নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথক

আমার খুব কষ্ট হয়, যখন RAJAKAR বানানটা বাংলা বর্ণমালায় লিখা হয়। এটা বর্ণমালার জন্য অপমান।

কথক পলাশ

পোশাক আর মননের গেঁয়ো ভাবটা এখনো যায়নি। তাল মেলাতে গেলেই খেই হারিয়ে ফেলি।

কথক পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন\'

০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ১:০৮

চোখের সামনে কিছু ছায়াছবি ভাসছে। ভদ্রলোকেরা বলে ফ্ল্যাশব্যাক। বোদ্ধারা বলে স্মৃতিকাতরতা। প্রভুরা নাম দিয়েছিলো Nostalgia. আচ্ছা, বরং প্রথম থেকে শুরু করা যাক।

এককিলো একটা রাস্তা। আলোকিত থাকতেও পারে, আবার নাও পারে। রিক্সা থাকলে আছে, না থাকলে নাই। পায়ে হেঁটে কিংবা ঘুরে ঘুরে ডি'বিল্ডিং এর সামনে নেমে পড়া। অথবা এ'বিল্ডিং। সামনে লাইট থাকার কথা। আচ্ছা, ধরে নিলাম নেই। প্রায় অন্ধকার সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠে...কখনো তিনতলা, তারও আগে চারতলা। গমগম করছে মানুষ। একদিকে কবিতা, অন্যপাশে নাচ। নাটকের ওরা ওই কোণে। গানের রুমে থই থই সুর-একই লাইন বারবার শুনে বিরক্ত হবার কথা থাকলেও হাসিমুখে সেখানে বসতি। গম্ভীর কিছু মানুষ। ফিসফাস শুনে গগণবিদারী ধমক। গলার কাছে কথাটা এসে আটকে যায়-'আপনি আমাত্তে বেশি বুঝেন?' বেশি বুঝা লোকগুলোর চোখের ধমকে গলাটা শুকিয়ে ওঠে। 'ভাই, একটা বিড়ি ব্রেক প্লিজ'। ওই কোন থেকে আরেকজন বলে ওঠে, 'ওই, ফার্স্ট বুক'।
টং দোকানের বোকা মামা হিসাব রাখতেও পারে, আবার নাও পারে। 'ওই মামা, মাথা গুইনা চা দেও আর বড় চুল মাইনাস কইরা বিড়ি দেও'। মামা লালচে হলুদ দাঁত বের করে হাসে। তার সামনে বসা লোকগুলা মানুষনা, একেকজন মিনিমাম দুই টাকার নোট। দোয়েল পাখির ছবিওলা। 'দেরি করেন, কাপ শট'। 'শট' কাপের প্রত্যাবর্তনের আশায় ঘাসের উপর বসে পড়ে সবাই। এককাপ চায়ের দাম চল্লিশ মিনিট। গিটারওয়ালা গম্ভীর লোকটা বিড়ি ফুঁকতে ফুঁকতে কাউকে কিছু না বলে হাঁটা দেয়। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা দেখিনি, দেখেছি ক্যাম্পাসের গিটারওয়ালা। তার পেছন পেছন আবার দোতলা...তিনতলা...চারতলা। সাড়ে দশ বেজে যায়।
গোলচত্ত্বরে এসে ডানে মোড় নিতেও পারি, আবার নাও পারি। ভিসি বাংলোর সামনে এসে শটাশট সবার জীপার খুলে যায়। ধরিত্রি নির্দ্বিধায় সিক্ত হয়। আবছা আলোয় চকচক করে রূপালি জলপ্রপাত। 'কাহা' নামের লোকটা হাসাতে জানে বটে। পেটে হাত দিয়ে কালো পথের উপর হেসে গড়াগড়ি দেয় কেউ কেউ। সদ্য ছ্যাকা খাওয়া মাথায় চুল কম চিকনা লোকটা উদ্দাম নৃত্য শুরু করে-শাবল ড্যান্স। নাচের সাথে বেমানান গান ধরে সে 'আমার মন্দ স্বভাব, জেনেও তুমি-কেন চাইলে আমারে'।

গেটে এসে যারা সাহসী, তারা আবার বসে। সবাই বসে। সবাই সাহসী। চায়ের দাম বেড়ে হয় একঘন্টা। পকেট হাতড়ে হাতড়ে শেষ সম্বল টাকাগুলো জড়ো করে সবাই। 'মামা, এইটা রাখো, বাকীগুলা কালকে দিব।' এই 'কালকে দেবার' জের চলতে থাকে মাসের পর মাস।

তারপর একদিন শেষ হয় সব আয়োজন। মিনি অডিটরিয়ামে হাততালির শব্দে যবনিকাপাত ঘটে সব ছন্দের। বিল্ডিং এর ফ্লোরগুলো হন্টেড বাড়ির বারান্দার মতো দাঁত বের করে হাসতে থাকে। খালি বিল্ডিংগুলো ঘুরে এসে- টং এর খালি বেঞ্চির উপর বসে হাতের কড় গুণে হিসেব কষে বোকা মানুষটা। আর মাত্র কয়েকমাস পরেই ১৯ নভেম্বর।
তবুও-
নিজের আঙ্গুলগুলো যোজন যোজন লম্বা মনে হয় তার তখন।

ছবিসূত্রঃ আন্তর্জাল

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ১:১১

খেয়া ঘাট বলেছেন: +++++++++

০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ১:২৫

কথক পলাশ বলেছেন: খেয়া ঘাট, কেমন আছেন? আপনার 'এক মিনিটের' রহস্যগল্প এখন আর পাইনা।

২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:০০

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
শান্তি পেলাম।

ভাই মাঝে মাঝে লিখেন। নিজেও মাঝে মাঝে আসলে এসব লেখা দেখলে ভালো লাগে।

৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

কথক পলাশ বলেছেন: ভাইরে, দেশোদ্ধার করতে গিয়ে তো নিজেই ডুবে যাচ্ছি।

৩| ০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:২৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: নিজের কাছেই বিশ্বাস হয় না যে ক্যাম্পাস ছেড়ে এসেছি!! আসার আগে শেষ বারের মতো যখন গেটের সামনে এসে দাঁড়ালাম, নীল সাইনবোর্ড যেন আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠছিল!! ঝিঝিপোকার ডাক মনে হচ্ছিল এতো জোরে কখনো শুনিনি!! কাঁধে বন্ধুর হাত কখনো এত নির্ভরতার তৃপ্তি দেয়নি!!


সবশেষে ....... সারাটা পথজুড়ে আমি একা!!

৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০১

কথক পলাশ বলেছেন: এই ক্যাম্পাসের প্রতিটি বিল্ডিং, মাঠ, টিলা দাঁপিয়ে বেড়াতাম। এখন সব হু হু স্মৃতি। কত হাসি-কান্না-নির্ভরতা!

৪| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:০৭

নিয়নের আলো বলেছেন: এই ক্যাম্পাসের এইসব সন্ধ্যা-বিকেল আমার গায়েও লেপ্টে ছিল চারবছর। বড় বেশি সপ্নের মতন কেটে গেছে- আর সময়টাতে ফিরে যাওয়ার উপায় নেই ভাবলে নস্টালজিক হতেও ভয় পাই.।

৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০২

কথক পলাশ বলেছেন: কখনো কখনো মনে হয়, আজীবন থেকে গেলেই পারতাম সেখানে! এক জীবন ভবঘুরে হবার জন্য যে সাহসটা লাগে-তার অভাবে পারিনি।

৫| ২৬ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩০

কিউরিয়াস মাইন্ড বলেছেন: ++++
@কথক পলাশ, এখন আর লেখেন না কেন ? আমি কিন্তু আপনার লেখা পড়েই সামুর ভক্ত হয়ে ছিলাম । ভাল থাকবেন ।

৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০৫

কথক পলাশ বলেছেন: ব্লগে ৪ বছর কাটানোর পর এমন কমেন্ট পড়ে মনে হলো, চারটা বছর একেবারে বিফলে যায়নি।
থ্যাঙ্কস কিউরিয়াস মাইন্ড। আপনার কমেন্টটা আজকের দিনটাকেই পালটে দিলো।

৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪২

আন্না০০৭ বলেছেন: লেখা না পরেই কমেন্ট করতে লগইন করলাম :)
এইরকম ম্যালাদিন পরে হইলেও মাঝে মাঝে লিখেন পলাশ ভাই।আপনারা এখনও লিখেন এইটা দেখতেই ভাল্লাগে।
ভাল থাকা হউক।

২২ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫

কথক পলাশ বলেছেন: হা হা হা! আর আমিও আপনার সাদা ব্লগে মাঝে মাঝেই যাই-সেই চিহ্নও নিশ্চয়ই দেখতে পান!

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩৫

রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: ফ্ল্যাশব্যাক কিংবা স্মৃতিকাতরতা কিংবা নস্টালজিয়া...যাই হোকনা কেন, ভাল লাগল..

অটঃ আপনার লিখা পড়তাম যখন ব্লগে নিক ছিলনা তখন থেকে..আপনার লিখা আর বৃষ্টি আপুর আঁকায় মুগ্ধ ছিলাম.. :)

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৭

কথক পলাশ বলেছেন: হা হা হা! সে সময়টাতে ক্যানভাসটাও ছবিতে ভরপুর ছিলো। এখন ক্যানভাস খালি কেন কে জানে?

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: আমি আবার একটু টিউব লাইট আছি ,সকালে অন করলে সন্ধায় জ্বলে উঠি।সেখানে এমন পোস্ট তো আমাকে অরেঞ্জ জুসের সাথে গেলা ছাড়া উপায় নেই।তবুও কথকের হাড্ডি মজ্জা যখন চিনি তখন কথাও বুঝতে পারার কথা।সে নাহয় বুঝলাম কিন্তু সমস্য হলো ছেলেটা হারিয়ে গেলো কেনো এভাবে? বৃষ্টিতে চারপাশ ঝাপাসা হলেও মেঘের আড়াল থেকেতো সুর্য্য উকি দেয় কথা।নাকি না?

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

কথক পলাশ বলেছেন: ওরে খাইছে! এতোই চর্ম-চক্ষু-লজ্জাহীন হয়ে গেলাম কিভাবে যে হাড় মজ্জা সবই চেনা যাচ্ছে আমার! :P ভাই, আপনার কথা গুলা ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্টে লাগলো। :)
চেষ্টা করছি নিয়মিত হবার। মেঘ-সূর্যের সহাবস্থানটা পাকাপাকি হোক-তারপর থেকে।

৯| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩৪

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: লগাবেনা আবার? সাধে কি আর এই নাম দিসি? অনেক ভেবে এই নাম বের করেছি,কারণ আজকাল হৃদয়ের ব্যবহার কমে গেছে, কেউ হৃদয় দিয়ে শুনেনা বলেনা,কিছু বললে চামড়ার উপর দিয়ে চলে যায়, তাই ভাবলাম যাই বলবো সব সোজা হৃৎপিন্ডে ডেলিভারী দেব, :)

কেমন আছো পলাশ? এখন কোথায় আছো? বৃষ্টি কোথায় আছে কেমন আছে?বিয়ে দাওয়াত দিও কইলাম।নাহলে বাসর রাতে বিড়াল মারাতো দুরের কথা উল্টো কামড় দিয়ে বসতে পারে,বুজুর্গদের বদ দোয়া বলে কথা।

ভালো থেকো সবকিছুতে

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫৪

কথক পলাশ বলেছেন: হা হা হা! নামটা ভালো হইছে। ডাইরেক্ট টু দ্য হার্ট কি আমাদের বাঘ মামা?
চিনতে না পারলে তো ঘটনাটা হৃদয়বিদারক হয়ে যাবে!

১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:১৬

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: আফসোস তুমি আমাকে চিনতে পারলেনা, :( তুমি দেখি আমাকে সত্যি ভুলে গেলে,

বাঘ মামা কে? ব্লগার?

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

কথক পলাশ বলেছেন: :( :(

১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: বাঘমামা কে চেনে না !! B:-) চাঁদমামা যেমন বাঘ মামাও তেমন, সবার মামা =p~ =p~

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

কথক পলাশ বলেছেন: ঠিক সেটাই।
বাঘমামা সবার মামা।

১২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩২

বাঘ মামা বলেছেন: কি ব্যপার পলাশ আসল মামা ফেলে নকল মামা নিয়ে টানাটানি করো কেনো? কোথায় তুমি? আমরাও কাজ করে খাই পলাশ তাই বলে ব্লগ একেবারে ছাড়িনি। লগইন না হলেও প্রিয় মানুষ গুলোর পদচিহ্ন অনুসরন করি সবসময়/ আমার দেখা একমাত্র বাংলাদেশের মানুষ হলো পৃথিবীর সেরা সুখী মানুষ যাদের জীবন জীবিকার জন্য খুব বেশি খাটা লাগেনা।আর সরাকারি কর্মকর্তাদেরতো কথাই নেই ,:) সপ্তাহে অন্তত একদিন আসতে পারো,সময় শেয়ার করা যায়।

তোমার ইমেইল আইডিটা রেখে যেও এখানে।

শুভ কামনা সব সময় পলাশ

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

কথক পলাশ বলেছেন: কি করবো? আসল মামা যে কোন বনে লুকালো!
ভয়াবহ ব্যস্ততায় দিন কাটছে। আমি সবাইকে আমন্ত্রণ জানাই আমার সাথে যে কোন একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাতে। সরকারি কর্মকর্তা সম্পর্কে ধারণাই পালটে যাবে।
প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত অফিস করি। তবু কাজ শেষ হয়না। দিন ৩৬ ঘন্টা হলে ভালো হতো। শুক্র-শনি ছুটি পাইনা কতোদিন!

[email protected]

১৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮

আরজু পনি বলেছেন:

অনেকদিন পর প্রথম পাতার সাম্প্রতিক মন্তব্যে আপনার নাম দেখলাম।

আশা করি ভালো আছেন।

নিয়মিত পাবো আপনাকে..কী বলেন ?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

কথক পলাশ বলেছেন: আপু, আমি নিয়মিত ব্লগ পড়ি। কাজের ফাঁকে বলে কমেন্ট করা হয় না। প্রায় পাঁচ বছরের পুরনো অভ্যাস ছাড়ি কি করে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.