নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোন মূর্খের পক্ষেই সমালোচনা, নিন্দা বা অভিযোগ জানানো সহজ কাজ- বেশিরভাগ মূর্খই তাই করে। কিন্তু অপরকে বুঝতে পারা আর ক্ষমাশীলতা পেতে গেলে দরকার চারিত্রিক দৃঢ়তা আর আত্ম-সংযম।কোন মহান মানুষের মহত্বের প্রকাশ ঘটে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করেন ত

নীলা(Nila)

নিজের মনে যা ঠিক বলে মনে হয় তাই করি-কারণ আমার সমালোচনা করা হবেই।কাজ করলেও লোকে আমার সমালোচনা করবে-আবার না করলেও তাই।

নীলা(Nila) › বিস্তারিত পোস্টঃ

সালাতুত তাওবা এবং বিশেষ দোয়া

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৬

মানুষ আল্লাহর সেরা সৃষ্টি। শুধু সেরা সৃষ্টিই নয় বরং সবচেয়ে প্রিয় সৃষ্টি হলো মানুষ। আল্লাহ মানবজাতিকে অনেক ভালোবেসে তার দাসত্ব বা গোলামী করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়।প্রতিনিয়ত তার কোনো না কোনো গুনাহ হয়ে থাকে।মানুষের পাহাড়সম গুনাহ হয়ে গেলেও ক্ষমা চাইলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।তার দোষ -ত্রুটি গোপন রেখে তাকে করেন নিরাপদ। আর আল্লাহর ক্ষমা পাওয়ার অন্যতম প্রধান মাধ্যম তাওবা।তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা আল্লাহর কাছে খুবই পছন্দনীয় ইবাদত। তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর কাছে বারবার মুখাপেক্ষী হয়।আর বান্দার মুখাপেক্ষাতা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয়। তাছাড়া সালাত আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে তাওবা করলে তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

পাপ থেকে মুক্তি লাভের উদ্দেশ্যে যে সালাত আদায় করা হয়।সেইটা সালাতুত তাওবা।তাই তাওবার উদ্দেশ্যে দুই রাকাআত বা চার রাকাআত সালাত আদায় করা যেতে পারে।অথবা ফরজ সালাতের পর ও তাওবা করা যায়। সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে অনুগ্রহ প্রাপ্তির লক্ষ্যে অনুতপ্ত মুল উদ্দেশ্য।

এ সম্পর্কে প্রিয় নবী (সা.) বর্ণিত হাদিস:
"হযরত আবু বকর (রা.)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কোনো পাপ করবে তারপর উঠে (অযু-গোসল) আবশ্যক পবিত্রতা লাভ করবে এবং কিছু নফল নামায পড়বে, তারপর আল্লাহর কাছে কখনও কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোনো মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের ওপর যুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা দেখায় না এবং জেনে শুনে তাই করতে থাকে না।তাদেরই জন্য প্রতিদান হলো তাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে প্রস্রাবণ যেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। যারা কাজ করে তাদের জন্য কতই না চমৎকার প্রতিদান। " (সুনানে তিরমিযী -৪০৬)

ত্বাবারানী কাবীরে 'হাসান 'সনদে আবুদ্দারদা (রা.) থেকে 'মারফু' সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, উক্ত সালাত দুই বা চার রাকাআত ফরজ কিংবা নফল, পূর্ণ ওযূ ও সুন্দর রুকূ-সাজদা সহকারে হতে পারে। (মুসনাদে আহমাদ-২৭৫৮৬)

বিশেষ দোয়া :তাওবার জন্য নিচের দোয়া বিশেষ ভাবে সাজদায় ও শেষ বৈঠকে সালাম ফিরানোর আগে পড়া উচিত।

أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণঃ আস্‌তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যূম ওয়া আতূবু ইলায়হি।
"আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি সেই আল্লাহর নিকটে যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্ব চরাচরের ধারক এবং তাঁর দিকেই আমি প্রত্যাবর্তন করছি বা তাওবা করছি।" (মিশকাত, হাদিস :২৩৫৩)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪

জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪

নীলা(Nila) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম আপুন। আশাকরি অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট পাবো।

সুন্দর পোস্ট

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮

নীলা(Nila) বলেছেন: আপু ধন্যবাদ।ইনশাআল্লাহ আপনাদের পড়তে ভালো লাগে এবং উপকারে আসে এমন পোস্ট লিখবো

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো পোস্ট।

সহীহ মুসলিমে, আবু আইয়ুব আনসারি (রা) এবং আবু হুরায়রা (রা) বর্ণনা করেন:

আল্লাহর রাসূল বলেন, "সেই সত্ত্বার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ, মানুষ যদি পাপ না করতো তবে আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে উঠিয়ে নিয়ে এমন এক সম্প্রদায়ের অবতারণা করতেন, যারা পাপ করত এবং পরে (নিজের ভুল বুঝতে পেরে) আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতো এবং আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দিতেন।"

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দ্বারা ছোট গুনাহগুলি মাফ হয়ে যায়।

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩১

নীলা(Nila) বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার জানা বিষয় আমাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.