নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত খুব মূল্যবান আর এই মূল্যবান মুহূর্ত গুলো নষ্ট করা উচিৎ নয়।

আন্নীআক্তার৭৮৬

আমি খুবই অল্প ভাষী মানুষ। তাও ব্লগটি ওপেন করলাম দেখি কিছু লিখতে পারি কিনা

আন্নীআক্তার৭৮৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকার আশেপাশে কিছু ভ্রমণ কেন্দ্র

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪



ঢাকার আশেপাশে কিছু ভ্রমণ কেন্দ্র:
বাংলাদেশে যারা ঢাকা শহরে থাকেন তাদের প্রকৃতির দেখা পাওয়া বা মনোরম কোন জায়গায় যেতে হলে অনেক দূর পথ পারি দিতে হয় ঢাকার বাইরে। আবার ঢাকার বাইরে যেকোনো জায়গায় যাওয়াটা এবং যাতায়াত,থাকা,ঘুরা অনেক সময়ের ব্যাপার। আর খরচও লাগে অনেক।

তাই কম সময়ে ঢাকার আশেপাশেই ঘুরা যায় এমন অনেক সুন্দর জায়গায় আছে ঘুরার মতন। যেখানে আপনি একদিনে ঘুরে আসতে পারবেন। আপনার অবশ্যই এসব জায়গায় ঘুরে ভালো লাগবে এবং কিছু দিনের জন্য হলেও আপনার মধ্যে একটি ঝরঝরে ভাব এনে দিবে।

১. বালিয়াটি জমিদার বাড়ি, মানিকগঞ্জ:সাতটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা নিয়ে গৌরবের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন বালিয়াটি জমিদার বাড়ি দেখতে আপনাকে যেতে হবে ঢাকার অদূরে মানিকগঞ্জ থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে। জমিদার বাড়ির বিভিন্ন ভবন একেক জন উত্তরাধিকারীদের আভিজাত্যের নিদর্শন। বর্তমানে বাড়িটি বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের তত্বাবধানে রয়েছে। এই জমিদার বাড়ির একটি ভবনে গড়ে তোলা হয়েছে যাদুঘর।
ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে আরিচা বা মানিকগঞ্জগামী বাসে করে সাটুরিয়া বাস স্টপে নেমে সিএনজি বা রিকশা করে জমিদার বাড়ি চলে যেতে পারবেন।

২. নুহাশ পল্লী, গাজীপুর:হুমাহুন আহমেদকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছুই নেই। বাংলাদেশের মানুষের কাছে তিনি গল্পের জাদুকর হিসাবে খ্যাত। ইচ্ছে হলে আপনি এই কবির স্পর্শে লালিত নন্দন কানন নুহাশ পল্লী থেকে ঘুরে আসতে পারেন। যেখানে কবি তার কল্পনার সমস্ত কিছুই এখানে বাস্তবে রুপ দিয়ে গেছেন। এখানে আছে বৃষ্টি বিলাস, ভুত বিলাস নামের বাড়ি, ট্রি হাউজ, বিভিন্ন ভাস্কর্য্য, প্রায় ৩০০ প্রজাতির বিভিন্ন গাছের বাগান। আর নুহাশ পল্লীর লিচু তলায় কবির সমাধিস্থল দেখে আসতে আপনাকে যেতে হবে গাজীপুর জেলা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে পিরুজালী গ্রামে।
ঢাকা হতে বাসে করে গাজীপুরের হোতাপাড়া বাস স্ট্যান্ডে নেমে সেখান থেকে টেম্পো, রিকশা অথবা সিএনজিতে করে নুহাশ পল্লী যাওয়া যায়।

৩.পানাম নগর, নারায়নগঞ্জ:যদি ঐতিহ্যের কাছাকাছি একটা দিন কাটাতে চান তবে নির্দ্বিধায় ঘুরে আসতে পারেন “হারানো নগরী” হিসাবে খ্যাত পানাম নগর বা পানাম সিটি থেকে। মূল সড়কের দুপাশ জুড়ে বেড়ে উঠা প্রাচীন নগরীর মায়াজাল আপনাকে মুগ্ধ করে রাখবে। বার ভূঁইয়া প্রধান ঈসা খাঁ কতৃক নির্মিত এই পানাম নগরীতে হেটে বেড়ালে হয়তো আপনি নিজেকে ১৫শতকে খুঁজে পেতে পারেন। ঢাকার গুলিস্তান থেকে দোয়েল, স্বদেশ কিংবা বোরাকের বাসে করে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা নেমে ব্যাটারী চালিত অটোতে কিংবা রিকশায় করে পানাম নগরীতে যেতে পারবেন।

৪.মহেরা জমিদার বাড়ি, টাঙ্গাইল:সুরম্য ও সংরক্ষিত মহেরা জমিদার বাড়ি দেখতে আপনাকে যেতে হবে টাঙ্গাইল থেকে ১৮ কিলোমিটার আগে অবস্থিত নাটিয়াপাড়া বাস স্ট্যান্ডে। মহেরা জমিদার বাড়ির বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার সাথে সাথে সেখানে অবস্থিত পার্ক, চিড়িয়াখানা, পিকনিক স্পট ঘুরে আসতে পারেন। জমিদার বাড়ির আকর্ষনীয় ভবন আপনাকে বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে নতুন ভাবে পরিচয় ঘটাবে।

৫.মৈনট ঘাট, ঢাকা:অল্প সময়ের অবসরে সহজেই ঘুরে আসতে পারেন মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাট। দোহার উপজেলায় অবস্থিত এই ঘাটের সুপ্রস্থ চর আপনাকে সাগরের বেলাভূমির কথা মনে করিয়ে দেবে। এছাড়াও এখানকার সূর্যাস্তের সুন্দর দৃশ্য আপনার চোখে লেগে থাকবে অনেক দিন। এছাড়াও পদ্মার ইলিশ কিংবা নৌকায় ঘুরার ইচ্ছা থাকলে গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের সামনে থেকে যমুনা ডিলাক্স পরিবহণের বাসে করে দোহারের মৈনট ঘাট কাটিয়ে যেতে পারেন একটি সুন্দর বিকাল।

৬.সাদুল্লাহপুর গোলাপ বাগান, ঢাকা:সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর গ্রামটি বর্তমানে গোলাপ গ্রাম নামে পরিচিত। এখানে বছরজুড়েই গোলাপের গন্ধে ভরে থাকে সারা গ্রাম। বিস্তীর্ণ গোলাপের বাগান ছাড়াও এখানে রজনীগন্ধা, জারভারা ও গ্লাডিওলাসের বাগান রয়েছে। ঢাকার সিংহভাগ গোলাপের চাহিদা এই গ্রামের উৎপাদন থেকেই মেটানো হয়। এক দিনের অবসরে বেড়িয়ে আসতে পারেন গোলাপের এই রাজ্য থেকে। উত্তরার হাউজ বিল্ডিং এলাকায় নর্থ টাওয়ারের কাছ থেকে লেগুনায় করে দিয়াবাড়ি আসতে হবে। সেখান থেকে মেইনরোডে এগিয়ে লোকাল গাড়িতে বিরুলিয়া ব্রিজ পর্যন্ত গিয়ে আরেকটি অটো ভাড়া করে চলে আসুন সাদুল্লাহপুর গোলাপ গ্রামে।

৭.বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, গাজীপুর:বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কটি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নে প্রায় ৩,৬৯০ একর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। এই পার্কে প্রাকৃতিক পরিবেশে বন্য প্রাণীদের বিচরণ দেখতে সারা বছরই দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে থাকে। এছাড়াও এখানে রয়েছে পাখিশালা, প্রজাপতি সাফারি, জিরাফ ফিডিং স্পট, অর্কিড হাউজ, শকুন ও পেঁচা কর্নার, এগ ওয়ার্ল্ড, বোটিং, লেইক জোন, আইল্যান্ড, প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্র, ফ্যান্সি কার্প গার্ডেন আরো অনেক বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর সমারোহ। গাজীপুরের বাঘের বাজার থেকে রিকশা বা অটোরিকশা ভাড়া করে সহজেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক যাওয়া যায়।

৮.পদ্মা রিসোর্ট, মুন্সিগঞ্জ:ঢাকা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলায় গড়ে তোলা হয়েছে পদ্মা রিসোর্ট। শহরের কোলাহল ছেড়ে ঢাকার পাশে পদ্মার পাড়ে একটি দিন কাটানো আপনার মনকে প্রশান্তি এনে দেবে। পদ্মার বুকে নৌকায় ঘুরোঘুরি ছাড়াও চাইলে ফিশিং করে কাটিয়ে দিতে পারেন একটি বিকাল।
গুলিস্থান থেকে গ্রেট বিক্রমপুর পরিবহনের বাসে চড়ে মাওয়া ফেরী ঘাট থেকে লৌহজং চৌরাস্তা মোড় দিয়ে রিক্সা বা অটোরিক্সা নিয়ে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ মিনিটে পৌঁছে যেতে পারবেন পদ্মা রিসোর্টে।

৯.শালবন বিহার, কুমিল্লা:ঢাকা থেকে বাসে করে কুমিল্লা যেতে মাত্র আড়াই থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগে। অল্প সময়েই বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থান থেকে ঘুরে আসতে পারেন। শালবন বিহার ছাড়াও এখানে রয়েছে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি, ময়নামতি প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘর, লালমাই পাহাড় এবং ব্লু-ওয়াটার পার্ক (পিকনিক স্পট)। আর সুযোগ থাকলে মাতৃভান্ডারের বিখ্যাত রসমালাই খেয়ে আসতে পারেন।

১০.ড্রিম হলিডে পার্ক, নরসিংদী:নরসিংদী জেলার পাঁচদোনার চৈতাবাতে প্রায় ৬০ একর জমির উপর নির্মাণ করা হয়েছে ড্রিম হলিডে পার্ক। পার্কটিতে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় রাইড ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ইমু পাখি, মায়াবি স্পট, কৃত্রিম অভয়্যারণ্য, ডুপ্লেক্স কটেজ এবং কৃত্রিম পর্বত যা এখানে আগত দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে। এছাড়াও এই পার্কে রয়েছে ওয়াটার পুল যেখানে কান পাতলে সমুদ্রের গর্জন অনুভব করা যায়। ঢাকা টু সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত পার্কটিতে আসতে হলে কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া অথবা সিলেটের যেকোনো বাসে চড়ে সরাসরি পার্কের সামনে নামতে পারবেন।

১১.বেলাই বিল:গাজিপুরের বেলাইবিল মনোরম একটি জায়গা। চেলাই নদীর সাথেই বেলাই বিল।এখানে ইঞ্জিনচালিত আর ডিঙ্গি নৌকা দুটোই পাওয়া যায়।যেটাতে ভালো লাগে উঠে পড়ুন। সারাদিনের জন্য ভাড়া করে নিতে পারেন এবং ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিলে নিজেরাই চালিয়ে ঘুরতে পারেন।
বিকেলে এই বিলের চারপাশে অপূর্ব দৃশ্য তৈরি হয়, সাথেশাপলার ছড়াছড়ি। শুধু চারিদিক তাকিয়ে থাকবেন। আবার কিছুক্ষণ পরপরই বাতাসের ঝাপটা লাগবে গায়ে। বেশি সময় নিয়ে গেলে অবশ্যই খাবার নিয়ে যাবেন। যাওয়ার সময়নদীরপাড় দিয়ে হাঁটতে থাকি,রওনাদেই আমাদের গন্তব্যে।

আশা করি কাজে আসবে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


অনেক তথ্যবহুল একটি লেখা; আপনার লেখা ১১টি স্থানের একটিতেও যাওয়া হয়নি। হয়তো ভবিষ্যতে যাওয়া হবে.............. পোস্টে ভাল লাগা রইলো..... +++++++

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

আন্নীআক্তার৭৮৬ বলেছেন: আমার পোস্ট যদি আপনাদের উপকারে এসে থাকে তাহলেই পোস্ট লিখে সার্থক।

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা!! সুন্দর তথ্যবহুল পোষ্ট। ভালো লাগলো।

শুভকামনা জানবেন।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

আন্নীআক্তার৭৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

ঋতো আহমেদ বলেছেন: বেলাই বিলে যাওয়ার উপায় কি? উত্তরা থেকে কীভাবে যেতে হয়?

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

আন্নীআক্তার৭৮৬ বলেছেন: উত্তরা থেকে কিভাবে যেতে হয় সেটা আমি জানি না. আমি যেটা জানি আপনার সাথে শেয়ার করলাম। মতিঝিল বা মহাখালি থেকে গাজিপুরগামী বিআরটিসি বা গাজিপুর পরিবহনের বাসে উঠুন। নামবেন গাজীপুর শিববাড়ি মোড় এ। একটু হেটে সামনে গিয়ে কানাইয়া বাজার যাবার টেম্পুতে উঠুন। ৩০ মিনিট পর কানাইয়া বাজারে নামুন। ভাড়া নেবে ১০ টাকা।

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ৯টা দেখা আছে আমার

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

আন্নীআক্তার৭৮৬ বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.