![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার ঘটনা আমাদের সয়ে গেছে। এখন এরকম ঘটনার খবর শুনলে নিজের অজান্তেই শ্রবণন্দ্রীয় অন্যদিকে কর্ণপাত করে। পত্রিকায় এরকম খবর পড়তে এখন আর কেউ আগ্রহ বোধ করে না।অর্থাৎ, ভয়ঙ্কর একটি বিষয় স্বাভাবিকতা পেয়েছে।
গণজাগরণ মঞ্চের উত্তাল দিনে ব্লগার রাজীব হায়দার যখন খুন হল, তখন অনেক কিছু হল, প্রধানমন্ত্রী রাজীব হায়দারের পিতা-মাতাকে স্বান্তনা জানাতে বাসায় ছুটে গিয়েছিলেন। শাহবাগে রাজীব হায়দারের জানাজা হয়েছিল। গণজাগরণ মঞ্চ আরো উত্তাল হয়েছিল।
এরপরের ঘটনাগুলো ওরকমভাবে আর গুরুত্ব পায়নি, এমনকি অভিজিৎ রায়ের মত একজন গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞান লেখক খুন হওয়ার ঘটনায়ও তেমন কোন আলোড়ন সৃষ্টি হয়নি।
কিছুদিন আগে নৃশংসভাবে শিশু রাজন খুন হওয়াতে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল কেঁপে উঠল। হয়ত ঘটনাটির ভিডিও এক্ষেত্রে টনিক হিসেবে কাজ করেছে।
এরপর মাগুরায় গর্ভবতী নারী গুলিবিদ্ধ হল, গতকালকে রাকীব নামে আরেক শিশুকে নজীরবিহীন বর্বরভাবে মলদ্বার দিয়ে কম্পেসারের পাইপ ঢুকিয়ে বাতাস ছেড়ে দিয়ে হত্যা করা হল।
এবার কিন্তু জনগণ তেমন কোন প্রতিক্রিয় দেখাচ্ছে না।
জনগণের প্রতিক্রিয়ার ব্যাখ্যা তাহলে কী? কখন জনগণ প্রতিক্রিয়া দেখায়? ঘটনার ভয়াবহতা, নাকি একে অন্যকে ছুঁয়ে দেয় বলে ছোঁয়াছে রোগের মত প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়? এক্ষেত্রে মব ফিলিংস কাজ করে নাতো? সেটি তো ভয়ের বিষয়। মবের যে ফিলিংস ‘অপরাধীকে’ গণপিটুনি দেয়, সেই একই ফিলিংসই কী তাহলে রাজন-রাকীব-মিলনের হত্যাকারীদের বিচার চায়, নাকি আসলেই জনগণ এক্ষেত্রে সচেতন? সচেতন হলে তো প্রতিটি ঘটনায় প্রতিবাদ জানানোর কথা, এবং এরকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য সোচ্চার হওয়ার কথা। যে জনগণ প্রতিবাদী, সেই জনগণই, অর্থাৎ আমাদেরই কেউ আবার হত্যাকারী নয় তো? সেক্ষেত্রে বৃহত্তর দায় কিন্তু নির্দিষ্ট ঐ খুনীর নয়, দায়টা সমাজের। দায় নিতে কি আমরা প্রস্তুত, নাকি খুনীকে খুন করে দায় এড়াব এবং এরকম আরেকটি ঘটনার খবর শোনার জন্য অপেক্ষায় থাকব?
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এই ছবিগুলো দেখলে আর এই খবর গুলো শুনলে নিজেকে মানুষ ভাবতে পারিনা, আমরা কি আবার জাহেলিয়া যুগে ফিরে যাচ্ছি!!