![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Someone wanna share ideas! :)
আমেরিকার ফুড এন্ড ড্রাগ এ্যাডমিনেসট্রেশন প্রাণ ব্যান্ডের হলুদ গুড়াতে প্রাণঘাতি/ক্ষতিকর মাত্রায় সীসা পেয়েছে এটা পুরোনো খবর। শেষ খবর হচ্ছে “বাংলাদেশে বিএসটিআই নিজেদের ৬টি ল্যাবে টেষ্ট করে প্রাণের হলুদ গুড়ায় প্রাণঘাতী সীসার উপস্হিতি পেয়েছে এবং উতপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ আরএফএল-এর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে এবং প্রাণ আরএফএল আবার এরই মধ্যে তাদের উ্তপাদিত বা বাজারে বিদ্যামান প্রাণ গুড়া মশলার পন্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এবং এই পণ্য উতপাদন বন্ধ করে দিচ্ছে।
আমার জানামতে প্রাণ হলুদ গুড়া বাজারে অনেক বছর ধরে আছে এবং ভোক্তাশ্রেণীর কাছে বেশ সমাদৃত এবং বাজার অবস্থানও বেশ ভাল [হলুদের গুড়ার বাজারে এটি প্রথম বা দ্বিতীয় স্থানে আছে] ।প্রশ্ন হচ্ছে আগে যে পন্যগুলো বাজারজাত হয়েছে সেগুলোতে সীসার মাত্রা কেমন ছিল? যারা এই পন্য ব্যবহার করেছেন তাদের কি অবস্থা? যদি কেউ এই বিষক্রিয়া বা ক্ষতিকর প্রভাব দ্বারা ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে কি হবে? প্রাণ আরএফএল কি জানতোনা এই ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে? তারা কি তাদের পণ্যের গুণগত মাত্রা আদৌ নিয়ন্ত্রণ করতেন? যদি কেউ এই পন্য ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন তবে তার কি হবে?
এখন কি করা যেতে পারে?
প্রস্তাবনা-১: এ সম্পর্কে আমাদের দেশের গুণগতমান পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য এবং পুষ্টিমান বিভাগ বা ইন্সটিটিউটগুলো ব্যাপক তদন্ত/গবেষণা চালাতে পারেন ভোক্তাদের উপর যাতে সর্বশেষ অবস্থা জানা যেতে পারে [ক্রেতা/ব্যবহারকারী কি পরিমান ক্ষতির স্বীকার হয়েছেন? হয়ে থাকলে তাদের পরিমান কি পরিমান? তাদের অবস্থান কোথায় তারা কোন আয়ের শ্র্রেণী ইত্যাদি তাদের কি আর কোন পর্যবেক্ষণ আছে কিনা? বাংলাদেশে বিএসটিআই এর যে মান র্নিণয় পদ্ধতি রয়েছে তা যথেষ্ট কিনা? ইত্যাদি।
প্রস্তাবনা-২: বাংলাদেশ সরকারের বানিজ্য মন্ত্রণালয় নিরপেক্ষ অডিটর নিয়োগ করে দেখতে পারেন প্রাণ আরএফএল কোম্পানী প্রাণ হলুদ পন্যটি কতদিন ধরে উতপাদন এবং বাজারজাত করে আসছে? প্রাণ হলুদ পণ্যটি থেকে কি পরিমান আয় এই কোম্পানীটি করেছে? প্রাণ হলুদ গুড়া পন্যটি উতপাদনের সময় মান সমুন্নত রাখার জন্য কি কি পদক্ষেপ কোম্পানীটি অনুসরণ করে আসছিল এবং তার বিস্তারিত রিপোর্টিং কি হতো? পণ্য উতপাদনের ক্ষেত্র্রে দেশে এবং বিদেশে বাজারজাত করার পন্যের মধ্যে কোন ধরনের তফাত করা হতো কিনা? এর আগে কখনো এই পন্যটি সম্পর্কে কোনে অভিযোগ বা পর্যবেক্ষণ এসেছে কিনা বা এসে থাকলে প্রাণ আরএফএল কতৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিয়েছিল কিনা?
প্রস্তাবনা-৩: যেহেতু প্রাণ হলুদ পন্যটির গুণগত মান নিয়ে সন্দেহ উঠেছে এবং যা ইতিমধ্যে দেশে এবং বিদেশে প্রমাণিত হয়েছে, সরকার আরো ব্যাপক নিরপেক্ষ তদন্তের উপর ভিত্তি করে এই কোম্পানীকে জরিমানা করতে পারে বিশেষ করে এই কোম্পানী প্রাণ হলুদ পন্যটি বিক্রি করে এ পর্যন্ত যে পরিমাণ আয় করেছে তার একটা বড় অংশ জরিমানা হিসেবে বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে। আদায়কৃত জরিমানা দিয়ে প্রাণ হলুদ পন্যটি ব্যবহার করে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে তাদের চিকিতসা বা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
প্রস্তাবনা-৪: যদি আমেরিকার ফুড এন্ড ড্রাগ এ্যাডমিনেসট্রেশন প্রাণ হলুদের এই দোষ না ধরত সে ক্ষেত্র্রে বিষয়টি কতৃপক্ষের নজরে আসতো না এবং ভোক্তারাও সচেতন হতো না আর প্রাণ আরফএলও পণ্যটি বাজার থেকে প্রত্যাহার করত না এবং দিনের পর দিন এই দোষণীয় পন্য বিক্রয় করে ক্রেতাদের ঠকিয়ে যেত। তাই এখন সময় এসেছে বাংলাদেশের ক্রেতা অধিকার সংগঠনটি এবং বিএসটিআইকে আরো সংগঠিত এবং কর্মক্ষম এবং ক্ষমতাশালী করার। যেহেতু পণ্যের গুণগত মান নিয়ে অবহেলা বিশেষ করে খাদ্যজাত পন্যের জন্য যা মানুষের জীবনের জন্য প্রানঘাতি কিংবা ক্ষতিকর হতে পারে তার ব্যাপারে সরকার, জনগণ আর সংবাদমাধ্যমকে আরো বেশী সজাগ, সচেতন এবং কার্যকরী হতে হবে। বাংলাদেশে যত খাদ্যপন্য উতপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আছে কিংবা যারা বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানী করে তাদের প্রতিটি পণ্যের নিয়মিত মান পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। দরকার হলে এই মান পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট বা তথ্য সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করা প্রয়োজন।
প্রস্তাবনা-৫: সবশেষে যেটা প্রয়োজন তা হলো আইনের যথাযথ প্রয়োগ। আমাদের দেশে আইনের কোন অভাব নেই। শুধু যেটা প্রয়োজন তা হলো যথাযথ অনুসরণ, সচেতনতা আর শাস্তিপ্রদান।
আশা করছি প্রাণ হলুদের এই উদাহরণ আমাদের সবাইকে সজাগ করবে আর নিজেদের দায়িত্ব পালনে প্রণোদিত করবে যাতে আমরা নিজেদের জন্য এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি সোনার বাংলাদেশ গড়তে এবং রেখে যেতে পারি।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: পণ্যটি যখন বিদেশে রপ্তানী করা হয় তখন তার কোয়ালিটি নিশ্চিত করেই দেশী কোম্পানীগুলা রপ্তানী করে। আর বেশীরভাগ দেশের সরকারী বা কোয়ালিটি দেখার প্রতিষ্ঠানগুলা কাজ করে তাদের ফাকি দেয়া সহজ না!
বিদেশে রপ্তানী হইলে আমাদের জন্য ভাল যে প্রাল হলুদের মত প্রোডাক্টের দোষ বাইর হইলে আমরা ভোক্তারা সজাগ হই আর কোম্পানীগুলান দোষ স্বীকার করে।
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৪
শহিদশানু বলেছেন: পন্যটি যখন ক্রয় করা হয় তখন কিন্তু ক্রেতারা জানেনা পন্যটি স্বাস্থের জন্য ঝুকিপূর্ণ কিনা। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে পশ্ন উঠেছে সেহেতু ঐ পন্যটি সংশ্লিষ্ট সকলের এড়িয়ে যাওয়া উচিত। আমাদের দেশে ভোক্তারা সংগঠিত নয় বিধায় ওদের বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যায় না। বিষয়টি জেনে আমি ও আমার পরিবার ঐ পন্যটি এড়িয়ে চলার নীতি গ্রহণ করেছি। আশাকরি আপনারাও একমত হবেন।
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০১
সোহানী বলেছেন: আসলে কিছুই হবে না। কিছুদিন পর নতুন মোড়কে আরো খারাপ কোয়ালিটি সহ বাজারে আসবে আর আমরা পয়সা দিয়ে কিনে খাবো ও মরবো....
৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
তারিন রহমান বলেছেন: সোহানী বলেছেন: আসলে কিছুই হবে না। কিছুদিন পর নতুন মোড়কে আরো খারাপ কোয়ালিটি সহ বাজারে আসবে আর আমরা পয়সা দিয়ে কিনে খাবো ও মরবো....
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১১
নিজাম বলেছেন: ওসব কিছুই এদেশে হবে না। এদেশের সকল পণ্যের মধ্যেই বোধহয় প্রাণঘাতী উপাদান পাওয়া যাবে। তারচেয়ে ভাল হয় এদেশের সকল পণ্য বিদেশে রপ্তানির সুযোগ করে দেয়া। তাতেই প্রমাণ হবে কোনটা খাওয়া যাবে আর কোনটা খাওয়া যাবে না। তাছাড়া ঘুষের মাধ্যমে সবই হালাল বলে সার্টিফিকেট অর্জন করবে।