![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই, আমি হাবিব। আমি একজন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র। আপনাকে আমার ব্লগ এ স্বাগতম।
৯ মার্চ ২০২৩
বৃহস্পতিবার
রাত সাড়ে ৮ টা।
.
.
.
অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছি। বাসায় তাড়াতাড়ি যাওয়া দরকার। আমার অক্সিজেন টা আমার জন্য অপেক্ষা করে আছে। আজ বার বার বলে দিয়েছিলো দুপুরে বাসায় ফিরতে। কাজের চাপ এতো বেশি, তাই আর দুপুরে বাসায় ফেরা হলো না। আমাকে অনেক বার হয়তো ফোন এ ট্রাই করেছে। কিন্তু আমার ফোনে একদম চার্জ ছিলো না। তাই সুইচ অফ ছিলো। নিশ্চই অনেকটা রাগ করে আছে। যাক বাসায় গিয়ে রাগ ভাঙাবো। বাসায় আসতে আসতে রাত ৯ টা বেজে গেলো। সারা বাড়ী খুজেও #কোহিনুর (আমার দেওয়া নাম) কে পেলাম না।
-আম্মু কোহিনুর কোথায়?
-বৌমা তো বাপের বাড়ি গেছে।
- কেন? হঠাত কেন? আমাকে তো কিছু বলে নি.....!
-আমাকে তো বলে গেলো ওর মা কিছুটা অসুস্থ।
-আচ্ছা আম্মু। আমি ওই বাড়িতে যাচ্ছি।
-খেয়ে যাবি না??
- না আম্মু এসে খাবো।
.
.
.
কোহিনুর নামের মেয়েটা আমার বউ। আমার অক্সিজেন। আমার সবকিছু। আমাদের বিয়ে হয়েছে তিন বছর আগে। ভালোবেসে, ফ্যামিলির সম্মতিতে বিয়ে করেছি আমরা। মেয়েটা আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমার কথা আর কি বলবো, এক কথায় ও আমার অক্সিজেন। ওর সাথে আমার পরিচয় ফেসবুক এ আজ থেকে ঠিক ৭ বছর ৬ মাস আগে। এর মাঝে কতো যে ঝগড়া হয়েছে আমাদের। তার কোন হিসেব নেই। আর সব সময় দোষটা আমার ই থাকতো। কিন্তু এতো ঝগড়ার পরেও মেয়েটা আমাকে ছেড়ে চলে যাওয়া দুরের কথা, একদিন ও কথা না বলে থাকেনি। সকালে ঝগড়া হতো, বিকেলে সব ঠিক, আবার রাতে ঝগড়া।
বিয়ের পর ঝগড়া কিছুটা কমেছে। কিন্তু আমাদের ভালোবাসা এতোটুকুও কমে নি। বরং অনেকটা বেড়ে গেছে। বিয়ের পর একটা রাতেও মেয়েটা নিজের হাতে খায় নি। আমি না খাইয়ে দিলে খাবেই না। এখনো মেয়েটা আমার বুকে ই মাথা রেখে ঘুমায়। এই তিন বছরে আমাদের বেড রুমে কখনো ২ টা বালিশ দেখি নি। মাঝে মাঝেই আমরা ছাদে গিয়ে চাঁদ দেখি। ওর পাশে বসে চাঁদ দেখার মজাই অন্যরকম। বিয়ের আগেও অনেক চাঁদ দেখেছি, কিন্তু এতো মজা কখনো পাই নি। বাসর রাতে আমার বউ টাকে অনেক গুলো জোনাকিপোকা উপহার দিয়েছিলাম।
লাইটসস অফ করে জোনাকিপোকা গুলো ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমার বউ টা যে কি খুশি হয়েছিলো বুঝাতে পারবো না। ওর এই খুশি দেখার জন্য আমি সব কিছু করতে রাজি আছি।
.
.
.
(বউ টার কথা ভাবতে ভাবতে ওদের বাড়ির সামনে চলে এসেছি)
.
.
.
বেল দেওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যে দরজা খুলে দেওয়া হলো। ওর আম্মুই দরজা খুলেছে।
- আসসালামু আলাইকুম আম্মা, এখন কেমন আছেন।
- ওয়ালাইকুম আসসালাম। হ্যা আমি তো ভালোই আছি।
- কিন্তু ও তো বললো আপনি নাকি অসুস্থ। কোথায় এখন সে?
- রুমেই আছে। দরজা বন্ধ করে বসে আছে। খাইতেও আসছে না।
- ওকে। আমি দেখছি।
.
.
.
কোহিনুর। কোহিনূর। এই কোহিনূর। দরজা খোল। কি হয়েছে?? এমন করছো কেন??
(৫ মি. ধরে ডাকাডাকিরর পর বউ টা দরজা খুলেছে।
কান্না করতে করতে চোখ টা ফুলিয়ে কি অবস্থা করেছে)
-এই কান্না করছো কেন?
- আমার সাথে আর কথাই বলবা না।
- কেন?? তোমার সাথে বলবো না তো কার সাথে বলবো??
- জানি না।
- কিন্তু কান্না করছো কেন?? সেটা তো বলবা??
- এমনি। ইচ্ছা হইসে তাই।
-ওকে সরি। মাফ করে দেও। প্লিজ....?
- ফোন অফ ছিলো কেন?
- আরে চার্জ ছিলো না।
- ভালো হইসে। টেনশন করার তো কেউ নাই। তাই অফ করেই রেখে দিবা।
- আর করবো না। চলো বাড়ি চলো।
- আমি যাবো না।
- ওকে। আমিও যাবো না। আম্মু কে কল দিয়ে বলে দিচ্ছি।
- হুহ......
- খাও নি কেন?
- খাওয়াইয়া দেওয়ার লোক ছিলো না তাই..........!
.
.
.
.
.
(My Dream)
.
.
#MD_Habibur_Rahman
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৫
MD Habibur Rahman বলেছেন: Thank you, pase cai......
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪
সুমন কর বলেছেন: শুভ ব্লগিং........