![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচিত এবং আত্মীয়ের মধ্যে কয়েকজন রয়েছে, যারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। কথাটা থারাপ শুনালেও সত্য যে, এদের কারোরই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্যতা নেই, এবং পড়ার প্রয়োজনও নেই। এদের একজনে আর্কিটেকচারে পড়ে। আর্কিটেকচারে পড়ার মেধা তার নেই, স্রেফ টাকা দিয়ে নাম কামাইতে গেছে। বাপের নাভিশ্বাঃস উঠিয়ে ছাড়ছে। আরেকজন পড়ে ফ্যাশন ডিজাইনে, তার পিতা নেই, আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পড়তে হয়, কী পড়ছে, তা সে নিজেই জানে না। তার এইসএসসি’র রেজাল্টও আঁতকে ওঠার মত, বিজ্ঞান থেকে সি গ্রেডে পাশ করেছিল সে। এরকম অনেক উদাহরণ আছে। ভাল শিক্ষার্থী কিন্তু প্রাইভেটে পড়েছে, এরকম উদাহরণ খুবই কম। বেশিরভাগ টাকা দিয়ে স্টাট্যাস কিনতে যায় ওখানে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি, এ বক্তব্য হাতে গোনা দু’একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে খাটতে পারে, যদিও আমি বিশ্বাস করতে রাজি নই। সত্য হচ্ছে- প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আর পাঁচটা ব্যবসার মতই, অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় তো রীতিমত সার্টিফিকেট বিক্রীর দোকান।
আমার এক ছাত্র এইসএসসি পাশ করার পর ইংল্যান্ডে চলে গিয়েছিল, ওখানে গিয়ে কাজ করেছে, কিন্তু পড়াশুনা করা হয়নি। দেশে এসে ওর মনে হয়েছে- পড়াশুনা করা দরকার। এর মাঝে হঠাৎ ও আবিস্কার করেছে- যেহেতু এইসএসসি পাশের পর ইতিমধ্যে চার বছরের বেশি সময় চলে গিয়েছে, তাই এখন ইচ্ছে করলেই কোনো একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে নেওয়া যায়। ও উত্তরার কোনো একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ’র সার্টিফিকেট ম্যানেজ করে, এবং কিছুদিন পরে মালয়শিয়ায় চলে যায়। এরকম উদাহরণ আছে ভুরি ভুরি, ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে, তারপর ঘুষ দিয়ে চাকরি ম্যানেজ করে নিচ্ছে না, তারই বা প্রমাণ কোথায়? সার্টিফিকেট বিক্রীর মত ভয়ংকর একটি বিষয় প্রাইভেট ভার্সিটির সাথে জড়িত রয়েছে।
সেদিকে আর না গেলাম। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সমাজে কতটা অস্থিরতা তৈরি করেছে, সে বিষয়ে আসি।
কিছুদিন আগে আমার এলাকার এক গার্ডিয়ান তার ছেলেকে নিয়ে আমার কাছে এসেছিল পরামর্শ নিতে, ছেলে বায়না ধরেছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। পিতার সামার্থ নেই, ছেলে এক বিঘা জমি বিক্রী করে ভর্তি করাতে বলেছে। পিতা বুঝে উঠতে পারছে না। আমি ঐ ছেলে এবং পিতা দু’জনকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম। এই বলে বুঝানোর চেষ্টা করলাম যে- একটা চাকরি করার সামার্থ অর্জন করার জন্য আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই লাগে না, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এত টাকা খরচ করে পড়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। শেষ পর্যন্ত আমার বুঝানো কাজে আসেনি। পিতা জমি বেঁচতে বাধ্য হয়েছে। এই অস্থিরতার দায় কে নেবে? লাগামহীন শিক্ষা ব্যবসার জন্যই এটা হয়েছে। সমাজের মানুষ এখন স্ট্যটাস খুঁজছে সবকিছুতে, সেই সুযোগটাই নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটি সবচেয়ে বেশি ঘটছে। কোনোমতে এইসএসসি পাশ করে যেকোনো একটি এপার্টমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পরিচয় দিচ্ছে- বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। পিতা-মাতারাও কিছুদিন গর্ব করছে, কিন্তু অচিরেই অন্ধকার দিকটা বেরিয়ে আসে, পরিবারে তৈরি হচ্ছে অশান্তি।
যে কোনো মূল্যে এখন এই কালচার বন্ধ করা দরকার। মানসিক সামার্থ না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দরকার নেই, এটি বুঝালে কেউ বুঝবে না, তাই বিভিন্ন শর্তারোপের মাধ্যমেই লাগাম টেনে ধরতে হবে, সেক্ষেত্রে করারোপ অবশ্যই একটি উপায় হতে পারে, তবে সরকারের উচিৎ ছিল ভ্যাট ইম্পোজ করার আগে আরো অনেক বিচার-বিশ্লেষণে যাওয়া। তবে এই চাপটা কেন শিক্ষার্থীরা নিচ্ছে সেটি আমার বোধগম্য নয়, চাপটা দেওয়া হয়েছে মালিকদের উপর। ছাত্ররা চাপ অনুভব করবে টিউসন ফি বাড়ালে এবং তাদের আন্দোলনও করতে হবে তখন, এবং আন্দোলনটা করতে হবে মালিকদের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে নয়।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫
দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ওদের আন্দোলন করা উচিৎ মালিকদের বিরুদ্ধে, তাতো কোনদিন করেছে বলে শুনিনি।
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫
দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ওদের আন্দোলন করা উচিৎ মালিকদের বিরুদ্ধে, তাতো কোনদিন করেছে বলে শুনিনি।
৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০
জেকলেট বলেছেন: আপনি যে পয়েন্ট গুলো বল্লেন তার সবগুলোই মান রিলেটেড। এখন ধরেন ৩০% ভ্যাট এপ্লাই করা হলো। শিক্ষার মান বাড়বে?? তখন তো আরো খারাপ অবস্থা হবে। VAT দিয়ে তো আর শিক্ষার মান বাড়ানো যায়না। UGC নামক প্রতিষ্টানকে মান বাড়ানোর জন্য আরো ক্ষমতা দেয়া দরকার বা মান বাড়ানোর জন্য যা করা দরকার তাই। প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে এই গুলো বন্ধ করে দেয়া উচিত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ঘোষনা দিয়া VAT আদায় করা কতটুকু নৈতিক আর যুক্তিযুক্ত?? আমাদের মাল সাহেবের মতে যেহেতু প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান আগামীকাল থেকে সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ওর ব্যাবসায়িক প্রডাক্ট মানে সার্টিফিকেট ঘোষনা দিয়ে বিক্রি শুরু করা তাহলে কি হবে বলেন ত??
আপনার আরেকটা পয়েন্টের যে যাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্যতা নাই তারাও শুধু টাকার জোরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে ডিগ্রি নিচ্ছে। আমার কথা হল এখন আর শুধু ডিগ্রি দিয়ে চাকুরী হয়না তার সাথে যোগ্যতা লাগে। আর আপনি যে টাকা দিয়ে ডিগ্রি কিনে বল্লেন তাতে ঐ টাকা ওয়ালারা তখন আর দেশ থেকে ডিগ্রি না কিনে বিদেশ থেকে কিনবে। তখন তো অবৈধ টাকা পাচারের আরেকটা বিশাল রাস্তা হবে। আর আপনি যে বল্লেন যোগ্যতা নাই কিসের ভিত্তিতে?? AIUB, BRAC বা North- South ত আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকেও ভালো করছে। তারা অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করে দেশের জন্য সম্মান বয়া আনছে। এক বুয়েট ছাড়া পাবলিক ইউনিভার্সিটির কোনটা ঠিকমত চলছে বলবেন?? মেধা এটার কথা প্লিজ বলবেন না। শুধু টাকার জোরে কোচিং এ পড়ে যদি ভর্তি হওয়া যায় তাহলে পাবলিক আর প্রাইভেটের মাঝে ব্যাবধান কি?? আজকে কয়টা মফস্বল থেকে উঠে আসা ছেলে পাবলিকে চান্স পায়??? ইনফেক্ট টাকার জোরে ঢাকা আর রেস্ট অব বাংলার মাঝে যে সব কিছুতেই আকাশ-পাতাল পর্থক্য তৈরী হয়েছে তার কতটুকু খবর আমরা রাখি??
প্রত্যেকটা প্রবলেমের সমাধান তার গোড়া থেকে করতে হয়। মধ্য থেকে করলে সমাধান না হয়ে আরো বড় হবে। ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি নামের একটা প্রভাব থাকে আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রীর কাজ কারবার দেখে তার হাতেনাতে প্রমান পেলাম।
৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩
আবীর চৌধুরী বলেছেন: Click This Link
সবাইকে একপাল্লায় মাপা কি ঠিক?
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০১
দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ভালো কিছু করার প্রতিশ্রতি এবং ধৈর্য নিয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, এই সংখ্যাটা খুবই কম, তবে অবশ্যই কিছু আছে। কিন্তু ঐ কিছুর জন্য ভুগছে অনেকে। দেশে পাঁচটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থাকলে যথেষ্ট, সেখানে আছে অন্তত ষাট টা, কেন? জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে সমস্যা কী?
৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭
সাব্বির শওকত শাওন বলেছেন: বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আর কয়টা আসন রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মান, আসন, এবং হল এর ব্যবস্থা কতটুকু? আপনার কথা শুনে মনে হয় যারা ফলাফল খারাপ করে তাদের লেখাপড়ার অধিকার নেই। তাহলে স্কুল লেভেল থেকেই শেষের দিকের রোল নং ধরে ধরে ছাটাই করলে ই হয়। সরকার যথেষ্ট ব্যবস্থা করতে পারেনা দেখেই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির উতপত্তি। এবং অসাধু কালোবাজারী রা শিক্ষা বিক্রি করে টাকা কামাচ্ছে।একতরফা কথা বলার আগে ভাল করে জানুন।উপকৃত হবেন। আপনার দেখা দুইজন কে দেখেই সিদ্ধান্তে চলে আসলেন। আর পড়বে না কেন প্রাইভেট এ। চাকরির বাজার দেখছেন পাবলিক ইউনিভার্সিটি ছাড়া আর কাকে গোনা হয় বলুন, অবশ্যই জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করা কোন ছাত্র কে পাত্তা দেয়া হয় না। পাবলিক এর ওই কয়টা আসন এর পর প্রাইভেট ছাড়া কোন গতিও থাকেনা।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০২
দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হল-এর ব্যবস্থা াাছে নাকি? জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে চাকরি পাওয়া যায় না, এ কথার ভিত্তি কী? ভাইভায় নিশ্চয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেখে চাকরি দেওয়া হয় না।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৪
দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী সে প্রতিষ্ঠিত হবে, জোর করে স্ট্যাটাস মেইনটেইন করতে গেলে বিপদ বাড়ে। নিজের জেলার কলেজে বিনা পয়শায় অনার্স না পেড়ে পিতা-মাতার ঘাড় ভেঙৈ নামকাওয়াস্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার মাজেজা আমার বোধগম্য হয় না। টাকাওয়ালা তা করুক, কিন্তু মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন বিত্তরাও এখন ফাঁদে পা দিয়েছে।
৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮
ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন: "আমার পরিচিত এবং আত্মীয়ের মধ্যে কয়েকজন রয়েছে, যারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। কথাটা থারাপ শুনালেও সত্য যে, এদের কারোরই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্যতা নেই, এবং পড়ার প্রয়োজনও নেই।"
আপনার আশেপাশের লোকজন ছাগল হইতে পারে , তাঁর মানে এই না দুনিয়ার সবাই ছাগল। আমি যেখানে পড়ি, সেখানে একজন ছাত্র বুয়েট বাদ দিয়ে পড়তে আসে, কারন তাঁর আগ্রহ ছিল কম্পিউটার প্রকৌশল, যেটা সে বুয়েট এ পায় নাই। আমাদের এক সিনিয়র ভাই , অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্সের ছাত্র ছিল , অনেকে অল্প নম্বরের ব্যবধানে পছন্দের বিষয় না পেয়ে প্রাইভেটে ভর্তি হয়। সেটা আপনি বুঝবেন না।
কথা সেটা না। কথা হচ্ছে, মেধার সাথে ভ্যাট এর কি সম্পর্ক ?? যাদের মেধা কম তারা ভ্যাট বেশি দিবে?
আপনি আপনার নিজের গুষ্ঠির মেধা কেমন সেটা জানালেন, আপনার নিজের মেধাও কেমন সেটা বুঝা গেল।
political rhetoric থেকে কথা বলা বাদ দেন।
৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৮
দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: যুক্তির জায়গায় কথা না বলে, শুধু শুধু ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেন না। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়ছে তাদের সবাইকে নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলি নাই। তাছাড়া টাকাওয়ালাদের নিয়েও আমি কোনো কথা বলি নাই। যাদের টাকা আছে, তারা যে কোনোভাবে তা খরচ করতে চাইবেই। মানুষের মৌলিক চাহিদা মিটে গেলে মানুষ সবচেয়ে বেশি খরচ করে স্ট্যাটাসের পিছনে, তা করুক। সমস্যাটা হচ্ছে কালচারাল, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একটা “স্ট্যাটাস বিল্ডিং” কনসেপ্ট তৈরি করেছে, যেটি মধ্যবিত্ত, এমনকি নিম্নবিত্তের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়েছে, ফলে অনেকের টাকা খরচ করে পড়ার সামার্থ না থাকলেও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা ভর্তি হচ্ছে, যেহেতু একবারে টাকাটা লাগছে না। ফলে পরিবারে অশান্তি তৈরি হচ্ছে। বলতে পারেন- বেশিরভাগের ক্ষেত্রে ঠিক কতটুকু পড়াশুনা আসলে হচ্ছে, ডিগ্রিটাই বা কতটুকু কাজে লাগছে? প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বিষাদগ্রস্থ হয়ে থাকছে, যেহেতু অনেক টাকা খরচ করে পড়েছে, ফলে মানসিক চাপও বাড়ছে, মান সম্মত চাকরি পাচ্ছে না বেশিরভাগ, কিন্তু টাকা আনার সময় পিতা-মাতা কে প্রতিশ্রতি দিয়ে রেখেছিল যে, ভাল কিছু হবে। আসলে তো খুব ভালো কিছু হওয়া সম্ভব নয়, কারণ, তার তো সামর্থের একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে, পাশাপাশি স্রোতেও গা ভাসিয়েছে। আমি কিন্তু লেখার কোথাও বলি নাই- ভ্যাটা আরোপ করা ঠিক আছে, বলেছি- যেকোনভাবে লাগাম টেনে ধরা দরকার, সেটির উপায় নিয়ে আরো বিচার বিশ্লেষণ করার কথা বলেছি। আর যেকোনো ব্যবসার উপর ভ্যাট অারোপ তো অটোমেটিক হবে। মালিকদের তো ভ্যাট দিতে হবেই। এটা শিক্ষার্থীদের বিষয় কেন হবে? শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করবে টিউসন ফি কমানোর জন্য, মালিকরা ভ্যাট দেবে কি দেবে না, সেটি শিক্ষার্থীদের বিষয় নয়।
৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩
কালীদাস বলেছেন: অতিরিক্ত জেনারালাইজেশন করে ফেলেছেন। সার্টিফিকেট বিক্রি করা ইউনিভার্সিটি হাতে গোণা কয়েকটা, এবং এগুলোকে সবাই চেনে এদের লোকেশন এবং মার্কেটে নেগেটিভ রেপুটেশনের জন্য।
হায়ার স্টাডিস এখন মুটামুটি কম্পলসারি হয়ে গেছে একটা মুটামুটি কিছিমের জবের জন্যও, আর সোশ্যাল প্রেশার তো আছেই। রাষ্ট্র যখন আশি থেকে নব্বই ভাগ স্টুডেন্টকে হায়ার সেকেন্ডারি কমপ্লিটের সার্টিফিকেট দেবে তখন সেটা তাদের বেশিরভাগকেই হায়ার স্টাডিসের জন্য প্লেস দিতে বাধ্য। অল্টারনেটিভ ইনস্টিটিউটে ভ্যাট ইম্পোজের জায়গায় সরকার ইউজিসির মাধ্যমে মনিটরিং আরও স্ট্রিক্ট করলে বা শক্ত লিগাল একশন নিলে সেটা বরং কাজে দিত।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১২
দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: এখন যদি ওষুধ শিল্পের মালিকরা তাদের শ্রমিকদের মাঠে নামিয়ে দিয়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের আন্দোলন করায়, ওষুধ জীবন বাঁচায়, এটা তো শিক্ষার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ পণ্য, শ্রমিকরা যদি বলে, ভ্যাটের কারণেই মালিকরা আমাদের বেতন বাড়াচ্ছে না। ভ্যাট দেবে মালিকরা, তাতে শিক্ষার্থীদের কী? শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করবে ক্যাম্পাসের দাবিতে, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করবে লাইব্রেরির জন্য, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করবে যুক্তিসঙ্গত টিউশন ফি নির্ধারণের জন্য। ভ্যাট প্রত্যাহারের আন্দোলন কেন শিক্ষার্থীরা করবে?
৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৯
সাব্বির শওকত শাওন বলেছেন: প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে হল এর ব্যবস্থা নেই। তবুও শিক্ষার্থীদের ঢল কেন? আপনি কি মনে করেন সবার বাবা মা এতই বোকা যে শুধুমাত্র সন্তানের আব্দার রক্ষা করতেই তাকে প্রাইভেট ই ভর্তি করছে। চাকরির বাজার সম্পর্কে যদি একটু ধারণা থাকত তাহলে বলতেন না জাতীয় ইউনিভার্সিটির ছাত্র দের চাকুরী যোগাড় করতে কতটা বেগ পেতে হয়। কিছু করার দরকার নেই যে কোন ভাল একটি প্রতিষ্ঠানের অফিসে যান তারপর রিসেনটলি জয়েন করা অফিসার দের প্যানেল ই আলাদা আলাদাভাবে হাত তুলতে বলুন কে কে জাতীয় ইউনিভার্সিটির আর কে প্রাইভেট এর নিজেই উত্তর পেয়ে যাবেন? আর বাংলাদেশ এর মত জায়গায় আপনি যদি বলেন যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাবে তাহলে আপনার উপর হাসা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। তবে আপনি যদি মামা চাচা থাকাকে একটা যোগ্যতা হিসেবে ধরেছেন সেটা ভিন্ন কথা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেখে ভাইবা তে সিলেক্ট করা হয়না শুধু, অনেক জায়গায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী ফিল্টার করে ডাকা হয়। তবে আপনার একথার সাথে আমি একমত যে জোর করে স্টেটাস রক্ষা করতে গেলে বিপদ বাড়ে। এবং একথাও সত্য যে বাবা মায়ের উপর জোর করে এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া ঠিক নয়। তবে মানুষ অনেক কিছুই জানে বুঝে কিন্ত সপ্ন দেখতে ভালবাসে। অথবা আশেপাশের কোন উদাহরণ দেখে প্রনোদিত হয়। বাংলাদেশে গত দশ বছরের চাকুরীর বাজার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি গুলোকে অবস্থান দিয়েছে। ভাল করে জানুন এবং মুদ্রার উল্টো পিঠ খতিয়ে দেখার সামর্থ্য অর্জন করুন। শুভকামনা
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: শৃুধৃ ভ্যাট না বাটপারদের পুরা ইরকামের ৮০% জোর করে নিতে হবে সরকারকে। ওরা পড়ানো নাম করে শুধু সার্টিফিকেট বিক্রি করে শিক্ষার মান এক্কেবারে ডুবায়ে দিয়েছে। শিক্ষার তো কোন বালাই নাই শুধু বাণিজ্য আর বাণিজ্য।