নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হব সকাল বেলার পাখি

দিব্যেন্দু দ্বীপ

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে

দিব্যেন্দু দ্বীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম জঙ্গীবাদ নয়, বলা উচিৎ ধর্মীয় জঙ্গীবাদ

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

ধর্মের কারণে শুধু মুসলামনরা হত্যা করে, এটি একেবারেই সত্য ভাষণ নয়। ধর্মের অজুহাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সব ধর্মেই ঘটে, কিন্তু মুসলামান কেউ হত্যা করলে ঘটনাটা যেভাবে প্রচার করা হয়, অন্য ধর্মের লোকেরা হত্যা করলে ততটা প্রচার পায় না। এর কারণ কী ঠিক জানি না। নরওয়েতে, সম্ভবত ২০১১ সালে, আন্দ্রে ব্রেইভিক নামে এক জঙ্গী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে এবং উটোয়া দ্বীপে হামলা চালিয়ে ৭৭ জনকে হত্যা করে। ধমীয় কারণেই সে ঐ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটা ঘটিয়েছিল। তার ক্ষোভের বিষয় ছিল- নরওয়েতে মুসলাম অভিবাসন ক্রমাগতভাবে বেড়ে যাওয়া। পরবর্তীতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখেছি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটিকে নানান ঢং এ ব্যা্খ্যা করা হয়েছে, ব্রেইভিক মানসিক রোগী ছিল বলেও সংবাদ প্রচার হয়েছিল, কিন্তু ঘটনাটিকে কখনই সন্ত্রসবাদ বলা হয়নি।
ধারণা করা হচ্ছে ২৯ আগস্ট, শনিবার ভারতের কর্নাটকে সুপরিচিত যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ এবং হাম্পি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমএম কালবুর্গিকে হত্যা করে বজরঙ্গী নামে একটি হিন্দু জঙ্গী গোষ্টী, কিন্তু এ নিয়ে তেমন কোনো সমালোচনা চোখে পড়ছে না। উল্লেখ্য, ৭৭ বছর বয়স্ক ড. কালবুর্গিকে তার নিজ বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে। পুলিশ ধারণা করছে সম্প্রতি মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে এই শিক্ষকের কিছু মন্তব্যের সাথে এ ঘটনার সম্পর্ক থাকতে পারে। কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের কাছে কালবুর্গি একজন হিন্দুবিরোধী লেখক এবং বক্তা হিসেবে পরিচিত। অনেকদিন ধরেই হত্যার হুমকি পেয়ে আসছিলেন কালবুর্গি। হুমকির কারণে তাকে পুলিশ প্রহরায় রাখা হয়েছিল। তবে ১৫ দিন আগে তিনি নিরাপত্তা তুলে নিতে বলেছিলেন বলে জানায় একটি সংবাদমাধ্যম।
বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে ভাবনার সুযোগ রয়েছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে থাকি বলে অন্য ধর্মের বিষয়গুলো আমরা খুব একটা অনুধাবন করি না। তবে কট্টরপন্থা কিন্তু উপমহাদেশে তথা সারা বিশ্বেই আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, সেটিকে যতই কাউন্টার টেরোরিজম হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হোক না কেন, আখের তা টেরোরিজমই, কালবুর্গির মত মুক্তচিন্তকের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তা আরো বেশি স্পষ্ট হল।
একটা ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে- অমুসলিম কেউ ধর্মের কারণে খুন করলে সেটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা অন্যকিছু, কিন্তু মুসলিম কেউ ধর্মের কারণে খুন করলে সেটিকে অবশ্যই সন্ত্রাসবাদ বলা হয়। এটি একেবারেই অযৌক্তিক। এভাবে সন্ত্রাসবাদের মোকাবেলা করা যাবে না, বরং সন্ত্রাসবাদ বেড়ে যাবে, যাচ্ছে। জঙ্গীবাদকে শুধু নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের সাথে সম্পর্কিত ভাবার চেয়ে সামগ্রিক অর্থেই ধর্মীয় জঙ্গীবাদ বলা উচিৎ। মুসলিম জঙ্গীবাদ নয়, বলতে হবে ধর্মীয় জঙ্গীবাদ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন একটা জানা সত্যকে তুলে ধরেছেন। এটা ওপেন সিক্রেট। কিন্তু কেউ কথা বলতে ভয় পায়! পায় আবার ট্যাগিংবাজি শুরু হয়ে যায়!!!

<ধর্মের অজুহাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সব ধর্মেই ঘটে, কিন্তু মুসলামান কেউ হত্যা করলে ঘটনাটা যেভাবে প্রচার করা হয়, অন্য ধর্মের লোকেরা হত্যা করলে ততটা প্রচার পায় না।
একটা চিরায়ত প্রচলিত সত্য !

<<একটা ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে- অমুসলিম কেউ ধর্মের কারণে খুন করলে সেটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা অন্যকিছু, কিন্তু মুসলিম কেউ ধর্মের কারণে খুন করলে সেটিকে অবশ্যই সন্ত্রাসবাদ বলা হয়। এটি একেবারেই অযৌক্তিক। এভাবে সন্ত্রাসবাদের মোকাবেলা করা যাবে না, বরং সন্ত্রাসবাদ বেড়ে যাবে, যাচ্ছে।

এটি সম্ভবত বিশ্ব রাজনীতিরই কূটচাল। সমাজতন্ত্রের পতনের পর বিশ্ব নেতৃত্বের সামনে প্রতিপক্ষ একটাই। ইসলাম তথা মুসলিম বিশ্ব! তাদের ঠেকাতে বহুমূখি প্রচেষ্ঠার একটা অংশ এই প্রপোপাগান্ডা! কোরআন শরীফ হাদীস বা ইসলামী বই মুসলমানদের ঘরে থাকবেই। অথচ নতুন ষআটইল চালু হয়েছে- এইসব স্বাভাবিক বই উদ্ধারের পরই নাম দেয়া হয় জিহাদী বই উদ্ধার!!!!
সবই একই সূতোয় গাথা!!

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

রিক্তের রোদন বলেছেন: " ধর্মের কারণে শুধু মুসলামনরা হত্যা করে,
এটি একেবারেই সত্য ভাষণ নয়। ধর্মের
অজুহাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সব ধর্মেই
ঘটে, কিন্তু মুসলামান কেউ হত্যা করলে
ঘটনাটা যেভাবে প্রচার করা হয়, অন্য
ধর্মের লোকেরা হত্যা করলে ততটা
প্রচার পায় না। এর কারণ কী ঠিক জানি
না। "


বর্তমান মিডিয়া সন্ত্রাসের আর তথ্যবিকৃতির যুগে কোন হিন্দু যে এত নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে ভাবতে পারে - তা আমার জানা ছিল না ৷ ধন্যবাদ ৷

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: অনেকেই হয়ত পজেটিভলি ভাবছে, কিন্তু স্পর্শকাতর বিষয়ে কেউ-ই সহজে কথা বলতে চায় না।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:২৯

বিজন শররমা বলেছেন: বর্তমান মিডিয়া সন্ত্রাসের আর তথ্যবিকৃতির যুগে কোন হিন্দু যে এত নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে ভাবতে পারে - তা আমার জানা ছিল না ৷ ধন্যবাদ লোকটা হিন্দু কি না ভালো করে জেনে নিন । এ যুগে ফ্রডের অভাব নেই ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: এটা জেনে নেওয়ার জন্য সবসময় আপনারা এত ব্যস্থ থাকেন কেন বলতে পারেন? যৌক্তিক বক্তব্য যুক্তি দিয়ে খণ্ডণ করুণ, হিন্দু না মুসলমান তা জানার প্রয়োজন কী?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.