নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসারিত , আর মিথ্যার পতন অবিসম্ভাবী।”

Dialectic

বি এস এস (অনার্স) এম এস এস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Dialectic › বিস্তারিত পোস্টঃ

“ধর্মবিশ্বাস মানে যার যার ব্যক্তিগত বিষয়।”-সুলতানা কামাল

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

“ধর্মবিশ্বাস মানে যার যার ব্যক্তিগত বিষয়।”-সুলতানা কামাল

ধর্মবিশ্বাস যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। কথাটি অবশ্যই সঠিক। কিন্তু কোন ব্যক্তি যখন কোন ধর্মে বিশ্বাস করবে, তখন সেই ধর্মের বিধি পরিপালন করার ক্ষেত্রে আর শুধুমাত্র ব্যক্তিগত বিষয়ের মধ্যে থাকেনা। তখন ধর্মের বিধি অনুযায়ী তাকে চলতে বাধ্য।হতে হয়। এটাই ধর্মের শিক্ষা।

কেউ যদি অধার্মিক চান, প্রচলিত বিশ্বে সে সুযোগ এবং স্বাধীনতা রয়েছে।
কিন্তু ধর্ম বিশ্বাস করবেন অথচ তা নিজের সুবিধামত পরিপালন করবেন , এই অধিকার ও সুযোগ অন্য ধর্মে থাকলেও অন্ততঃ ইসলাম ধর্মে নেই।

নিজেকে মুসলমান দাবী করবেন, অথচ আল্লাহর ইচ্ছার কাছে সারেন্ডার করবেন না, এমন মানুষের ধর্মে বিশ্বাস কতটুকু রয়েছে তা বলাই বাহল্য।

আল্লাহ বলেছেন,
“হে ঈমানদারগণ ! তোমরা যথাযথভাবে আল্লাহকে ভয় করো ৷ মুসলিম থাকা অবস্থায় ছাড়া যেন তোমাদের মৃত্যু না হয় ”(সূরা ইমরান-১০২)

অন্যত্র বলেছেন,
“ (হে ঈমানদারেরা) তোমাদের চলার জন্য রসূল (স) এর জীবনই হল একমাত্র আদর্শ” (আহজাব-21)

রসূল (স) বলেছেন,

“ তোমরা ততক্ষন পর্যন্ত ঈমানদার (ধর্মে বিশ্বাসী) হতে পারবে না, যতক্ষন আমি তোমাদের পিতামাতা সন্তান সন্ততি অপেক্ষা অধিকতর প্রিয় না হই।”

উপরের কোরানের আয়াত ও হাদিস দ্বারা এটি বোঝা যায় যে, কোন ব্যক্তি ধর্মে বিশ্বাস করলে তার চলার পথ হবে সেই ধর্মের প্রবর্তকের ধেকানো পথ অনুযায়ী।

আমরা জানি, রসূল (স) এর মাধ্যমে ইসলাম পূর্নাঙ্গতা পেয়েছে । আর এই পূর্নাঙ্গতা তিনি নিজের খেয়াল খুশিমত এক একা ধর্মপালন করে পাননি। এর জন্য তাকে সমবেতভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হয়েছে। রসুল (স) এর নেতৃত্বে একদল মুমিন ব্যক্তি সমবেতভাবে ইসলামের পক্ষে নিরলস কাজ করে একটি পূর্নাঙ্গ ইসলামের কাঠামো দাড় করিয়েছিলেন। সেই ইসলামের কাঠামোর মধ্যে বিধমীরাও তাদের সকল নাগরিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছিল।

তাই ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী কোন মানুষ এই কথা বলার সুযোগ নেই যে, ধর্ম যার যার ব্যক্তিগত বিষয় । ব্যক্তিগত বিষয় ধরে নিয়ে মুসলমানিত্বের পরিচয় লুকিয়ে ধর্মের বাইরে অধামির্ক কোন মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য সমবেত ও নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী কোন মানুষের জন্য সেটি চরম মুনাফিকির পরিচয়ই বহন করে।

তাই আসুন মুনাফিকি থেকে বাঁচার চেষ্টা করি। আর যে জমীনে আল্লাহ অযাচিতভাবে তার অালো বাতাস, খাদ্য দিয়ে আমাদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছেন , সেখানে মার্কসবাদ লেলিনবাদ বা অন্য কোন বাদ না বলে আরো জোরে সমবেতভাবে “আল্লাহ আকবার” বলি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০

নন্দলাল সরকার বলেছেন: প্রথম দুটি স্তবক সঠিক কথা তুলে ধরেছেন কিন্তু বাকি গুলো অবাস্তব--- নিজের ধর্মকে মান্যতা যে দিতে পারে-- অন্যের ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল হওয়া দরকার-- তবেই সে প্রকৃত ধার্মিক ব্যক্তি হতে পারে

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০

আবু আবদুর রহমান বলেছেন: আসলে এরা দেশের মধো অন্যের এজেন্ট । আসলে এরা চরম ধর্ম বিরোধি । সেটা সরাসরি বলা যায় না, সে জন্য তারা অন্যভাবে বলে ।

৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৪

তট রেখা বলেছেন: ইসলাম এবং কুফর দুটি দুই ধর্ম। কেউ ইসলামের পক্ষে না হলে কুফরের পক্ষে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.