![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন খেটে খাওয়া শ্রমিক। রবীন্দ্রনাথ আমার গুরু। উনার কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, গান আমার দারুণ প্রিয়। আমি প্রথম আলো পত্রিকায় সাংবাদিকতা করছি। বেড়ানো আমার শখ, শখটা এখন ঘুমানোতে ডাইভার্ট হয়ে গেছে। খেলা দেখার নেশাটা ছাড়তে পারি নি এখনও......
ছোটো বেলা থেকেই রেডিও শোনার অভ্যাস ছিল। বাড়িতে বড় একটা রেডি্ও ছিল। চার ব্যাটারির। আমি বেশি বেশি গান শুনতাম বলে লুকিয়ে রাখা হতো। একটা ছোটো পকেট রেডি্ও কিনেছিলাম গোপনে। সেটা আমি লুকিয়ে রাখতাম। এক কানওয়ালা হেডফোন দিয়ে গান শুনতাম। কাথার নিচে শুয়ে শুয়ে কতদিন যে আম্মাকে ফাঁকি দিয়ে গান শুনেছি তার ঠিক নেই। গান শোনার আরেকটা বড় উপলক্ষ্য ছিল নিশুতি অনুষ্ঠান। রাত জেগে পড়ব, এই অজুহাতে রাত ১২টা থেকে নিশুতি অনুষ্ঠান শুনতাম। শেষ ভাগে হতো সিনেমার গান। অঙ্ক কষতাম আর গান শুনতাম। গ্রামের একটা ছোটো ছেলে যেবার প্রথম যশোর শহরে পড়তে গেল আম্মা টাকা দিয়ে দিল আলাদাভাবে, বলল একটা রেডি্ও কিনে নিস। মন খারাপ লাগলে গান শুনিস। রেডিওর প্রতি আমার কতটা দুর্বলতা ছিল সেটা ভালোই জানতেন আম্মা। যশোর এনএস রোড থেকে একটা রেডিও কিনেছিলাম কলেজে ভর্তি হয়েই।
রেডিও টিউনিং করা ছিল আমার বদ অভ্যাসের একটি। সারাক্ষণ এই চ্যানেল, ওই চ্যানেল ঘুরাতাম। বিবিসি, চীনের বেইিজং (তখন বলত রেডিও পিকিং), ডয়চে ভেলে, হিন্দি, আকাশবানী কতশত সেন্টার। এসব চ্যানেল রেডিওর কোন কাটায় কোন পর্যন্ত কোন ব্যান্ড-এ দিলে পাওয়া যাবে সব মুখস্থ ছিল।
এতসব গৌ্রচন্দ্রিকার কারণ একটাই- অনলাইন রেডিও শোনা। ইদানিং বেশি বেশি করে অনলাইন রেডিওতে গান শুনছি। ভাবছি যুগটা কত পাল্টে গেছে। এখন বিশ্বের যে কোনো দেশের যে কোনো রেডিও, অনলাইনে চাইলেই শুনতে পারি। কাল হঠাত আবিষ্কার করলাম শাহরুখ খান ফ্যান রেডিও নামের এক সেন্টার। যেখানে শুধু শাহরুখ খানের সিনেমার গানগুলো বেশি বাজে। বিখ্যাত ধ্রুপদী গায়ক আমির খানের রেডিও, জাঙ্গো ফ্রি অনলাইন রেডিও...নাম না জানা কতশত রেডিও, হন্ডুরাস থেকে শুরু করে কলম্বিয়া, মরিশাস থেকে শুরু করে ইন্দোনেশিয়া আপনি কোন দেশের রেডিও শুনতে চান। আমি ভাবি আর অবাক হই। কিশোর বয়সের আমি কি কখনো ভেবেছিলাম প্রযুক্তির কল্যাণে ইন্টারনেটে রেডিও শুনতে পারব। আমি কস্মিনকালেও ভাবিনি এভাবে রেডিও শোনা যাবে (অন্তত বছর দশেক আগেও ভাবিনি)। এখন আর খুঁজে পাওয়া যাবে না চারকোনা বাকসোর হক ব্যাটারি সমৃদ্ধ, স্টিলের এন্টেনা সমৃদ্ধ রেডিও।ভালোভাবে স্পষ্ট শব্দে গান শুনতে পাওয়ার আশায় টিনের চালে কিংবা বাঁশের আগায় নিজে নিজে স্টিল বাঁকা করে কত যে এন্টেনা বানিয়ে এদিক থেকে ওদিক ঘুরিয়েছি।
এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের রেডিওর কথা বললে ওরা চিনবেই না কোনটার কথা বলছি। কিসের কথা বলছি। আসলেই কি আমরা বুড়ো হয়ে গেছি?? নাকি প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে গেছে?
২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪
বদিউজ্জামান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ তৌফিক তুহিন ভাই।
৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯
বলো জয় বাংলা বলেছেন: Vhalo laglo
৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১০
মামুন রশিদ বলেছেন: রেডিও নিয়ে আমারও নস্টালজিয়া আছে । তবে এখন আর শোনার সুযোগ হয় না ।
৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১৪
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
রেডিও! কি কথা যে মনে করিয়ে দিলেন।
৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১৬
সোজা কথা বলেছেন: আমার বাবার ও একটা ছিল। প্রতিদিন সকাল বেলা উনি খবর শুনতেন। আর এটার আওয়াজে এলাকাবাসীর ঘুম ভাঙত! এখন তিনি সকালে উঠেই বাসি টকশো দেখেন।
৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ২:১৬
খান সাব বলেছেন: It's really true.
৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮
বদিউজ্জামান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ খান সাব ভাই, সোজা কথা , স্নিগ্ধ শোভন ও মামুন রশীদ ভাই..
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২৮
তৌফিকতুহিন বলেছেন: ভালো লাগলো। আমারো এ শখ ছিলো এবং আছে। এখন তো ড্যাব রেডিও আমাদের শখকে পরিপুর্ন করেছে। আমি একসময় খুব ভাবতাম,আমার হ্যাম রেডিওর মালিক হবো। এমেচার রেডিও নিয়ে পড়তে ও জানতে খুব ভালো লাগতো।