![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন খেটে খাওয়া শ্রমিক। রবীন্দ্রনাথ আমার গুরু। উনার কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, গান আমার দারুণ প্রিয়। আমি প্রথম আলো পত্রিকায় সাংবাদিকতা করছি। বেড়ানো আমার শখ, শখটা এখন ঘুমানোতে ডাইভার্ট হয়ে গেছে। খেলা দেখার নেশাটা ছাড়তে পারি নি এখনও......
কেন নামাতে হবে বিদেশি পতাকা?
আজ সকালে আমাদের পত্রিকায় (প্রথম আলো) বিশাল বাংলা পাতায় একটা নিউজ দেখে মেজাজটাই বিগড়ে গেল। চার কলামের স্টোরির হেডলাইন ‘নামাতে হচ্ছে বিদেশি পতাকা’ নিচে লাল কালিতে সাব হেড দিয়ে লেখা যশোরে জেলা প্রশাসনের নির্দেশ।
সোমবার সন্ধ্যায় তথ্য অধিদপ্তর থেকে মাইকে যশোর শহরে এবং কাল দিনব্যাপী জেলার আট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাইকে বিদেশি পতাকা নামানোর নির্দেশনা প্রচার করা হয়। যশোরের জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান এ নির্দেশনা জারি করেন।
মাননীয় জেলা প্রশাসক, আপনাকে বলছি। দেশপ্রেম ও পতাকা আইনের দোহায় দিয়ে আপনি যে কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন সেই পাওয়ার ও অ্যাবিলিটি আপনার আছে। কিন্তু আপনি কি এটা ভেবে দেখেছেন আপনি মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করছেন। একজন জেলা প্রশাসক পদাধিকার বলে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি। আপনি কি বলতে পারবেন আপনার জেলায় নিয়মিত ফুটবল, ক্রিকেট, হকির লিগ আয়োজন করা হয় কিনা? জানি বলতে পারবেন না। যশোরের সুইমিং পুলে পানি থাকে না বছরের পর বছর। আপনি কি খোঁজ নিয়েছেন সেটা? কই কোনো সময় তো মাদক বিরোধী অভিযান বা মাদককে না বলুন জাতীয় উদ্যোগের জন্য কখনো মিডিয়ায় কোনো নিউজ দেখিনি আপনার নামে। এসব নিয়ে কি কখনো মাইকিং করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করেছেন? দেশপ্রেমের কথা বলছেন- কিন্তু আপনি কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন আপনি দুর্নীতি করেন না। ঘুষ খান না? আমার মনে হয় যখন আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন তখন কোনো দিন বিশ্বকাপের সময় হলের টিভি রুমে ঢু মেরেছেন কিনা সন্দেহ। জনাব জেলা প্রশাসক, বিশ্বকাপের গ্র“প পর্বে এসব দলের কেই বাদ পড়লে আপনা আপনিই পতাকা নেমে যাবে। তখন আপনাকে মাইকিং করা লাগবে না। একসপ্তাহ বড় জোর দশ-পনের দিন এই উš§াদনা নিয়ে থাকতে চায় বাঙালি। খেলাধুলা তো দেশ থেকে উঠেই গেছে। খেলা নিয়ে উš§াদনাটুকু আপনারা কেড়ে নিতে চান?
২| ১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১২
এম এ কাশেম বলেছেন: এত সংকীর্ণতা দিয়ে দেশ প্রেম হয় না,
বিদেশী পতাকা উড়ালে কেউ বিদেশী হয়ে যায় না।
৩| ১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
রঙীন রবীন বলেছেন: অন্য দেশের পতাকা উড়ানোর নিয়ম নীতি আছে মানলাম।কিন্তু এগুলো আরও আগেই উচিত ছিল জানানোর । আর অনেকেই আবেগি হয়ে বলেন , ক্রিকেট খেলায় আমরা কেন নিজ দেশের পতাকা উরাই না। আরে ভাই !!! আমি বাংলাদেশি , আমি কেন পতাকা উড়াইয়া প্রমান করুম আমি দেশরে support করি, আমরা বাংলাদেশিরা খারাপ হইতে পারি but তো নীচ না ।কোন দেশেই নিজ দেশের পতাকা উড়াইয়া support দেয় না ।
৪| ১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪
তারা চাঁন বলেছেন: @ এম এ কাশেম - আপনার সাথে একমত। ভাই নব্য দেশপ্রেমিকরা দেশে পতাকা আইন লঙ্ঘনের চেয়েও অনেক গুরুতর আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে। দয়া করে সেই ব্যাপার গুলো নিয়ে একটু চিন্তা করুন। আর আমাদের মত ফুটবল প্রেমিকদের একটা মাস শান্তিতে বিশ্বকাপ উপভোগ করতে দেন।
৫| ১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: এটা এক ধরনের নীচু মানসিকতা। ডিসিরে কেউ জিগায়না তাই জিগানের ব্যাবস্হা করসে। কামের নামে দেহা নাই আকামের সর্দার!
৬| ১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
হেডস্যার বলেছেন:
কেউ কেউ দেখি পতাকার ব্যাপারের সাথে অন্য কিছুর উদাহরন দিয়া ব্যাপারটা হালকা করার চেষ্টা করতেছে।
আমি যশোরের ডিসির মত কেউ হইলে পতাকা নামাইতে বাধ্য তো করতাম ই সাথে ফ্রী কানে ধরাইয়া দশবার উঠবস করাইতাম।
৭| ১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩
কানা দাজ্জাল বলেছেন: ক্ষমা করবেন, হেডস্যারের সাথে আমিও একমত।
আমি হইলে যারা পতাকা উড়াচ্ছে তাদেরকে ন্যাংটো করে ঐ ভীনদেশী পতাকার ডান্ডির সাথে বেধে রাখতাম আর তাদের লজ্জাস্থানে ঐ ভীনদেশী পতাকার লোগো একে দিতাম। আর পিছন সাইড উদোম রাখতাম, ফতোয়াবাজদের মত চাবুক মারার জন্য। এক একটা পতাকার জন্য ১০ টি করে হুইপ ল্যাশ।
৮| ১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১৩
তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: গত বিশ্বকাপের (২০১০) সময় দেশে ছিলাম। কোন এক রাতে আর্জেন্টিনার খেলার সময় অনেক এলাকাতে কারেন্ট না থাকাতে মানুষ (মানে আমজনতা) বিদ্যুতকেন্দ্র ভাংচুর করেছে, রাস্তাঘাটে গাড়ি ভাংচুর করেছে। ক'দিন আগেও দেখলাম ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে মারামারিতে ১১ জন আহত। আমাদের আমজনতা যেহেতু এরকম তাদের জন্য সরকারী সিদ্ধান্তই দরকার।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি ভীন দেশী পতাকা না উড়ানোর পক্ষের লোক।