নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোন মূর্খের পক্ষেই সমালোচনা, নিন্দা বা অভিযোগ জানানো সহজ কাজ- বেশিরভাগ মূর্খই তাই করে। কিন্তু অপরকে বুঝতে পারা আর ক্ষমাশীলতা পেতে গেলে দরকার চারিত্রিক দৃঢ়তা আর আত্ম-সংযম।কোন মহান মানুষের মহত্বের প্রকাশ ঘটে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করেন ত

নীলা(Nila)

নিজের মনে যা ঠিক বলে মনে হয় তাই করি-কারণ আমার সমালোচনা করা হবেই।কাজ করলেও লোকে আমার সমালোচনা করবে-আবার না করলেও তাই।

নীলা(Nila) › বিস্তারিত পোস্টঃ

গিবত

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২০

কবির ভাষায়,
"কভু যদি কারো কথা করো আলোচনা,
অসাক্ষাতে নিন্দা তার করো না করো না,
বলিতে না পার যাহা চোখের উপরে,
বলিও না বলিও না তাহা অগোচরে। " -শেখ সাদী (রহ.)

গিবত বা পরনিন্দা করা ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্য অপরাধ। কোনো ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তার দোষ -ত্রুটি আলোচনা করার হলো গিবত।চাই তা কথা,ইশারা -ইঙ্গিত বা লেখনীর মাধ্যমেই হোক। ইসলামে গিবত হারাম ও কবিরা গুনাহ।গিবতের ফলে সমাজে শত্রুতা ও দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পায় এবং সমাজের ভারসাম্যতা বিনষ্ট হয়।বর্তমান সমাজে গিবত করাও অন্য মুসলমানের মানসম্মানে অহেতুক নাক গলানো এখন একটি ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। অথচ গিবত করতে মহান আল্লাহ তায়ালা কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। গিবতের গুনাহ যেমন বড়,তেমনি এর পরিণতিও খুবই ভয়াবহ। গিবত যে-রকম পাপ,শ্রবণ করাও তেমনি পাপ।তাই মানবজীবনের গিবতের কুফল বা পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। আর এই ভয়াবহতা পার্থিব জীবনের পাশাপাশি পারলৌকিক জীবনে ও পূর্ণভাবে বিদ্যমান।গিবত মানব চরিত্রের একটি খারাপ বৈশিষ্ট্য। সামাজিক শান্তি বিনষ্টকারী একটি ঘৃণ্য অপরাধ। অথচ এ মন্দ অভ্যাস অধিকাংশ মানুষের প্রত্যাহিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।এই পাপের কাজটি চায়ের আসর থেকে শুরু করে স্বাভাবিক আলাপচারিতায় যেন স্বভাবসুলভ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।বলা যায়,এখন তো কোনো বৈঠক গিবত ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়! অনেকেই তো পরনিন্দাকে পাপ বা নিষিদ্ধ কোনো কিছু বলে মনেই করেন না।অথচ ইসলামে গিবত একটি জঘন্যতম পাপ।

গিবত করা মানুষের নিকৃষ্টতম চারিত্রিক ত্রুটি। গিবত করা অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ।এ কাজকে নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার মতো গর্হিত কাজের সাথে তুলনা করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- "তোমরা একে অপরের গিবত করো না।তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে?তেমরা অবশ্যই এই ঘৃণা করবে। " -(সূরা হুজুরাত:১২)।

রাসূল (সা.) মিরাজের রাত্রিতে গিবতকারীদের অবস্থা দেখেছেন। তিনি বলেন,"মিরাজের রাত্রে আমি কিছু লোক দেখলাম তাদের তামার নখ রয়েছে এবং তা দিয়ে তারা নিজেদের মুখ ও বুক খামচাচ্ছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে জিব্রাইল, এরা কারা? তিনি বলেন, এরা সেইসব লোক যারা মানুষের গোশত খায় (গিবত করে) এবং তাদের ইজ্জত সম্ভ্রম নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।" (আবু দাউদ,হাদিস -৪৮৮০,মুসনাদে আহমদ, হাদিস -১৩৩৪০)।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
স্বাগতম আপনাকে

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১১

নীলা(Nila) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশ কি ইসলামী নিয়মে চলে? না চলে না।
বাংলাদেশ চলে সংবিধান অনুযায়ী। আপনাকে সংবিধান জানতে হবে। মানতে হবে।

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

নীলা(Nila) বলেছেন: সংবিধান যদি ইসলামি নিয়মে না চলে,তাই বলে কি আমরা ইসলাম মানবো না।আমি যেগুলো বিষয় নিয়ে লিখছি সেগুলো আমাদের পৃথিবীর জীবনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর এই গুলো মেনে চললে পৃথিবী এবং পরকালের জীবন অনেক ভালো হবে।

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই কঠিন পাপটা থেকে এই যুগে বেচে থাকা খুব কঠিন। গীবত শোনাও উচিত না। অন্য কোথাও চলে যাওয়া উচিত। ভালো লিখেছেন।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৪

নীলা(Nila) বলেছেন: পৃথিবী একটি পরীক্ষার কেন্দ্র মাত্র

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.