![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বি এস এস (অনার্স) এম এস এস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বহিশত্রুর আক্রমন থেকে দেশকে রক্ষা করা এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন দুযোর্গকালীন সময়ে জাতির ত্রাণকর্তার ভুমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৃষ্টি।
ভৌগোলিকভাবে একদিকে বঙোগাপসাগর এবং তিন দিকে ভারত দ্বারা বেষ্টিত এদেশে মুলতঃ নিকটতম বহিশত্রু হল ভারত। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর ভারত কর্তৃক অসংখ্যবার একতরফাভাবে সীমান্ত হত্যা সংঘঠিত হয়েছে। সীমান্ত উত্তেজনার ক্ষেত্রে তা প্রশমনে আজঅবধি দুই দেশের বি এস এফ ও বিডি আরের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সমাঝোতা করার চেষ্টা হয়েছে। কখনোও এই দু দেশের মধ্যে সৈন্য বাহিনী দ্বারা যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে প্রায়শঃই সেনাবাহিনী দ্বারা যুদ্ধাবস্থায় সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের সাথে ভারতের এ যুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাহলে কি করে ?
ক) বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাঝে মাঝে জাতিসংঘের ডাকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি মিশনে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
খ) বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুযোর্গের সময় জাতির কল্যানে নিয়োজিত হয়ে সেবা করে থাকে।
গ) বিভিন্ন সময়ে দেশের রাস্তাঘাট মেরামত ও সংস্কারের দায়িত্ব পালন করে থাকে।
ঘ) রাজনৈতিক ক্ষমতার খায়েস সৃষ্টি হলে ক্যু এর মাধ্যমে তা ছিনিয়ে নিয়ে দেশের দায়িত্ব নিজেদের কাধে তুলে নেন।
বর্তমান বিশ্বে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন অস্বীকার করার উপায় নেই। প্রতিবেশী রাষ্ট্র সামরিক ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষমতাধর হওয়ায় বাংলাদেশের সাথে সামরিক যুদ্ধ বাধার সম্ভবনা নিকট ভবিষ্যতে যে নেই , তা স্পস্টই বলা যায় । তাই এই সেনাবাহিনী দ্বারা দেশের বিভিন্ন সেবা মূলক কাজ করিয়ে তাদেরকে ব্যস্ত রাখা হয়।
একটি দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। বাংলাদেশে গত 3/4 বছর ধরে যে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে, দৃশ্যতঃ রাজনৈতিক সংঘাত, সেটি দেশের সকল মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য সেনাবাহিনীর অজানা থাকার কথা নয়। কোন দেশে এমন রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয় , সেটাও তারা জানেন।
গত 5ই জানুয়ারীর/2014 সালের নির্বাচন কেমন হয়েছে , দেশ ও বিদেশের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু , এই নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা দেশকে ব্যাপক সহিংসতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে , সেটিও তারা জানেন। তারা জানেন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ঘটনাবলী।
রাজনীতিতে রীতিমত এখন কথার জোঁকস চলছে। মিথ্যাচার , অসততা, ক্ষমতার অপব্যবহার, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধহীন, অশালীন কথাবার্তা, রাজনৈতিক আটক, নির্যাতন, জেল জুলুম, ফাসি , হানাহানি অহরহ চলছে।
এটি কি দেশের কোন সংকট নই ? এটি কোন অংশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে কম নই। প্রাকৃতিক দূর্যোগের ক্ষেত্রে মানুষ নিরুপায় থাকে বলে সবকিছু মেনে নেয় কিন্তু মানুষ কর্তৃক অনিয়ম, অশালীন আচার-ব্যবহার, রাজনৈতিক , সামাজিক অনাচার মানুষ সহজে মেনে নিতে পারেন না।
এ সকল অনিয়ম, অনাচার, অশালীন কথাবার্থা, মানুষের মৌলিক অধিকার হরনের বিষয়ে সেনাবাহিনী কি কোন ভুমিকা রাখতে পারেন না?
কেন তারা এ বিষয়ে নিরব দশর্কের ভুমিকা পালন করছেন? আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, তাদের একটু ভুমিকার কারনে যারা জনগনের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন, তারা মুহুর্তের মধ্যে সুবোধ বালকের মতো ব্যবহার শুরু করতে বাধ্য।
কিন্তু কেন তারা রাজনৈতিক নেতৃবেৃন্দের খামখেয়ালীপনা কার্যক্রমকে নিরবে মেনে নিচ্ছেন , তা জাতির কাছে বোধগম্য নয়।
তাহলে কি ধরে নিব যে, সকল মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য সমালোচনার উর্ধে থাকা দেশের সেনাবাহিনী শুধু মাত্র একটি রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন ?
নিশ্চয়ই আমরা তা কেউই ভাবতে চাইনা।
২| ২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:২৪
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আপনার ঘ) পয়েন্ট আপত্তিকর এবং আপনার শেষ বক্তব্যের সাথে কনফ্লিক্ট করে। সেনাবাহিনীর কাজ রাজনৈতিক ব্যাপারে নাক গলানো নয়। ক্যু করলে সেটাকে খারাপ বলবেন আবার সামরিক বাহিনীকে অসঙ্গতির বিরুদ্ধে দাড়াতে বলবেন এটা ঠিক না। এই দেশের প্রতিটা ক্যু এর প্রেক্ষাপট হিসেবে রাজনোইতিক নেতাদের ব্যর্থতাও কাজ করেছে। কোনভাবেই সামরিক বাহিনীর রাজনীতিতে মাথা ঘামানো উচিত নয়।
মনে রাখবেন, সামরিক বাহিনীকে বলা হয় প্রশিক্ষিত, শিক্ষিত নয়। মানুষ মারার জন্য প্রশিক্ষিত, তাই জনগনের সাথে সামরিক বাহিনীর ব্যবহার স্বাভাবিক হয়না, নিজেদের স্টাইলেই হয়। আর সামরিক বাহিনীর সাধারন রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মাথা ঘামানো তাদের স্বাভাবিক মানসিকতার জন্য ঠিক নয়, দেশের জন্যও নয়। এরচেয়ে জনগনের অধিকারে রাজপথ আছে, কোনকিছু মনমত না হলে জনতা রাস্তায় নামুক। যে সরকারই যত ক্ষমতাবান হোক, জনগনের ক্ষমতার কাছে কিছু নয়।
৩| ২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৩৯
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: সেনাবাহিনী এর আগেও এসেছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু স্থায়ী সমাধান হয়নি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:০০
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জসিম বলেছেন: ভাই আপনি ঠিক বলছেন ।