নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথক

আমার খুব কষ্ট হয়, যখন RAJAKAR বানানটা বাংলা বর্ণমালায় লিখা হয়। এটা বর্ণমালার জন্য অপমান।

কথক পলাশ

পোশাক আর মননের গেঁয়ো ভাবটা এখনো যায়নি। তাল মেলাতে গেলেই খেই হারিয়ে ফেলি।

কথক পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি আষাঢ়ে গল্প

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৯

মফস্বল।

সালটা ১৯৯৩। জানুয়ারি মাস।

ক্লাস সিক্সে উঠেছি মাত্র। আমার যাবতীয় দুষ্টামি এবং ক্লাস ফাইভের বৃত্তি-র প্রতি পূর্ণ সম্মান দেখিয়ে আমার জন্য একজন গৃহ শিক্ষক রাখা হলো। সে সময়ে ৫০০ টাকা মাইনে দিয়ে শিক্ষক দম্পতি’র ঘরে গৃহ শিক্ষক রাখাটা অনেকটা ঘোড়া রোগের মতই ছিলো। যাই হোক, সরকারী বৃত্তিপ্রাপ্ত ছেলের জন্য রোগী হতেও বাবা-মা’র আপত্তি নেই।



স্যার প্রথম পড়াতে এলেন বৃহস্পতিবার।

ঘরে ঢুকেই ঘোষণা দিলেন, আমি বিষ্যুতবারে বিজ্ঞান পড়াই।

আমি বিজ্ঞান বই হাতে নিয়ে স্যারের মুখোমুখি বসলাম। স্যার উনার রংচটা মলিন কোটের পকেট থেকে বের করলেন একটা কাঁচের গ্লাস, একটা ছোট মোম, একটা ম্যাচ, আর একটা ফিল্টার পেপার। স্যার বললেন, যাও, এক বাটি পানি নিয়ে আসো। উনার কাণ্ডকারখানা দেখে আমি বেশ মজা পাচ্ছি। ভাবছি, গৃহশিক্ষকের বদলে আব্বা-আম্মা একজন জাদুকর নিয়ে এসেছেন। আমার হাসি আকর্ণবিস্তৃত। এইতো চাই! গৃহশিক্ষক নামক প্রজাতিটার প্রতি কৃতজ্ঞতায় মন ভরে গেলো। আমি এক দৌড়ে এক গামলা পানি নিয়ে এলাম।

টেবিলের উপর গামলাটা রাখতেই, স্যার বললেন, ‘আগুন যে মানুষের মতো শ্বাস নিতে পারে জানো?’

আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘না’।

স্যার বললেন, ‘অক্সিজেন ছাড়া আগুন বাঁচতে পারেনা। বাতাস না থাকলে আগুন টিকেনা। সেইটাই এখন পরীক্ষা কইরা দেখামু তোমারে। যদিও কথাগুলা বইতে লেখা আছে, তবে বিজ্ঞান পড়ার জিনিস না, বোঝার জিনিস। প্র্যাকটিক্যাল দেখার জিনিস।‘

স্যার মোমবাতিটা একটা স্ট্যান্ডের উপর সেট করে স্ট্যান্ড সমেত গামলার পানিতে রাখলেন। মোমবাতিতে আগুন ধরালেন। তারপর কাঁচের গ্লাসটা সেই মোমবাতির উপর উপুর করে রাখলেন। গ্লাসের খোলামুখ পানির নিচে।

আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছি। একসময় দেখতে পেলাম, গ্লাসের ভেতরে মোমের আগুনটা টিমটিমে হতে হতে নিভে গেলো, এবং গ্লাসের ভেতরটা সাদা ধোঁয়ায় ভরে গেলো।

স্যার বললেন, ‘দেখ, গ্লাসের ভেতরে যতক্ষণ বাতাস ছিলো, ততক্ষণ আগুন জ্বললো। যেই বাতাসটা আগুনে পুইড়া শেষ হইয়া গেলো, সাথে সাথেই আগুন নিভা গেলো। আর ভিতরে যে সাদা ধুমা’টা দেখতাছো, ঐটা হইলো কার্বন ডাই অক্সাইড-যা আমরা নিশ্বাসের সাথে ছাড়ি।‘

‘এর থেকে আমরা শিখলাম কি? শিখলাম, অক্সিজেন ছাড়া আগুন জ্বলেনা। কার্বন ডাই অক্সাইড থাকলে আগুন জ্বলেনা। জীবনে ভুলবা?’

আমি মাথা নাড়লাম মন্ত্রমুগ্ধের মতো। ‘না, ভুলবো না’।

ইনি আমাদের দ্বিগেন স্যার। বাবু দ্বিগিন্দ্র মোহন সাহা (বিএসসি এম এড)। প্রাক্তন সহকারী শিক্ষক, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক-ঘাটাইল গণ উচ্চ বিদ্যালয়।



সেই দিন থেকে পুরো মাধ্যমিক স্কুল জীবন স্যারের কাছে পড়েছি। তিনি ইসলাম ধর্ম সহ সব সাবজেক্ট পড়াতেন। আরবী উদ্ধৃতি দিতেন। উচ্চতর গণিতের কঠিন কঠিন অংক করে ফেলতেন মুখে মুখে। ত্রিকোণমিতি করাতেন উনার বাসার সুপারি গাছের ছায়া দেখে দেখে। বিজ্ঞান বইয়ের ‘এসো নিজে করি’ অংশটুকু তিনে নিজে করে দেখাতেন। আর পড়াতেন সাধারণ জ্ঞান। স্যার বলতেন, ‘পৃথিবীরে না জানলে বাঁইচা থাইকা লাভ নাই। যা কিছু জানার আছে, জাইনা নেও, বাঁচার আনন্দ উপভোগ করতে পারবা’। উনার তদারকীতেই শিশু একাডেমী’র সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতায় মফস্বলের স্কুল থেকে অংশগ্রহণ করেও জাতীয় পর্যায়ে রানার আপ হই। মনে আছে, স্যার সেদিন আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলেন।

এসএসসি টেস্ট পরীক্ষার পরে স্যার আমাদের ক্লাসের সবাইকে বললেন, ‘বাবা’রা, এই সময়টা খুব ইম্পরট্যান্ট। ক্লাস-টাস সব সাসপেন্ড। ডাব্বা মারার সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু আমি তা হইতে দিমুনা। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত আমি তোমাদের পড়ামু। তবে কেউ যদি ক্লাস মিস দেও, তবে তার পরীক্ষা দেওন লাগবোনা।

গভীর রাতে স্যার বাসায় এসে দরজায় নক করতেন। দরজায় দাঁড়িয়েই হুঙ্কার দিতেন, ‘এই ফাঁকিবাজ, পড়ার সাউন্ড পাইনা ক্যান? পিটাইয়া ছাল তুইলা ফালামু।‘

স্যারের কল্যাণে এসএসসি পরীক্ষায় আমাদের স্কুল থেকে আমরা ২৬ জন স্টার মার্ক পাই। পরের ব্যাচেও ২২ জন স্টার মার্ক।



আমার আষাঢ়ে গল্প শেষ। এবার বাস্তবে আসি।



বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি হবার পরে স্যারের সাথে দেখা করতে গেলাম। স্যারের পা ছুঁয়ে সালাম করলাম। আমাকে জড়িয়ে ধরে স্যার কেঁদে ফেললেন। বললেন, ‘মামুন (আমাদের ক্লাসের ফার্স্ট বয়, এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বর ৯০৫) কই আছে’? আমি বললাম, ‘স্যার, ও বুয়েট থেকে পাশ করে স্কলারশিপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া চলে গেছে।‘

জুঁই, জুয়েল, মোহাম্মদ আলী, তৌহিদ, অনু- ওরা?

‘স্যার, জুঁই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। ঢাকাতেই আছে। জুয়েল ডাক্তারী পাশ করে সরকারী ডাক্তার হিসেবে জয়েন করেছে। এখন ময়মনসিংহে আছে। আর মোহাম্মদ আলী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। সে একটা সফটওয়্যার ফার্ম দিয়েছে ঢাকায়। ভালো আছে। তৌহিদ নিজে ব্যবসা করছে, অনু বাংলালিঙ্কে আছে; রাজশাহীতে।



স্যার আবার কেঁদে ফেললেন। বললেন, তোমরা সবাই আমার হাতে কতকিছু হইলা, কিন্তু আমার ছেলেটারে আমি মানুষ করতে পারলাম না। তোমরা ওরে একটা চাকুরি দেও। আমি আর পারতেছিনা। জীবন তো শেষের পথে!



আমার চোখে পানি এসে গেলো। স্যারের ছেলে দীপঙ্কর সাহা, আমাদের প্রিয় দীপুদাদা’র কথা শুনে নিজেকে ঠিক রাখতে পারলাম না। বলা যায় মোটামুটি পালিয়েই এলাম স্যারের সামনে থেকে।

যে স্যার নিজের পকেটের টাকা খরচ করে আমাদের বিজ্ঞানের বাস্তব নিরীক্ষা করাতেন, সেই স্যার আজকে বাস্তবতার পরীক্ষায় পরাজিত প্রায়।

স্যার, আমি পরজন্মে আপনার সন্তান হয়ে যদি জন্মাই, আপনাকে নিরাশ করবোনা কথা দিচ্ছি।

আপনার জন্য আমি পরজন্মে বিশ্বাস করতে রাজি আছি।

আপনি ভালো থাকুন।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৫

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
খুব খারাপ লাগলো।
আপনারা সবাই এতো গৌরব বয়ে আনছেন, উনার ছেলেটাও যদি কিছু একটা হত, উনার আনন্দ অনেকগুন থাকতো।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২১

কথক পলাশ বলেছেন: হুমম। স্যারের সেই প্রত্যয়ী কণ্ঠস্বরটা আর অবশিষ্ট নেই। খুব খারাপ লেগেছিলো।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২০

এস এম আর পি জুয়েল বলেছেন: যারা সারাজীবন অন্যদের সন্তান মানুষ করার দায়িত্ব নেয় , তাদের নিজেরদের সন্তানরা যখন পথ হারায় তখন তা খুবই কষ্টের কারন হয় । স্যার এর জন্য খারাপ লাগছে ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২২

কথক পলাশ বলেছেন: আলোর উৎসের নিচে অন্ধকার চিরকালই থেকে এসেছে। দুর্ভাগ্য, আমাদের আলো দিয়েও স্যারের অন্ধকারটা আমরা দূর করতে পারিনি।

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১০

দূরে থাকা মেঘ বলেছেন: আপনার স্যার এর কথা পড়ে আমার খুব প্রিয় একজন স্যারের কথা মনে পড়ে গেলো, বড়ো বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন যখন আমি তাঁর কাছে প্রথম পড়তে যাই, এখন তো আরো। তাঁর দুই ছেলের দুজনই অস্ট্রেলিয়া থাকেন, স্যার আর তাঁর স্ত্রী দুজনে বাসায় থাকেন, এতো বয়েস, একটা মেয়ে কেবল কিছু কাজ করে দিয়ে যায়, আর তাঁরা দুজনে মিলে করেন।
আমার খুব কষ্ট হয়, কিন্তু কিছু করতে পারিনা। নিজের পড়াশোনাই শেষ করতে পারিনি এখন ও।
মাঝে মাঝে গিয়ে দেখে আসি,খুব খুশি হন তাঁরা দুজনই।
প্রতিষ্ঠিত হয়েও তাঁদের ছেলেরা দেখতে আসেন আমাদের মতোই, না, ভুল বললাম, আমাদের চেয়েও কম, আমরা প্রতি বন্ধে যাই, তাঁরা সেটা পারেন না।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

কথক পলাশ বলেছেন: আসলে নিঃস্বার্থভাবে আমাদের জন্য সমস্ত জীবন খরচ করে, শেষ পর্যায়ে এসে দেখছেন নিজের জন্য কিছু অবশিষ্ট নেই।
তবু ভালো যে আপনার স্যার ছেলেদের প্রতিষ্ঠা দেখে সুখী হতে পারছেন।

উনার জন্য হয়তো এটুকুই ঢের!

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

দূরে থাকা মেঘ বলেছেন: ও ভাই, এটা ঠিক, তবে এই বুড়ো বয়েসে উনাকে দেখার কেউ নেই যে।
আসলে সবার সবদিকে ঠিক থাকেনা।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

কথক পলাশ বলেছেন: হুমম। এটা ঠিক।

৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

মনোহারী দোকান বলেছেন: Your story as like as a TALEB MASTER. There are many TALEB MASTER in our country. It's so bad luck.

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

কথক পলাশ বলেছেন: হয়তো পৃথিবীতে তালেব মাস্টারের সংখ্যাই বেশি!

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

আম্মানসুরা বলেছেন: এমন হয় কেন? ভালো মানুষরা এত কষ্ট পায় কেন? :( :( :(

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

কথক পলাশ বলেছেন: কারণ তাঁরা সবসময় অন্যের ভালো চিন্তা করে এসেছেন, অথচ নিজের দিকে তাকাতে সুযোগ পাননি।

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো মানুষগুলাই বড় বড় কষ্ট পায়...

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

কথক পলাশ বলেছেন: হামা ভাই, ঠিক।
ভালো মানুষগুলাই বড় বড় কষ্ট পায়...

৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
শেষটায় এসে খারাপ লাগল। ভাল হয়েছে লেখাটা।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

কথক পলাশ বলেছেন: স্যারের জন্য প্রার্থনা করবেন প্লিজ।

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৭

মৌলিক প্রেমিক বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে আপনার লেখা। শুভ কামনা থাকছে।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

কথক পলাশ বলেছেন: ধন্যবাদ মৌলিক প্রেমিক।

"প্রত্যাবর্তনের পথে কিছু কস্টলি অতীত থেকে যায়
কেউ ফেরে, কেউ ফেরেনা।
কেউ ফিরে এসে কিছু কিছু পায়
মৌলিক কবি অথবা প্রেমিক হলে অধিক হারায়!"
--------------------------------------------হেলাল হাফিজ।

১০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: এটা কি লিখলেন ভাইয়া ?? এভাবে লিখলেন কেন ?? খুব কষ্ট হচ্ছে ভাইয়া। নগন্য মনে হচ্ছে নিজেদের :( :( :(

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৭

কথক পলাশ বলেছেন: হয়তো মনের কোণে জীবনের সুদ গোণে
বেহিসাবী জীবনের
হাতে গোণা টাকা-আনা-পাই।

১১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

সরলতা বলেছেন: বাস্তব অনেক কঠিন হয়ে যায় মাঝে মাঝে। আমি যদি কখনো ঘাটাইল যাই; আপনাকে বলব পলাশ ভাই, আমাকে অবশ্য-ই স্যারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেন। এরকম মানুষের হাত ধরে কিছুক্ষণ কথা বলাও পুণ্যের কাজ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০০

কথক পলাশ বলেছেন: নিশ্চয়ই পরিচয় করিয়ে দেবো ভাইয়া।

১২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

শায়মা বলেছেন: কেমন আছো ভাইয়া?

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২১

কথক পলাশ বলেছেন: এইতো, কেটে যাচ্ছে-রক্ত বেরুচ্ছেনা। :)

১৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৩

আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:

একটি আষাঢ়ে গল্প!
এটা কেমন গল্প হল ভাইয়া???
প্রথমে মুগ্ধ হয়ে হাসি তে ফেটে পড়লাম। আর শেষে এসে একটা ধাক্কার মত খেলাম! এভাবে শেষ করবেন ভাবিনি!


পুরো গল্পের মধ্যে স্যারের চেহারাটা কল্পনা করতে পারছিলাম না! শেষটায় পেরেছিলাম।


লেখাটা মন খারাপের কারন হল। ভীষণ খারাপ আপনি!
স্পষ্টত মাইনাস!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৫

কথক পলাশ বলেছেন: কিছু কিছু ধাক্কা জীবনকে থমকে দেয়!
স্যারকে কখনো এমন অসহায় দেখিনি আমি।

বহুদিন পরে ব্লগে এলে।
কেমন যাচ্ছে দিনকাল?

১৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৪

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: মনটাই ভারী হয়ে গেলো। এমন মানুষগুলোর জন্যঈ এখনো দেশে অনেক অনেক মানুষ দেখা যায়।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

কথক পলাশ বলেছেন: এই সব মানুষের সংস্পর্শেই জীবনটা বিশুদ্ধ হয়।

১৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

আরজু পনি বলেছেন:

:(

ঝাপসা চোখ ওড়না দিয়ে মুছে লিখতে হচ্ছে এই মন্তব্য...

একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়ে সেখানে পদের কারণেই বাধ্য হয়ে বেশি সময় দিতে হয়েছে আমাকে...ফলস্বরূপ আমার বাচ্চা ছেলেটা বার্ষিক পরীক্ষায় যথেষ্টই খারাপ করেছে যেখানে আমার মেয়ে শততে শতই পেয়েছে।

এটা আপনি কেন পড়তে দিয়েছেন জানিনা। তবে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার খুব সম্ভবত আরো আগেই পড়ার কথা ছিল, কোনভাবে মিস করেছি।

আমি শত শত শিক্ষকের শিক্ষক হতে চাই না এখন আর। আমার বাচ্চাটাকে মানুষ করাই আমার প্রধান দায়িত্ব।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে একজন শিক্ষকের দেখা পেয়েছিলাম, আমার জীবনটাকে সত্যিই আলৈাকিত করেছেন...।

আমি এলোমেলো হয়ে গেছি লেখাটা পড়ে...

পলাশ, আপনি অনুগ্রহ করে নিয়মিত লিখুন ।।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

কথক পলাশ বলেছেন: আপু, আপনি শিক্ষক।
আমার মা-বাবা-বোন-খালা-খালু সবাই শিক্ষক। এবং উনারা সবাই এই দ্বিগেন স্যারের ছাত্র-ছাত্রী।
আপনার পোস্ট পড়ে মনে হয়-এই লিখাগুলো আপনি আপনার ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াচ্ছেন।
যাঁরা পাঠ্যপুস্তকের বাইরের শিক্ষা দিয়ে তাঁদের ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনকে অলংকৃত করেন-তাঁদের আমার দ্বিগেন স্যার মনে হয়।

এই লিখাটা আপনাকে পড়ানো আমার ভীষণ দরকার ছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.