![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক ইসলামী বোদ্ধা দাবী করেন যে, শিরোনামে উল্লেখিত ৩ হরফের এই আয়াতটির অর্থ আল্লাহ্ ছাড়া কেউ জানে না, এমনকি নবী (সঃ)ও জানেন না বা তিনি এর অর্থ বলে যাননি। ওইসব হযরতদের উদ্দেশ্যেই এই ব্লগ;
নবী মোহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ (সঃ)’র জন্মের অনেক আগে থেকেই মক্কা ও কুরাইশদের স্থানীয় ভাষা ছিল আরবী। নবী (সঃ) নিরক্ষর ছিলেন এবং স্থানীয় আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষা জানতেন না। তাঁর জ্ঞাত ভাষায় অনুসারীদেরকে সহজভাবে কোরআনের বানীসমূহ বুঝানোর জন্যেই কোরআন আরবীতে অবতীর্ণ হয়েছে।
শুধু বিষয়োক্ত আয়াত নয়, কোরআনের যেকোন আয়াত বা সুরার অর্থ আলাদাভাবে ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে নবী (সঃ) পরবর্তীতে তা আরবীতেই ব্যাখ্যা করতেন।
আল্লাহ্র ভাষা একক আরবী হলে কোরআনে উল্লেখিত অন্য ভাষায় ও অন্য নবীদের উপর অবতীর্ণ তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিল সহ অন্যান্য গ্রন্থসমূহকে স্বীকৃতি দেয়া হতোনা। বরং ওই গ্রন্থগুলোকে বিশ্বাস করা ঈমানেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে কোরআনে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে (কোরআনঃ ২/১৭৭ দ্রষ্টব্য)।
উপরোক্ত আয়াতটি আরবী থেকে বাংলায় অনুদিত। এর অর্থ সহজেই অনুধাবনযোগ্য। সুতরাং, অন্য ভাষাভাষীদেরও কোরআন বুঝতে কোন অসুবিধা হবার নয়। কঠিনতর লিখাপড়া, ব্যবসা-বানিজ্য, রাজনীতি, সমাজনীতি বুঝার জন্যে আল্লাহ্ই মানুষকে জ্ঞান দিয়েছেন। ঐ প্রদত্ত জ্ঞানেই মানুষ কোরআনের মর্মার্থ অনুধাবন করতে পারছে এবং ভবিষ্যতেও পারবে নিঃসন্দেহে। অর্থ অনুধাবন সম্ভবপর না হলে কোরআন কোন ভাষায়ই অবতীর্ণ হতোনা।
আলিফ লাম মীম (কোরআনঃ ১/১) আয়াতের অর্থ “আল্লাহ্ কল্যাণময়ী সম্রাট”।
কোরআন পূর্ববর্তী নবী ও তাঁদের উপর অবতীর্ণ গ্রন্থসমূহকে স্বীকৃতি দিয়েছে অর্থাৎ তাঁদের ভাষাসমূহকেও স্বীকৃতি দিয়েছে। পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহে ব্যবহৃত ভাষাসমূহের মধ্যে হিব্রু ছিলো উল্লেখযোগ্য। কোরআন স্বীকৃত “তাওরাত” ধর্মগ্রন্থটি হিব্রু ভাষায় অবতীর্ণ। আলাদা হলেও বিশ্বে ভৌগোলিকভাবে নিকটবর্তী দেশের অধিবাসীসের ব্যবহৃত ভাষায় উচ্চারণ ও অর্থগত অনেক মিল থাকে। মিল থাকে সংস্কৃতিতেও। আরবী ও হিব্রু ভাষায় এবং আরব ও ইহুদী সংস্কৃতিতেও এমন অনেক মিল রয়েছে। ইহুদীদের কিছু ধর্মীয় সংস্কৃতি মুসলমানদের মধ্যেও প্রচলিত রয়েছে। এর মধ্যে “সিয়াম” বা “রোজা” ও “খৎনা” বা “মুসলমানী” উল্লেখযোগ্য।
মদিনা সনদের মাধ্যমে নবী (সঃ) একই রাষ্ট্রে বসবাসকারী ইহুদীদেরকে মুসলমানদের মতোই সমান নাগরিক অধিকার ও সন্মান দিয়েছিলেন, অর্থাৎ তাদের আলাদা ধর্ম ও সংস্কৃতি তিনি মেনে নিয়েছিলেন।
কোরআন গবেষণায় মুসলমানদের তুলনায় অমুসলিম গবেষকদের অবদান কম নয়। অমুসলিম গিরীশ চন্দ্র সেন প্রথম আরবী থেকে বাংলায় কোরআন অনুবাদ করেন। জর্জ ইরফাহ তাঁর প্রণীত “১ থেকে ০” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ইসলামী “দা’ওয়াহ”র সূত্রে প্রাপ্ত আরবী বর্ণমালার প্রতিটি বর্ণই আল্লাহ্র এক একটি স্বতন্ত্র নাম বা সর্বনাম। আরবী বর্ণমালার ১ম বর্ণ “আলিফ”র অর্থ “আল্লাহ্” এবং হিব্রু বর্ণমালার ১ম বর্ণ “এলফ”র অর্থ “প্রভু”। আরবী বর্ণ “লাম”র অর্থ “কল্যাণময়ী” ও “মীম”র অর্থ “সম্রাট” বা “রাজা”। সুতরাং “আলিফ লাম মীম”র অর্থ সন্দেহাতীতভাবে “আল্লাহ্ কল্যাণময়ী সম্রাট”।
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩০
চন্দ্রাতপে চন্দ্রালোক বলেছেন: ধন্যবাদ @চাঁদ গাজী।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
সবকিছুই সম্ভব, মানুষের সৃজন ক্ষমতা বাড়ছে