![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আবাসঃ শহীদুল্লাহ হল। উৎপত্তিঃ জামালপুর সদর, ঢাকা, বাংলাদেশ
খেলায় হার-জিত থাকবে এটা খুবই স্বাভাবিক তবে হারেরও একটা সীমা আছে! আমাদের হারের পারদটা এখন সম্ভবত আকাশ ছুই ছুই ...
দামাল ছেলেরা বিরামহীনভাবে হেরেই চলেছে ... এ যেন আমাদের জন্মগত অধিকার, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আমরা যেন পৃথিবীতে শুধু হারতেই জন্মেছি
গবেষণায় এই হারের নেপথ্যে কিছু অনিবার্যকারণ বেরিয়ে এসেছে যেগুলো পাঠক সমাজের সদয় বিবেচনার জন্য এখানে পেশ করছি.....
১. কিছুদিন আগেও বাংলাদেশ দল বেশ ভালোই খেলছিল, অনেক শক্তিশালী বাঘা-বাঘা দলকে টেনেহিঁচড়ে মাটিতে নামিয়েছিল তাদেরকে হোয়াইট ওয়াশ করার মাধ্যমে, কিন্তু কপালে আগুন লাগল আমাদের সেদিন থেকে, ঠিক যেদিন থেকে টাইগাররা সাহারার অভিশাপ গায়ে জড়াল ।
২. ”ফ্ল্যাশ মোব” নামক এক অহেতুক আনন্দের উপাদান আনা হল সেই বিশ্ব বেহায়া দেশের ম্যানহাটন শহর থেকে ধার করে যেটি তারা ২০০৩ সালে শুরু করেছিল ”হারপারস মেগাজিনের” সিনিয়র এডিটর বিল ওয়াসিক এর হাত ধরে । যে আনন্দ উদযাপনের ভঙ্গি আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে বারংবার কলা দেখাচ্ছে আর মুখ ভেংচাচ্ছে, ঠিক এটাই আবার সংযুক্ত করা হল আমাদের অবুঝ ক্রিকেটের সাথে । কি লজ্জার, কি আহম্মকের কাজ এটি, এদেশের কর্তাব্যক্তিরাই হয়ত ভালো জানেন সে ব্যপারে !
৩. আমাদের এই হারের পিছনে এদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, আমাদের শারীরিক গড়ন, সংস্কৃতি, আমাদের খাবারের আইটেম ইত্যাদি অনেকাংশে দায়ী । যেমন আমাদের প্রধান খাদ্য ওদন-ভর্তা আর ডাল ভাজি, যেগুলো খেয়ে আসলে শুধুই আমাদের শরীরের মেদ বাড়ে আর শক্তির বেলায় ঠিক জিরো, যার ফলশ্রুতি, তামিমের মত বড়,বড় হস্তিকায় ভুড়ি সারা দেশ জুড়ে আজ অহরহ বিরাজ করছে । এত বড় মহাভুড়ি ঘাঁড়ে করে কি দৌড়ানো যায়, না ভালোভাবে খেলা করা যায় !
৪. আমাদের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই খর্বকায় সুতরাং যখন তাঁরা বিশাল বড়,বড় ছক্কা হাঁকায় তখন সেটা হয় মাঝমাঠের দর্শণীয় এক সহজ সরল ক্যাচ কখনও,সখনও ত্রিশগজ পার হয়না । অনেকে হয়ত বলবেন বিশ্বের গ্রেট ক্রিকেটারদের অধিকাংশই খর্বকায় যেমন ব্রায়ান লারা কিংবা শচীন টেন্ডুলকার, পন্টিং ইত্যাদি । তাদের উদ্দেশ্যে বলছি এই গ্রেটদের একজনও বাংলাদেশী নন সুতরাং তাঁদের খাবারের ধরণও নিশ্চয় আমাদের মত ডাল পরটা কিংবা ওদন-ভর্তা আর পান্তা না ।
৫. ক্রিকেট আমাদের জাতীয় খেলা নয় যেকারণে হয়ত আমাদের ক্রিকেটাররা ভাবছেন এটা নিয়ে এত মাথা ঘামানোর কি আছে ? বরং এর চেয়ে বিশ্বকাপের পর আমরা আমাদের জাতীয় খেলা সেই বিখ্যাত লাথালাথি খেলা “হাডুডু” কে আবার জাগিয়ে তুলব এবং অতিস্ত্বর একটা হাডুডু বিশ্বকাপের আয়োজন করব আর সেখানে আমরাই হব একমাত্র আজীবন বিশ্ব-চ্যাম্পিয়ন । কারণ লাথালাথি কিংবা কামড়াকামড়িতে আমরাই যে বিশ্বে এখনও পর্যন্ত সেরা ।
যাহোক এছাড়াও আরও অনেক যৌক্তিক কারণ রয়েছে এই হারের নেপথ্যে যেগুলো বলতে হয়ত আমার ঠোঁট কাঁপছে কিংবা মন সায় দিচ্ছেনা
©somewhere in net ltd.