![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Someone wanna share ideas! :)
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১১ দিন আগে সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, জামায়াতের কারণেই নির্বাচনে যাচ্ছে না বিএনপি।
“যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জামায়াত ছাড়া নির্বাচনে যেতে চায় না বিএনপি। যেহেতু জামায়াত আসতে পারবে না তাই তারাও (বিএনপি) আসবে না।”
“যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কারণে যারা নির্বাচনে আসবে না, তারা না আসলেও সমস্যা হবে না।”
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা দেশগুলো ইতোমধ্যেই বলেছে, ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না।
সেক্ষেত্রে আগামী নির্বাচন আন্তর্জাতিক বিশ্বে গ্রহণযোগ্য হবে কি না- জানতে চাওয়া হলে জয় উল্টো প্রশ্ন করেন, “কেন গ্রহণযোগ্য হবে না?
“তারা বলেছে, বিরোধী দল নেই, তাই পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রয়োজন নেই। তারা তো বলছে না যে, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না।”
“এখানকার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে। কারণ এখন ২০০৬ সালের মতো এক কোটি ৪০ লাখ ভুয়া ভোটার নেই।”
তাই প্রধান বিরোধী দল অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আশা করেন জয়।
সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন না হওয়ার জন্য বিএনপির অনড় মনোভাবকেই দায়ী করেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র। নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকে কয়েকটি মন্ত্রণালয় দেয়ার প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেন তিনি।
“একটা দল নির্বাচন বয়কট করতেই পারে। এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমরা তো তাদের জোর করে নির্বাচনে আনতে পারি না।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার যে ঘোষণা বিএনপির রয়েছে, সে বিষয়ে জয় বলেন, “এটার কী যুক্তি আছে? যে প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে, উনাকে কেন পদত্যাগ করতে হবে?”
“তাহলে বোঝা যাচ্ছে, এই বিচার বন্ধ করার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছে।”
বিরোধী দল দলবিহীন এ নির্বাচন নিয়ে আপনি সন্তুষ্ট কি না- জানতে চাওয়া হলে জয় বলেন, “আমি স্যাটিসফাইড। কারণ পাঁচ বছরে একটা নির্বাচন হতেই হবে।
“আপনি যদি কোনো খেলা খেলতে যান, সেখানে আপনার প্রতিপক্ষ জিততে পারবে না জেনে যদি না খেলে, তাহলে আপনি কেন পয়েন্ট পাবেন না। তাই নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলেই আমি স্যাটিসফাইড।”
বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা হলে দশম সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সংসদ ভেঙে নতুন করে নির্বাচন দেয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
“নতুন সরকারের মেয়াদ সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছর হবে,” এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন তিনি।
আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি নিয়ে পাকিস্তানের সংসদে নিন্দা প্রস্তাব এবং এনিয়ে খালেদা জিয়ার নিরবতারও সমালোচনা করেন জয়।
“আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু বিরোধদলীয় নেত্রী এর বিরুদ্ধে কোনো স্টেইটমেন্ট দেননি, প্রতিবাদ করেননি। এটা আওয়ামী লীগ বিএনপির বিষয় না, এটা দেশের বিষয়। এই চুপ করে থাকা মানতে পারি না।”
এই সময় দেশে আসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ছেলে বলেন, ভোট দিতেই এসেছেন তিনি, সেই সঙ্গে দলের জন্য কয়েকটি এলাকায় প্রচারেও যাবেন তিনি।
©somewhere in net ltd.