![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই, আমি হাবিব। আমি একজন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র। আপনাকে আমার ব্লগ এ স্বাগতম।
ভালোবাসার জন্য অপেক্ষা" (পর্ব ২)
অপেক্ষার পালা শেষ। আজ শামীম তার মায়াবতী কে খুজতে যাবে। আজ হয়তো সে তার মায়াবতীর দেখা পাবে। যার জন্য সে এতোদিন অপেক্ষা করে ছিলো। যার জন্য সে ঘুমাতে পারে নি। যার স্বপ্নে সে বিভোর ছিলো। সেই মায়াবতীর দেখা আজ সে পাবে, এটা ভাবতেই স্বর্গীয় এক সুখ তার অন্তরে দোলা দিয়ে যায়। সকাল সকাল রেডি হয়ে সে বের হয়ে গেলো। রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে তার ফ্রেন্ড দের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। প্রথমে মিলন, তারপর হাসান, তারপর আল আমিন এসে উপস্থিত হলো।
মিলন- আর কেউ আসবে?
শামীম- হ্যা, নূর আলম আসবে। ওই এলাকায় ওর চেনা জানা আছে। ও আসলে ভালোই হবে।
বলতে বলতে নূর আলমও চলে আসলো। সবাই শামীম কে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করছে। কেউ কেউ তাকে দেবদাস উপাধিও দিয়ে দিছে। তবে সবার একটাই কথা। মেয়েটিকে খুঁজে পেলে ট্রিট দিতে হবে। আর সবাই তখন পেটচুক্তি খাবে। শামীম তাতে ও রাজি। তার যে শুধু মায়াবতী কেই চাই।
ওরা সবাই স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে। সবাই ভাবছে কিভাবে কি করা যায়।
আল আমিন- চল ভিতরে যাই।
শামীম- ভিতরে যাওয়ার পর??
আল আমিন- পরে আর কি? তোর মায়াবতী কে খুঁজবো।
শামীম- তুই ওরে পাইবি কই? ও এস এস সি দিয়ে চলে গেছে না?
হাসান- তাহলে কি করবি? কিভাবে খুঁজে বের করবি?
মিলন- নূর আলম দেখ তো তুই কিছু উপায় বের করতে পারিস কিনা? চিনিস কাউকে ভিতরে?
নূর আলম- না ওইভাবে চিনি না। তবে একটা ফ্রেন্ড আছে। ওকে আমি দেখছি। তোরা এখানে ওয়েট কর। আমি ভিতরে যাই। দেখি কোন উপায় বের করতে পারি কিনা।
শামীম- ওকে তুই যা। আমরা আছি এখানে।
নুর আলম ভিতরে চলে গেল। ওরা সেখানেই দাঁড়িয়ে রইলো। শামীম এর গলা শুকিয়ে গেছে আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে। সে শুধু একটাই দোয়া করছে। আল্লাহ একটা উপায় বের করে দেও। আমি ১০ রাকাত নফল নামাজ পড়বো। ৫০ টাকা দান/ সদকাহ করবো। সব সময় বাবা মার কথা শুনবো। প্লিজ, আল্লাহ। তুমি একটা উপায় বের করে দেও।
মিলন- অনেকক্ষন তো হয়ে গেলো। নূর আলম তো এখনো আসছে না। একটা কল দিবো?
শামিম- হুম দে।
আল আমিন- কল দিস না। ওই যে নূর আলম আসতেসে।
শামীম- কিরে এতো দেরী করলি কেন? ওকে চল। কোথাও বসি। এখানে অনেক রোদ।
নূর আলম- হুম চল।
মিলন- কিরে কি করলি এতোক্ষন? কোন উপায় বের করতে পারলি?
নূর আলম- আরে মামা। ভিতরে কে গেছে?? আমি। আমি গেলে কোন উপায় বের হবে না, এটা তোরা ভাবতে পারলি?
আল আমিন- হইসে। ফাফড় বাদ দে। কি হইসে সেটাই বল।
নূর আলম- ওকে শোন। আমার একটা ফ্রেন্ড আছে। নাম শাওন। এখান থেকে এস এস সি দিয়ে বের হয়েছে। ওর নাম্বার টা আমার কাছে ছিলো না। আমি ভিতরে গিয়ে দেখি কয়েকটা ছেলে গল্প করছে। ওদের কাছে গিয়ে কথা বলে জানতে পারলাম ওরা দশম শ্রেণীতে পড়ে। আমি যখন ওখানে যাই তখন ওরা কি যেন একটা অনুষ্ঠান নিয়ে আলাপ করছিলো। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম। আগামী মঙ্গলবার ওদের স্কুলের এক যুগ পূর্তির অনুষ্ঠান হবে। সেখানে পূন:মিলন ব্যবস্থা করা হইছে। তারপর ওদেরকে আমার ওই ফ্রেন্ড শাওন এর কথা বললাম। ওদের কাছ থেকে শাওন এর নাম্বার নিয়ে চলে আসলাম। আসার সময় শাওন কে ফোন দিয়ে সব খুলে বললাম। শাওন বললো, ওকে তোরা মঙ্গলবার দিন ঠিক দশ টায় চলে আসবি। এসে আমাকে একটা ফোন দিবি। বাকি টা আমি দেখবো।
মিলন- ওয়াও। কাজ তো প্রায় শেষ করেই আসলি। চল কিছু খাই। ক্ষুধা লাগছে।
শামীম উঠে নূরে আলম কে জড়িয়ে ধরে কান্না কিরে দিল। Thank you, বন্ধু। অনেক বড় উপকার করলি।
নূরে আলম- হইসে হইসে। চল কি খাওয়াবি খাওয়া।
শামীম- ওকে চল। আজ তোরা যা খেতে চাইবি সব খাওয়াবো।
খাওয়া দাওয়া করে ওরা সবাই নিজের এলাকায় চলে আসলো। সবাইকে বিদায় দিয়ে শামীম বাসায় ফিরলো। আজ সে অনেক খুশি।
রাতে শুয়ে শুয়ে চিন্তা করতে লাগলো। আরো ও ৫ দিন পর মঙ্গলবার আসবে। ধ্যাত, এতো পরে আসবে কেন? কাল মঙ্গলবার হলে কি এমন ক্ষতি হত। যাক একটা উপায় তো হলো। আল্লাহ মঙ্গলবারে আমার মায়াবতীর সাথে আমাকে দেখা করিয়ে দিও।
দেখতে দেখতে মঙ্গল বার চলে ও আসলো। প্লান অনুযায়ী তারা স্কুলের সামনে গিয়ে শাওন কে কল দিলো। শাওন বলবো ৫ মিনিট ওয়েট করতে। সে আসতেছে।
প্রায় ১২ মিনিট পর আসলো শাওন। শাওন আসার পর নূরে আলম শাওন কে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল।
চলবে.....
©somewhere in net ltd.