নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

mY silEnCe iz mY StRenGth...! :)

গ্রাম বাংলার কুসংস্কার , কিংবা শহুরে অহংকার, নিভে যাক, পরে থাক... বাংলার ঘরে ঘরে জলুক বিজয়ের অগ্নিশিখ!

বর্ন টু মেইক ইউ হেপি

**fOr soMe, I aM SaLvaTion. fOr tHe othErs.... thEir deStruCtion!!

বর্ন টু মেইক ইউ হেপি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ICC ছেড়ে আসার হুমকি ভারতের, সমর্থন বিসিবি'র - অন্ধকারে "বাংলাদেশ এর টেস্ট তথা ক্রিকেট ভবিষ্যৎ"

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

2 ফেব্রুয়ারী 1993, icc তে দির্ঘ 13 ঘন্টা মিটিং-এর পরে, ভারত আর পাকিস্তান যুগ্নভাবে অধিকার জিতল 1996 বিশ্ব কাপ আপ্যায়ন করার।

সেটার জন্য ধন্যবাদ দিতে হবে -

ভারতের , জাগমোহান ডালমিয়া, মাধারাভ রাও, আর আই এস বিন্দ্রা কে। তাদের দিক নির্দেশনা তেই মুলত , ইংলিশ আর অস্ট্রেলিয়ান দের গুঁড়ে বালি পরেছিল ।

মজার ব্যাপার, ঠিক দুটো দশক পরে, সেই ভারত ই ইংলিশ আর অস্ট্রেলিয়ান দের কে ক্রিকেটের সর্বক্ষমতার হস্তান্তরে নেতৃত্ব দিচ্ছে, কারন তারাও যে হবে এই সুবিধাভোগী শাসনগোষ্ঠি -এর একটি!

ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড কখনো যদি ছয়, সাত এবং আট রেংকিং এ নামার অবস্থা হয় তখন নিশ্চিত থাকুন ফিক্সিং এর!

দেখা গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচের শেষ দিনের শেষ ৩০মিনিটে ভারতের দরকার ৪০ রান , ম্যাচ জিততে না পারলে রেংকিং এ ৮ এ নেমে যাবে।

ভারত মহাসাগরের ওপাশ থেকে অস্ট্রেলিয়া হুকুম দিবে ভারত জেতা পর্যন্ত খেলা শেষ হবেন! যত রাত ই হোক!

কিংবা শ্রীলংকার বিপক্ষে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২০০ রান এ অলাউট হয়ে গেল।

সাথে সাথে ভারত হুকুম দিবে ইহা একটি টি২০ ম্যাচ! খেল এবার।

মজার প্রস্তাবে মজা করলাম

এসব আসলে কোন সমাধান নয়, আইসিসির সহযোগি দেশ গুলো এখনই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিত। নইত ক্রিকেট এর সৌন্দর্য , প্রতিভা , বিশ্বায়ন সব এখানাই বিলুপ্ত হবে।



অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান এডওয়ার্ডস নাকি বলেছেন , ‘চলমান বিষয়টি নিয়ে সিএ’র (CA) দৃষ্টিভঙ্গি হলো টেস্ট ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্ব অক্ষুণ্ন রেখেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতাগুলোকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আমাদের। ক্রিকেটের বৈশ্বিক নেতৃত্বকে উন্নত করতে হবে। সদস্যদেশগুলো খেলাটার স্বার্থ ওপরে তুলে ধরাটাকেই অগ্রাধিকার দেবে বলে আমরা আশা করি।’



কিন্তু মিস্টার এডওয়ার্ডস - বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে কিংবা আয়ারল্যান্ড - আফগান দের মত সম্ভাবনাময় দেশ গুলোর প্রতি এভাবে অবিচার আর নিষ্ঠুরতায় কি “ক্রিকেটের বিশ্বায়ন” ?



“ ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড” ই যদি ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ করবে তবে “আইসিসি”র আর কাজ কি?

উনারা ফুটবল খেলুক…

আইসিসির “নিয়ম” (!) অনুযায়ী কোন একটি প্রস্তাব বাস্তবায়ন হতে হলে আইসিসির সদস্যদেশ গুলো থেকে ৭ টি ভোট পেতে হবে।

৭ ভোট না পরলে কোন দাবী/প্রস্তাব গ্রহন যোগ্য হবেনা।

সুখবর হল, দক্ষিন আফ্রিকা ইতিমধ্যে “ভারত - অস্ট্রেলিয়া-আর ইংল্যান্ড” এর “কু-মন্ত্রের” বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে।

বাকি আছে পাকিস্তান, শ্রিলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশ।

( রেংকিং এর তলানি তে থাকার সদ্য বাংলাদেশ এর কাছে ধবল ধোলায় হওয়া - নিউজিল্যান্ড কি বুঝে সমর্থন জানালো আমার মালুম হচ্ছেনা!)

বিসিবি’র যে কবে টনক নড়বে বুঝিনা।

বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কোটি স্বপ্নের বীজ যে অঙ্কুরে বিনষ্ট হতে যাচ্ছে তা কি “বিসিবি” উপলব্ধি করতে পারছেনা?

**যে চার দফা দাবি নিয়ে সঙ্ঘাত**

১) আইসিসি-র আয় থেকে ভারতকে আরও বেশি ভাগ দিতে হবে।

২) আইসিসি প্রেসিডেন্ট পদের পাশাপাশি চেয়ারম্যানের পদ তৈরি করতে হবে।

৩) তিন বছর অন্তর ভারতে কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট দিতে হবে।

৪) ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডকে অনেক বেশি ক্ষমতা দিতে হবে বাকিদের তুলনায়।



****

আইসিসি-র কাছে ভারতীয় বোর্ড চার দফার যে দাবি পেশ করতে চলেছে তা এ রকম:

এক) গত পনেরো বছরের হিসেব ধরলে দেখা যাচ্ছে, আইসিসি-র আয় দিন দিন বাড়ছে। এবং সেটা সম্ভব হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার জন্যই। মুখ্যত ভারতের জন্য। ২০০০ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত যেখানে আইসিসি-র আয়ের পরিমাণ ছিল ৫৫০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা), সেখানে গত কয়েক বছরে অঙ্কটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৫ বিলিয়ন ডলার (ন’হাজার কোটি টাকার উপর)। আইসিসি-র আয় এত বেড়ে গেলেও ভারতীয় বোর্ডের শেয়ার কিছু বাড়েনি। আর পাঁচটা পূর্ণ সদস্য দেশ যা টাকা পায়, ভারতও তাই পায়। আরও পরিষ্কার করে বললে, আইসিসি থেকে জিম্বাবোয়ে-বাংলাদেশ যা টাকা পায়, ভারত-ইংল্যান্ডও তাই পায় মোট আয়ের শতকরা ২৫ শতাংশ। শ্রীনিবাসনদের দাবি, অবিলম্বে ভারতের লভ্যাংশ বাড়াতে হবে।

দুই) আইসিসি প্রেসিডেন্টের সমান্তরাল ভাবে একটা চেয়ারম্যান পদও তৈরি করতে হবে। চেয়ারম্যানের ক্ষমতা থাকবে প্রচুর। প্রায় প্রধানমন্ত্রীর মতো। আর আইসিসি প্রেসিডেন্ট, যে পদে ডালমিয়া বা পওয়াররা ছিলেন, সেটা হয়ে যাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদের মতো। আলঙ্কারিক। শ্রীনিবাসন চাইছেন, প্রথম চেয়ারম্যান পদে তিনিই বসবেন।

তিন) প্রতি তিন বছর অন্তর ভারতে কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট দিতে হবে। সেটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে পারে। পঞ্চাশ ওভারের এক দিনের বিশ্বকাপ হতে পারে। আবার টেস্ট ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপও হতে পারে।

চার) ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডকে বাকিদের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতা দিতে হবে। আইসিসি-র ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম ঠিক করার সময় এই তিন দেশের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিতে হবে।



"কিন্তু আইসিসি বৈঠকে এই দাবি পাশ করাতে গেলে দশ পূর্ণসদস্য দেশের মধ্যে সাতের সমর্থন দরকার। বিরোধী পক্ষে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মনে করা হচ্ছে, এ নিয়ে ভোটাভুটি হলে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবোয়ের ভোট খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। এ দিনই আবার ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট বোর্ডকে প্রস্তাব দিল যে, তারা টেস্ট খেলতে জিম্বাবোয়ে সফরে যেতে চায়। যে পদক্ষেপকে মনে করা হচ্ছে স্বপক্ষে জিম্বাবোয়ের ভোট পাওয়ার কৌশল।" - আনন্দবাজার





সকাল থেকে ভারত এর বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ পরে বুঝতে পারলাম, স্বয়ং ভারত ও শ্রীনিবাসনের ‘প্ল্যান অফ অ্যাকশন’ এ সন্তুষ্ট হতে পারছেনা!

ক্রিকেটমহলে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে ভারত এমন চরমপন্থী অবস্থান নেওয়ায়। ভারতীয় বোর্ড এমনিতেই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট সংস্থা। তারা আরও অর্থের জন্য লোলুপ কেন? ওয়াকিবহাল মহলের খবর, এর পেছনে ক্রিকেটের রেটিং দিন দিন কমা। ভারতীয় দল ইদানীং যে ক’টা স্পনসরশিপ পেয়েছে, সব অতীতের চেয়ে কম টাকার। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সিরিজ স্পনসরশিপ শতকরা পঞ্চাশ ভাগ কম টাকায় বিক্রি হয়েছে। সচিন তেন্ডুলকর অবসর নেওয়ার পর টেস্ট সিরিজের আকর্ষণ গিয়েছে আরও কমে। অর্থনৈতিক অবস্থা আরও বিপন্ন হতে পারে বিবেচনাতেই শ্রীনিবাসন এই নতুন চাল চেলেছেন। যে আইসিসি থেকে বাড়তি লভ্যাংশ পাওয়া গেলে এই ঘাটতিটা মেরামত করা যাবে। কারণ ঘাটতি হলে অনুমোদিত ক্রিকেট সংস্থাকে দেয় টাকা কমে যাবে। তখন আর নিজের ভোটারদের খুশি রাখা যাবে না। আর কে না জানে, নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন স্বপক্ষে ভোট খুব ভালবাসেন!

মুল পোস্ট

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

হালি্ বলেছেন: *যে চার দফা দাবি নিয়ে সঙ্ঘাত**
১) আইসিসি-র আয় থেকে ভারতকে আরও বেশি ভাগ দিতে হবে।
২) আইসিসি প্রেসিডেন্ট পদের পাশাপাশি চেয়ারম্যানের পদ তৈরি করতে হবে।
৩) তিন বছর অন্তর ভারতে কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট দিতে হবে।
৪) ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডকে অনেক বেশি ক্ষমতা দিতে হবে বাকিদের তুলনায়।
B:-) B:-) X(( X((

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

বর্ন টু মেইক ইউ হেপি বলেছেন: X( X(( X((

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮

নিকষ বলেছেন: ভাড়তের ক্রিকেট খেলা দেখবেন, আপনাদের ক্রিকেট খেলার কি দরকার।

ভাড়ত আমাদের বন্ধু।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

বর্ন টু মেইক ইউ হেপি বলেছেন: দেখি তো, সেই আইপিএল, রঞ্জি ট্রপি, কি না দেখি?
এখন তাদের খেইল ও দেখি!
আপনিও দেখেন! কলকাতা নাইট রাইডারস এর জন্য ফালান! :/

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০

আমি হিটলার বলছি বলেছেন: সাকিব , তামিমরাও কি সম্মেলিতভাবে এই প্রস্তাবের বিপক্ষে কিছু করতে পারে না ? রাজনীতি তো দাদাদের অধীনে অলরেডি চলেই গেছে , ক্রিকেটটাকে ও কি না দিলেই নয় ?

" এফটিপি বাতিল হয়ে গেলে টেস্ট খেলার জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হবে অন্য দেশের দয়ার ওপর। " ( Click This Link )

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.