নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ছায়া, ছায়ার আমি

নিজেকে বড় ভাবতে মাঝে মাঝে ভালো লাগে, যখন মনে পরে আমার শৈশব এর কষ্টগুলো. আর সেটা উল্টো মনে হয় যখন বেপার টা বিপরীত দিক থেকে ভাবতে শুরু করি...

এস, এম, মনিরুজ্জামান

আমার সাথে বা আমার সামনে ঘটে যাওয়া সব ই আমার জীবন কে কোনো না কোনো ভাবে পরিবর্তন করেছে. আমার জন্যে সেইসব ঘটনাই আমার অনুপ্রেরণা.

এস, এম, মনিরুজ্জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি অসমাপ্ত গল্প

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৫৮

আজকে অদ্ভুত একটা ঘটনা ঘটে গেল আমার দেখা আজ পর্যন্ত সবচেয়ে স্বরণীয় ঘটনাগুলোর মধ্যে, আমি কখনো এরকম পরিস্থিতি তে আসলে কখনো পরিনি বলে হয়তো এত বেশি ধাক্কা লাগছে এই বেপার টা ভেবে. যাই হোক, আসল কথা বলি. আজ ১২ই ফেব্রুয়ারী. দুইদিন পর ই বিশ্ব ভালবাসা দিবস. মানে ভালেন্টাইন ডে. প্রতিদিন এর মত আজ ও গেলাম ভার্সিটি ত়ে. সেকেন্ড ইয়ার এর সব দায়বদ্ধতা শেষ না হতেই থার্ড ইয়ার এর ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে. তাই অনিচ্ছা থাকা সত্তেও ক্লাস করার জন্যে যেতে হয়. প্রথম ক্লাস টা সকাল সাড়ে আট টায়. আমার দৈনন্দিন কাজ এর মত আজকেও সকাল এর ভার্সিটি বাস মিস করলাম. তাই ক্লাস এর উপস্থিতির নাম্বার এর মায়ায় বাসায় ফিরে যাবার প্রবল ইচ্ছা থাকায়ও তা করতে পারলাম না. যথারীতি ছুটলাম লাইন এর বাস ধরার জন্য. উপরওয়ালা সহায় থাকায় সময় মত পৌছে গেলাম ক্লাস এ. গিয়ে শুনলাম আজ নাকি আমাদের মোট চার টা ক্লাস হবে. তার মধ্যে একটা হবে দুপুর দুইটা থেকে. কারোর বোঝার বাকি থাকলো না যে আমাদের বাশ আলম সার এর ক্লাস. কিন্তূ মাঝের দুইটা ক্লাস কেমন কেমন করে যেন বাতিল হলো. একবার ভেবেছিলাম আমার নিদ্রাযাপন এর সময় টা এইভাবে ক্লাস এর জন্যে বিসর্জন না দিয়ে বাসায় চলে যাই. কিন্তূ তাও হলো না. মনের মধ্যেই আজব একটা পিছুটান অনুভব হলো স্যার এর ক্লাস এর জন্য. আসলে বাইরের বাস এ যেতে মন সায় দিল না. গেলাম ক্লাস এ. আমরা সবাই অপেক্ষা করতে লাগলাম স্যার এর জন্যে. হঠাত মনে হলো আমরা কোনো একটা পছন্দের মুভির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার দেখার জন্যে বসে আছি. যার প্রধান চরিত্রে আছেন আমাদের স্যার রা. তারা না আসলে আমাদের মুভি দেখা শুরু হবে না. রাজনৈতিক সেমিনার এর প্রধান অতিথির মত স্যার রা আসলেন প্রায় ৪০ মিনিট পর. আমাদের ক্ষমতা থাকলে হয়ত কেউ ই আমাদের গুরুমশাই এর দেহের নিম্ন-পশ্চাদ ভাগ এ পদচালনা করতে দেরী করতাম না. যাই হোক এসব অব্যক্ত আকাঙ্খা আর মনে না আনাই ভালো. আসল ঘটনার সাথে এর কিছুটা সম্পর্ক আছে বলেই এসব বলা. তারপর আমাদের ক্লাস চলতে থাকলো ঘন্টাব্যাপী. স্যার যেন কোনো ভাবেই আমাদের বাশ মেরে শান্তি পাচ্ছিলেন না. আমরাও নির্বাক গন্ডমূর্খের মত তা উপভোগ করছিলাম. অবশেষে তার একটা ফোন আসার পর বাশ প্রদান কার্যে বাধা পড়ল. কিন্তূ এই লোক এত সহজে হাল ছাড়ার নন. উনার বিশ্বস্ত কর্মী ''সয়েল মাহমুদ'' যিনি থার্ড ইয়ার এ ''পপুলেশন মাহমুদ'' নাম এ পরিচিত, তাকে দিয়ে আমাদের পিছনের অবশিষ্ট অংশটা বাশ দিয়ে পূরণ করিয়ে দিতে উদ্যোগ নিলেন. হঠাত আমাদের ক্লাস এর সবথেকে ফাকিবাজ কিন্তূ মনোযোগী ছাত্র শিফা সালেহীন স্যার কে বলল আজ আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর ফাইনাল খেলার কথা. আমরা সবাই পার্লামেন্ট এর 'হা ভোট' এর মত চিত্কার দিলাম. তাই, স্যার খুব চেষ্টা করেও তার দুরভিসন্ধি সার্থক করতে পারলেন না. আমাদের আনন্দ আর দেখে কে. সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত যাবজ্জীবন হাজত্বাশির মত আমরা বের হলাম ক্লাস নামক ''বাশ বাগান'' থেকে. আমি আর কোনো কথা না বলে সোজা আসলাম মেন গেট এ বাস এ উঠার জন্যে. যদিও শুরুর দিকে আমার ইচ্ছা ছিলনা বাইরের বাস এ যাবার. কিন্তূ ক্যাম্পাস এর বাস ছাড়তে মোটামুটি ২ ঘন্টা বাকি ছিল. তাই এই কাজ করা. কেন যেন ওই সময় ক্যাম্পাস খুব ই অসহ্য মনে হচ্ছিল.



একটা বাস মিস করলাম ওভারব্রিজ পার হতে হতে. কোনো বেপার না. এই বাস বাস না, আরো বাস আছে. অপেক্ষা করতে থাকলাম. ততক্ষণে কথা থেকে যেন একগাদা স্টুডেন্ট ভিড় করলো বাস এর জন্যে. আমিও ছাড়ছিনা. ভাবতে থাকলাম এটাই দুনিয়ার শেষ বাস. যেভাবেই হোক আমাকে ধরতে হবে. অবশেষে টিকেট না কিনেই ভিড় এর মধ্যে নিজের জীবনএর মায়া ভুলে উঠে গেলাম বাস এ. আমার সামনে একটা মেয়ে উঠলো. তার গায়ে ছিল আমার সবচেয়ে প্রিয় রং এর জামাটা. হঠাত করেই একবার মনে হলো এর সাথে যদি আমি প্রেম করি? তাহলে হয়ত কাম্পাস এ আমারও একটা কাহিনী থাকত. এই চিন্তা টা যত টা দ্রুত মাথায় এসেছিল টা থেকেও তিনগুন দ্রুত গতিতে আবার চলেও গেল. কিন্তূ যেহেতু আমি একজন অকালপক্ক যুবক, তাই আমার জন্যে এই ধরনের বেপার ভুলে থাকা টা মোটামুটি বেসম্ভব. গবেষকরা বলেন, ''একজন যুবক, তার জীবদ্দশায় তার চিন্তাশক্তির ৭৩% ব্যয় করে মেয়েদের কথা চিন্তা করে.'' আমিও এই মহাজ্ঞানীদের সূত্র কে ভুল প্রমান করার দুঃসাহস করলাম না. তাই মনোযোগ দিলাম মেয়েটার দিকে. আসলে একটু বাড়িয়ে বললাম. কারণ, আমি যে অবস্থা তে বাস এ ঝুলে ছিলাম, তা তে আমার নিজের হাত টা পর্যন্ত দেখার সুযোগ ছিলনা. তাও বার বার চেষ্টা করলাম মেয়ে টা কে দেখার. জানি না কেন. মেয়েটাও দাড়িয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল. আমার এই পর্যবেক্ষণ ছিল মাত্র পাচ মিনিট এর মত স্থায়ী. বাস চলতে চলতে হঠাত থেমে গেল. জ্যাম এর পূর্বলক্ষণ. কিন্তূ খানিক বাদেই ড্রাইভার বাস এর ইঞ্জিন বন্ধ করে দিল. তখন একজনের কাছে জানলাম সামনে নাকি একটা দুর্ঘটনা হয়েছে. তাই গাড়ি সামনের দিকে যেতে দিচ্ছে না. এই কথা জানার পর পর প্রকৃতির ডাক এ সাড়া দেবার মত গতি তে কিচু যাত্রী বাস থেকে নেমে হাটা শুরু করলেন. সেই মেয়ে টা আমার অবস্থান থেকে সামান্য দুরেই একটা ফাকা সিট পেয়ে বসে পড়ল. সিট টা ছিল বাস এর বাম পাশ এর সিংলে সিট এর পরের সিট. তাই আমি গিয়ে সিংলে সিট টার পাশে গিয়ে দাড়ালাম. কিন্তূ একবার ও এটা ভাবলাম না যে মেয়েটা দুবলে সির এ বসে আছে, তাও আবার একা. আমি গাধার মত দাড়িয়েই থাকলাম. কোথা থেক যেন এক আঙ্কেল টেপ এর লোক এসে মেয়েটার পাশে বসে পড়লেন. তখন আমার টনক নড়ল. নিজের আহাম্মকির জন্যে বাস থেকে ঝাপিয়ে পড়ার ইচ্ছা হলো. কিন্তূ আমি আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে মেয়েটার দিকে মনোনিবেশ করলাম. হঠাত বাস স্টার্ট নিল, আঃ, কি শান্তি ..... ড্রাইভার বাস সামনের দিকে না নিয়ে পিছনের দিকে নিতে থাকলো. সাথে সাথে সামনের বাসগুলো ও তাই করতে থাকলো. তখন সেই আঙ্কেল ওই মেয়ে টা কে কি যেন দেখাতে চাইলেন. হঠাত সব যাত্রী এমন করে বাস থেকে নেমে যেতে থাকলেন, ভাবলাম এই বুঝি বাস এ রাখা বোমাটা বিস্ফোরণ হবে... তাই লাফিয়ে নেমে পরলাম বাস থেকে. কিন্তূ আমার ধারণা ভুল. প্রাণ এ পানি ফিরে পেলাম. এর পর যা দেখলাম, সেটা কোনো বোমা থেকে কম ছিল না. দেখলাম আনুমানিক ১৫০-২০০ চত বড় মানুষ তাড়া করে আসছে আমাদের দিকে. তাও আবার খালি হাত এ না, সবার কাছেই লাঠি, ইট অথবা গাছের ভাঙ্গা ডাল. আমি কিছু সময়ের জন্যে মূর্তি হয়ে দাড়িয়ে রইলাম. বুঝতে পারলাম না আমার কি এখন দৌড় দেওয়া উচিত? নাকি দাড়িয়ে তামাশা দেখা? সিদ্ধান্ত নিতে নিতে মানুষগুলো আক্রমন করলো আমাদেরকে বহন করে আনা বাসগুলোর ওপর. আর ওই মেয়েটাও আমার থেকে একটু দুরেই ছিল. আমি এই দুর্যোগ এর কথা ক্ষনিকের জন্যে ভুলে গিয়ে এগিয়ে গেলাম তার দিকে. কিন্তূ বিধিবাম. পুরো ফুলবাবু মার্কা এক লোক এসে তার সাথে এমন ভাব নিয়ে কোথা বলা শুরু করলেন, আমার আর বুঝার বাকি থাকলো না যে ইনি এই মেয়ের সাথের কেউ. কিন্তূ আমার ধারণা এবারও ভুল প্রমানিত হলো, যখন লোকটার মুখে মেয়েটা কে জিগ্গেস করতে শুনলাম ''আপনি কই যাবেন?'' ব্যাস, আর লাগে কি? আমিও ওই লোক এর সাথে কিসু কোথা বলার ভান করে মেয়েটার কাছে গেলাম. তারপর মেয়েটাকে আমার বাম পাশে রেখে আমি মাঝে থাকলাম আর ওই ফুলবাবু কে আমার দান পাশে রেখে হাটা শুরু করলাম. বেচারা আর কোনো সুযোগ ই পেলেন না. আমার জন্যে আর কোনো বাধা থাকলো না. এবার শুরু হলো প্রাথমিক পরিচিতি পর্ব. যদিও নাম টা জানা হয়নি তখনও. হাটতে থাকলাম আমরা. প্রায় দেড় কিলোমিটার হাতার পর মনে হলো খুব অনিচ্ছা নিয়েই মেয়েটা বলল ''উফ....আর কত হাটবো?'' আমি খুব ভালো করি বুঝলাম তার মন বলছে আজকে যদি বাসা পর্যন্ত হেটেই যেতাম.... কিন্তূ মেয়েদের মন. এই বেপারেও গবেষকদের অনুমান ''মেয়েদের বুক ফাটে তবুও মুখ ফোটে না, আর তাদের নিশ্চয়তা নিয়ে তারা নিজেরাই অনিশ্চিত''.আমার মনে হলো আমরা কোনো একটা মুভি'র শ্যুটিং করছি. যার দৃশ্য অনেকটা এরকম, 'নায়ক আর নায়িকা পৃথিবীর সকল অশান্তির মধ্যেও হেটে যাচ্ছে তাদের স্বপ্নের ঠিকানায়....' কারণ যখন আমরা হাটছিলাম, আমাদের চারপাশের একটা গাড়িও অক্ষতভাবে ফিরতে পারছিলনা. আমাদের চোখের সামনেই কমপক্ষে ৪০-৪৫ টা বাস ভেঙ্গেছে বিদ্রোহী লোকজন. যাদের মধ্যে ৬০% ক্লাস ফোর বা ফাইভ এ পড়া স্টুডেন্ট. এদের শিল্পসম্মত ভঙ্গিতে গাড়ির হেডলাইট ভাঙ্গা দেখে আমি মুগ্ধ. যাই হোক, আমার এদের ভাঙ্গা গড়ার গল্প থেকে কিছুই আয় বা ব্যয় হবে না. তাই ওরা বাদ. মজাই লাগছিল. কারণ এরকম ঘটনা কখনো বাস্তব জীবনে দেখার সৌভাগ্য হয়নি. আজ তাই দেখছি, তাও আবার সাথে একটা অপরিচিত মেয়ে. অদ্ভুত একটা বেপার. মনে হলো ''সেদিন দুজনে হেটেছিনু পথে, দুরে বাস ভাঙ্গা দেখা যায়.....'' আমার মনে হয় আমি খুব ই অপ্রয়োজনীয় বেপার নিয়ে বেশি বেশি মাথা ঘামাই. এখন আসি মেয়েটার কথায়. ওকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ও আমাদের ভার্সিটির কিনা? যদিও জানতাম, তাও ভাব নেবার জন্যে কিছু তো বলতেই হয়. জানতে চাইলাম ও কোন ব্যাচ এর. তাত্ক্ষনিকভাবে আবিষ্কার করলাম, এই মেয়ে আমার ২ বছর এর জুনিয়র. শুরু হলো আমার সিনিয়র সুলভ লেকচার. আমাদের হল ব্যবস্থা নিয়ে কিছু বয়ান বাজি করলাম. ও নিয়মিত হল এ থাকে না. আসলে ওর বাসা ঢাকাতেই. তাই আমার মত অবস্থা অনেকটা. এই বাসা, এই ক্যাম্পাস. তখনও একটা চিন্তা আসল মাথায়. নিশ্চয়ই সবার বুঝতে বাকি নেই যে আমি ওকে নিয়ে যাওয়া আসার কথা ভেবেছি. একটু দুরেই দেখলাম একটা বাস ইউ টার্ন নিয়ে লেন পাল্টাচ্ছে. যারা রাস্তায় হাটছিলেন তারা সবাই ওই বাস এ ওঠার জন্য ছুটে গেলেন. আমি একা থাকলে হয়তো আমিও তাই করতাম. কিন্তূ আমি এখন এই কাহিনীর নায়ক. তাই নায়িকা কে ফেলে এত টা অমানবিক হওয়া ঠিক না. তাই ওর গতির সাথে তাল মিলিয়ে আমিও ধীরগতিতে হাটা শুরু করলাম. ওর কোন এক চাচার বাসা নাকি আছে ওখানে. আমাকে ও বলল, ''আপনি আছেন বলেই অনেকটা সাহস পাচ্ছি, তা নাহলে তো কি একটা অবস্থায় যে পড়তাম আমি?'' পুরাই বাংলা সিনেমার ডায়লগ. কি আর করা? আমি খুব ভদ্র ছেলের মত বললাম, '' কি আর করতে, তোমার চাচার বাসায় চলে যেতে'' আবার খানিক পর একটা হেলপার টাইপ লোক এসে আমাদের বলল ''মামা কই যাইবেন? ছামনে খাইল্লা গাড়ি আছে. উইঠা পরেন.'' আমরা হাটার গতি একটু বাড়ালাম. খুব ভালো ভাবেই এই ন্যাচারাল ডিজাস্টার এর মধ্যেও খালি সিট পেয়ে উঠে পড়লাম. এত কাহিনীর পর ওকে ওর নাম জিজ্ঞাসা করার কথা মনে হলো. ওর নাম জানলাম. খুব ই ঐতিহাসিক লাগলো নাম টা. 'হেলেন'. আমার নাম ও বললাম. তারপর বাসে অনেক লম্বা আলাপ হলো. স্মার্ট বয় এর মত ওর মোবাইল নাম্বার ও নিলাম না . যাবার আগে কেমন যেন একটা হাসি দিয়ে গেল মেয়েটা. জানি না আমাদের কোনো কাহিনী কোনদিন বিধাতা লিখবেন কিনা. তবে এতটা আমি বুকে হাত রেখে বলতে পারি, "আবার দেখা হবে অজানা কোনো একদিন ....."

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.