নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ার-ই ছিল।(১৭ঃ৮১)হাজার জন জ্ঞানীর সাথে যুক্তিতর্কে হয়তো আমি জিতে যাব, কিন্তু একজন মূর্খের সাথে আমি কখনোই পেরে উঠবো না।।মূর্খের কথার প্রতিবাদ করো না।তাহলে তুমিই মূর্খ হয়ে যাবে।

দার্শনিক মুসাফির

দার্শনিক মুসাফির › বিস্তারিত পোস্টঃ

"নতুন সিদ্ধান্ত"/ "ফতোয়া"

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

১. ইমাম আহমদ (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে "একজন লোক কতটি হাদীসের জ্ঞান সনদসহ জানলে সে ফতোয়া দিতে পারবে?"
উত্তরে তিনি বলেছিলেনঃ ৫ লাখ হাদীস সনদসহ।।
.

২. ৯ম-১২শ শ্রেণী পর্যন্ত বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার পর বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে শর্তপূরণের পর একজন শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিকেলে পড়াশোনা করার সুযোগ পায়। বি এস সি লেভেলের ৪ বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া সম্পর্কে IUT এর একজন ক্লোজ বড়ভাই বলেছিলেন যে এই ৪ বছর মূলত তোমাকে "তোমার সাবজেক্টের" কোন বিষয় বোঝার জন্য ABCD জ্ঞান তথা বর্ণমালা এবং Reading পড়তে পারার যোগ্যতা অর্জন করানো হয়।
তারপর মাস্টার্সে একটি বিশেষ শাখায় এবং পিএইডিতে ঐ বিষয় সম্পর্কিত ক্ষুদ্র একটি শাখায় আপনাকে অধ্যয়ন করতে হবে।
এই জ্ঞান অর্জনের জন্য আপনাকে কমপক্ষে ৮ বছর অধ্যয়ন করতে হবে।
আমার ম্যাটেরিয়ালস ল্যাবে একজন শিক্ষক সাবজেক্ট এর গভীরতা বোঝাতে উদাহরণস্বরূপ বলেছিলেন যে এক সিমেন্ট নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে শ খানেক মানুষ পি এইচ ডি ডিগ্রিপ্রাপ্ত হয়েছে..
অর্থ্যাৎ সিমেন্টের অবস্থান আর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পুরো বিষয়টা একবার কল্পনা করুন।।
বুঝতে পারবেন।। ২০ বছর পর শুধুমাত্র সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে একটি বিশেষ ক্ষেত্রে "নতুন" সিদ্ধান্ত প্রদান.. যেটাকে শরীয়াহের ভাষায় "ফতোয়া" বলে।
.
৩. আমাদের দেশে সাধারণ মানুষের ইসলামী শিক্ষার দৌড় সাধারণত নিকটবর্তী মসজিদ বা মক্তবের হুজুরের নিকটে কোনভাবে কুরআনটা দেখে দেখে ধাক্কিয়ে ধাক্কিয়ে শেখা। পাশাপাশি ৯-১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ইসলাম শিক্ষা বই যেখানে "দেশপ্রেম ঈমানের অংগ"/"জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়ে পবিত্র" টাইপ জাল হাদীস পর্যন্ত ইসলামী জ্ঞানে পরিপূর্ণ হওয়া।।
.
সেখান থেকে "কিছু মানুষ" আল্লাহর অশেষ রহমতে দ্বীনের প্রকৃত দেখা পায় এবং ইসলাম সম্পর্কে "অন্যান্য কাজের পাশাপাশি" জানার চেষ্টা করে। তখন এই নতুন ব্যক্তিদেরকে পথভ্রষ্ট করতে শয়তান একটা নতুন গেইম খেলে। সেটা হচ্ছে-
"দ্বীনের যে কোন বিষয়ে যেসব ব্যাপারে সালফে সালেহীনদের মধ্যেও মতপার্থক্য ছিল সেসব ব্যাপারে মনোযোগী করে তোলা।"
.
ফলে দেখা যায় এসব ব্যাপারে পর্যাপ্ত পরিমাণ জ্ঞান না থাকায় আমরা নিজেরা তর্ক করতে করতে একসময় পরস্পরকে মুশরিক-কাফির-ফিরক্বা বলা শুরু করি। অতঃপর আমাদের সাথে দ্বিমত পোষণকারী "হক্বপন্থী" উলামাদের সাথেও অনুরূপ আচরণ করে থাকি।
অর্থ্যাৎ আমরা এমন বিষয়ে "ফতোয়া" প্রদান করি যে ব্যাপারে আমাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান নাই।।
.
লক্ষ করে দেখুন একটি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস "সিমেন্টের" ব্যাপারে যদি গবেষণা করার পর নতুন/পুরাতনের উপর ভিত্তি করে "নতুন সিদ্ধান্ত"/ "ফতোয়া" প্রদানে যদি ২০ বছরের অধিক সময় ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হয়।
তবে সেখানে যে "ইসলাম"কে আল্লাহ সর্বযুগের উপযোগী মানববিধান হিসেবে তৈরি করেছেন; তার একটি বিষয়ে কি পরিমাণ জ্ঞান থাকলে সে বিষয়ে ফতোয়া প্রদান করতে পারবেন ভেবেছেন কি??
.
একজন ডাক্তার অথবা একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী কখনো সিমেন্টের ব্যাপারে "সিদ্ধান্ত" ফতোয়া দেবেন না। আর দিলেও সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি গ্রহণযোগ্য প্রমাণ দিচ্ছেন।।
তবে সেক্ষেত্রে তার অবশ্যই এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকতে হবে।
ঠিক তেমনি কুরআন-হাদীস ফতোয়া দেবার জন্য শুধু বাংলা/আরবী ভাষার কুরআন নয় সাথে আরো অনেক শরীয়াহ সম্পর্কিত জ্ঞান প্রয়োজন।।
.
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
যদি কাউকে না জেনে ফতোয়া দেওয়া হয় (এবং ভুল সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়) তো এর গুনাহ ফতোয়াদাতাকে বহন করতে হবে।
(মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৮২৬৬; আলমুসতাদরাক হাকিম, ৫৭, হাদীস : ১৬১; আলআদাবুল মুফরাদ, ইমাম বুখারী, হাদীস : ২৫৯)
.
আল্লাহ আমাদের দ্বীন সম্পর্কে বাড়াবাড়ি থেকে হিফাজত করুন।
আমীন।।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: যাযাকাল্লাহ খায়রান।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

দার্শনিক মুসাফির বলেছেন: শুকরিয়া......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.