরম অপমানজনক নয়? কিংবা এটা কি হলুদ সাংবাদিকতার প্রমাণ নয়?
->সম্পাদক কিংবা নিউজ এডিটর কিংবা বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রক হিসেবে কেউ কি এই তথাকথিক জাতীয় দৈনিকগুলোতে কেউ নেই?
->আমাদের সচেতনতাকি এতটাই লোপ পেয়েছে?
->এই সকল ইতর শ্র্রেনীর লোকেগুলোই কি পরবর্তীতে আমাদের ভোটে সংসদে যাবে না?
এই প্রশ্ন আমার নিজের এবং সকল সচেতন বাংলাদেশে কাছে!!!!
নিচে বাংলানিউজ২৪ এ প্রকাশিত এই বিষয়ক সংবাদটি তুলে ধরছি।
আশিয়ান এমডির যৌন হয়রানি ঢাকতে মিথ্যা বিজ্ঞপ্তি!
নিজের অপকর্ম ঢাকতে আশিয়ান সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নজরুল ইসলাম এবার যৌন হয়রানির শিকার মেয়েটির ছবি ও পরিচয় দিয়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘অনৈতিক’ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার আশিয়ানের পক্ষে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের বাদিনী মেয়েটির ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। হয়রানির শিকার মেয়েটি ও তার স্বজনরা অভিযোগ করছেন, কুকীর্তি আড়াল করতেই টাকার বিনিময়ে ভুক্তভোগীদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করছেন নজরুল।
কুপ্রস্তাব, শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও চুরির মামলা দেওয়ার পর অপপ্রচারের কারণে বিপর্যয়ে পড়েছেন মেয়েটি ও তার পরিবার। আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, যৌন হয়রানির মামলার বাদিনীর ছবি ও পরিচয় প্রকাশ আইনের লঙ্ঘন ও অনৈতিক কাজ। নির্যাতিতা মেয়েটিকে আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানির চেষ্টার পর নজরুলের মোবাইল ফোনে মেয়েটির ভাইকে হুমকির অডিও রেকর্ডও মিলেছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা এবং প্রমাণ মিললেও পুলিশ নজরুলকে গ্রেফতারে তৎপরতা দেখাচ্ছে না।
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন আইন অনুযায়ী যদি যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা করা হয়, তবে আইন অনুযায়ী গণমাধ্যমে ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না। এক্ষেত্রে আশিয়ানের এমডি পাল্টা অভিযোগের ব্যাপারে গণমাধ্যমে ছবি ও পরিচয় প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অনৈতিক কাজ করেছেন।
এক্ষেত্রে আমি মেয়েটিকে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে বলবো বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এলিনা খান আরও জানান, যৌন নির্যাতনের জন্য আলাদা আইন আছে। সে আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের অভিযোগ করা হলে কোনোভাবেই নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না। তবে এমন বিজ্ঞপ্তিতে পরিচয় প্রকাশ হলে মেয়েটি গণমাধ্যমকে স্বেচ্ছায় তার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করলে তা আইনের লঙ্ঘন নয়।
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, মেয়েটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও কাগজে তার ছবি-পরিচয় প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া অন্যায় হয়েছে। প্রভাবশালী আসামিপক্ষের কারণে মেয়েটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মেয়েটি যেহেতু সাবালিকা, তিনি চাইলে আমরা তাকে আইনি সহায়তা দিতে দিতে আগ্রহী।
অপপ্রচারে বিপর্যস্ত নির্যাতিতার পরিবার
নির্যাতনের শিকার মেয়েটির স্বজনরা অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় আশিয়ান গ্রুপের পক্ষে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। তারা বলেন, নিজের অপকর্ম ঢাকতে বিজ্ঞপ্তিতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছেন আশিয়ানের এমডি নজরুল।
বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মেয়েটি আশিয়ানের প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের অধীনে গত ১০ জুলাই যোগদান করেন এবং গত ২৯ জুলাই থেকে কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়ে অনুপস্থিত আছেন। তবে বিজ্ঞাপনটিতে এমডি নজরুল ইসলামের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) হিসেবে তাকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি গোপন করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাকরিতে যোগদানের ১১ দিন পর থেকেই মেয়েটি অফিসে যাননি। তার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয় আশিয়ান। এরপর তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অফিসে এসে দেনা-পাওনা পরিশোধ করে মালামাল বুঝিয়ে দেবেন বলে আশ্বাস দেন।
স্বজনরা জানান, আশিয়ানের পক্ষ থেকে দেনা-পাওনার ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করাই হয়নি। বরং, তার ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে নজরুল তার বোনের ব্যাপারে কুপ্রস্তাব দেন। বিজ্ঞপ্তিতে মেয়েটিকে এমডির পিএস হিসেবে উল্লেখ না করা হলেও এমডির সেক্রেটারিয়েটের হিসাব অনুযায়ী তার কাছে ৫০ লাখ টাকা, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন আছে বলে দাবি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্বের প্রতিষ্ঠানে থাকা অবস্থায় মেয়েটি একটি ল্যাপটপ চুরি করেন।
আশিয়ান এ ব্যাপারে কোনো প্রমাণ দিতে পারবে না বলে দাবি করেন মেয়েটির স্বজনেরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চুরির পর মামলা দায়েরের দিনই সাতক্ষীরা থানা পুলিশ মেয়েটিকে গ্রেফতার করে। প্রকৃতপক্ষে আশিয়ানের লোকজনের দেওয়া তথ্যে পুলিশ তাকে আটক করেও পরে ছেড়ে দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে মেয়েটির প্রয়াত বাবার ব্যাপারেও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে পরিবারটির মর্যাদাহানির চেষ্টা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ স্বজনদের।
বলা হয়েছে, তার বাবার বাড়ি ইরানে। তিনি এক ভারতীয় নারী, এক গৃহকর্মী ও এক নার্সকে বিয়ে করেছেন। মৃত ব্যক্তির জীবন সম্পর্কে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে আশিয়ান অনৈতিক আচরণ করছেন বলেও মন্তব্য করেন স্বজনরা।
নির্যাতিতা মেয়েটির পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক প্রতিবেশি ও এক আত্মীয় জানান, যৌন হয়রানির পর চাকরি ছেড়ে বাড়িতে আসার পর মিথ্য মামলা ও পুলিশ দিয়ে হয়রানির কারণে বিপাকে পড়েছে পরিবারটি। এরপর অন্যায়ের প্রতিবাদ করে মামলা করতে গিয়ে পরিবারটি এখন চরম বিপর্যয়ে।
মঙ্গলবার কয়েকটি দৈনিকে ছবিসহ বিজ্ঞপ্তি ছাপা হলে মেয়েটিকে আর দেখা যায়নি। তার এক বোনের সংসারে এ নিয়ে চলছে টানাপড়েন। নির্যাতিতা মেয়েটি সারাক্ষণ কান্নাকাটি করছেন। তিনি বলছেন, ‘আমি সবাইকে কি করে বোঝাবো, কী হয়েছে’। গত কয়েকদিন ধরেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ আছে। পত্রিকায় তার ছবি দিয়ে নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর তার বড় ভাইও সারাদিনে কারো সঙ্গে ফোনে কথা বলেননি। বিকেলে তার ফোনটিও বন্ধ হয়ে যায়।
তার পরিবারের এক সদস্য বলেন, আমরা নজরুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
তিনি জানান, আমাদের পুরো পরিবারের শান্তি হারাম করে দিয়েছেন নজরুল। মেয়েটি তার কুপ্রস্তাবে রাজি হননি, এই কি আমাদের অপরাধ? এদের সঙ্গে কি আমরা পেরে উঠবো না? তিনি প্রতিবাদের ভাষায় বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা কি কোনো বিবেক রাখেন না? কিভাবে পত্রিকায় একটি মেয়ের ছবি ছাপানো হলো? ওই মেয়েটিই তো নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। এখন আমাদের কথা সবাই বিশ্বাস করবে?
বাংলানিউজের সাতক্ষীরা করেসপন্ডেন্ট জানান, মঙ্গলবার বিকেলে পলাশপোল এলাকায় মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে দেখেন, বাসাটি ভেতর থেকে ফটকে তালাবদ্ধ। জনি নামের এক ভাড়াটিয়া জানান, সকালে মেয়েটিসহ তার স্বজনেরা খুলনায় চলে গেছেন। ওই বাড়ি থেকে আর কেউ বাইরে বের হননি। বাড়িতে মেয়েটি, তার মা ও এক বোন ছিলেন।
প্রমাণ মিললেও নজরুল অধরা
সূত্র জানায়, গুলশান থানায় যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা দায়েরের পর নির্যাতিতা মেয়েটি ও তার পরিবার নিরাপত্তার জন্য র্যা বের দ্বারস্থ হয়েছেন। র্যা ব নজরুলের অপকর্মের প্রমাণ হিসেবে তার ফোনালাপের রেকর্ড পেয়েছে। মেয়েটির বড় ভাইয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে নজরুল প্রলোভন দেখান। এক পর্যায়ে হুমকিও দেন তিনি। ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখতে গিয়ে রযাু ব ও পুলিশ কর্মকর্তারা জেনেছেন, তার মতো আরও অনেক মেয়ে আশিয়ানে চাকরি করতে এসে নজরুলের কুনজরে পড়েছেন।
অনেকে চাকরি ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। অন্তত ১০ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হন। তার ভাইয়ের সঙ্গে ফোনালাপের সংলাপ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে নজরুলের কুকর্মের মুখোশ খুলে গেছে। এমন প্রমাণ ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্বেও পুলিশ মঙ্গলবার পর্যন্ত নজরুলকে গ্রেফতারে কোনো অভিযান চালায়নি।
র্যা বের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেন, মেয়েটি ও তার পরিবার নিরাপত্তার ঘটনাটি আমাদের জানিয়েছেন। তবে তদন্তের প্রয়োজনে পুলিশ বা ভুক্তভোগীরা আমাদের সহযোগিতা এখনো চাননি।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক নূরে আজম জানান, মামলার এজাহারে আশিয়ানের এমডি নজরুল ইসলাম তার কক্ষে মেয়েটির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ অভিযোগের পক্ষে বাদিনী তথ্য ও প্রমাণ আছে বলে দাবি করেছেন। আমরা তদন্ত করে এসব খতিয়ে দেখছি।
তিনি আরও বলেন, মামলাটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তবে ঈদ ও হরতালের কারণে একটু পিছিয়ে গেছে।
এদিকে মেয়েটির বিরুদ্ধে দায়ের করা কথিত চুরির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আবদুল বারিক বলেন, চুরি হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ এখনো মেলেনি।
View this link
©somewhere in net ltd.