![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হে ইসলাম ধর্মের ধারকরূপী বিপথগামী অমানুষরা
তোমরা কি ভুলিয়া গিয়াছো, যে কোন প্রগতিশীল আদর্শ বাঁচিয়া থাকে তাহার অন্তর্নিহিত শক্তির কারণে। শত প্রতিকূলতাও সে শক্তিকে দাবাইয়া রাখিতে পারে না। নিরীশ্বরবাদী বা অন্য ধর্মাবলম্বীরা তোমাদের ধর্ম বা ধর্মের প্রচারকের বিরুদ্ধে কোন কটুক্তি বা নিন্দাবাক্য করিলেই যদি তোমাদের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত লাগে, তবে বুঝিতে হইবে, সেটা তোমাদের ধর্মবিশ্বাস বা ধর্মের ভেতরে সংকটের কারণে। বাপ-মাকে উদ্দেশ্য করিয়া গালাগালি করিলে যেমন অন্যকে শারীরিকভাবে আঘাত করা, হত্যা করা একটা বাজে শিক্ষা, তেমনি তাহা একটা মহা অপরাধ। পৃথিবীর কোথাও গালাগালি-কটুক্তির জন্য নরহত্যাকে উৎসাহিত করা হয় নাই।
কেউ যদি তার ধর্ম, সৃষ্টিকর্তা এবং নবীকে অপমান করা হইয়াছে বলিয়া অন্যকে হত্যা করার মত ঘটনার জন্ম দেয়, তবে বুঝিতে হইবে তাহার সেই ধারণ করা আদর্শ অতিশয় বিপদজনক এবং ভয়ংকর। এই পৃথিবীতে মানুষের প্রাণটা সৃষ্টিকর্তার মূল্যবান নেয়ামত বলিয়া তোমরা প্রচার করো। সেই আশরাফুল মুখলুকাতকে কত সহজে পৃথিবী থেকে নির্মুল করিতেছো। তোমাদের মুখেই বড় বড় করিয়া শুনিয়াছি, একজন মানুষকে হত্যা করা না কি একটা মানব জাতিকে হত্যা করা। আর নিরীশ্বরবাদীরা তো পরকালের অপেক্ষা না করিয়া শুধুমাত্র এই পৃথিবীতেই তাহাদের জীবনকে সব কিছু মনে করিতেছে এবং সেইভাবে তাহারা তাহাদের জীবনকে সাজাইতেছে সর্বমানবের সুখের জন্য। ইহাতে যদি তাহারা তোমাদের চোখের কাটা হইয়া যায়, তবে কি সেটা ভয়াবহ নয়? যতদূর জানি, ধর্মও বলিতেছে, এই জগতে মানুষের জন্য মঙ্গলজনক এবং কল্যাণকর কর্মই পরকালে বেহেশ্ত নিশ্চিত করিবে। নিরীশ্বরবাদীদের চিন্তাও যেহেতু মানুষের সর্ব মঙ্গলের জন্য, তাহা হইলে, অন্ততঃপক্ষে এই ইহকালের বিষয়-আশয়ে তোমাদের সাথে তাহাদের কোন দ্বন্ধ বা বিরোধ হওয়ার কথা নয়। তবুও হইতেছে কেন, একবার ভাবিয়াছো কি?
নিশ্চয়ই আমি হলফ করিয়া বলিতে পারি, তোমাদের ধর্ম বিশ্বাস এবং চর্চার ভেতর কোথাও না কোথাও মহা গলদ রহিয়াছে। কেননা তোমাদের মত নোংরা রুচিবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ বেহেশত বা জান্নাত বলিয়া কোন শ্রেষ্ঠ এবং সর্বোৎকৃষ্ট স্থানে প্রবেশ করিবে, তাহা আমি বিশ্বাস করিতে পারিতেছি না। একজন পরিচ্ছন্ন রুচিবোধ এবং উন্নত মান ও দৃষ্টিভঙ্গির মানুষই কোন সর্বোৎকৃষ্ট স্থানে উপনীত হইবার অধিকার প্রাপ্ত হয়। সেই রকম উৎকৃষ্ট মানব হওয়া থেকে তোমরা অনেক দূরে অবস্থান করিতেছো। নিশ্চয়ই তোমাদের ভাষায় এবং ব্যাখ্যায় তোমরা শহীদ হইলেও তোমাদের জন্য জান্নাত বা নিদেনপক্ষে বেহেশ্তে উপযুক্ত স্থান সংরক্ষিত থাকিবে না।
তোমাদের আদর্শ যদি সর্বোৎকৃষ্ট হয়, তবে কে, কি বলিয়াছে, তাহাতে তো তোমাদের মাথা ব্যথার কারণ হইতে পারে না। কারণ, সত্য তো দিনের আলোর মত পরিষ্কার হইবে এবং মাথা তুলিয়া সকল অন্যায় এবং কুৎসার বিরুদ্ধে নিজের ভেতরের শক্তিতেই জাগিয়া উঠিবে। তোমাদের জয় অবশ্যম্ভাবী হইয়া দেখা দিবে। সেখানে অন্যের উপর আক্রমণ করা, ধর্মকে অন্যের উপর চাপাইয়া দেয়া, রক্তের নেশায় মাতিয়া উঠা কোন ধর্মের সভ্য ব্যক্তিবর্গের আচরণ হইতে পারে না। বরং তোমরাই তোমাদের ধর্মের শান্তির বাণীকে অশান্তি এবং হিংসার বাণীতে পরিগণিত করিতেছো। যাহার জন্য আজ পৃথিবী জুড়িয়া ইসলাম ধর্মের সপাটে কাটা-ছেঁড়া চলিতেছে! আর তাহা থেকে কি বাহির হইয়া আসিতেছে, একবারও কি চক্ষু মেলিয়া দেখিতেছো? পারিলে সে সবের উত্তর জগৎবাসীকে জানাইয়া দিতে তোমাদের এত দ্বিধা কেন? অন্যের উপর শারীরিকভাবে আক্রমণ করাটা খুব সহজ একটি বিষয়ে পরিগণিত করিয়াছো। তোমরা নিম্নগামিতার দিকে দ্রুত ধাবমান হইতেছো কেন?
হে ধর্মীয় ছদ্মবেশী অজ্ঞান ইবলিশ!
নিশ্চয়ই তোমাদের সৃষ্টিকর্তা সর্বজ্ঞ, সর্বজ্ঞানী। তবে তো তোমাদের ক্ষতি কিছুই হওয়ার নয়। তোমরা কি সর্বজ্ঞানীর আশীর্বাদ পুষ্ট নও? যদি আশীর্বাদ পুষ্টই হইতে তবে তো নিরীশ্বরবাদীদের যুক্তি-তর্কের উপযুক্ত উত্তর দিতে পারিতে। তাহাদের প্রশ্ন, কৌতূহল, বা বিরুপ বক্তব্যের উপযুক্ত জ্ঞানের মাধ্যমে যথার্থ জবাব দিতে পারিতে। তোমরা কি সুনিশ্চিত নও যে, যদি কোন সর্বজ্ঞানী থাকেন, তিনি তোমাদের প্রতি মোটেই সদয় নন? আর তাই জ্ঞানের উত্তর জ্ঞানে না দিতে পারিয়া ক্রোধে অন্ধ হইয়া ভিন্ন মতাবলম্বীকে হত্যাকেই সুবিধাজনক এবং সহজ সমাধান মনে করিতেছো। তোমরা কি তবে ব্যর্থ এবং অভিশপ্ত নও? তোমরা কি তোমাদের ধর্ম ও আদর্শকে নিরীশ্বরবাদীদের যুক্তি এবং আদর্শের কাছে পরাস্ত করিতেছো না?
হে ভন্ড অসৎ মূঢ়!
তোমরা তো সাধারণ জ্ঞানে স্বাভাবিক সত্যকে উপলব্ধি করিতে পারিতেছো না। নিরীশ্বরবাদীদের যুক্তি ও তর্কের প্রতিকূলতা মোকাবিলা যদি অন্যের প্রাণ সংহারের মাধ্যমে ঘটিয়া থাকে, তবে বুঝিতে হইবে, হয় তোমাদের পালনকারী এবং তাহার প্রদত্ত আদর্শ দুর্বল, নয়তো তোমাদের কর্মকান্ডই তোমাদের সৃষ্টিকর্তাকে খর্ব করিতেছে। তোমরা নিরীশ্বরবাদীদের চাইতে ভিন্নমত পোষণ করো বলিয়া নিরীশ্বরবাদীরা কি তোমাদের প্রাণনাশে প্রস্তুত হইয়াছে? তোমাদের পক্ষের ব্লগার-ফেসবুকাররাও কিন্তু অনলাইনে বিচরণ করিতেছে। তাহাদের নাম-ঠিকানাও কম-বেশি জানা আছে। কিন্তু তাহাদের উপর আদৌ হুমকি বা আঘাত আসিতেছে কি? কলমের যুদ্ধ নিরীশ্ববাদীরা কলমেই করিতেছে। কিন্তু তোমাদের কর্মকান্ডে তোমাদের সর্বশক্তিমান আজ মানব সমাজে নৈতিকভাবে সর্বদুর্বলতম অভিধায় ভূষিত হইতে শুরু করিয়াছে। কী লজ্জা! ধিক তোমাদের!
হে চাপাতি অন্তপ্রাণ মুমিন মুসলমানগণ!
তোমাদের ধর্ম, নবী বা সৃষ্টিকর্তাকে কটুক্তি করিলেই দোষের হয়। আর তোমরা যে অন্য ধর্মাবলম্বী ও নিরীশ্ববাদীদের লইয়া অহরহো কৌতুকে রত থাকো, কটুক্তি করো, তখন কি তাহাদের বিশ্বাসের অবমাননা হয় না? আর তোমরা মিথ্যা ধর্মানুভূতির ধুয়া তুলিয়া মানব সমাজ বা মানবতার অন্যান্য সব প্রাকৃতিক অনুভূতিকে যে প্রতিনিয়ত বলাৎকার করিতেছো, তাহা কি তোমাদের বিবেক এবং অন্তর্চক্ষু ও বহির্চক্ষুতে গোচরীভূত হইতেছে না? তাহা হইলে তোমরাই বলো, আল্লাহ কাহাদের অন্তরকে স্বাভাবিক দর্শন হইতে মুদিয়া রাখিয়াছে?
তোমাদের ধর্ম এবং ধর্মানুভূতি খুবই ঠুনকো বলিয়া প্রতীয়মান হইতেছে। ক্রোধ, ইগো, অন্ধত্বই সবার উর্ধ্বে উঠিয়া আসিতেছে। ভাবনা্র এক বিষাক্ত জগৎ তোমাদের মস্তিষ্কে এমনিই এক বদ্ধতা তৈরি করিয়া রাখিয়াছে, তোমরা তাহার বাহিরে স্বাভাবিক চিন্তা, বোধ এবং বিবেককে জলাজ্ঞলি দিযাছো। যাহা সহজ সরল প্রাকৃতিক, তাহা হইতে দূরত্ব তৈরি করিয়া চলিয়া বদ্ধ জলাশয়ের পচনশীলতাকে উত্তম বা শ্রেয় মনে করিতেছো। হায়, তোমাদের স্থূল মস্তিষ্ক যথেষ্ট উর্বর নয় বলিয়া কি তোমরা চাপাতিহস্ত হইয়া অন্যের উর্বর মস্তিষ্কের মগজ বিদীর্ণ করিতে উঠিয়া পড়িয়া লাগিয়াছো?
আমি হলফ করিয়া বলিতে পারি, তোমরা আল্লাহ নও, এই বৃহদাকার মানবগোষ্ঠীকে ভয়ানকভাবে ভয় করো। এই কারণে তোমরা পুরোপরিভাবেই অন্ধকারবাসী। অন্ধকারের প্রাণীরাই আলোর জগতের মানুষকে নিদারুণ ভয় পায়। আলোতে তোমাদের চক্ষু অন্ধ হইয়া পড়ে বলিয়া আলোর জগতের মানুষকে মারিতে হন্য হইয়া উঠো। কী নির্মম অধঃপতন! তোমাদের এই অধঃপতন মানবজাতি যুগে যুগে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দেখিয়া আসিতেছে। ’৭১-এ দেখিয়াছে বাংলাদেশে ধর্মের নামে মানুষ হত্যা, নারী ধর্ষণ। কিন্তু তোমরা কি জয়ী হইতে পারিয়াছো? অন্ধকারের প্রাণী আবার অন্ধকারে পলায়ন করিয়াছে।
অভিজিৎ রায়ের “বিশ্বাসের ভাইরাস” বইটি পড়িতে পড়িতে আমার মনে একটি প্রশ্নের উদয় হইয়াছিল। নবীজি ভালভাবে জানিতেন, দাসপ্রথা একটা অসন্মানজনক ঘৃণ্য বড়ই নিষ্ঠুর অমানবিক প্রথা। দুই-একজন দাস-দাসীকে মুক্তি দিয়া বা বিবাহ করিয়া দাস-দাসীকে উপযুক্ত মর্যাদা দানের দৃষ্টান্ত স্থাপনের পরিবর্তে পুরো দাসপ্রথাকে বিলুপ্ত/নিষিদ্ধ/হারাম কেন আল্লাহ্র পেয়ারা নবী করিলেন না, এই প্রশ্নটা আমার মনে তীব্রভাবে হানা দিয়াছে। শুকরের মাংস হারাম বলা হইয়াছে বলিয়াই তো তা গ্রহণ করা থেকে মুসলমানরা বিরত রহিয়াছে। যদি যুদ্ধ জয়ের পরে পরাজিত পুরুষ এবং তাদের স্ত্রী-কন্যাকে নবীজি উপযুক্ত মর্যাদা দানের কথা বলিতেন, তবে কি আর আমাদের যুদ্ধবন্দীদের মর্যাদা রক্ষার্থে জাতিসংঘের ‘প্রিজনার অব ওয়ার’ সনদের জন্য অপেক্ষা করিতে হইতো? দাসপ্রথা রদ এবং পরাজিত রাজ্যের সাধারণ নারী-পুরুষদের মানবিক অধিকার সংরক্ষণ করিতে এই আধুনিক যুগ পর্যন্ত সংগ্রাম করিতে হইতো না। ধর্মের ভয়ে, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে বাঙ্গালি হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে মা-বোন-কন্যাদের ‘গণিমতের মাল’ বলিয়া ব্যবহার করিবার দুঃসাহস মুসলিম নামধারী ধর্মব্যবসায়ী ভন্ড রাজনীতিবিদরা দেখাইতে পারিত কি? ইসলাম এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রোপাগান্ডা চালাইয়া পাক হানাদাররা বাঙালি মা-বোন-কন্যাদের ইজ্জত লুন্ঠন করিবার দুঃসাহস পাইতো কি? নিরীহ-নিরপরাধ নারী-পুরুষকে নির্বিবাদে হত্যা এবং ঘর-বাড়ি লুন্ঠন করিবার ধৃষ্টতা প্রদর্শন করিতে তাহাদের বুক কি কাঁপিত না?
হিটলারের নাৎসী বাহিনীর সাথে তোমাদের তুলনাও করা সম্ভব হইতেছে না। তোমাদেরকে ‘নরকের কীট’ বলিলেও যথার্থ ব্যাখ্যা হয় না। তোমরা যেভাবে অন্ধকার হইতে আসিয়া নিরীশ্বরবাদী এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের হত্যা করিয়া আবার অন্ধকারে লুকাইতেছো, তাহাও বেশিদিন কার্যকরী হইবে বলিয়া আমি ধারণা করি না। কোন রকমের অন্যায়-অসত্য-অসভ্য আচরণ ইতিহাসে দীর্ঘায়িত হয় না। উপযুক্ত প্রতিরোধ, প্রতিক্রিয়া সময়মতো গড়িয়া উঠে। তোমাদের এই মরণ কর্মকান্ড অব্যাহত থাকিলে তাহার প্রতিকার নির্ঘাত অতি আসন্ন হইয়া উঠিবে। তোমাদের বিকৃত অসত্য এবারও জয়ী হইবে না, তাহাতে নিশ্চিত থাকো। বিপথগামী তোমাদের জন্য আল্লাহ জান্নাত তো দূরে থাক, সামান্য বেহেশতও মজুত রাখিবে না। তোমরা মনুষ্য নামের খুব বড় মাপের শয়তান বা তাহার বংশধর। তোমাদের পতন অবধারিত! ধ্বংস তোমাদের অনিবার্য!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫৬
সৃষ্টি ও প্রকৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ লেখককে তার পক্ষপাতিত্ব মূলক এক চোখা লেখার জন্য।
আপনার লেখা প্রথম দুই লাইনের সহিত আমি ১০০% একমত, কিন্তু আপনার চিন্তা ভাবনা বা আপনার দর্শনই যে সেই অন্তর্নিহিত শক্তি, তাহাই বা আপনী কি করিয়া বুঝিলেন?
আগেই বলিয়া লই -যে হত্যা কান্ডের দায় ইসলামের উপর চাপাইতে চেষ্টা করিতেছেন, তাহা হত্যাকারীদের উপরই রাখুন, ইসলামের উপর চাপানোর কোন চেষ্টা করিবেন না।
আমিও ব্যক্তিগত ভাবে এই ধরনের কোন, কোন অপরাধকে সমর্থন করিনা। বরং, মুহাম্মদ দঃএর ইতিহাস হইতে পাই যে, ওনার উপর নানান অত্যাচার, গালিগালাজ করার পরও আল্লাহর কাছে দোয়া করিয়াছেন তাহাদেরকে সঠিকরূপে গাইড করার জন্য, হেদায়েত দেওয়ার জন্য। এমনকি যখন তিনি মক্কা বিজয় করিলেন, তখন তিনি মক্কার সকল অত্যাচারীদের কোন প্রতিশোধ লইলেন না। ইতিহাস প্রমান করে আপনারা হইলে কি করিতেন। কতটুকু খবর লইয়াছেন আপনী ইসলামের সমালোচনা করিতে বসিয়াছেন।
পক্ষপাত দোষে দুষ্ট আপনী,আসিয়াছেন অন্যের সমালোচনা করিতে। দুনিয়াত এত লক্ষ লক্ষ হত্যাকান্ড,যা মূলতঃ মুসলিম হত্যাকান্ড, - তাহাতে কোন ভ্রূক্ষেপ না করিয়া হাতে গোনা কয়েকটা হত্যাকান্ডের প্রতি এত গভীর মনযোগ, -তাহা আর বলিবার নয়। গরুর মাংস ভক্ষন করিবার দায়ে হিন্দুরা মুসলিম পিটাইয়া মারিয়া ফেলিয়াছে, -কই উহাতে তো নজর পড়িল না। ৭ ব,
প্রধান মন্ত্রীর বিরূদ্ধে কটু কথা বললে ৭ বৎসরের জেল হয়, -ব্যাপারে আপনি কি বলেন?
দাসের ব্যপারে অনেক লেখার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু আজ না। তবুও কিছু কথা না বললেই নয়। ইসলাম এমন একটা প্রথা ও নিয়ম তৈরী করিয়া দিয়াছিল যার ফলশ্রুতিতে বর্তমান দাস বিহীন ইসলামিক সমাজ ব্যবস্থা। দাসদের প্রতি আচরনের যেই বিধি বিধান দেওয়া হইয়াছে, তাহতে একটা মুসলমানের ঘরে ঢুকিলে কোনটা গৃহকর্ততার পুত্র, আর কোনটা গৃহকর্তার গোলাম, - উহা চিনিতে বড়ই দুরহ হইত। দুঃখজনক হইলেও সত্য, -তখনকার সময় ইকোনোমিক ব্যবস্হার মূলেই ছিল ূাস ব্যবস্থা, যাহা বর্তমানে মেশিন, রোবট দ্বারা স্থলাভিষিক্ত হইয়াছে। হুট করিয়া একটা আইন পাশ করিয়া সব দাস একসাথে মুক্তি দিয়া দেশের মধ্যে একটা হট্টগোল লাগাইয়া দিতে আপনাদের মগ উর্বর মস্তিস্কওয়ালারা কহিতে পারেন, কারন আপনাদের কাজ হইল দোষ খুজিয়া বেড়ানো। তখন আপনী যদি থাকিতেন, আপনার যদি কতগুলি দাস থাকিত যাহার দ্বারা আপনার ইন্ড্রাষ্ট্র লেভেলের প্রডাক্টশন বের করেন এমন সময় শুনিলেন, - মুহাম্মদ দাস প্রথা উঠাইয় দিয়াছে, তখন এই আপনীই কতবার যে মনে মনে মুহাম্মদের মন্ডুপাত করিতেন.......
ইসলাম আজ ষড়যন্ত্রের শিকার, ইসলামের নাম কত দুষ্কর্ম করকরা হইতেছ, তার ইয়ত্তা নাই। আপনার লেখার যে হত্যা কান্ডগুলি বলিতেছেন মুসলমানেরা অর্থাৎ ধর্ম মানা মুসলমানেরা করিয়াছে (ইসলাম বিদ্বেসী মুসলমান তো অনকই আছে, তারা না), আপনী কি করিয়া বুঝিলেন এইসব মুসলমানরা হত্যা করিয়াছে। ইসলামের বদনাম করিবার জন্যও তো হইতে পারে।
শেষে একটা প্রশ্ন করি, -এত ধর্ম রাখিয়া ইসলামের দোষ খুজিয়া বেড়াইতেছেন কেন??? ইসলাম ধর্ম অন্য ধর্ম হইতে খারাপ, নাকি???
তাহলে আসুন বসি।
আমি সমালোচনা ভালবাসি, অবশ্যই তা হতে হবে সাংগঠনিক, নোংড়া কু উদ্দেশ্য না। গালাগালিতে প্রমান হয়তারা নিয়েজিত।