![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন খেটে খাওয়া শ্রমিক। রবীন্দ্রনাথ আমার গুরু। উনার কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, গান আমার দারুণ প্রিয়। আমি প্রথম আলো পত্রিকায় সাংবাদিকতা করছি। বেড়ানো আমার শখ, শখটা এখন ঘুমানোতে ডাইভার্ট হয়ে গেছে। খেলা দেখার নেশাটা ছাড়তে পারি নি এখনও......
সময়টা সম্ভবত নব্বইয়ের দশকের শেষ। বাংলাদেশে তখন জিম্বাবুয়ে এবং কেনিয়ার বাইলিটারেল সিরিজ চলতো। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ওয়ানডে ম্যাচগুলো হতো। খেলার ধারাভাষ্য শোনার জন্য লুকিয়ে কাথা মুড়ি দিয়ে রেডিও শুনতাম। খেলার জন্য বিজ্ঞাপন তরঙ্গ শুরু হতো দুপুরের বদলে সকাল বেলা। শীতের সকালে বাংলা সিনেমার গান শুনতাম, এরপর শুরু হতো খেলা। ধীরে ধীরে বাংলাদেশের ক্রিকেট একটা অন্য জায়গা দখল করে নিল। তখন জিম্বাবুয়ের দুই ভাই অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার খেলতেন। খেলতেন কেনিয়ার মার্টিন সুজি, টনি সুজি, মরিস উদুম্বে। জিম্বাবুয়ের নিল জনসন, মারে গুডউইন, হিথ স্ট্রিক, টাটেন্ডা টাইবু...কত নাম। মফস্বল শহরে কোনো ইন্টারনেট ছিল না তখন, রেডিও আর পত্রিকায় ভরসা। ক্রিকেটাররা তখন থেকেই রহস্যের এক রোমাঞ্চকর গল্প। ভারত-পাকিস্তান সিরিজ হলে তো কথায় নেই। পাকিস্তানে অনেকদিন পর সেবার গেল সৌরভ গাঙ্গুলীর ভারত। পাচদিন ভারত-পাকিস্তান টেস্ট দ্বৈরথ চলবে ভাবতেই কি যে উত্তেজনা।
এতসব হাবিজাবি লেখার একটাই উদ্দেশ্য...এখনো সেই উত্তেজনা টের পাই। কিন্ত ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের এই খারাপ পারফরম্যান্স দেখে মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। আমাদের আবেগ নিয়ে যারা সারাক্ষণ খেলছে তারা কি সত্যি আমাদের আবেগের মূল্যটা বুঝতে পারে?
২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০১
বদিউজ্জামান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ নাছির৮৪।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩
নাছির84 বলেছেন: পেশাদারিত্বের সঙ্গে বাণিজ্য মিশলে আবেগ পালিয়ে বাঁচে !
একটা সময় ছিল..যখন ক্রিকেটে প্রচুর বৈচিত্র ছিল। প্রতিটা দলেই কিছু ভাল পেসার এবং ব্যাটসম্যান ছিল। কিন্তু এখন পেসার হাতে-গোনা, আর ব্যাটসম্যান-অলরাউন্ডার গজিয়ে উঠছে ব্যাঙের ছাতার মতো। অর্থাৎ, ভারসাম্য হারাচ্ছে ক্রিকেট।
শেন ওয়ার্ন, ওয়াসিম-ওয়াকার কিংবা স্টিভ ওয়াহদের মতো দুঁদে চরিত্রগুলোও এখন আর ক্রিকেটে খুঁজে পাওয়া যায়না। সবাই খেলে যন্ত্রের মতো। আর খেলাটির প্রতি যদি ভালবাসার কথা বলেন, তাহলে বলবো ক্রিকেটকে চুষতে চুষতে খেলাটিকে আমরা ছোবড়ায় পরিণত করেছি। বিনিময়ে খেলাটিকে আমরা কিছু ফেরত দিতে পারিনি, যা লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায়। এ কারণেই ক্রিকেটের বর্ণময় চরিত্রগুলোর বাস এখন অতীতে। বর্তমানে তো নয়ই ভবিষ্যতেও সেই সংখ্যাটা অনেক কমে আসবে। আর তাই,আমরাও ধীরে ধীরে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি খেলাটির প্রতি।
দুর্ণীতির কথা নয়, নাইবা বললাম। ভাল থাকবেন।