রাগকে করে বশ, হউন নিজের বস ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৩১

মানবদেহে ৬ টা রিপু আছে রাগ তাদের মধ্যে অন্যতম । এর সংজ্ঞা যে যেভাবেই দিক না কেন আমি বলব রাগের সময় একটু সতর্কতা হাজার অঘটন থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে তেমনি একটু অসতর্কতা অনেক সুন্দর সম্পর্ক কে ধূলিসাৎ করে দিতে পারে ।



হযরত উমর রাঃ কত চমৎকার কথা বলেছেন-

‘ কুস্তিতে যে বিপক্ষকে হারিয়ে দেয় সে নয় বরং রাগের সময় যে নিজেক নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে সেই প্রকৃত বীর’ ।



রাগের সময় নিম্নোক্ত কথাগুলি চিন্তা করিলে রাগকে নিয়ন্ত্রন করা সহজ হবে । কথাগুলি হল-



১। যদি কারো উপর আপনার রাগ হয় ও প্রতিশোধ নিতে ইচ্ছা হয় তখন একটু ভেবে দেখবেন, আপনার সাথে সামান্য বেয়াদবি করায় আপনি রাগ করেছেন অথচ এর চেয়ে বেশিগুণ আপনি খোদার নাফরমানী করেছেন । ঐ ব্যাক্তির উপর আপনার যতটুকু ক্ষমতা তারচেয়ে বেশি আপনার উপর খোদার ক্ষমতা । আপনার মত খোদাও যদি আপনার উপর প্রতিশোধ নিতে চায় তবে আপনার কি উপায় হবে?



২। সে বেয়াদবি করে আপনাকে ব্যথা দিয়েছে আপনিও কেন তার মত হতে যাবেন বা আপনিও কেন রাগ দেখিয়ে খোদার বিরাগভাজন হবেন ।



৩। হয়ত আপনি ইদানিং খোদার আদেশ মানতে গড়িমসি করেছেন তাই অপরেও আপনার কথা মানতে গড়িমসি করে ।



৪। খোদাকে ভয় করুন কেননা তিনি আপনার কার্যকলাপ দেখতেছেন ।



৫। দাঁড়ান অবস্থায় রাগ হলে বসে পড়ুন, বসা অবস্থায় রাগ হলে শুয়ে পড়ুন ।



৬। যার উপর রাগ হয়েছে তাকে সামনে থেকে সরিয়ে দিন বা নিজে সরে যান ।



৭। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে সুন্দর করে ওযু করুন ।



৮। মুখে ‘আয়ুজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম’ পড়িতে থাকুন।



৯। একটি কাগজে রাগের কারন লিখে তা পুড়িয়ে ফেলুন । দেখবেন রাগ সাইজ হয়েছে ।



১০। তাছাড়া, আমরা কেউ স্বয়ংসম্পূর্ণ নই, কোন না কোনভাবে অপরের সাহায্যের দরকার হয় । ভাবুন, যদি রাগ করেন তবে তার কাছে আবার সাহায্য চাইবেন কোন মুখে?



১১ । আমার নামে আচ্ছামত আপনার মনের ঝাল ঝেড়ে দিন আমি কিছু মনে করবনা বা এমন ব্যক্তিকে খুঁজে বের করুন যে আপনার কথা শুনবে ।



অপরের উপর রাগ দেখিয়ে পরে অনুতাপ করার চেয়ে রাগকে এখুনি নিয়ন্ত্রণে আনুন। সাম্প্রাতিক্কালে একটি সুন্দর কথা চালু হয়েছে-



‘রেগে গেলেন , তো হেরে গেলেন’



তো আসুন রাগের কাছে হার মানার চেয়ে রাগকে হারিয়ে দেই । রাগের লাগাম নিজের হাতে রাখা মানেই জয় আপনার হাতে । আর আমি জানি , আপনার দ্বারাই সম্ভব একাজগুলো করা ।

৬ টি +২/-০