![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আনুমানিক ৫-৬ বছর আগের কথা। আমি দেশ বিদেশের বিভিন্ন ওয়াব পোর্টাল সাইটে স্থির চিত্রকার হিসেবে (চিত্র ভিত্তিক) কাজ করতাম। ঘটনার দিন বিকাল বেলায় ভৈরব মেঘনা ব্রিজের পাশে দর্শনীয় স্থানের ছবি তুলে রেল ব্রিজের পশ্চিম পাশ থেকে একটি স্নেপ দিতে গেলে ৪-৫জন পেছন থেকে ডাক দেয়, আমার সহকর্মী তাদের ডাকে সাড়া দেয়, আর আমি ভাবলাম স্নেপটা দিয়ে শুনি। হঠাৎ পিছন থেকে আমার কাঁধে চাপটে ধরে টেনে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমি বললাম কি হয়েছে ভাই একটা পিছন থেকে এসে লাঠি দিয়ে আঘাত করে, বলে ডাকলাম শুনলিনা। আমি বুঝলাম ঊনারা টহল পুলিশ । তবে একজনের গায়েও ইউনিফর্ম নাই। টেনে নানান কথা জিজ্ঞাসা করতে করতে সন্ধা ঘনিয়ে এলে একজন বলতেছে ৫৪ ধারায় চালান করে দেন, এতো কথা কিসের। আমি বলি ঠিক আছে চালান করে দেন আমি অনড়। আরেক জন টেনে একপাশে এনে বলে কি আছে দিয়ে দে, চালান করে দিলে তো অনেক টাকা খরচ হবে,মানসম্মান যাবে। পকেটে হাত দিয়ে দিল, তখন ভয় পেলাম! যদি গাজা ডুকিয়ে বলে তুর পকেট থেকে গাজা পাওয়া গেছে তবে তো সর্বনাশ হয়ে যাবে। আমার পরিচিত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছিল আকাশের যত তাঁরা পুলিশের তত ধারা, কোন সময় পুলিশের সাথে তর্ক করবি না, যাক বাহিরের পকেটে যা আছে ১৮০টাকা ।পেল। । বলে আর নাই, আমি বলি না। অ- যাবি কিভাবে এই নে ৫০টাকা, দেখি স্যারকে ১৩০টাকা দিয়ে মানাতে পারি কিনা। একটু দুরে গিয়ে ,এই স্যার ছেড়ে দিতে বলেছে। ছেড়ে দে। আর কি চলে এলাম। রাত বি-বাড়িয়া কাটিয়ে সকালে কুমিল্লার উদ্দেশ্য বাসে উঠি, মাধবপুর ষ্টেশনের পাশে বাস থামিয়ে ২-৩জন টহল পুলিশ চেক করছে ,হঠাৎ একজন এসে আমার ক্যামেরার বেগে লাঠি দিয়ে আঘাত করে এই কি আছে। ভাবছিলাম ভেংঙ্গে গেছে। তারপর পাপলিকের তোপে নেমে পরতে বাধ্য হয়েছে। তারপর অদ্যবদি ছবি উঠাইনা।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জরিপ অনুযায়ী, ২০১৭ সালে সার্বিকভাবে ৬৬.৫ শতাংশ মানুষ সেবা খাতগুলোতে দুর্নীতির শিকার হন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৭২.৫ শতাংশ দুর্নীতি হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায়।
সরকার মহোদয় জনগনের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বাহিনীকে কোটি কোটি টাকার বেতন দিচ্ছে, আর--- * মামলা করতে গেলে টাকা * মামলা উঠাতে টাকা *তদন্তে টাকা* সন্দেহে টাকা* ন্যায় প্রতিষ্ঠায় টাকা* অন্যায়কে ন্যায় করতে টাকা ইত্যাদি। ।
আমি মনে করি পুলিশ বাহিনীতে যোগদান কালে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক পর্যায় নিলে এবং সেনাবাহিনীর মতো প্রতি বছরে ২-৩ মাস উচ্চতর প্রশিক্ষণে রাখলে হয়তো এটা ঘোচানো সম্ভব।
২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮
মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: পুলিশের চাকুরীটা খুব ভালো; এতে লাইসেন্স দেয়া আছে মাস্তানী আর আয় রোজগারের সুতরাং কোন ভালো মানুষিকতা বা কোন কমনসেন্সের দরকার নাই। সুযোগ থাকলে আমিও পুলিশ হইতাম। পুলিসের ধারাগুলো ব্যবহার করতাম আর লালে লাল বাবা শাজালাল হইয়া যাইতাম।
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আপনি যা লিখেছেন তা আরেকবার নিজে পড়ে জানাবেন কি সব সঠিক লিখেছেন ?
৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৯
এ.এম.হাসানুজ্জামান বলেছেন: ত্রুটি মার্জনা করবেন। যদি বুঝিয়ে বলতেন।
৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আপনি কিছু ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছেন, হয়তোবা অনিচ্ছাকৃত অথবা আপনার গল্পটি বানোয়াট !!!
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: মেট্রিক পাশ করেও পুলিশে চাকরি পাওয়া যায়। পরে ঘুষ দিয়ে প্রমোশন পাওয়া যায়।