![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কথা প্রসঙ্গে হঠাত করেই আমার সেই আস্তিক বন্ধু তারেকুল ইসলাম একটা অতি হাস্যকর প্রশ্ন করে বসলো। এমন প্রশ্নের সম্মুখীন আমি প্রথম বার হইনি, যে দিন থেকে ধর্মের কালো অন্ধকারাচ্ছন্ন নিকৃষ্ট গোপন তথ্য এবং কল্পকাহিনী গুলোকে যুক্তি, কারণ এবং বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ দ্বারা বিশ্লেষণ করতে শুরু করেছিলাম, তখন থেকেই এমন উন্মাদ ধার্মিকদের কাল্পনিক বিশ্বাস ভিত্তিক প্রশ্ন একের পর এক আমার সামনে এসেছে এবং আমিও আমার ক্ষুদ্র যুক্তিবাদী জ্ঞানের দ্বারা তৈরী ধারালো উত্তরের মাধ্যমে সেগুলোকে কুপোকাত করেছি। তবে তাতে লাভ তেমন একটা হয়নি, কারণ ধর্মীয় ভন্ডামির নোংরা বেড়া জালে আটকে থাকা ধর্মান্ধদের কুসংস্কারচ্ছন্ন মগজের কালো অন্ধকারে জ্ঞানের প্রদীপ জালানো বড়ই কঠিন, যার সব থেকে বড় বাস্তব প্রমান হলো তারেক, মানে সেই ধর্মান্ধ তারেকুল ইসলাম। হাজারও বিজ্ঞান ভিত্তিক জবাব এবং যুক্তি তর্ক দিয়ে বোঝাবার পরেও যা তাই অবস্থা, কোনো পরিবর্তন ঘটেনি তার, সভ্য সমাজের বেশ বাদ দিয়ে, আরবের মধ্যযুগীয় ভীতিকর পোশাক পড়ে সেই ছয় শতকের হিটলার মোহাম্মদের তৈরী ইসলাম নামক রাজনৈতিক দলের অদৃশ্য পণ্য আল্লাহর প্রসংসায় মক্কায় অবস্থিত কাবা নামক সেই বাক্স আকৃতির শিবের মূর্তির মত কালো মূর্তিটির দিকে ফিরে, জায়নামাজ বিছিয়ে দৈনিক পাঁচ বার প্রার্থনা করে।
যাই হোক আজ যে হাস্যকর প্রশ্নটা সে আমাকে করলো, তা হলো
কেন আমার মতে ইসলামের অদৃশ্য পণ্য আল্লাহর দেয়া নারীদের জন্য পর্দার বিধান অযৌক্তিক এবং অকার্যকর?
প্রশ্নটা করে একটা জ্ঞানী জ্ঞানী ভাব নিয়ে তারেক আমার দিকে তাকিয়ে আছে, তার চোখে মুখে এমন একটা উজ্জলতা এবং মুচকি হাসি ফুটে উঠেছে, যেন পৃথিবীর সব থেকে জটিল প্রশ্ন সে আমার দিকে ছুড়ে দিয়েছে, যার উত্তর সাক্ষাত শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী স্টিভেন হকিংও দিতে পারবে না। আমিও একটি তীক্ষ্ন দৃষ্টি এবং ধারালো হাসি তার দিকে ছুড়ে দিয়ে, তার করা প্রশ্নের উত্তর দিতে শুরু করলাম, উত্তর দেবার আগে তাকে পাল্টা প্রশ্ন করলাম যে
- তার আগে তুই বল, নারীদের পর্দা করা তোর দৃষ্টে কতটা কার্যকরী এবং কেন?
তারেক তখন তার স্বল্প ধর্মীয় দৃষ্টিতে যে সকল হাস্যকর বিষয়াদি উল্লেখ করলো, তা হলো
- আল্লাহ নারীদেরকে পর্দা করতে বলেছেন যেন তারা সম্মানিত হয়, নারীরা পর্দা করলে পরপুরুষেরা সে নারীর প্রতি আকর্ষিত হয় না, নারীরা তার সতিত্ব বাচাতে সক্ষম থাকে। নারীদের উপর ধর্ষণ রুখতে পর্দার থেকে বড় প্রতিষেধক আর নেই। পর্দার সবথেকে ভালো উপায় হলো কালো রঙের বস্তাকৃতির চাদর, যাকে আমরা বোরকা বা আবায়া নামে চিনি।
তার জবাব শুনে আমি হো হো করে হেসে উঠলাম, আমার হাসি দেখে তারেক প্রায় অবাক এবং অপমানিত বোধ করলো, রাগে জড়ানো গম্ভীর কন্ঠে সে প্রশ্ন করলো
- আমার জবাবে তুই হাসির কি পেলি? হাসি বাদ দিয়ে এবার আমার প্রশ্নের জবাব দে, যে পর্দার বিধান তোর দৃষ্টিতে অযৌক্তিক এবং অকার্যকর কেন?
- তোর মতে কালো রঙের বস্তাকৃতির চাদরে নারীরা নিজেদের পেচিয়ে রাখলে তারা ধর্শকের কাছে ধর্ষিত হয় না, তাই তো?
- অবস্যই তাই, আল্লাহ বলেছেন, মিথ্যা হবার কথা নয়।
- বাহ! তোর ধর্মান্ধতা দেখে মুগ্ধ হচ্ছি। আচ্ছা একটা কথার উত্তর দে তো, একজন প্রচন্ড ক্ষুধার্ত ব্যক্তি কি ছোকলা ছাড়ানো কলার জন্য অপেক্ষা করবে, নাকি ছোকলায় আবৃত কলা পেলেও সে সেটা খাবার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বে?
তারেক খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে বুক ভরা শ্বাস নিয়ে বুধিজিবির মত উত্তর দিল
- ক্ষুধার্তের কাছে তখন কলাটাই বড়, তাই কলাটা যদি ছোকলায় আবৃতও থাকে, সে তার ক্ষুধা নিবারণ করতে অবশ্যই তা ছাড়িয়ে নিবে।
- যৌন চাহিদাও একপ্রকারের ক্ষুধা, কিন্তু কিছু বিকৃত মস্তিস্কের অসুস্থ মানসিকতার মানুষ সেই ক্ষুধা নিবারণ করে অসুস্থ ভাবেই, যেমন অর্ধশত বছরের বৃদ্ধে কোনো নয় বছরের শিশু কন্যার সাথে যৌন মিলনে লিপ্ত হয় তা অসুস্থ যৌনতার অন্তর্ভুক্ত, নিজের পালক পুত্রের স্ত্রীকে বিয়ে করা অসুস্থ যৌনতার অন্তর্ভুক্ত, এবং কাউকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করাও এক প্রকারের অসুস্থ যৌনতা। এই অসুস্থ যৌনতায় অস্থির একজন ধর্ষক কি উলঙ্গ নারীর জন্য অপেক্ষা করবে, নাকি তার কাছে যৌনতাই মুখ্য হওয়ায়, সে কালো রঙের বস্তাকৃতির ছোকলায় মোড়া নারী পেয়ে সে নারীটির দু চারটি ছোকলা ছাড়িয়ে নিয়ে তার পর ধর্ষণ করবে? নাকি ধর্ষক তখন ছোকলায় মোড়া নারী পেয়ে বলবে, না আমি উলঙ্গ নারী চাই, বোরকা পড়া নারী আমার পছন্দ নয়?
আমার জবাব শুনে তারেকের মুখে যেন তালা লেগে গিয়েছে, বুঝতে পারলাম রাগে তার শরীরের রক্ত ফুটন্ত পানিরমত টগবগ করছে, কিন্তু তার কাছে কোনো জবাব নেই। তাই আমিই সেই নিরবতা ভাঙ্গতে সেই একই প্রসঙ্গ টেনে বলতে লাগলাম
- সোনার খাঁচার মূল্য অনেক, কিন্তু তার ভেতর বন্দি থাকা সেই পাখির কাছে সোনার খাঁচার কনো মূল্য নেই, কারণ পাখিটার চাহিদা বন্দিত্ব নয়, পাখিটা মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়ানোর ক্ষমতা রাখে, তাই স্বাধীনতাই তার কাম্য। সোনার খাঁচায় তাকে বন্দি রাখা মানে তাঁর উপর এক প্রকার নির্মম অত্যাচার চালানো। ঠিক একইভাবে ইসলাম নারীদেরকে পাখির ন্যায় সোনার খাঁচায় বন্ধি করে রেখেছে, কারণ পুরুষদের মতই নারীদেরও ক্ষমতা রয়েছে জ্ঞানার্জনের, ব্যবসা-বাণিজ্য, সমাজকল্যাণ, এবং আরো অনেক কিছুর। কালো কাপড়ে জড়িয়ে রাখলে যদি সম্মান বৃদ্ধি পায় তবে পুরুষেরাও একই কাজ করুক না কেন? নিজেদেরকেও কালো কাপড়ে ঢেকে রাখুক। পুরুষতান্ত্রিক ধর্মান্ধ পুরুষেরা নারী দেখলে যদি যৌনাঙ্গে সমস্যা হয় তবে, দেখার দরকার কি? চোখ বন্ধ করে ফেললেই তো পারে, এর জন্য নারীদেরকে বস্তায় ভরার দরকার কি?
বস্ত্রহীন নারীও যে ধর্ষিত হয় না, এরকম একটি উদাহরন দেই তোকে। মনে কর তোর মা অথবা বোন বাথরুমে গোসলে গেছে, কিন্তু তিনি দরজাটা ভুলবশত আটকাননি। ঠিক সেই সময়ে না জেনে তুই তোর নিজ প্রয়োজনে বাথরুমে ঢুকতে গিয়ে তোর মা অথবা বোনকে বস্ত্রহীন মানে উলঙ্গ অবস্থায় দেখলে কি করবি? বেপার্দা নারীরা নাকি বেশি ধর্ষিত হয়, তবে এই মুহুর্তে বেপর্দা নয় উলঙ্গ নারী ভেজা শরীরে তোর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এমন অবস্থায় কি ধর্ষনের উদ্দেশ্যে তুই তোর মা অথবা বোনের উপর ঝাপিয়ে পড়বি, নাকি লজ্জায় মাথা নত করে বেরিয়ে আসবি? যাদের মধ্যে বিবেক আছে তারা অবশ্যই সেই মুহুর্তে বেরিয়ে আসবে, আর এই বিবেককে জাগানোর জন্য কনো ঈশ্বরের বানীর প্রয়োজন হয়না। যে বিবেকের কারণে একজন সন্তান অথবা ভাই তার উলঙ্গ মা অথবা বোনকে সম্মান প্রদর্শন করে রেবিয়ে এল, সেই একই দৃষ্টি অন্য নারীদের জন্য মনের ভেতর পোষণ করলে বেপর্দা কেন উলঙ্গ নারীরাও ধর্ষিত হবে না।
২| ২৫ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮
রাসেলহাসান বলেছেন: "আল্লাহ " আপনার মতো মানুষকে কখনো সৎ পথ দেখাবেনা। ধংস অনিবার্য!
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২
জনাব মাহাবুব বলেছেন: পুরান পাগল ভাত পায়না নতুন পাগলের আমদানি।
হিট হওয়ার জন্য পুরানো বিতর্কিত ধর্মীয় বিদ্বেষটাকেই বেছে নিলেন?