নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহেনা যাতনা দিবস রজনী

বদিউজ্জামান মিলন

আমি একজন খেটে খাওয়া শ্রমিক। রবীন্দ্রনাথ আমার গুরু। উনার কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, গান আমার দারুণ প্রিয়। আমি প্রথম আলো পত্রিকায় সাংবাদিকতা করছি। বেড়ানো আমার শখ, শখটা এখন ঘুমানোতে ডাইভার্ট হয়ে গেছে। খেলা দেখার নেশাটা ছাড়তে পারি নি এখনও......

বদিউজ্জামান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পটা শুধুই রেফারিদের নয়

১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:৪০



চুলগুলো বড্ড বেশি লম্বা দেখাচ্ছে, চুলগুলো কাটাতে হবে? গাড়ি চুরি হয়ে গেছে রোনালদোর? মেসির বাড়ি বানাতে বিমা করতে হবে? চিন্তা নেই—মাঠেই আছেন নাপিত, বিমার দালাল! এমনকি রসায়নবিদ, সাবেক স্কুলশিক্ষক, ধনকুবের থেকে ধর্মযাজক—কেউই বাদ নেই। এবারের বিশ্বকাপের রেফারিদের অন্তত ২৫ জনের পেশা যে এমনই বিচিত্র!

আইভরিকোস্টের ন্যুমানদিয়েজ দাউয়ের কথাই ধরুন। রসায়নবিদ্যায় পড়াশোনা করা এই রেফারি এবার অস্ট্রেলিয়া-চিলির ম্যাচে বাঁশি বাজিয়ে ইতিহাস গড়ে ফেলেছেন। আইভরিকোস্টের প্রথম রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেন বিশ্বকাপে। ৪৩ বছর দাউ বললেন আরেকটি গুণের কথা, ‘আমি কিন্তু ভালো নাচতেও পারি।’

ব্রাজিলে নিশ্চয় অপহরণের ভয়ে আছেন ধনকুবের জোনাস এরিকসন! ঘানা-যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচে বাঁশি বাজানো সুইডিশের আছে কোটি কোটি টাকার শেয়ার ব্যবসা। তবে এরিকসন অপহরণ হলেও চিন্তা নেই। পুলিশ সার্জেন্ট হাওয়ার্ড ওয়েব তো আছেনই। আজ কলম্বিয়া-আইভরিকোস্টের ম্যাচে দেখা যাবে ইয়র্কশায়ারের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে। ৪২ বছর বয়সী ইংলিশ ভদ্রলোকের চেহারাটাও সিনেমার নায়কের মতো। ‘তুমি তো দেখতে হলিউডের তারকাদের মতোই’—দক্ষিণ কোরিয়ায় গত বিশ্বকাপের ফাইনালে বাঁশি বাজানো রেফারিকে প্রায়ই সতীর্থরা মজা করে বলেন এমন কথা। আর বারবারই এসব এড়িয়ে যান বিনয়ের অবতার ওয়েব, ‘দূর, আমি মোটেও দেখতে অত ভালো নই।’

‘ভাই, আপনার গাড়ির কি বিমা করাবেন? বাড়িটাও করিয়ে ফেলুন না।’—ইস্তাম্বুলের রাস্তায় এভাবে মানুষের পেছনে দৌড়াতেই সময় কাটত কুনেত কাকিরের। এসব বাদ দিয়ে এখন মাঠে বলের পেছনে দৌড়াতে হচ্ছে তুরস্কের রেফারিকে। মাঠের মধ্যে গন্ডগোল থামাতে এবার ধর্মের অহিংসবাণীও শোনাতে পারেন মার্কো রদ্রিগেজ। ম্যাক্সিকো সিটির এই ধর্মযাজকও যে আছেন রেফারিদের অভিজাত তালিকায়। মারোউয়েন ফেলাইনির একটা সেলুন আছে হল্যান্ডে। শুধু সেলুনই নয়, বেশ কটা মুদি দোকানেরও মালিক এই ডাচ রেফারি।

গত মাসে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ-অ্যাটলেটিকোর ম্যাচে দেখা গেছে মারোউয়েনকে, আছেন এবারের বিশ্বকাপেও। গাম্বিয়ান রেফারি বাকারি পাপা গাসামা সময় পেলেই সুস্বাদু মাছ রান্না করেন। চাইলে রোনালদো-মেসিরা রান্নাটা চেখে দেখতে পারেন। যদিও নিজের প্রশংসা করতে নারাজ এই রেফারি, ‘ততটা ভালো পারি না। কিন্তু শখের বশে এসব করি।’

যুক্তরাষ্ট্রের মার্ক গেইজার একসময় ছাত্র পড়িয়েছেন। হাইস্কুলের অঙ্কের শিক্ষক এখন কার্ড দেখিয়ে যাচ্ছেন নিখুঁতভাবেই। ব্রাজিলের শিক্ষক সান্দ্রো রিচ্চি ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন ফ্রান্স-হন্ডুরাস ম্যাচে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গোললাইন প্রযুক্তি দেখা ম্যাচের রেফারি ছিলেন রিচ্চি। বাহরাইনের নওয়াফ শুকরাল্লা আইন গবেষক। জনসমুদ্রের কোলাহলে অস্বস্তি ধরে গেলে শান্তি খোঁজেন রিওর কোপাকাবানা সমুদ্রসৈকতে গিয়ে, ‘সবকিছু ভুলে থাকতে আমি সাগরপাড়ে চলে যাই।’ বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে প্রায় প্রতিদিনই সমালোচিত হচ্ছেন কোনো না-কোনো রেফারি। আরেক আইনজীবী জার্মান ফেলিক্স ব্রিচ তাই তো সত্যি কথাটা মনে করিয়ে দিতে চাইলেন, ‘আমরা রেফারি। কিন্তু আমরাও সাধারণ মানুষ।’ তথ্যসূত্র এএফপি, ওয়েবসাইট।



সূত্র: প্রথম আলো বিশ্বকাপের বাঁশি। লেখাটা পত্রিকায় পড়তে ক্লিক দিস লিঙ্ক

Click This Link







মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.