নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হব সকাল বেলার পাখি

দিব্যেন্দু দ্বীপ

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে

দিব্যেন্দু দ্বীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেখকের সাক্ষাৎকার

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

শেকস রাসেল, সময়ে একজন প্রতিশ্রতিশীল লেখক। তিনি শুধু শাব্দিক অর্থে প্রতিশ্রতিশীল নন। লেখকের নিজের ভাষায়- “আমি সময় এবং সমাজের প্রতি শতভাগ দায়বদ্ধ একজন লেখক। আমার লেখা একটি লাইনও রোমান্টিসিজম নয়।”

* তুমি কবিদের আড্ডায়, আয়োজনে যাও না যে ...
# সময় নাই। সেই সময়ে আমি আরেকটা কবিতা লিখি।
অথবা বুড়িগঙ্গার পাড়ে গিয়ে বহু রকমের জীবন দেখি, টোকাইদের সাথে বাদাম খাই।

* বড় বড় পত্রিকায় লেখা পাঠাও না কেন?
# বড় বড় পত্রিকাগুলো আমি পছন্দ করি না।
যা পছন্দ করি না সেখানে আবার লেখা পাঠাব কেন?

* ব্লগ লেখ যে-
# মনের কথা অবলিলায় লেখা যায় ব্লগে, কেউ তা কেটে ছেটে ফেলে দেয় না।

* তাহলে ক্যামনে হবে?
# কী হবে? কী হওয়া দরকার?

* লেখক হওয়ার জন্য ...
# লেখক হতে হবে কেন?

* তাহলে তুমি লেখ কেন?
# তুমি পড়ো কেন?

* ভালো লাগে পড়তে। তোমার যেমন লিখতে ভালো লাগে।
# না, শুধু ভালো লাগার জন্য আমি লিখি না। আমার প্রত্যেকটি লেখায় সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা থাকে। তোমরা সেটি মানবে না, কারণ, এদেশে ষাটোর্ধ এবং পদাধিকারপ্রাপ্ত না হলে তাকে কেউ মানে না। অন্য দেশে তুমি ত্রিশ বছর বয়সী প্রতিষ্ঠিত লেখক তো পাবেই, ব্যবসায়ী পাবে, সংসদ সদস্য পাবে, বাংলাদেশে পাবে না। অথচ আমি মনে করি ত্রিশ থেকে চল্লিশ পর্যন্ত মানুষ মনে হয় সর্বাধিক উৎকর্ষে থাকে।

* তাহলে তোমার লিখে লাভ কী?
# আমার লাভে লিখি না, কথাটি তুমি মানবে না, কিন্তু কথা তো আসলে সত্য। লেখালেখির পিছনে আমি জীবন শেষ করলাম, কিন্তু প্রত্যভাবে লেখালেখি থেকে এখন পর্যন্ত আমি কিছু পাইনি। কিন্তু তারপরেও লিখতে হবে। লেখাগুলো আমি মূল্যবান মনে করি। সহজাতভাবে লিখি, প্রবলভাবে লিখি, খুব চেষ্টা করে, খুব কষ্ট করে লিখি না। জীবনেও আমি কবিতা লেখার চেষ্টা করিনি। জীবনদর্শন প্রয়োজনীয় এবং সুন্দর কিছু শব্দে প্রকাশ করতে চেয়েছি শুধু। কোনোদিন কোনো কবি কবিতা লেখেননি। কবিতা হয়েছে।

* রবীন্দ্রনাথ গানগুলো লেখেননি?
# না, গানগুলো হয়েছে। ও লেখা যায় নাকি?

* লেখকের পরিণতি তাহলে কী?
# আর পাঁচজন মানুষের মতই, মৃত্যু।

* অর্থ-বিত্ত, খ্যাতি এগুলো কি লেখকের প্রাপ্য নয়?
# নূন্যতম একটা জীবনমান সকলের প্রাপ্য, সেটি লেখকেরও প্রাপ্য। তবে লেখালেখির জন্য কিছু চাহিদা আছে সেগুলো পূরণ হওয়া জরুরী। একটা সময়ের পরে লেখকের প্রচুর অবসর প্রয়োজন হয়। জীবিকার তাগিদে শুধু ছুটতে হলে লেখা কঠিন। তখন ফাঁকে ফাঁকে লিখতে হয়। সেত্রে লেখক পিছিয়ে পড়ে। কান্ত হয়।

* লেখককে বুঝবে কে? সবাই তো লেখককে বুঝতে পারে না।
# এটা একজন লেখকের সবচেয়ে বড় সংকট। চারপাশের মানুষের সাথে অদৃশ্য একটা সীমানা প্রাচীর থাকে লেখকের। এটা ভাঙা খুব শক্ত।

* তাহলে লেখক কি একা মানুষ?
# একা মানুষ তো সবাই। লেখকের একাকীত্ব প্রয়োজনীয়, তবে কখনো কখনো তা খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যায়, সিলভিয়া প্লাথের েেত্র যেমনটি হয়েছিল।

* লেখক কি সুখী মানুষ?
# একজন লেখক অত্যন্ত সচেতন একজন মানুষ। জীবন সম্পর্কে, এবং জীবনের অন্তঃসারশূন্যতা সে জানে। তাই প্রচলিত সুখ লেখকের জন্য অপরিহার্য নয়। সচেতনতা, বোধগম্যতাই সবচেয়ে বড় সুখ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০০

বিজন রয় বলেছেন: দারুন!

এভাবে ভাবতে পারা যায়!!
এটা না পড়লে বিশ্বাস করতাম না।

++++
মুগ্ধ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.