নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

* বই মনের চোখ খুলে দেয়। বই পড়ি জ্ঞানী হই। সনদধারী উচ্চশিক্ষিত লোকের চেয়ে জ্ঞানী মানুষ অনেক বেশী সম্মানিত |কার কত বেশী সার্টিফিকেট আছে বা নেই, এর চেয়েও বড় প্রশ্ন কে কতটা জ্ঞানী।

দেবদাস বাবু

দেবদাস বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘আলোর ফেরিওয়ালা’ পলান সরকার আর নেই

০১ লা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:২২


গ্রামে গ্রামে ঘুরে ছোট-বড় সবার দোরগোড়ায় বই হাতে পৌঁছে যেতেন পলান সরকার। সেই পলান সরকার আর বই বিলি করবেন না। আজ শুক্রবার দুপুরে ৯৮ বছর বয়সে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন পলান সরকার।

নিজের টাকায় বই কিনে পাঠকের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে বই পড়ার একটি আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য পলান সরকার ২০১১ সালে একুশে পদক পান। ২০০৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে নিয়ে প্রথম আলোর শনিবারের ক্রোড়পত্র ‘ছুটির দিনে’তে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন ছাপা হয় ‘বিনি পয়সায় বই বিলাই’ শিরোনামে। এটিই তাঁকে নিয়ে প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রথম প্রতিবেদন।
পরে সরকারিভাবে পলান সরকারের বাড়ির আঙিনায় একটি পাঠাগার করে দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ‘ইমপ্যাক্ট জার্নালিজম ডে’ উপলক্ষে বিশ্বের ভিন্ন ভাষার প্রধান প্রধান দৈনিকে একযোগে পলান সরকারের বই পড়ার এই আন্দোলনের গল্প ছাপা হয়। সারা দেশে তাঁকে বহু বার সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। তাঁকে নিয়ে ‘সায়াহ্নে সূর্যোদয়’ নামে একটি নাটক তৈরি হয়েছে।

পলান সরকারের জন্ম ১৯২১ সালে। তাঁর আসল নাম হারেজ উদ্দিন। তবে পলান সরকার নামেই তাঁকে চেনে দশগ্রামের মানুষ। জন্মের মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় তাঁর বাবা মারা যান। টাকাপয়সার টানাটানির কারণে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময়ই লেখাপড়ায় ইতি টানতে হয় তাঁকে। তবে নিজের চেষ্টাতেই চালিয়ে যান পড়ালেখা। স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ছিলেন পলান সরকার। তিনি ছিলেন বই পাগল মানুষ। প্রতিবছর স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যারা ১ থেকে ১০-এর মধ্যে মেধা তালিকায় স্থান পাবে, তাদের তিনি একটি করে বই উপহার দিতেন। এখান থেকেই শুরু হয় তাঁর বই বিলির অভিযান। এরপরে তিনি সবাইকে বই দিতেন। ডাক্তারি পরীক্ষায় ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর নিজেই হেঁটে হেঁটে বই বিলি করতেন। একটানা ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে করেছেন এই কাজ। রাজশাহী অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামজুড়ে তিনি গড়ে তুলেছেন বই পড়ার এক অভিনব আন্দোলন। প্রথম আলো তাই তাঁর নাম দেয় ‘আলোর ফেরিওয়ালা’।
২০১৬ সালে পলান সরকারের মুখোমুখি হয়েছিল প্রথম আলো। তখন তাঁর বয়স ৯৬ বছর। তিনি জানান, বই বিতরণের জন্য এলাকাভিত্তিক পাঁচটি বিকল্প বই বিতরণ কেন্দ্র তৈরি করেছেন। এ জন্য কয়েকটি বাজারের বইপ্রেমী কোনো দোকানিকে বেছে নিয়েছেন তিনি। দোকানের মালিক দোকানে মালামালের পাশাপাশি পলান সরকারের বইও রাখেন। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন বই নিয়ে যান। পড়া বই তাঁরা নিজেরাই আবার ফেরত দিয়ে নেন নতুন বই। মাসে এক-দুবার করে পলান সরকার দূরবর্তী এই কেন্দ্রগুলোতে ছেলের সঙ্গে মোটরসাইকেলে চেপে গিয়ে নতুন বই দিয়ে পুরোনো বই নিয়ে আসেন। এ ছাড়া পাঠাগারে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পুরস্কার হিসেবে তাদের হাতেও পলান সরকার বই তুলে দেন।

পলান সরকার যতদিন বেঁচেছিলেন ছড়িয়ে দিয়েছেন আলো। আজ সেই আলোর ফেরিওয়ালা চলে গেলেন।

সূত্র প্রথম আলো............................।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


জ্ঞানী মানুষ ছিলেন।

০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০৫

দেবদাস বাবু বলেছেন: তিনি জ্ঞানী ও উদারতায় মহান ছিলেন।

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন।

০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০৭

দেবদাস বাবু বলেছেন: আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করি।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: :(

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
‘আলোর ফেরিওয়ালা’ হারেজ উদ্দিন ওরফে পলান সরকারের
মৃত্যুতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। যুগে যুগে পালন সরকারেরা আসুক
জ্ঞানের আলো ফেরি করার জন্য।

০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০০

দেবদাস বাবু বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু কাকাজি আর কবে দেখবো এমন ফেরিওয়ালাকে

৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন!

এক আলোকিত হৃদয় প্রাণকে হারালো স্ব-দেশ!
খবরটা জানানোয় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
উনার বিদেহী আত্মার জন্য রইল আন্তরিক দোয়া, শুভকামনা ও প্রার্থনা।

প্রতি জেলায় একজন করে পলাস সরকার বড্ড বেশি প্রয়োজন এখন।

০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০০

দেবদাস বাবু বলেছেন: খবরটি পড়ে আমি কেঁদেছি, আর সেইজনই কাঁদবে যেইজন বই পাগল।

৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রয়াত পলান বাবুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁর অবদান মানুষ মনে রাখবে চিরকাল।

০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০১

দেবদাস বাবু বলেছেন: যুগ ‍যুগ ধরে পলান সরকার বই পাগল মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবে চিরকাল।

৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

শায়মা বলেছেন: শ্রদ্ধা এই আলোর ফেরীওয়ালার জন্য।

০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০২

দেবদাস বাবু বলেছেন: আমরা সবাই সামু ব্লগের পক্ষ থেকে গভীর ভাবে শ্রদ্ধা জানায়
আমরা সামু ব্লগের সবাই বই পাগল।

৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: দেবদাস বাবু,



এক আলোর ফেরিওয়ালার এমন করে নিভে যাওয়াতে মর্মাহত। যে আলো তিনি জ্বালিয়ে গেছেন বাড়ীতে বাড়ীতে, সেই আলো যেন তার শেষ ঠিকানার ঘরে সমুজ্বল হয়ে থাকে নিরন্তর!

০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০৪

দেবদাস বাবু বলেছেন: আমার ইচ্ছা আলোর ফেরিওয়ালা বাড়ি পরিদর্শন করা
যে বাড়িতে প্রতিটি কোনায় কোনায় মিশে আছে আলোর জোনাকী

৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট লোক। এই সমাজে এরকম মানূষ দরকার।

০২ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৪৯

দেবদাস বাবু বলেছেন: প্রতিটি ঘরে ঘরে দরকার

১০| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩২

হাবিব বলেছেন: "ইত্যাদির" মাধ্যমে চিনেছিলাম এই আলোর ফেরিওয়ালাকে। গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি ওনার প্রতি।

০২ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৫০

দেবদাস বাবু বলেছেন: পলান সরকার চিরকাল বেঁচে থাকবেন আমাদের মাঝে

১১| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: তিনি জথার্থই একজন আলোর ফেরিওয়ালা ছিলেন।
উনার জান্নাত বাস কামনা করছি।

০২ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

দেবদাস বাবু বলেছেন: নিজের টাকা খরচ করে, চাল না কিনে বই কিনতেন, নিদারুন আলোর ফেরিওয়ালা

১২| ০২ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ২:৪২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: উনার এই উদ্যোগ, আমার প্রান ছুঁয়ে যায়,
গভীর ভাবে শ্রদ্ধা জানাই ।
..............................................................................................

০২ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৫৭

দেবদাস বাবু বলেছেন: পলান সরকার এর মতন আলোর ফেরিওয়ালা হয়ে অনেকের এগিয়ে আসতে হবে আমাদের দেশে ।

১৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ৩:৩৩

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: এমন জ্ঞানের পসরা সাজিয়ে আলোর ফেরিওয়ালারা যুগে যুগে ফিরে আসুক। বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি। আর নিজেদের ছেলেপুলেদের জিপিএ ফাইভের চাকায় পিষ্ট না করে শরৎ, বঙ্কিম, রবীন্দ্র, নজরুল, মাইকেল আর বিশ্ব সাহিত্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। ঘরে ঘরে নিজেরাই নিজেদের সন্তানের কাছে এক একজন আলোর ফেরিওয়ালা সাজি। ক্ষতি কি?

০২ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৫৬

দেবদাস বাবু বলেছেন: দিদি আপনি যথার্থই বলেছেন, আমাদের সমাজটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং জিপিএ ফাইভের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যাচ্ছে অসংখ্যা তরুন। দেশটা আলোয় ভরবে কিভাবে। সরকারের উচিত প্রতিটি ওয়ার্ডে যেমন কমিউনিটি দিয়েছে ঠিক তেমনিভাবে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে পাঠাগার করা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.