![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন মানুষ খারাপ কাজ করল যেমন, কাউকে হত্যা করল, চুরি করল, মানুষকে কষ্ট দিল, মানুষের অধিকার জোর করে কেড়ে নিল, রেপ করল এবং একদিন মরে গেল! দুনিয়াতে তার কোন বিচারই হল না, নাস্তিক থিওরী অনুযায়ী সে দুনিয়াটাকে উপভোগ করেছে! কারণ, যেহেতু সে মরে গেল তাই সে মুক্তি পেল, তার কোন বিচারই হল না! আর যাদের সে অত্যাচার করল, ক্ষতি করল তারা শুধু চোখের পানি ফেলবে, দুঃখ পাবে যে পর্যন্ত বেচেঁ থাকবে, তারপর মরে যাবে আর তার সকল দুঃখের অবসান হবে। কোন বিচার নেই, কোন জবাবদিহিতা নেই। কর যা খুশি, কে আছে বাধা দেওয়ার। বাহ! কি সুন্দর যুক্তি!
একজন মানুষ আল্লাহকে বিশ্বাস করল আর তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী নিঃস্বার্থভাবে ভাল কাজ করল যেমন, মানুষের উপকার করল, কাউকে তার নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করল না, ঘুষ খেল না, সৎভাবে জীবন যাপন করল, মানুষের মুখে হাঁসি ফুটালো তারপর একদিন মরে গেল। সে তার ভাল কাজের জন্য কোন প্রতিদানই পাবে না। কারণ, নাস্তিক থিওরী অনুযায়ী পরকাল বলে কিছু নেই!
পরকাল যদি নাই থাকে তাহলে এই ভাল কাজ আর খারাপ কাজ করার মধ্যে পার্থক্য কি? আমাকে যদি কারো কাছে কৃতকর্মের জন্য জবাবদিহী নাই করতে হয় তাহলে আমার জীবনের উদ্দেশ্যটা কি? পরকাল বলে যদি কিছূ নাই থাকে, তাহলে ভাল কাজ করলেই কি আর অপরাধ করলেই কি? নাহ কিছুই যায় আসে না! কারণ, আমাকে কারো কাছে জবাবদিহি করতে হবে, কারো কাছে পাপ-পূণ্যের হিসাব দিতে হবে না। বাহ, আমরা কত স্বাধীন!
এইটাই কি জীবন? খাও, দাও আর ফূর্তি কর, দুনিয়াটা মস্ত বড়! এই জীবনের মূল্য কি? কারণ, যেখানে খারাপ কাজের কোন অপরাধবোধ থাকবে না যেহেতু পরকাল নেই; কাউকে মারলাম, অন্যায়ভাবে তার সম্পদ কেড়ে, নিলাম আর বললাম আহ কি শান্তি! বল্গাহীন স্বাধীন জীবন।
আপনারা এই থিওরীতে সত্যিই বিশ্বাস করেন! সত্যিই কি এইটা যুক্তিযুক্ত? নিজের একদম ভিতর থেকে নিজেকে প্রশ্ন করুন তো।
উদ্ভট, গালাগাল, অপমান, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য মূলক মন্তব্য না করার জন্য অনুরোধ রইল। সবাই ভাল থাকবেন।
০১ লা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:২৬
আব্দুর রহমান বলেছেন: আপনার নামটি তো যথেষ্ট সুন্দর। আপনাকে পড়তে নিষেধ করেছে কে?
ইসলাম সম্পকে জানতে হলে ইসলাম বিরুদ্ধবাদীদের লেখা থেকে জানার চেষ্ট্রা করবেন না, কুরআন তাফসীর সহ খোলা মনে, সত্য জানার অভিপ্রায় নিয়ে পড়ুন।
কুরআন পড়ার সময় একটি জিনিস খেয়াল রাখবেন, যখন আপনি কুরআন পড়বেন তখন আপনার পূর্ব ধারণার সাথে তা মিলাতে যাবেন না তাহলে আপনি আপনার পূর্ব ধারণাটিকেই মজবুত করলেন। খোলা মন নিয়ে প্রশান্ত চিত্তে সত্য জানার অভিপ্রায় নিয়ে পড়ুন, ইনশাল্লাহ আপনি বুঝতে পারবেন আপনার সত্যিই কি করা উচিত।
মানুষ স্বাধীন আর আল্লাহ মানুষকে এই স্বাধীনতা দিয়েছেন। সুতরাং কোনটি সঠিক আর কোনটি ভুল তা বিচার বিবেচনা করার দায়িত্ব আপনার। ভাল থাকবেন।
২| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:১৯
হরিণ বলেছেন: হাসান মাহবুবের সাথে একমত। সমস্যাটা আসলে সেইখানেই!
৩| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:২৩
আজাইরা আমি বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা হয়তো আছেন। কিন্তু আল্লা যে বানোয়াট এটা শিওর।
৪| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:২৬
স্পাইডার বলেছেন: আজাইরা আমি বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা হয়তো আছেন। কিন্তু আল্লা যে বানোয়াট এটা শিওর। ঐক্যমত
বরং ভগবান বেশী বিশ্বাসযোগ্য হতে পারেন।
৫| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:২৭
স্বপ্ন-বয়ান বলেছেন: ভালো লিখেছেন, ভাই। আপনার মনণশীলতা ভালো লাগলো। কিন্তু ভাই, আল্লাহ তো পরকালেই সব বিচার ক'রবেন তো এজনমে ক্যানো জেল, ফাঁসি, বিচার, আদালত????
০১ লা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:১৬
আব্দুর রহমান বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম,
জেল, ফাঁসি, বিচার আদালত এগুলো কোন নিয়মে পরিচালিত হচ্ছে?
মানুষের বানানো নিয়মে। আর আদালতে কি একজন মানুষের সামগ্রিক জীবনের বিচার করা হয়? অবশ্যই না, সেখানে এক বা একাধিক অপরাধের বিচার করা হয় এবং অনেক আশ্চর্যের বিষয় অনেক সময় নিরপরাধ মানুষকেও অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়।
মহান আল্লাহ মানুষের প্রতিটা কৃতকর্মের হিসাব নেবেন এমনকি অনু পরিমান ভাল-মন্দ কাজেরও হিসাব করা হবে, কারো প্রতি অবিচার করা হবে না এবং প্রত্যেকেই তার নিজস্ব কৃতকর্ম অনুযায়ী জান্নাত-জাহান্নাম পাবে। আশাকরি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
৬| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:২৮
আজাইরা আমি বলেছেন: আস্তিকদের তুলনায় নাস্তিকরা কম অপরাধপ্রবন। আস্তিকদের মতো এক নাস্তিক আরেক নাস্তিককে শিয়া, সুন্নী, কাদিয়ানী, মর্মন, প্রটেস্টেন্ট, বা নমসূদ্র বলে বোমা মারে না। সিরাজুল ইসলাম, আরজ আলী, আহমেদ শরীফ, হুমায়ুন আজাদ - এদের দিকে তাকান। দেখবেন চোখের জ্যোতি বাড়বে। কেননা আপনি দেখবেন তারাই সত্যিকারের ফেরেস্তা।
৭| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:২৯
মাহমুদ মামূন বলেছেন: ধর্মকে স্বীকার করলেই যে সে সৎ আর নাস্তিক হলেই যে অসৎ এটা মোটেই ঠিক না। বরং আমার মতে যারা যত বেশী অসৎ তারা তত বেশী ধর্মের লেবাস গায়ে চাপিয়ে থাকে।
ধর্ম নয় মানবতাই বড়। যার মধ্যে মানবতাবোধ আছে সে কখনোই অন্যায় করতে পারেনা। ধর্ম হচ্ছে শোষক শ্রেণীর শোষণের একটি হাতিয়ার। তারা ধর্মের কথা বলে সাধারন মানুষকে প্রতিনিয়ত শোষণ করে যাচ্ছে সেই প্রাচীন কাল থেকে (ধর্মের সৃষ্টিলগ্ন থেকে)।
সুতরাং মানবতাই প্রকৃত ধর্ম। সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
০১ লা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৭
আব্দুর রহমান বলেছেন: যারা বলে মানবতাই প্রকৃত ধর্ম তারা আসলে এইটা বলার মাধ্যমে একটি ভন্ডামি প্রকাশ করে!
আপনি ধর্মের সংজ্ঞা যা জানেন তার সাথে ইসলামের বিস্তর ফারাক রয়েছে। ইসলাম কোন নাম সর্বস্ব ধর্মের নাম নয়।
ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পণ। যার মানে হচ্ছে, আমি আমার ইচ্ছাকে আল্লাহর ইচ্ছার নিকট আত্মসমর্পণ করলাম। ইসলাম একটি পূর্ণঙ্গ জীবন ব্যবস্থা এবং এই বিষয়টি জানতে হলে আপনাকে কুরআন তাফসীর সহ অধ্যায়ন করতে হবে। ইসলাম সম্পর্কে ঢালাওভাবে যেনতেন মন্তব্য করবেন না দয়া করে। ইসলামে সবাই সমান এমনকি দেশের প্রধানমন্ত্রীয়ও একজন সাধারণ নাগরিকের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। যার যা অধিকার ইসলাম সেটা নিশ্চিত করে এমনকি সে যদিও অন্য ধর্মের হয়।
ইসলাম কখনই মানবসেবাকে অস্বীকার করেনি বরং মানব সেবা করাটাও আল্লাহর ইবাদত করার সামিল।
ইসলামকে জানতে হলে কুরআন আর রাসূলের (স) সুন্নাহ ছাড়া কোন উপায় নেই। ইসলাম বিরূদ্ধবাদীদের লেখা পড়ে ইসলামকে জানার চেষ্ট্রা করবেন না! পড়ুন, বুঝুন, জানুন। ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
৮| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:৩৪
সবাক বলেছেন: আমার ছোট ভাইকে ফোন দিছি সে আসুক ....
৯| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:৩৮
এস. এম. রায়হান বলেছেন: মাহমুদ মামূন বলেছেন, "ধর্মকে স্বীকার করলেই যে সে সৎ আর নাস্তিক হলেই যে অসৎ এটা মোটেই ঠিক না।"
লেখাটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় তো সেটা মনে হচ্ছে না। পড়েছেন তো?
১০| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:৪০
স্পাইডার বলেছেন: ফেরেস্তা হুমায়ুন আজাদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একটি মাজার স্হাপনের জোর দাবী জানাই
১১| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:৪৩
আজাইরা আমি বলেছেন:
স্পাইডার বলেছেন: ফেরেস্তা হুমায়ুন আজাদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একটি মাজার স্হাপনের জোর দাবী জানাই।
আমিও।
১২| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:৪৫
এস. এম. রায়হান বলেছেন: নাস্তিকদের বিশ্বাস অনুযায়ী খুনি, ধর্ষক, চোর-ডাকাত, যুদ্ধাপরাধী, সন্ত্রাসী, সুইসাইড বোম্বার, ও অন্যান্য অপরাধী যারা ইতোমধ্যে মারা গেছে তাদের বিচার ও তদনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা কে ও কীভাবে করবে? আর তাদের হাতে যারা বলি বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরই বা কী হবে? তারা কি কখনোই ন্যায়বিচার পাবে না! কে এবং কীভাবে তাদের ন্যায়বিচার করবে?
বোবা-কালা-অন্ধ প্রকৃতি তো ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য করতে অক্ষম! ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে পার্থক্য করতে অক্ষম! বোবা-কালা-অন্ধ প্রকৃতি কীভাবে গৌতম বুদ্ধ ও হিটলারের মধ্যে পার্থক্য করবে!
তার মানে কি নাস্তিকদের কাছে গৌতম বুদ্ধ ও হিটলারের মধ্যে কোনই পার্থক্য নেই?!?
১৩| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:৫০
সাইলেন্সার বলেছেন:
মাহমুদ মামুন বলেছেন :
সুতরাং মানবতাই প্রকৃত ধর্ম। সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
ওনাকে নোবেল প্রাইজের জন্য মনোনীত করার দাবী জানাই।
১৪| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:০৮
ইরফান রিজভী বলেছেন: মানবতা মানুষের ই ধর্ম। তবে, লেখক ভাই, এই ভাবে নাস্তিক নাস্তিক করে কথা বলছেন যেনো এরা আপনার অনেক বড় ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে! ভাই, আমি জানি, যারা ধর্মে অবিশ্বাসী তারা অনেক জ্ঞানী হয়, কারন তারা তাদের চিন্তা চেতনার সাথে অনেক গভীরে থেকে কাজ করে। তারা অনেক পড়াশুনাও করেন। তাদের কাছেই আপনি পেতে পারেন পুথিবীর সব বিখ্যাত মানুষদের সাধনাপত্র। কিন্তু আপনি-আমি আর এই আমরা কতটুকুই পবিত্র কোরআন নিয়ে সাধনা করি। ভাই, আমার আপনার মুখে এই কথা মানায় না কারন আমরা নিজেরাই সত্য সন্ধানে নিজেদের সঠিক ভাবে নিযুক্ত করতে পারি নি। আমার কাছে মানবতা অনেক বড় বেপার। আর ধর্ম একবারেই ব্যাক্তিগত যা নিয়ে আমি আমার এক ইন্চি দূরের মানুষটিকেও নাড়া দিতে রাজি নই। আর আমি এই বেপারে কারো মন্তব্যও শুনতেও চাই না। কারন আমি পড়তে জানি আমার বিবেক বুদ্বি আছে ভালো মন্দ যাচাই বাচাই করার। আমি কার্ল মার্ক্স পড়তে দ্বিধা বোধ করি না। আমি কবি ফরহাদ মজহার এর কবিতার বই পড়তে জানি, আমি জানি শ্রদ্ধেও গুমায়ুন স্যার এর বই পড়তে। কিন্তু আমি এও স্বীকার করি না কখনও কারো কাছে যে অনেক বই ই আমি পড়েছি। কারন এত দন্দ বাড়বেই । আর সবচেয়ে বড় কথা আমি যাকে গুরু বলে মানি সেই মানুষটিও ইশ্বরে বিশ্বাসী নয়। তো কি হয়েছে? আমি কি তাকে খারাপ বলবো? কোনদিনও না। কারন আদতেও মানুষটির মধ্যে আমি মানবতার অনেক ভালো গুন খুজে পেয়েছি। ধর্ম আপনার ব্যািক্তগত ব্যাপার। এটা দিয়ে মানুষ বিচার করবেন না দয়া করে। পরচর্চা আপনার ধর্মে কথাও লিখা নেই। আর আমি মনে করি প্রতিটি জ্ঞানী মানুষই সম্মানিও। দয়া করে তঁেকেও ধর্মের আলোকে বিচার করবেন না। আমার ব্যাক্তিগত বিশ্বাস যেন অন্যের বিশ্বাস, মুক্ত চিন্তার পথে বাধা হতে না পারে সেই দিক নিয়ে ভাবুন। আমিও তাই মনে করি। হয়তো আমি আপনার অনেক ছোট, তাই আমার কোন কথায় কিন্চিৎ কষ্ট পেয়ে থাকলেও আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি আপনার এই পোষ্টটি পড়ে বেশ হতাশ হয়েছি।
০১ লা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:২৮
আব্দুর রহমান বলেছেন: ভাইজান, আপনি বোধহয়, "যে জানে সে অল্পই জানে; যে জানে না সে সব কিছুই জানে" এইটা লক্ষ্য করেন নি।
আপনি সবকিছুই জানেন এর জন্যই এত সমস্যা। আপনি ইসলামকে পরোক্ষভাবে উল্লেখ করে যে মন্তব্য করেছেন তা আপনার উর্বর মস্তিস্কের ফসল।
আপনাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, এইটা আমাদের জানার ভুল। আমাদের ইসলামি জ্ঞান অর্জিত হয় দাদি-নানী, বাপ-চাচা, বড় ভাই এরকম মানুষদের নিকট থেকে শুনে শুনে। এইসব অর্জিত জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে আমরা মনে করি আমরা অনেক কিছু জানি। আমি আপনাকে অনুরোধ করব কুরআনের তাফসীর পড়ার জন্য, অনেক বইতো পড়েছেন, এইবার কুরআনটি তাফসীর সহ পড়ে দেখুন। যদি সত্যিই প্রকৃত মুসলামান হয়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন, কি করা উচিত আর কি করা উচিত না।
যদি আপনার সময় কম হয়ে থাকে তাহলে, ছোট্ট একটি অনুরোধ, পবিত্র কুরআনের ১০৩ নং সূরা আল আসর এর তাফসীরটি পড়বেন। তহালে বুঝতে পারবেন, মুসলিমদের দায়িত্ব কি। এই সূরাটি সুন্দরভাবে আমাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে এবং এর মর্মার্থ এতটাই ব্যাপক যে পুরো একটি বই লেখা যাবে। ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
১৫| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:১৬
শিরোনাম বলেছেন: @আজাইরা আমি
আপনিতো সেই লোক যে নিজের মেয়েকে পশ্চিমাদের স্টাইলে বড় করতে চান এবং ভোগ করতে চান?
১৬| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:১৭
শিরোনাম বলেছেন: স্পাইডার বলেছেন: আজাইরা আমি বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা হয়তো আছেন। কিন্তু আল্লা যে বানোয়াট এটা শিওর। ঐক্যমত
বরং ভগবান বেশী বিশ্বাসযোগ্য হতে পারেন।
১৭| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:২৫
জেনন বলেছেন: মানবতাই শ্রষ্ঠ ধর্ম.............দারুন লিখেছেন.................++++
১৮| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:৩৩
শিরোনাম বলেছেন: @জেনন আপনি কি হিজবুত করেন? এইভাবে পিলাস দিলেন আজাইরা আমি এবং ছাগাফুর আপনারে এই উপাধি দিবো? এখন কি করবেন?
১৯| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:৩৭
এস. এম. রায়হান বলেছেন: তার মানে "আজাইরা আমি" ব্লগার একজন অমুসলিম হয়ে মুসলিম এর ভান করে তার মেয়েকে মোহাম্মদের কথার অসারতা বুঝালেন?!
২০| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:৪২
শিরোনাম বলেছেন: @এস. এম. রায়হান
এতোক্ষণ পরে বুঝলেন ব্যপারটা। হালায় রিভার্স খেলতেছে। নজর রাখেন এই দুইটা পোস্টের উপরেই।
দুইজনেরই লেখার স্টাইল বুঝার চেষ্টা করেন।
২১| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৪:১৪
অন্য কেউ বলেছেন: "নাস্তিক থিওরী অনুযায়ী সে দুনিয়াটাকে উপভোগ করেছে!"
if you don't mind, how did you know this theory?
সম্পূর্ণ মূর্খতা নিয়ে লিখেছেন। কিছু বলার নাই। কম্যুনিকেট করতে চেষ্টা করতাম যদি কোন অংশ থাকত তার উপযোগী।
হে মহান কাবজাব, এ্যাগুরে গিয়ান দ্যাও (বইপত্তর কিছু কিন্না দ্যাও, নয়তো ডাউনলোড লিংক দ্যাও), আর এ্যাগুরে ক্ষমা কর! কামিন!
০১ লা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:১৫
আব্দুর রহমান বলেছেন: আমি মুর্খতা নিয়ে লিখছি ঠিক আছে, তো আপনি নাস্তিক হিসেবে আমার উল্লিখিত বিষয়টি খন্ডন করুন। নাস্তিকরা কি ভাবে এই বিষয়টি নিয়ে তাই তো আমি জানতে চেয়েছি।
//হে মহান কাবজাব, এ্যাগুরে গিয়ান দ্যাও (বইপত্তর কিছু কিন্না দ্যাও, নয়তো ডাউনলোড লিংক দ্যাও), আর এ্যাগুরে ক্ষমা কর! কামিন!//
আপনার কথা নাস্তিক থিওরীর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
অপেক্ষা করতে থাকুন। একসময় অবশ্যই বুঝবেন আসলেই কি করা উচিত ছিল আর কি করেছি কিন্তু তখন হয়তো আর সময় থাকবে না!
২২| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:২৫
ফারুক৫৫ বলেছেন: "আজাইরা আমি" তার পোস্টে করা আমার ও আব্দুর রহমানের কমেন্টগুলো মুছে ফেলেছে। ও একটা ভন্ড।
২৩| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৬:৩৬
লুথা বলেছেন: ++++++++++++
২৪| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৬:৩৮
লুথা বলেছেন: একটি ছেলে বিদেশ থেকে অনেকগুলো ডিগ্রী অর্জন করার পর দেশে ফিরেছে। তার অর্জিত জ্ঞান নিয়ে সে খুবই অহংকারী কারণ তার তিনটি প্রশ্ন রয়েছে যার উত্তর এ পর্যন্ত তাকে কেউ দিতে পারে নি! ছেলেটির বাবা-মা খুব চিন্তায় পড়লেন, কি করা যায়!
অবশেষে তারা একজন মুসলিম স্কলারকে অনুরোধ করলেন এবং সব কিছু শোনার পর স্কলারটি রাজি হলেন। চলুন দেখি নীচে ছেলেটি আর স্কলারটির মাঝে কথোপকথন >>
ছেলেটিঃ আপনি কে? আপনি কি আমার তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন?
স্কলারঃ আমি আল্লাহর একজন বান্দাহ, ইনশাল্লাহ আমি তোমার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব।
ছেলেটিঃ আপনি কি নিশ্চিত? কারণ এর আগে অনেকেই আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে নি!
স্কলারঃ আল্লাহ সহায়, আমি আমার সর্বাত্মক চেষ্ট্রা করব!
ছেলেটিঃ আমার তিনটি প্রশ্ন আছে। প্রশ্নগুলো হল:
১ নং প্রশ্নঃ আল্লাহর কি অস্তিত্ব আছে? যদি থাকে তাহলে আমাকে তার আকৃতি দেখান।
২ নং প্রশ্নঃ ভাগ্য বলতে কি বুঝায়?
৩নং প্রশ্নঃ শয়তান আগুনের তৈরী, দোযখও আগুনের তৈরী; তাহলে শয়তানকে আল্লাহ কিভাবে শাস্তি দিবেন?
ছেলেটির তিনটি প্রশ্ন শোনার পর স্কলারটি হঠাৎ ছেলেটির গালে খুব জোরে একটি চড় মারলেন!
ছেলেটিঃ (ব্যাথায় কাতর হয়ে) আপনি রেগে আমাকে চড় দিলেন কেন?
স্কলারঃ আমি রেগে যাই নি। চড়টি ছিল তোমার প্রশ্নগুলোর উত্তর!
ছেলেটিঃ কিন্তু আমি তো কিছু বুঝতে পারলাম না!
স্কলারঃ তোমাকে চড় মারার পর তুমি এখন কি রকম অনুভব করছ?
ছেলেটিঃ আমি খুবই ব্যাথা পেয়েছি!
স্কলারঃ তাহলে তুমি বিশ্বাস কর ব্যাথা বলে কিছু আছে?
ছেলেটিঃ অবশ্যই করি।
স্কলারঃ আচ্ছা, তাহলে আমাকে এখন ব্যাথার আকৃতি দেখাও!
ছেলেটিঃ তা আমি কখনই পারব না।
স্কলারঃ এটি হচ্ছে তোমার প্রথম প্রশ্নের উত্তর। আমরা আল্লাহর আকৃতি না দেখেই সবাই আল্লাহর অস্তিত্ব অনুভব করি। আচ্ছা, আমি যে তোমাকে চড় দিলাম তুমি কি গতকাল এই বিষয়ে কোন স্বপ্ন দেখেছিলে?
ছেলেটিঃ না!
স্কলারঃ তুমি কি ভেবেছিলে করেছিলে যে আজকে তুমি আমার নিকট থেকে চড় খাবে?
ছেলেটিঃ না!
স্কলারঃ এইটাই হচ্ছে ভাগ্য, তোমার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর। আমি তোমাকে যে হাত দিয়ে চড় দিলাম তা কি দ্বারা আবৃত?
ছেলেটিঃ এটি মাংস দ্বারা আবৃত।
স্কলারঃ তোমার গাল, এটি কি দ্বারা আবৃত?
ছেলেটিঃ মাংস দ্বারা!
স্কলারঃ আমি তোমাকে চড় মারার পর তুমি তো ব্যাথা পেয়েছিলে, তাই না?
ছেলেটিঃ জ্বী, খুবই ব্যাথা পেয়েছি।
স্কলারঃ এইটাই তোমার শেষ প্রশ্নের উত্তর। মাংসা দ্বারা আবৃত হাতের আঘাতে মাংস দ্বারা আবৃত গালে যদি ব্যাথা পেয়ে থাক তাহলে, আল্লাহর পক্ষে কি এটা সহজ কাজ নয় যে তিনি শয়তানকে আগুন দিয়েই শাস্তি দিবেন! আল্লাহ যদি চান তাহলে আগুনই শয়তানের জন্য খুবই পীড়াদায়ক হবে।
২৫| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৭:১১
ধীবর বলেছেন: আচ্ছা ভাই, আজাইরা আমি সাহেবের ইমোতে চান্দিছোলা ফিরিঙ্গি ব্যাডাটা কেডা, এট্টু কইতে পারেন?
শিরোনাম আর লুথা ভাইরে ঝাঝা।
২৬| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৮:৩৮
মরি-নাই বলেছেন: এই ব্যাখ্যা তো যারা আস্তিক তাগো ধর্ম কামরাই থাহোনের লাইগা।
যুক্তি পুরাই ঠিক। এই আবালিয় যক্তি হুনার চেয়ে আস্তিক হয়া যাওন ভালা।
নাস্তিক গো এইডা একটা জীবন হইল। আর আমাগো লাইগা এই দুনিয়া আর ঐ দুনিয়া দুইডাই আছে। হে হে কি মজা। পুরাই পাংখা।
অন্য কেউ: "হে মহান কাবজাব, এ্যাগুরে গিয়ান দ্যাও (বইপত্তর কিছু কিন্না দ্যাও, নয়তো ডাউনলোড লিংক দ্যাও), আর এ্যাগুরে ক্ষমা কর! কামিন! "
আর হ মাইনাস।
২৭| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৮:৩৯
মরি-নাই বলেছেন: ও মোর কাবজাব মাইনাস মারবার যাই পিলাস দিয়ালসি!
২৮| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৯:০১
অপ্রিয় সত্য বলেছেন:
আস্তিক- নাস্তিক বুঝিনা মানে ,
চাইনা ও বুঝতে ,
মানবতা'ই শ্রেষ্ঠ ধর্ম ,
যা আছে কপালে!
বিরোধী -স্ববিরোধী
যে কোন অর্থে ,
অদ্ভুত এ মর্তে
হবে ভাব'তে
"হায়াতে ত্যাইয়িবা' তে"!
২৯| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৪৬
কেল্টূ দা বলেছেন: গোত্রবিশেষের মুরীদ হইলে, নাস্তিকগো বেপারে এইসব বালং ছালং জ্ঞানই পাইবা ।
০১ লা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৬
আব্দুর রহমান বলেছেন: কেল্টু দা'র চরিত্রটা খুবই ধূরন্দর! সে শুধু জানে কিভাবে নন্টে আর ফন্টে কে বিপদে ফেলানো যায়, তার মাথায় ধূর্ত যতসব বুদ্ধি কাজ করে।
আমি কারো মুরিদ না। আপনি যে, "বালং ছালং" উল্লেখ করেছেন, এইটা কি খুবই মার্জিত ভাষা? আর এইগুলোই বুঝি আপনি নাস্তিক হয়ে শিক্ষা লাভ করেছেন? আচ্ছা ধরে নিলাম, আমরা খারাপ, কিন্তু আপনি নাস্তিক হয়ে কি শিখলেন? এইসব জঘন্য টাইপ ভাষা ব্যবহার করলেন আর তাতেই সব হয়ে গেল।
তো নাস্তিক হিসেবে আপনি কি বুঝেন তা একটু সেয়ার করলে কি দোষ হতো?
৩০| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৪৯
নাফীস কাজী বলেছেন: মানুষে বলে "নাস্তিকে বাংলা বুঝেনা"।অর্থাৎ নাস্তিককে যতই বুঝাও সে বুঝবেনা।মানুষ নাস্তিক হয়ে জন্মায় না।বড় হয়ে বুঝে শুনে (বেশি বুঝে) নাস্তিক হয়।তাই সধু নাস্তিকের চেয়ে খারাপ মুসলমানকে বুঝানো ভাল।
যারা আপনার লেখা বুঝছে তারা + দিছে অথবা কমেন্ট করে নাই।
আর যারা "বাংলা বুঝেনা" তারা উল্টাপাল্টা কমেন্ট করছে।
মন খারাপ কইরেন না ।আপনার মহতী উদ্দোগ আল্লাহ কবুল করুক।আমিন।
বড় বড় +++++++++++++.
৩১| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:০৬
বজ্রকণ্ঠ বলেছেন: আল্লা টাল্লা নাই, তবে ভগবান কিন্তু ঠিকই আচে.....
একমাত্র সত্য ধর্ম হলো হিন্দু ধর্ম
এই যে ভগবানের অস্তিত্ব.........
৩২| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:১০
মুহাম্মদ মোহেব্বুর রহমান বলেছেন: লেখকে প্লাস।
২৪ নম্বর মন্তব্যকে প্লাস।
৩৩| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:২০
অলস ছেলে বলেছেন: ফেরেশতা হুমায়ুন আজাদের মুর্তি বানায়া তার সামনে মুক্তমনা প্রার্থনার আয়োজন করা হৌক, ব্যাকগ্রাউন্ডে রবীন্দ্র সঙ্গীত তেলাওয়াত হৈলে মুক্তমনাদের তৃপ্তি মোচণ হবে।
৩৪| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৩
:) বলেছেন: http://www.msf.org - Médecins Sans Frontières (MSF) is an international humanitarian aid organisation that provides emergency medical assistance to populations in danger in more than 70 countries.
আরেকটা কথা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ ভলান্টিয়ারই ধার্মিক না। ওদের কি ঠেকা পরসে উন্নত দেশের আরাম আয়েশ থুইয়া আফ্রিকার কষ্টের জীবন বেছে নিতে? নাস্তিক সম্পর্কে আপনার ধারনা ঠিক করেন।
আরেকটা কথা আমি যদি মুসলমান না হয়ে হিন্দু/বৌদ্ধ/সাইন্টলোজিস্ট/মরমন হই তাইলে আমি বেহেষ্তে যাইটে পারবো তো? আর পরলে তো কোনো সমস্যা নাই যে যার মত ধর্ম (ধর্মহীনতা) পালন করলেই চলে। নাকি বলেন?
৩৫| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৬
একজন সুখীমানুষ বলেছেন: একজন মানুষ খারাপ কাজ করল যেমন, কাউকে হত্যা করল, চুরি করল, মানুষকে কষ্ট দিল, মানুষের অধিকার জোর করে কেড়ে নিল, রেপ করল এবং একদিন মরে গেল! দুনিয়াতে তার কোন বিচারই হল না, নাস্তিক থিওরী অনুযায়ী সে দুনিয়াটাকে উপভোগ করেছে
এইটা যে নাস্তিকদের থিওরী তোমারে কে বলছে?
অন্য কেউ এর সাথে পুরা একমত।
সম্পূর্ণ মূর্খতা নিয়ে লিখেছেন। কিছু বলার নাই। কম্যুনিকেট করতে চেষ্টা করতাম যদি কোন অংশ থাকত তার উপযোগী।
হে মহান কাবজাব, এ্যাগুরে গিয়ান দ্যাও (বইপত্তর কিছু কিন্না দ্যাও, নয়তো ডাউনলোড লিংক দ্যাও), আর এ্যাগুরে ক্ষমা কর! কামিন!
৩৬| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৩
একজন সুখীমানুষ বলেছেন: কাউকে হত্যা করল, চুরি করল, মানুষকে কষ্ট দিল, মানুষের অধিকার জোর করে কেড়ে নিল, রেপ করল
এইসব কাজে তথাকথিত ধার্মিকরাই(আসলে ধর্মব্যবসায়ীরাই) এক্সপার্ট। স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধী যারা ৭১এ উপরোক্ত কাজগুলি নিপুনতার সাথে করেছে তারা কেউই নাস্তিক না। বরং আপনাদের মতই ধার্মিক
০১ লা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:২১
আব্দুর রহমান বলেছেন: এদের বিচার যদি দুনিয়াতে না হয় তাহলে যারা অত্যাচারিত হল তাদের কি হবে? শুধু চোখের পানি ফেলবে?
এর উত্তর দিন, অযথা ফালতু মন্তব্য করে মনে হয়তো তৃপ্তি পাওয়া যায় কিন্তু কোন সমাধান হয় না।
৩৭| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৬
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আদম হাওয়া বিচার করলে মানুষের অস্তিত্ব যদি ১০ লক্ষ বছর ধরে হয় তাহলে ধর্মের বয়স তখন থেকেই।তার মানে ধর্মের কনসেপ্ট টা আসছে আজকে থেকে কয়েক লক্ষ্য বছর আগে আর ১৪০০ বছর আগে ইসলাম পূর্ণতা লাভ করছে। আর নাস্তিকতা প্রসার লাভ করছে রেনেসার পর থেকেই।
তাইলে এইটা বলেন ধর্ম থাকা সত্বেও পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া গনহত্যা কানিবলিজম, যুদ্ধ কেনো আগে থামেনি, মানুষের অপরাধ প্রবনতা কেনো কমেনি? আর এখনতো দেখা যায় নাস্তিকদের আধিক্য যেসব দেশে বেশী সেখানে বর্বরতা খুবই কম দেখা যায় যেমন একটা দুইটা আর যেইখানে ধর্ম নিয়া চিল্লাচিল্লি সেইখানে তো দেখা রাস্ট্রিয় ভাবে বর্বরতা মদদ দেয়া হয়, সেটার ব্যাপারে কি কোনো আলোকপাত আছে!
০১ লা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:১৬
আব্দুর রহমান বলেছেন: নাস্তিকদের কাছে বর্বরতার সংজ্ঞাটি কি? একটু উল্লেখ করুন।
৩৮| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:০০
বদরুল খান বলেছেন: +++++++++++
৩৯| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:২৬
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নাস্তিকদের খবর আমি জানি না, তবে আমার কাছে বর্বরতা হইলো হুদূদ আইনের মুখতারান মাই, তারপর মালয়েশিয়ার ভূমিপুত্রা, তারপর সৌদির ধর্ষনের মৌজমারা আইন, মুতা বিয়ার সিস্টেম, তারপর আধুনিক তদন্ত ব্যাবস্হা ছাড়াই মোল্লাদের আখড়ায় বিচার ব্যাবস্হা (সৌদি, ইরানসহ ইত্যাদি)(এইটা হইলো এদের দেশে নাকি লাশের ময়ান তদন্ত নিয়া নাকি ব্যাপক কাহিনী ছিলো ২০০৪ সাল পর্যন্তও। তবে বর্তমান সৌদি সরকার কি ব্যাকরনের কারনে আধুনিক ব্যাবস্হা গুলো এ্যাডপ্ট করে আর হাসির বিষয় হলো এই জন্য বাংলাদেশ থেকে ২০০৬/২০০৭ সালে ব্যাপক ভাবে ডাক্তার রিক্রুট করে)
আরো অনেক আছে যেমন আজকে না গতকাইল যেই জঙ্গী নাইজেরিয়ায় ধরা পড়লো সে যা করছে, পাকিস্তানে শিয়া সুন্নির রায়টের পর নাকি মোট ৫৫ টার মতো মামলা হয়েছে বাকি গুলান নাকি সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা.......আমি নাস্তিক না তবে এগুলান আমার কাছে বর্বর লাগছে!
আর জার্মানী সুইডেন আমেরিকাতেও হয় তবে ঐখানে এরকম দিনে দুপুরে মিনিটে মিনিটে মানুষ মরে না মনে হয়!
০১ লা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৫
আব্দুর রহমান বলেছেন: কিছু বিচ্ছিন্নবাদীদের কার্যকলাপ দিয়ে ইসলামকে বিচার করবেন না। একটা লেটেস্ট মডেলের গাড়ি যখন কেউ চালিয়ে এক্সিডেন্ট করে তখন কেউই গাড়িটাকে দোষ দেয় না, দোষ দেয় চালকটিকে। ঠিক তেমনি কিছু লোক জঘন্য আচরণ করল আর এরজন্য ইসলামকে দোষারোপ করা ঠিক না।
আর আমেরিকার কথা বলছেন? সেখানে প্রতি ৩২ সেকেন্ডে একটা করে রেপ হয়! আমেরিকা পৃথিবীর সবচেয়ে অপরাধ প্রবণ দেশ আর আমেরিকাতেই সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লংঘিত হয়।আমার কথা বিশ্বাস হয় না?
United States Crime Rates 1960 - 2007 এখানে ক্লিক করুন
আরো জানার জন্য, U.S. Department of Justice,U.S. Crime Report, F.B.I. Crime Report লিখে গুগলে সার্চ দিন। দেখুন তাদের অপরাধ করার নমুনা!
৪০| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:২৮
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আর ৭১, তারপর ইদানিংকার বিভিন্ন জায়গায় ফতোয় দিয়া দোররা মারন এগুলান তো পুরাই বর্বরতা। আবার শোনা যায় হুজুর ৫০০০ টাকা ঘুষনা দিয়া ধর্ষকের উল্টা বিচার করে!
এইসব শুনি, তয় দেখি নাই। তবে এগো হাতে ক্ষমতা গেলে এই দেশটা হারামীর হাতে পড়বো এইডা নিয়া কুনো দ্বিমত নাই, কারন আমাদের দেশের ৯৯% মোল্লারা হারাম খোর!
০১ লা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৪১
আব্দুর রহমান বলেছেন: এইসব যারা করে তারা প্রকৃত মুসলিম না, নামধারী মুসলিম। আর এদের হাতে ক্ষমতা কখনও যাবে না। সে ব্যাপারে নিশ্চিত থাকুন। আল্লাহ আমাদেরকে অবশ্যই এই সব বিভ্রান্তকারী মুসলিমদের হাত থেকে রক্ষা করবেন। তবে এর জন্য অবশ্যই আমাদেরকে, মানুষের নিকট প্রকৃত ইসলামকে তুলে ধরতে হবে। মানুষের মনে ইসলাম সম্পকে প্রচুর ভুল ধারণা উপস্থিত, আর এগুলো হয়েছে মুসলিমরা কুরআন থেকে দূরে সরে গেছে আর ইসলাম সম্পর্কে জানার চেষ্ট্রা করছে ইসলাম বিরুদ্ধবাদীদের লিখা থেকে। যার কারণে আমাদের আজকে এই অবস্থা।
মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমীন।
৪১| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৪১
মানুষ বলেছেন: একজন মানুষ আল্লাহকে বিশ্বাস করল আর তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী নিঃস্বার্থভাবে ভাল কাজ করল যেমন, মানুষের উপকার করল, কাউকে তার নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করল না, ঘুষ খেল না, সৎভাবে জীবন যাপন করল, মানুষের মুখে হাঁসি ফুটালো তারপর একদিন মরে গেল।
এবং আর একজন মানুষ যীশু খ্রীষ্ট'কে বিশ্বাস করল আর তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী নিঃস্বার্থভাবে ভাল কাজ করল যেমন, মানুষের উপকার করল, কাউকে তার নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করল না, ঘুষ খেল না, সৎভাবে জীবন যাপন করল, মানুষের মুখে হাঁসি ফুটালো তারপর একদিন মরে গেল।
কে বেহেস্তে যাবে?
০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:১৯
আব্দুর রহমান বলেছেন: ইসা (আ) আল্লাহর নবী ঠিক তেমনি মুহাম্মদ (স)ও আল্লাহর নবী।
আপনি যদি ইসা (আ) এর কথা মানেন তাহলে আপনি অবশ্যই মুহাম্মদ (স) এর কথা মানবেন। কারণ, তারা এক আল্লাহর বাণীই প্রচার করেছেন আর তাদের উদ্দেশ্যই ছিল মানুষকে এক আল্লাহর দাসত্বের দিকে আহবান করা।
ইসা (আ) আল্লাহর নবী, উনার মাঝে যে অলৌকিকতাগুলো ছিল তাও আল্লাহর দান। আদম (আ) কে তো আল্লাহ পিতা-মাতা ছাড়াই সৃষ্টি করেছিলেন তাহলে, ইসা (আ) কে পিতা ছাড়া সৃষ্টি করা কি আল্লাহর পক্ষে অসম্ভব? মহান আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তাই হয় তিনি শুধু বলেন "হও" আর তা হয়ে যায়।
আপনি যদি এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে আগ্রহী হন তাহলে জানাবেন। ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
৪২| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:০০
ইনক্রেডিবল বলেছেন: একটা ব্যাপার আমার কাছে পরিস্কার না.... আমি তো আর নিজে থেকে দুনিয়াতে আসতে চাইনি তাহলে আমারে দুনিয়াতে পাঠিয়ে এইসব বেহেশত-দোযখের নিয়মকানুন দেখানো কেন?
৪৩| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৪৫
মজনু মিয়া বলেছেন: স্বপ্ন-বয়ান বলেছেন: ভালো লিখেছেন, ভাই। আপনার মনণশীলতা ভালো লাগলো। কিন্তু ভাই, আল্লাহ তো পরকালেই সব বিচার ক'রবেন তো এজনমে ক্যানো জেল, ফাঁসি, বিচার, আদালত????
০১ লা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:১৬
লেখক বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম,
জেল, ফাঁসি, বিচার আদালত এগুলো কোন নিয়মে পরিচালিত হচ্ছে?
মানুষের বানানো নিয়মে। আর আদালতে কি একজন মানুষের সামগ্রিক জীবনের বিচার করা হয়? অবশ্যই না, সেখানে এক বা একাধিক অপরাধের বিচার করা হয় এবং অনেক আশ্চর্যের বিষয় অনেক সময় নিরপরাধ মানুষকেও অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়।
মহান আল্লাহ মানুষের প্রতিটা কৃতকর্মের হিসাব নেবেন এমনকি অনু পরিমান ভাল-মন্দ কাজেরও হিসাব করা হবে, কারো প্রতি অবিচার করা হবে না এবং প্রত্যেকেই তার নিজস্ব কৃতকর্ম অনুযায়ী জান্নাত-জাহান্নাম পাবে। আশাকরি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
৪৪| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:০৯
এস. এম. রায়হান বলেছেন: "উদাসী স্বপ্ন" একজন উগ্র সাম্প্রদায়িক ব্লগার। সে নিজে আস্তিক হয়েও লেখককে নাস্তানাবুদ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। দেখেন না, বর্বরতার সংজ্ঞা দেয় কীভাবে। এদেরকে মার্ক করে এড়িয়ে চলুন।
৪৫| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:১২
এস. এম. রায়হান বলেছেন: সে যীশু খ্রীষ্ট'কে গড নাকি মানুষ হিসেবে বিশ্বাস করল?
@মানুষ
৪৬| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৩০
ইরফান রিজভী বলেছেন: লৈখক বলেছেন: আপনাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, এইটা আমাদের জানার ভুল। আমাদের ইসলামি জ্ঞান অর্জিত হয় দাদি-নানী, বাপ-চাচা, বড় ভাই এরকম মানুষদের নিকট থেকে শুনে শুনে। এইসব অর্জিত জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে আমরা মনে করি আমরা অনেক কিছু জানি। আমি আপনাকে অনুরোধ করব কুরআনের তাফসীর পড়ার জন্য, অনেক বইতো পড়েছেন, এইবার কুরআনটি তাফসীর সহ পড়ে দেখুন। যদি সত্যিই প্রকৃত মুসলামান হয়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন, কি করা উচিত আর কি করা উচিত না।
আমার মন্তব্য:
আমি যে কোরআন পড়ি না তা কি আমি বলেছি? আমি আমার ধর্ম আমার মত শান্তিতেই পালন করি, আর ধর্মীয় বই ও পড়ি, এগুলো আমি বলতে না চাইলেও আমাকে বাধ্য করলেন বলতে।যাই হোক, আমি হাতের সামনে যা পাই তাই ই পড়ি, তথাকথিত মুসলমানদের মত "নাস্তিক" বইলা কারো মেধা, জ্ঞানের অবহেলা করতেও নারাজ। প্রতিটা মানুষেরই জ্ঞান সাধনা করার অধিকার থাকে। আমি তাই কোন মানুষকে অযথা দুর্বল আর ভিত্তি হীন কিছু নীতির উপর ভিত্তি করে অবহেলা করতে চাই না। আমরা সবাই মানুষ। এটাও অনেক বড় একটা বেপার আমার কাছে। আর হে নিজের বিশ্বাস অন্যের উপর চাপায়ে কাউকে কুপোকত করতে আমি ঘৃণাও করি। যাক, এই সব নিয়ে আমি আর বাড়াতে চাই না। ভালো থাকবেন।
০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৩৪
আব্দুর রহমান বলেছেন: আপনি যদি কুরআন পড়ে বুঝতেন তাহলে এইসব কথাগুলো বলতেন না! কারণ, আপনি যদি সত্যিই বুঝে কুরআন পড়তেন অন্তত এই জায়গায় এই অর্থহীন তর্ক করতেন না। আর আপনি এমন একজন লোককে উস্তাদ মানেন যে কিনা নাস্তিক। আর এর জন্য আপনি গর্বিত। ভালো। আপনি যা ভাল বুঝেন।
নিছে শুধু কিছু আয়াত তুলে ধরলাম:
মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে। ৩ নং সূরা ইমরান আয়াত নং ২৮
আর আমি কি তাদের জোড় করেছি? আমি কি তাদের বলেছি যে আপনাদের অবশ্যই ইসলাম গ্রহণ করতে হবে? না তা করি নি। একা একা ধর্ম পালন করার মত ধর্ম ইসলাম না। আপনাকে জানতে হবে, মানতে হবে এবং অপরকে যুক্তি সহকারে জানাতে হবে।
"তোমার রব্বের-এর পথের দিকে আহবান জানাও হিকমত ও উত্তম নসীহতের সাহায্যে। আর লোকদরে সাথে পরস্পর বিতর্ক কর এমন পন্থায়, যা অতি উত্তম। তোমার রব্বই বেশী ভাল জানেন, কে তাহার পথ হতে ভ্রষ্ট হয়েছে আর কে সঠিক পথে আছে।" ১৬ নং সূরা নাহল আয়াত নং ১২৫
আর সেই ব্যক্তির কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার হতে পারে, যে ব্যক্তি আল্লাহর দিকে ডাকে, নেক আমল করে এবং বলে, "আমি মুসলমান।।" ৪১ নং সূরা হা-মীম আস-সিজদাহ আয়াত নং ৩৩
তিনিই প্রেরণ করেছেন আপন রসূলকে হেদায়েত ও সত্য দ্বীন সহকারে, যেন এ দ্বীনকে অপরাপর দ্বীনের উপর জয়যুক্ত করেন, যদিও মুশরিকরা তা অপ্রীতিকর মনে করে। ৯ নং সূরা আত তাওবাহ আয়াত নং ৩৩
তিনি তাঁর রসূলকে পথ নির্দেশ ও সত্যধর্ম নিয়ে প্রেরণ করেছেন, যাতে একে সবধর্মের উপর প্রবল করে দেন যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে। ৬১ নং সূরা আছ ছফ আয়াত নং ৯
তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। ৩ নং সূরা আল ইমরান আয়াত নং ১১০
একা একা ইসলাম পলন করছি বলেই আজকে এই অবস্থা। আমরা মানুষকে প্রকৃত ইসলামের বাণী পৌঁছে দেই নাই বলে আজ তারা ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করছে ইসলাম বিরুদ্ধবাদীদের লেখা থেকে। আপনি নিজের জন্য যা ভাল মনে করেন তা অপরের জন্য খারাপ মনে কেন করবেন?
তারা বিভ্রান্ত হয়েছে এর জন্য আল্লাহ আপনাকে জিজ্ঞেস করবেন না কিন্তু আপনি সত্যের দাওয়াত তাদের কাছে পৌছিয়েছিলেন কিনা এর জন্য আপনাকে আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে। আমাদের দায়িত্ব সত্যের দাওয়াত পৌছে দেওয়া, তারা মানবে কি মানবে না এটা তাদের ব্যাপার। আমাদের দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হবে। হিদায়াত দেওয়ার মালিক আল্লাহ।
আমি মানুষকে হেয় করি না তবে তাদের মাথায় চিন্তা করার খোরাক জুগিয়ে দিই, তারা ভেবে দেখুক আসলে কি করা উচিত।
আশা করি আমার উদ্দেশ্যটি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
ভাল থাকবেন। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমীন।
৪৭| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:২৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এস. এম. রায়হান বলেছেন: "উদাসী স্বপ্ন" একজন উগ্র সাম্প্রদায়িক ব্লগার। সে নিজে আস্তিক হয়েও লেখককে নাস্তানাবুদ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। দেখেন না, বর্বরতার সংজ্ঞা দেয় কীভাবে। এদেরকে মার্ক করে এড়িয়ে চলুন।
ভাইজান কি আমারে জঙ্গী কইলেন নাকি অসম্প্রদায়িক নাস্তিক কইলাম বুঝলাম না!
তয় আব্দুর ভাই, আপনে আমার কথার টোনই বুঝেন নাই। পয়লা আপনের ওয়েব সাইট নিয়া দুইটা কথা কই। ওয়েব সাইট দেইখা মনে হইলো না এইডা ওগো বিশ্বস্ত কুনো ওয়েব সাইট, একটু খোজ খবর নিলে জানবার পারবেন ডট কম আলা দুনিয়ার যেই কয়ডা ওয়েবসাইট আছে সেগুলানে হোস্ট কইরা এমুন জিনিস দিয়া সস্তায় কাম যে কেউ করতে পারে। আর যুক্তরাস্ট্রের মতো ধনী দেশ কয়ডা টাকার লিগা এমুন ফাউল ওয়েব সাইটে এতো বড় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিবো এমুন মধ্যপ্রাচ্যটাইপ ভূদাই ওরা না!
যাই হোক, কাজের কথা আসি, আমার কথা ধর্ম কখনোই সামর্থ না দুনিয়ায় শান্তি আননের জন্য। মুহাম্মদ (সা) যতদিন বাইচা ছিলো ততদিন সব ঠিক ছিলো তারপর যেই কয়ডা খলিফা আইলো সব কয়ডার রাজত্বকালে এমন ফ্যাকড়া বাজছে যে লাস্টে অনেকে বেশী ভালো ভাবে সেগুলান মিটাইতে পারে নাই। তারপর পরবর্তী মুসলিম শাসন যেমনে উঠছে তেমনি ধইসা পড়ছে আর এমন ভাবেই ধ্বসছে যে সেইটা আমাগো বাংলার বোকা দেশপ্রেমিক সিরাজ চাচ্চুও মীরজাফরের হাতে এমুন ধরা খায় নাই। আর সব শাসকই দেখা যায় যাগো কারনে ডুবছে তারা বেশীরভাগই স্বজাতী মুসলিমদের বিট্রের কারনে। তারাই যখন পারলো না আমরা কোন ছাড়!
বর্তমানের ইরানরে দেখেন চোরা আহমদিনেজাদ যদি চোরামীই না করতো টাহলে তার বিরুদ্ধে ঘটা প্রটেস্টে স্নাইপার নামাইয়া আকাম না করলেও পারতো। অখন দেখেন গতকাইল ১০০ জন বিরোধী দলীয় নেতাদের গোপন বিচার চলতাছে। মনে করি বাংলাদেশ খুব খারাপ একটা দেশ, কিন্তু সেইখানেও শেখ হাসিনা খালে জিয়ার বিচার হইছিলো খোলা আদালতে। আর এইসব ইসলামী ধ্বজাধরাগুলান ইসলামী বিচারের নাম করে আকাম করনের চান্স পায়। আমি আল্লাহ এবং ইসলাম দুটোই মাথা নত করে মেনে চলি কিন্তু এমুন একটা মুসলিম রেজিম দেখান যেখানে ধর্ম দিয়া শান্তি আনবার পারছে?
মালয়েশিয়ার কথা কিন্তু কইয়েন না, কারন কালকাও দেখলাম শত শত মানুষরে রাস্তায় সরকারের বিরুদ্ধে প্রটেস্ট করার জন্য পুলিশের লাথ্থি গুতা খাইতাছে!
ধর্ম কখনোই মানুষকে সৎপথে আনতে পারে না, যেটা পারে সেটা হলো নিজের বিবেক আর সত্বা। সেটা যদি কলুষিত না হয় তাহলে হাজারো ধর্মের নিয়ম দিয়ে কিছুই করন যাইবো না!
ছোট কালে একটা কোবতে শুনতাম:
মাগো তুমি দেখাস নে আর জুজু বুড়ির ভয়
তোমার খোকা এখন আর ছোট্ট টি নয়!
০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:০৮
আব্দুর রহমান বলেছেন: আপনার সাথে কথা বলতে আমার বিন্দু মাত্র ইচ্ছা ছিল না, কারণ আপনি আমার নামটিকে বিকৃত করে লিখেছেন "আব্দুর ভাই"। এইটাই আপনার তথাকথিক বিবেক আর সত্বা তাই না? খুব ভাল।
//বিবেক আর সত্বা//
বিবেক আর সত্বা কোথা থেকে শিখবেন? আপনি কি নিজে নিজে বিবেক আর সত্বা তৈরী করবেন? একটি শিশু যখন বড় হয় তখন সে কোথা থেকে এগুলো শিখবে? নিজে নিজে? না, তা কখনই সম্ভব নয়। তাকে অন্য আর একজন এর কাছে নির্ভরশীল হতে হবে, সেই অন্য একজনটা কে? আরেকজন মানুষ। আচ্ছা, তাকে কে বিবেক আর সত্বা শিখালো? অন্য আর একজন মানুষ। আচ্ছা, তাকে কে শেখাল?..... এই প্রশ্নের কিন্তু আপনি এইভাবে কোন উত্তর দিতে পারবেন না। সবাই কারো না কারো কাছ থেকে শিখে। ভাল কথা, এখন বলুন, মানুষের ক্ষমতা কতটুকু? তার পক্ষে সকল প্রকার বিবেক আর সত্বা কিভাবে বুঝা সম্ভব? মানুষ কিভাবে এগুলো শিখবে?
মানুষের যিনি সৃষ্টিকর্তা তিনি শিখিয়েদিয়েছেন বলেই না মানুষ বিবেক আর সত্বা সম্পর্কে জানতে পেরেছে।
এখন বলুন যে মানুষকে বিবেক আর সত্বা শিখালো তার দেওয়া বিধান যদি আপনি না মানেন তাহলে আপনি কিভাবে আশা করেন যে কলুষমুক্ত সমাজ পাবেন?
এই পৃথিবীতে কারো পক্ষেই ১০০% সুখী হওয়া সম্ভব নয়। মানুষের সমস্যা একটা না একটা থাকবেই। দুনিয়ার কোন দেশটা ১০০% সুখী? আর আমি আমেরিকার যে তথ্য দিয়েছি তা সত্য। আপনার যদি বিশ্বাস না হয়, আপনি আমেরিকায় যেয়ে অদের বাস্তব অবস্থা দেখতে পারেন।
ইসলাম কোন নাম সর্বস্ব ধর্ম না। এর একটা জীবন বিধান আছে। আপনি যে কথাগুলো বলেছেন,
//মুহাম্মদ (সা) যতদিন বাইচা ছিলো ততদিন সব ঠিক ছিলো তারপর যেই কয়ডা খলিফা আইলো সব কয়ডার রাজত্বকালে এমন ফ্যাকড়া বাজছে যে লাস্টে অনেকে বেশী ভালো ভাবে সেগুলান মিটাইতে পারে নাই।// ( আপনার লেখার স্টাইলটি খুব সুন্দর বিবেকবান আর সত্বা সম্পন্ন মানুষের পরিচয় দিচ্ছে!)
আপনি এই কথা কিসের ভিত্তিতে বলছেন? আপনি তো কিছুই বুঝতে পারেন নাই। আপনি ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করছেন ফালতু সব উৎস থেকে তার জন্যই এরকম কথা বলতে পেরেছেন। রাসূল (স) এর যুগে কি দুনিয়ার সবাই ইসলাম গ্রহণ করেছিল? না করে নি। মুসলমানদের মধ্যে অনেক মুনাফেকও ছিল। খুলাফারে রাশেদিন সুন্দরভাবেই শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করেছেন। সবাই কি তাদের শাসন মেনে নিয়েছিল? না। এই বিরুদ্ববাদীরাই কুৎসা রটনা করেছে।
আপনাকে একটা কথা বলি, সত্য সবাই গ্রহন করে না, কারণ এই ক্ষেত্রে কাউকে জোড় করা হয় না বা কাউকে বাধ্য করা হয় না। মানুষ স্বাধীন। সত্যের বাণী নমরুদ, ফেরাউন,আবু জেহেল আর আবু লাহাবের মতো মানুষেরা কখনও বুঝতে পারে না। কারণ তারা তাদের নিজেদের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
বিরুদ্ধবাদীরা সব সময়ই থাকবে। তারা সবসময়ই ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলবে। হাজারো মিথ্যা প্রমাণ হাজির করবে। তাই কি? ইসলামের সত্যিকার অনুসারীদের কিচ্ছু হবে না। কারণ, ইসলাম সত্য আর যারা গ্রহণ করবে তারাই সফলকাম হবে।
আপনার সাথে আর কথা বলার ইচ্ছা আমার নাই। কারণ, আপনি যুক্তি উপস্থাপন করতেই থাকবেন, করতেই থাকবেন। একটার জবাব দিবো তো আর একটা উপস্থাপন করবেন। কারণ, আপনি এগুলো করে থাকেন মানুষের সাথে মজা করার জন্য নিজে সংশোধন হওয়ার জন্য না। যাই হোক, ভাল থাকবেন।
৪৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৪১
ইরফান রিজভী বলেছেন: হুম। ধন্যবাদ। ধর্ম নিয়ে আসলে কথা বলাটাই পছন্দ করি না। যাই হওক, আমি যদি ভুল পথ এই থাকি তাহলে দোওয়া করিয়েন। ভালো থাকেন।
০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৩৫
আব্দুর রহমান বলেছেন: ইসলাম কোন নাম সর্বস্ব ধর্ম না। ইসলামকে আপনার অবশ্যই জানতে হবে। না জানলে নিজেই বিপদে পড়বেন।
কাজেই ইসলামকে আপনার অবশ্যই জানতে হবে। জানার চেষ্ট্রা করুন, মানার চেষ্ট্রা করুন এবং অন্যদের জানান।
৪৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:২৫
নাফীস কাজী বলেছেন: আপনার কি মনে হয় নাস্তিক দের বুঝায়া পারবেন। বেবুঝরে বুঝানো যায় কিন্তু নাস্তিক দের................
০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৫১
আব্দুর রহমান বলেছেন: ভাই, আমি তো বুঝানোর দায়িত্ব নেই নাই। শুধু তাদের মাঝে চিন্তার খোরাক জুগিয়ে দিতে চেয়েছি। কাজ কতটুকু হবে সেটা আল্লাহ জানেন।
ভাল থাকবেন।
৫০| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:০৪
আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: -
৫১| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:২০
বৃত্তবন্দী বলেছেন: আপনার লেখা থেকে এক এক প্যারা করে আগাই ঠিকাছে?
আপনি লিখেছেনঃ-
একজন মানুষ খারাপ কাজ করল যেমন, কাউকে হত্যা করল, চুরি করল, মানুষকে কষ্ট দিল, মানুষের অধিকার জোর করে কেড়ে নিল, রেপ করল এবং একদিন মরে গেল! দুনিয়াতে তার কোন বিচারই হল না, নাস্তিক থিওরী অনুযায়ী সে দুনিয়াটাকে উপভোগ করেছে! কারণ, যেহেতু সে মরে গেল তাই সে মুক্তি পেল, তার কোন বিচারই হল না! আর যাদের সে অত্যাচার করল, ক্ষতি করল তারা শুধু চোখের পানি ফেলবে, দুঃখ পাবে যে পর্যন্ত বেচেঁ থাকবে, তারপর মরে যাবে আর তার সকল দুঃখের অবসান হবে। কোন বিচার নেই, কোন জবাবদিহিতা নেই। কর যা খুশি, কে আছে বাধা দেওয়ার। বাহ! কি সুন্দর যুক্তি!
আপনি কি আমাকে বলবেন কোন নাস্তিকের লেখায় আপনি আপনার সো কল্ড "থিওরী" বা "যুক্তি" পেলেন?
নাকি এটা পুরোটাই ("থিওরী ও যুক্তি") আপনার মস্তিস্কপ্রসুত?
আশা করি উত্তর দিবেন
০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:০২
আব্দুর রহমান বলেছেন: আমার যা বলার আমি বলেছি, আপনি যদি না বুঝতে পারেন সেইটা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। সবাই যে আমার কথা বুঝতে পারবে আর আমার সাথে তাল মিলাবে আমি এমনটি আশাও করি না।
ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
৫২| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৩৯
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: পোস্ট পড়লাম । দুচারটা কমেন্টও পড়লাম। আপনে নাস্তিক ভাইদের কল করে আল্লাতায়ালার গুন গান শুরু করলেন কেন ? নাস্তিকতা ধারনা নিয়েও আপনার লেখার ধরনটা আবেগতাড়িত অথবা উদ্দেশ্যমূলক । নাস্তিকতা মানে কি স্বেচ্ছাচারিতা নাকি ? লেখার শুরুটাই বিরক্তি উৎপাদক । বলেছেন -
একজন মানুষ খারাপ কাজ করল যেমন, কাউকে হত্যা করল, চুরি করল, মানুষকে কষ্ট দিল, মানুষের অধিকার জোর করে কেড়ে নিল, রেপ করল এবং একদিন মরে গেল! দুনিয়াতে তার কোন বিচারই হল না, নাস্তিক থিওরী অনুযায়ী সে দুনিয়াটাকে উপভোগ করেছে! "
দুনিয়াকে এভাবে উপভোগ করার এই নাস্তিক থিওরী কে দিল ? আপনে ? ঘাস খান নাকি ?
০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৫৩
আব্দুর রহমান বলেছেন: আমি ঘাস খাই না, আমি আপনার মতই একজন মানুষ।
৫৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৪২
আলমগীর কুমকুম বলেছেন: নাস্তিকরা কি আপ্নার পাকা ধানে মই দিসে না বউ নিয়া ভাগসে?
০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৫৯
আব্দুর রহমান বলেছেন: কোনটাই করে নাই। নাস্তিকরাও তো মানুষ তাই না? তাদের তো বিবেক এবং সত্বা অন্যসকল মানুষের চেয়ে অনেক উন্নত!!!, তাহলে তারা এরকম কাজ কিভাবে করবে? আপনি কি নাস্তিকদের খারাপ বলে অভিহিত করতে চান?!!! আপনি কি বুঝাতে চান নাস্তিকরা এমনি যে তারা পাকা ধানে মই দেয় আর বউ নিয়ে পালায়? !!!
আপনার বুঝা উচিত ছিল, আমি কি বুঝাতে চেয়েছি। তবে এখন না বুঝলেও একদিন তা অবশ্যই বুঝতে পারবেন।
শুভ কামনা রইল।ভাল থাকবেন।
৫৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:০২
লড়াকু বলেছেন: ধরেন আমার জন্ম হইছে একটা হিন্দু / বৌদ্ধ / খ্রিস্টান পরিবারে। আমার কি হবে?
০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৫০
আব্দুর রহমান বলেছেন: আপনার তো বুদ্ধি আছে তাই না? আপনার বিবেক, আপনার বুদ্ধি, আপনার যুক্তি খাঁটিয়ে দেখুন কি করা উচিত। আপনিই নিজেই বুঝতে পারবেন।
শুভ কামনা রইল। ভাল থাকবেন।
৫৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:১৮
আরিফুর রহমান বলেছেন: বোঝার সুবিধার্থে আমার বক্তব্যগুলি বোল্ড করে দিচ্ছি...
[আলাদা পোস্টও দিয়েছি সবার দেখার সুবিধার্থে]
আপনি বলেছেন..
একজন মানুষ খারাপ কাজ করল যেমন, কাউকে হত্যা করল, চুরি করল, মানুষকে কষ্ট দিল, মানুষের অধিকারজোর করে কেড়ে নিল, রেপ করল এবং একদিন মরে গেল! দুনিয়াতে তার কোন বিচারই হল না, .. কেন বিচার হলো না? কেউ কি চুরির জন্য মামলা করে নি? রেপ করার অভিযোগ দায়ের করেনি? কোন অপরাধ করে থাকলে তার নামে পুলিস কি কোন তদন্ত করে নি? যদি এইসব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকান্ডগুলি হয়ে থাকে, তবে বিচার ছাড়াই তার মরে যাবার কাল্পনিক উদাহরন কিভাবে আসলো?
নাস্তিক থিওরী অনুযায়ী সে দুনিয়াটাকে উপভোগ করেছে! কারণ, যেহেতু সে মরে গেল তাই সে মুক্তি পেল, তার কোন বিচারই হল না! এই ধরনের নাস্তিক থিওরি আপনাকে কে দিয়েছে আমি ধরতে পারছি বোধ হয়। প্রতিপক্ষের সম্পর্কে এই ধরনের ভুল ধারনা প্রদানকারী আচরন আমরা সাধারনত নীচ মানসিকতার বিক্রয়প্রতিনিধির মাঝে দেখতে পাই...। নিজেদের পন্য বিক্রির জন্য (এক্ষেত্র 'ধর্ম-পালন নামের পন্য') তারা অন্যপক্ষের বক্তব্য (ধর্ম হলো ধর্ম-ব্যাবসায়ীদের জীবিকা, সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই, তাই পরকালের পেছনে সময় 'অপচয়' না করে মানবতা ও সৃষ্টিশীলতা, মননশীলতা, বিজ্ঞান, যুক্তি ইত্যাদি মানবীয় আচরনের পেছনে সময় দেয়া বেশি আনন্দদায়ক) ইত্যাদি পরহিতকর কথা কে বিকৃতি করে এক প্রকার বেহিসাবী ও উশৃঙ্খল জীবনের ধারনা তুলে ধরে। ধর্মজীবিদের এই আচরন হীনতাপূর্ণ।
আর যাদের সে অত্যাচার করল, ক্ষতি করল তারা শুধু চোখের পানি ফেলবে, দুঃখ পাবে যে পর্যন্ত বেচেঁ থাকবে, তারপর মরে যাবে আর তার সকল দুঃখের অবসান হবে। কোন বিচার নেই, কোন জবাবদিহিতা নেই। কর যা খুশি, কে আছে বাধা দেওয়ার। বাহ! কি সুন্দর যুক্তি! এটা যুক্তি হয় নি, উপরোল্লিখিত ধর্ম-জীবিদের বানোয়াট কু-যুক্তি। বিচার ও জবাবদিহিতা আছে, সেটা এই পৃথিবীতেই, বিচার ব্যবস্থা, ও সামাজিক শৃঙ্খলাই এর বিহিত করবে। অদৃশ্য ও অগোচর ইশ্বর, যার অস্তিত্ব আজ পর্যন্ত অপ্রমাণিত ও ধর্ম-জীবিদের কল্পিত, তার হাতে বিচারের ভার সঁপে দিয়ে আমরা বরং অপরাধীদের পার পেতে দেই। পাকিস্তানে, হুদুদ আইন ঠিক এভাবেই ধর্ষনকারীকে শাস্তির হাত থেকে বাঁচিয়ে দেয়।
.....[সংক্ষেপিত]......সে তার ভাল কাজের জন্য কোন প্রতিদানই পাবে না।
'ভাল কাজের' প্রতিদান যে আশা করে তার মতো লোভী আর কে হতে পারে?
আর যে পরকালে হুরী বা মদের 'লোভ' করে তার পক্ষে কি ভালো হওয়া আদৌ সম্ভব?
পরকাল যদি নাই থাকে তাহলে এই ভাল কাজ আর খারাপ কাজ করার মধ্যে পার্থক্য কি? 'মানুষ' হিসেবে একজন যখন ভালো হয়, তখন তার কাছে ভালত্বটাই সুখকর, সে কোনদিন অন্যের ক্ষতি করবে না, কারো কাছে অনুদানের আশা করবে না, কারন আত্মমর্যাদাবোধে ঋদ্ধ একজন মননশীল মানুষ কখনো প্রতিদান পাবার মতো ক্ষুদ্রতায় নিজেকে সমর্পন করতে পারে না। আর খারাপ যেকোন আচরন, তাঁর বিবেককে অশান্ত করে তোলে আত্মধিক্কারের আগুনে সে পুড়তে থাকে। পার্থক্যটা এখানেই।
আমাকে যদি কারো কাছে কৃতকর্মের জন্য জবাবদিহী নাই করতে হয় তাহলে আমার জীবনের উদ্দেশ্যটা কি? কৃত-কর্মে যদি কারো ক্ষতি সাধিত হয়, তার নিয়মানুগ বিচার হবার জন্য জুডিশিয়াল সিস্টেম আছে। একজন বিশ্বাসী যখনই তার কৃত কর্মের জন্য এই পৃথিবীর কোন আইনকে মান্য করে না, তখনই বরঞ্চ তার কৃত পাপের ফল থেকে সে বেঁচে যাবার সম্ভাবনা দেখা দেয়। আমরা যদি কারো কৃত পাপের জন্য 'ইশ্বরের হাতে ছেড়ে দেই' তবে তার প্রকৃত বিচার আদৌ হয় না, কখনো হয়নি। যে ইশ্বর নিজেই অবাস্তব, সে কি করে 'বিচার' কার্য সম্পন্ন করে?? পুরোটাই এক প্রকার মিথ্যার ধর্মীয় প্রহেলিকা নয় কি?
উপসংহার:
বাকি বক্তব্যগুলির উত্তর দেবার ইচ্ছে হলো না, ওগুলিতে বলার মতো আসলে কিছু নেই। পূর্বে বলা কথারই পৌনপুনিকতা দৃশ্যমান।
আশা করি এই ব্যখ্যাগুলি আপনার ভালো লাগবে।
১০ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪১
আব্দুর রহমান বলেছেন: লেখক বলেছেন: //কেন বিচার হলো না? কেউ কি চুরির জন্য মামলা করে নি? রেপ করার অভিযোগ দায়ের করেনি? কোন অপরাধ করে থাকলে তার নামে পুলিস কি কোন তদন্ত করে নি? যদি এইসব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকান্ডগুলি হয়ে থাকে, তবে বিচার ছাড়াই তার মরে যাবার কাল্পনিক উদাহরন কিভাবে আসলো?//
হিটলার তো অনেকগুলো মানুষ মেরেছিল, তাই না? তার বিচার কে করেছে?
বুশ সন্দেহ করে আফগানিস্তান আক্রমন করল লাদেনকে ধরার জন্য, হাজার হাজার নীরিহ মানুষ মারা গেল, তাদের বিচার কোথায় হচ্ছে? আচ্ছা তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম লাদেন সন্ত্রাসী, কিন্ত একজন সন্ত্রাসীকে ধরার জন্য এতগুলো নীরিহ মানুষকে মারা কেন? তাদের চোখের পানির বিচার কে করবে?
ইরাকে আক্রমন করল, বলা হল, ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্র আছে, পারমানবিক অস্ত্র আছে, হাজার হাজার নীরিহ মানুষ মারা গেল। কিন্তু পরবর্তীতে কিছু বিকল পাট্রিয়ট বোমা ছাড়া তো আর কিছুই পাওয়া গেল না। তাদের বিচার দুনিয়ার কোন আদালতে হচ্ছে?
টুইন টাওয়ার হামলা হলো, তিন হাজারের অধিক নীরিহ মানুষ মারা গেল, সেই সন্ত্রাসীদের বিচার কে করবে?
গুজরাটে মুসলমানদের পুড়িয়ে মারা হল, কত মানুষ তাদের স্বজন হারাল, তাদের বিচার দুনিয়ার কোন আদালতে হয়েছে?
'৭১ মুক্তিযুদ্ধে কত নীরিহ মানুষকে অযথা মারা হয়েছে, আর যারা মেরেছ তাদের অনেকেই মারা গিয়েছে। তাদের বিচার কে করবে?
মাফিয়ারা যাদের নাগাল পুলিশের বাইরে, কত রকম অপরাধ তারা করে চলেছে, দুনিয়ায় তাদের কোন বিচার হল না, তাদের বিচার কে করবে?
ব্যবসা বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে যারা ওজনে কম দেয় মানুষকে ঠকায়, ভেজাল জিনিস বিক্রি করে, মাল আটকে রেখে অধিক লাভ করে তাদের সবার বিচার কি দুনিয়াতে হচ্ছে?
চাকিরী করার ক্ষেত্রে যারা ঘুষ খাচ্ছে, বহাল তবিয়াতে বাড়ি, গাড়ি করছে তারপর একদিন মরেও যাচ্ছে, কই তাদের তো কোন বিচার দুনিয়াতে হলো না?
রিকশা চালক ভাইদের অনেক সময় কম ভাড়া দেওয়ার ফলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চালককে চড় দেওয়া হল, কই দুনিয়ার কোন আদালতে তার বিচার হচ্ছে?
ছিনতাইকারী ছো মেরে মোবাইল গাড়ির জানালা দিয়ে নিয়ে গেল, দুনিয়ার কোন আদালতে তার বিচার হচ্ছে?
আপনি আপনার ব্লগে আমার নাম বিকৃতি করে উপস্থাপন করলেন (আপনার তথাকথিত বিবেক অনুযায়ী তা ঠিক), যে কাউকে তার নাম বিকৃত করে বললে সে মনে কষ্ট পায়, দুনিয়ার কোন আদালতে তার বিচার হয়?
কিছু কিছু ঘটনার বিচার হয়, তাও আবার অনেক সময় অপরাধী ব্যক্তি খালাস পেয়ে যায়। দুনিয়ার আদালতে মানুষের প্রতিটা পাপ কর্মের বিচার হয় না। হয় শুধুমাত্র এক বা একাধিক অপরাধের।
এইভাবে যদি লিখতে থাকি লিস্ট শুধু লম্বা হতেই থাকবে, হতেই থাকবে।
আপনি আপনার যুক্তি নিয়ে ভাল থাকুন, তৃপ্তি অনুভব করুন। শুধু একটা কথাই বলতে চাই, একটা সময় আসবে এবং তা অবশ্যই আসবে তখন বুঝতে পারবেন আসলে কি করা উচিত ছিল।
আপনার প্রতি শুভ কামনা রইল। পরিবার পরিজন নিয়ে ভাল থাকবেন।
৫৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:৩৪
অন্য কেউ বলেছেন: লেখক: "শুধু একটা কথাই বলতে চাই, একটা সময় আসবে এবং তা অবশ্যই আসবে............"
হে লেখক; বাদ দ্যান। আমরা নাস্তিকরা বড়ই অবুঝ। বড়ই নির্বোধ। "একটা সময় আসবে" তো। আমরা বরং অপেক্ষা করি। আপাতত আমাদের মাফ কৈরা দ্যান।
আর যদি তা না করেন, তে শুনে রাখেন; শুধু একটা কথাই বলতে চাই, একটা সময় আসবে এবং তা অবশ্যই আসবে যখন আপনি বুঝতে পারবেন, মহান কাবজাবের রাস্তাই একমাত্র সইত্য।
আর্কিচু নহে!
৫৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:০৪
ফুয়াদ০দিনহীন বলেছেন: @অন্য কেউ ,
yes 'Time will come at last Judgement , when you understand everythings'
And you will cry for using slang aginst Lord of Universe name ......................................
৫৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৩
লুতফুল বারি পান্না বলেছেন: আরিফুর ভাই আপনার নামেও তো আপনার কিছু আপনজনেরা নানা রকম কথা বলে (এই মসজিদে জুতা নিয়ে কি সব উল্টা-পাল্টা ঘটনা)
সে ঘটনা যদি সত্যি হয়- তাহলে আপনার বিচার কে করবে?
আর যদি মিথ্যা হয় তাহলে আপনার সেই আপনজনদের বিচার কে করবে?
৫৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৫৬
হারান সত্য বলেছেন: আস্তিক নাস্তিকের বিতর্ক সার্বজনীন।
এই বিতর্কের মুলে আছে জীবন সম্পর্কিত মৌলিক ধারনা।
জীবন কি? আমরা কেন এই পৃথিবীতে এসেছি?
এই প্রশ্নের উত্তরে সকল ধর্ম একমত যে পৃথিবীর জীবন হচ্ছে পরীক্ষা কেন্দ্র। এই জীবনের কর্মফল মৃত্যুপরবর্তী জীবনে পাওয়া যাবে। ফলাফল কিভাবে হবে স্বর্গ-নরক, বেহেস্ত-দোযোখ না পুন:জন্ম তানিয়ে মতভেদ থাকলেও এই জীবনের কর্মফল যে অন্য জীবনে পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে সকল ধর্ম একমত।
এর বিপরীতে এক শ্রেনীর মানুষ মনে করেছে জীবন হচ্ছে রঙ্গশালা বা বিনোদন কেন্দ্র। এখানে যে যতভাবে জীবন উপভোগ করতে পারে সে তত স্বার্থক। এই দুই ধারা এতটাই বিপরীত এতটাই ভিন্নতর যে কোন তুলনাই হতে পারে না। যেমন ওজন আর দৈর্ঘের মাঝে কোন তুলনা হয় না।
সুতরাং আস্তিক-নাস্তিকের বিতর্কও কোন দিন শেষ হবে না। আমাদের উচিত যার যার বিশ্বাস অনুযায়ী মানব কল্যানে কাজ করা। সকল ধর্ম মুলত মানুষের কল্যানের জন্যই প্রবর্তিত হয়েছে। কাজেই আস্তিকদের মানব কল্যানে কাজ করতেই হবে। আর সেই কাজই যদি কেউ অবিশ্বাসী হয়েও করে তাতে আস্তিকদের আপত্তি থাকার কথা নয়। সুতরাং নাস্তিকরা যদি তাদের অবিশ্বাসকে মানব কল্যানে কাজে লাগাতে পারেন তাহলেই কেবল আস্তিক-নাস্তিকের একটা সাধারণ মিলন কেন্দ্র হতে পারে। অন্যথাই এই বিতর্ক একেবারে অনর্থক অপ্রয়োজনীয়।
৬০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪৪
িদনবদল বলেছেন: শিরোনাম আর লুথা ভাইরে ঝাঝা
আইসা পড়লাম ভাই।
৬১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৩
িদনবদল বলেছেন: আরিফুর রহমান::
কৃত-কর্মে যদি কারো ক্ষতি সাধিত হয়, তার নিয়মানুগ বিচার হবার জন্য জুডিশিয়াল সিস্টেম আছে। একজন বিশ্বাসী যখনই তার কৃত কর্মের জন্য এই পৃথিবীর কোন আইনকে মান্য করে না, তখনই বরঞ্চ তার কৃত পাপের ফল থেকে সে বেঁচে যাবার সম্ভাবনা দেখা দেয়। আমরা যদি কারো কৃত পাপের জন্য 'ইশ্বরের হাতে ছেড়ে দেই' তবে তার প্রকৃত বিচার আদৌ হয় না, কখনো হয়নি। যে ইশ্বর নিজেই অবাস্তব, সে কি করে 'বিচার' কার্য সম্পন্ন করে?? পুরোটাই এক প্রকার মিথ্যার ধর্মীয় প্রহেলিকানয় কি?
...........সেই জুডিশিয়াল ও বিভিন্ন দেশে বিবিন্ন রকম।
বলেন এইবার।
যেগুলোর পকখে -বিপখে আপনিই যুক্তি খুজে পাবেন।
ন্যায় বিচার এই দুনিয়ায় আপনে পেয়েছেন কি? আপনার চেনা -জানা সবাই?
...........।গো -মুর্খের দল।
৬২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৮
অন্ধকার রাত বলেছেন:
৬৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:২৯
কাকপাখি ২ বলেছেন: বেওকুব নাস্তৈকদের কথায় পাত্তা না দিয়া পোষ্ট দিতে থাকেন। আমরা আছি আপনের লগে।
৬৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:১৯
অবাঞ্চিত বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা হয়তো আছেন। কিন্তু আল্লা যে বানোয়াট এটা শিওর।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: গুড পোস্ট। +ঠিক আছে, কিন্তু একটা ভালো ঈশ্বর বেছে দিন না! এতগুলো ধর্ম কোনটা ছাইড়া কোনটা মানুম? পৃথিবীতে ধর্মের সংখ্যা কয়টা কন তো? আপনি কিভাবে শিওর হৈলেন যে আপনে যেইটা বিশ্বাস করেন,সেইটাই বেস্ট?