নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহেনা যাতনা দিবস রজনী

বদিউজ্জামান মিলন

আমি একজন খেটে খাওয়া শ্রমিক। রবীন্দ্রনাথ আমার গুরু। উনার কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, গান আমার দারুণ প্রিয়। আমি প্রথম আলো পত্রিকায় সাংবাদিকতা করছি। বেড়ানো আমার শখ, শখটা এখন ঘুমানোতে ডাইভার্ট হয়ে গেছে। খেলা দেখার নেশাটা ছাড়তে পারি নি এখনও......

বদিউজ্জামান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্রেডের গোলটি অফসাইড, না অফসাইড নয়?

২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:০১

ম্যাচের বয়স তখন ৪৯ মিনিট। ডেভিড লুইজের ক্রসে মাথা ছুঁয়ে ব্রাজিলের তৃতীয় গোলটি করলেন ফ্রেড। বুনো উদযাপনে মেতে উঠলেন। বোঝাই যাচ্ছিল, গোলটি পেয়ে যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। ব্রাজিলের এক নম্বর স্ট্রাইকারের গোল না-পাওয়া নিয়ে কম সমালোচনা তো আর হয়নি।



কিন্তু এদিকে আরেক শোরগোল। ফ্রেডের গোলটি কি অফসাইড থেকে হয়েছে, নাকি ঠিকই আছে। এ নিয়ে বিশ্বজুড়েই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে বিতর্ক হচ্ছে। সমানে চায়ের কাপে উঠেছে ঝড়। ফ্রেডের গোল নিয়ে তর্কবিতর্ক চলছে বাংলাদেশের ফুটবলপাড়াতেও।



জাতীয় দলের সাবেক কোচ সাইফুল বারী টিটুর মতে গোলটি সঠিকই ছিল, ‘প্রথম অবস্থায় অনেকেই ভাবতে পারেন যে গোলটি হয়তো অফসাইড ছিল। কিন্তু টেলিভিশনে যখন রিপ্লে দেখিয়েছে তখনই মার্ক করে দেখানো হয়েছে ডেভিড লুইস আর ফ্রেড লাইনের মধ্যেই ছিলেন। তাই এটা মোটেও অফসাইড ছিল না।’



তবে জাতীয় দলের গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্যের চোখে মনে হয়েছে ফ্রেডের গোলটা হয়নি, ‘আমি একজন ফুটবলার হিসেবে বলব ফ্রেডের গোলটা হয়নি। ওটা শতভাগ অফসাইড ছিল।’ এর ব্যাখাও দিলেন শেখ রাসেলের গোলরক্ষক, ‘যখন লুইস ক্রসটা করেন তখন রেফারি ও সহকারী রেফারি কেউই বুঝতে পারেননি। আমার মনে হয় রেফারি একটু অ্যাডভানটেজ দিয়েছেন। আসলে ভুল তো মানুষই করে। তিনি চাইলে গোলটা বাতিল করতেই পারতেন।’



জাতীয় দলের অধিনায়ক ও মিডফিল্ডার মামুনুুল ইসলামও বললেন একই কথা, ‘ফ্রেডের গোলটা হয়নি। কারণ সে বলের আগেই ওই পজিশনে চলে গিয়েছিল।’



জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক গোলরক্ষক আমিনুল হকের মতে ফ্রেডের গোলটি ছিল সঠিক, ‘প্রথমে আমিও ভেবেছিলাম ওটা ছিল অফসাইড। কিন্তু পরে দেখি লুইজ অফসাইডে ছিলেন না। প্রথমে বলটি ওর কাছেই ছিল। আর লুইজ অফসাইডে না থাকলে ফ্রেডেরও অফসাইড হওয়ার কথা না। কারণ লুইজের চেয়ে ফ্রেড ভেতরের দিকেই ছিলেন। এই কারণেই রেফারি গোলটা বাতিল করেননি।’



শেখ রাসেলের ট্রেবলজয়ী কোচ মারুফুল হকের বিশ্লেষণও আমিনুলের মতোই, ‘আসলে প্রথমে মনে হবে ওটা অফসাইড। কিন্তু পরে লুইজ বল পেয়ে গেলে আর অফসাইড থাকেনি। লুইজ বলটি ফ্রেডকে দেওয়ার সময় সেটা অনসাইডই ছিল।’



জাতীয় দলের স্ট্রাইকার মিঠুন চৌধুরী অবশ্য এই গোলের বিরোধিতা করছেন, ‘আমার মনে হয়েছে ফ্রেডের গোলটা হয়নি। সে অফসাইডেই ছিল।’ তিনি দোষ চাপিয়েছেন রেফারির ওপর, ‘আসলে ভুল তো মানুষেরই হয়। আমার মনে হয় রেফারি বা সহকারী রেফারি কাভার করতে পারেনি বিষয়টা। নিশ্চয়ই কোনো একটা ভুল এখানে হয়েছে।’



ফ্রেডের গোলটির থ্রিডি দেখুন

Click This Link

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৬

সুমন কর বলেছেন: আমার মতে, গোলটা হয়নি, ওটা অফসাইড ছিল।

২| ২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:৩৪

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: প্রথম আলোতে রিপোর্ট টা দেখেছিলাম, কিছুক্ষণ নিরবে হাসলাম জাতীয় দলের খেলোয়ারদের অফসাইড জ্ঞান দেখে!!অবাক হলাম একটা দেশের অধিনায়ক অফসাইড সম্পর্কে যথেস্ট জ্ঞান রাখে না!!

আমাদের দু'জন কোচই এক্ষেত্রে সঠিক। ওটা অফসাইড হওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে নাই কোথাও ( অফসাইড কিনা এই প্রশ্নটাই প্রথম দেখলাম প্রথম আলোতে,এদের আর দোষ দিয়ে লাভ কি!)

সহজ করে বলতে গেলে কোন প্লেয়ার বল পাস দেয়ার সময় যদি সে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার দের চেয়ে এগিয়ে থাকে অর্থাৎ যে পাস দিচ্ছে এবং যে পাস গ্রহন করছে দু'জনই যদি লাস্ট ডিফেন্ডার এর থেকে এগিয়ে থাকে তাহলে সেটা অনসাইড। ভিডিওতে পরিস্কার লুইজ লাসট ডিফেন্ডার থেকে এগিয়ে ছিলো।

আর সবচেয়ে সহজ প্রমান দেই, ইন্টারন্যাশনাল কোন মিডিয়াতে কিন্তু এটা নিয়ে কোন প্রশ্নই উঠে নাই,প্রশ্ন তুললো জ্ঞানপাপী প্রথম আলো:P

৩| ২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:৪৯

তারিকুল ঐক্য বলেছেন: পাজল্‌ড ডক, আপনার জন্য। নাকি বলবেন এইটা ইন্টারন্যাশনাল না ?
Click This Link

৪| ২৫ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: তারিকুল ঐক্য@

হা হা হা !!! আমি যা বলেছি রিপোর্টটাতে সেটাই বলেছে:P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.