![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বি এস এস (অনার্স) এম এস এস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
“বাংলাদেশের গনতন্ত্র ও আমাদের নির্বাচন কমিশন”
সকল ধর্মেই জীব হত্যা করা পাপ হলেও বৌদ্ধধর্মে এটিকে মহাপাপ হিসেবে গণ্য করা হয় । চীন ও মায়ানমারে সেই সাধু সন্যাসী বৌদ্ধরা নির্বিচারে মুসলীম নিধন করে যাচ্ছে। স্রষ্টা প্রেমিক হওয়ার লক্ষ্যে নারীদের সংস্পর্শ থেকে দুরে থাকার ব্রতও এরা নিয়ে থাকে। শোনা যায় আমাদের প্রতিবেশী ভারতের মহাত্মা গান্ধী তার দুই পাশে দুই বালিকাকে নিয়ে রাত্রি যাপন করতেন। নিজের নফসকে পরীক্ষার জন্যে তিনি এই ব্রাহ্মচারী সাধনাটি করতেন বলে জানা যায়। পশ্চিমা গবেষক জ্যাড এডামস ' গান্ধী : নেকেড এমবিশন ' নামক পুস্তকে এটাকে স্রেফ যৌন উন্মত্ততা বলে উল্লেখ করেছেন। তার এই দাবির পেছনে যথেষ্ট যুক্তি ও সাপোর্টিং ডকুমেন্ট না থাকলে হয়ত তিনি এটি লেখার সাহস করতেন না।
রাজনীতিতে মেকিয়াভেলিকে `ছদ্মবেশী শয়তান ' হিসেবে অভিহিত করা হয়। এই ছদ্মবেশী ধরনটা অনেকটা ব্রাহ্মচারী চর্চ্চার মতো। যাদের চাপার জোর যত বেশী তারা এই চর্চ্চাটি বেশী করেন। কম্বলের নীচে যাই করুন না কেন জনগণকে তাদের সতীত্বের দাবিটি না মেনে উপায় থাকে না।
আমাদের দেশের সরকার তথা নির্বাচন কমিশন দুই পাশে দুই উলঙ্গ বালিকা নিয়ে শোয়ে থাকবেন। আর জনগনকে ভাবতে হবে তারা ব্রাহ্মচারী চর্চ্চা করছেন । প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনাব রকিব উদ্দিন নিজের দুই কান কেটে এই ধরনের একটা আত্মবিশ্বাস নিয়েই কথা বলেন।
কিন্তু কম্বলের নিচে কোন কর্মটি সংঘটিত হয়েছে তা আড়ালেই রাখতে চান। সরকারী দলের নেতাকর্মীদের কেন্দ্র দখল, ভোটের বাক্স ছিনতাই, জাল ভোট প্রদান, বিরোধী দলের এজেন্টকে বের করে দেয়ার মত শত শত কুকর্ম নগরীর হাজার হাজার মানুষ দেখলেও এই নির্বাচন কমিশন তা দেখতে পাননি। বরং নিজের সতীত্বের কম্বলের নিচে সব ঢেকে রাখতে চাচ্ছেন !
বর্তমান দলকানা মিডিয়া ও সাংবাদিকরা এগুলি নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলছেন না। আমাদের সুশীল সমাজের বিরাট অংশও এই ধরনের ব্রাহ্মচারী চর্চ্চাকে শুধু সহ্যই করছে না - এর নির্লজ্জ প্রচারণাতেও নেমেছে। তারা যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, এই সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচন ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিরোধীদল অংশগ্রহন করতে পারলে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে এখন আর অসুবিধা কোথায় ?
কিন্তু রাতের বেলায় কম্বলের নীচে অত্যাচারিত বালিকাটিকে সকাল বেলায় জোরপূর্বক ক্যামেরার সামনে নিয়ে তার মুখে কৃত্তিম হাসি বের করার মধ্য দিয়ে প্রমান করা যায়না যে, সে খুব আনন্দে হাঁসছে।
নিবার্চন কমিশন সেই কাজটিই করেছেন। অত্যাচারিত বালিকাটি ক্রন্দন থামাতে পারছেনা। অথচ তাকে হাসি দিয়ে জাতিকে বোঝাতে হবে যে, তিনি মহাসুখে আছেন। এভাবে অত্যাচার সহ্য করতে করতে হয়ত কম্বলের নীচে একদিন মারা যাবে - তা কে জানে।
©somewhere in net ltd.