নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনভিজ্ঞ

অনভিজ্ঞ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ড ইতিহাস !!!

২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩


'মাই নেম ইজ বন্ড, জেমস বন্ড' এই ডায়ালগটা ১৯৬২ থেকে ২০১৫ সাল মোট ৫৩ বছর ধরে শুনছে জেমস বন্ড ভক্তরা। ‘জেমস বন্ড’ এর নাম শুনেন নি এমন মানুষ খুব কমই রয়েছেন। আবার অনেকে ‘জেমস বন্ড’ এর নাম শুনলেও জানেন না কে এই ‘জেমস বন্ড’। ‘জেমস বন্ড’ কি রক্ত মাংসের কোনো মানুষ? দেখতে কেমন…..? ইত্যাদি ইত্যাদি প্রশ্ন অনেকের মাথায় ঘুরপাক খায়।

কে এই ‘জেমস বন্ড’
যারা ভাবছেন ‘জেমস বন্ড’ রক্ত মাংসের একজন মানুষ, তাদের ধারণা সম্পূর্ণই ভুল। ‘জেমস বন্ড’ একটি কাল্পনিক চরিত্রের নাম। তবে কিছু রক্ত মাংসের মানুষ যুগে যুগে ফুটিয়ে তুলছেন কাল্পনিক এই চরিত্রটিকে। বিখ্যাত ব্রিটিশ সাহিত্যিক ‘ইয়ান ফ্লেমিং’ জন্ম দেন কাল্পনিক এই চরিত্রের। ‘ইয়ান ফ্লেমিং’ তার ‘ক্যাসিনো রয়েল’ উপন্যাসের নায়কের নাম ঠিক করতে গিয়ে মহা ঝামেলায় পড়েন। কোনো নামই তার মনের মতো হচ্ছিল না। তিনি চেয়েছিলেন তার এই উপন্যাসের নায়ক হবে দুর্ধর্ষ চরিত্রের কেউ, চরিত্রের মতোই দুর্ধর্ষ হবে তার নাম। তাই সে রকম একটি নাম খোঁজার জন্য বিভিন্ন বই নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করেন ‘ইয়ান ফ্লেমিং’।লিখা শুরু হয়ে গেছে কিন্তু নায়কের নাম নিয়ে পড়লেন মহা সমস্যায়। মাথার মধ্যে অনেক নাম আসছে কিন্তু কোনটিই মনমতো হচ্ছেনা। জমকালো গম্ভীর কোন নাম নয়, নিতান্ত সহজ-সরল সাধারন একটি নাম তিনি খুঁজছিলেন। বিভিন্ন বইপত্র তন্ন-তন্ন করে খুঁজেও যুতসই নাম পাচ্ছেননা!বইপত্র ঘাটাঘাটি করার সময় হঠাৎ একটি বইয়ের ওপর তার চোখ আটকে গেলো। বইটি ওয়েষ্ট ইন্ডিজের পাখিদের নিয়ে লেখা। বইয়ের নাম ‘বার্ডস অব ওয়েষ্ট ইন্ডিজ’। লেখকের নাম খুব সাধারণ, আচমকা এই নামটি যেন ধাক্কা মারলো তার বুকে। বইটির লেখকের নাম জেমস বন্ড।এক মুহূর্তের দেখাতেই ভালো লেগে যায় নামটি। ব্যাস জন্ম হয়ে গেল ‘জেমস বন্ড’ এর। এটি ছিল তার ১ম উপন্যাস।১৯৫২ সালে ‘জেমস বন্ড’ খ্যাত কাল্পনিক এই চরিত্রটির পথচলা শুরু হয়। যেখান থেকে পথচলা শুরু হয় সেটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের জ্যামাইকা দ্বীপের গোল্ডনেয়ি শহরের ‘ইয়ান ফ্লেমিং’ এর বাড়ি। মন মতো নায়কের নাম খুঁজে পাওয়ার পর আর পিছনে ফিরে তাকান নি ‘ইয়ান ফ্লেমিং’।কাহিনী নির্ভর বন্ড সিরিজের কেন্দ্রীয় চরিত্র জেমস্ বন্ড সিক্রেট সার্ভিসের এক বুদ্ধিমান অফিসার। যার কোড নম্বর ০০৭ এবং যিনি একজন নেভাল রিজার্ভ কমান্ডার। ০০ কোড শুধু তাদেরই দেওয়া হয় যারা প্রয়োজনে হত্যা করার লাইসেন্সপ্রাপ্ত।‘ইয়ান ফ্লেমিং’ এর কাল্পনিক এই চরিত্রটিই জয় করে নিয়েছেন পুরো বিশ্বকে। ফ্লেমিং জেমস বন্ডকে নিয়ে লিখেছেন ১২টি উপন্যাস আর দুটি ছোটগল্পের সংকলন।



কেমন ছিলেন ইয়ান ফ্লেমিং এর ‘জেমস বন্ড’?
কি আছে এই বন্ড চরিত্রে? কেনো পুরো বিশ্ব পাগল এই চরিত্রের জন্য? এরকম অনেক প্রশ্নই কাল্পনিক এই চরিত্রটিকে নিয়ে রয়েছে। এটি এমন একটি চরিত্র যাকে বলা চলে ‘একের ভিতর অনেক’। যেমন - ব্যাটম্যান, সুপারম্যান, স্পাইডারম্যান জনপ্রিয় এই চরিত্রগুলোতে শুধুমাত্র ফ্যান্টাসির পরিমাণ বেশি। এছাড়া শার্লক হোমসের ছিলনা কোন নারীলিপ্সা, এরকুল পোয়ারোতো শুধু ধাঁধাঁ সমাধান করেই দিন পার করতেন। কিন্তু এসব বিখ্যাত চরিত্রের সাথে বন্ড চরিত্রের একটা বড় পার্থক্য আছে, যা মানুষকে আরও বেশি আকর্ষণ করে। তা হল বন্ডের ব্যক্তিত্ব, যা একেবারে ধোয়া তুলসী পাতা নয়। তিনি শুধু দুর্ধর্ষ কর্মকাণ্ড করেই বেড়ান না, ভালোবাসেন গাড়ি, নারী, খাবার আর পানীয়। মদ, নারী, মৃত্যু- এই তিন নিয়েই যেন বন্ডের সব খেলা। অন্যসব চরিত্রের দিক দিয়ে এখানেই তিনি ব্যতিক্রম।
‘ইয়ান ফ্লেমিং’ তার উপন্যাসে ‘জেমস বন্ড’ এর কোনো বয়স উল্লেখ করেন নি। মুভিতে যে ‘জেমস বন্ড’কে দেখা যায় তার বয়স ৪০ এর উপরে এবং ব্যক্তি হিসেবে তিনি সাহসী , বুদ্ধিমান এবং নারীদের কাছে যৌনাবেদনময়ী পুরুষ। তার পোষাক-পরিচ্ছদে দেখা যায় বেশিরভাগ সময় তিনি ডিনার জ্যাকেট পড়েন। এছাড়া তার হাতে শোভা পায় রোলেক্স সাবমেরিন ঘড়ি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্লেমিং নৌবাহিনীর গুপ্তচর বিভাগের প্রধান পরিচালকের সহকারী ছিলেন। চাকরী-সূত্রে বেশ কিছু গুপ্তচর এজেন্টকে তিনি অত্যন্ত কাছ থেকে দেখেছেন। এদের মধ্যে একজন হচ্ছেন দুস্কো পোপোভ। পোপোভ জন্মসূত্রে যুগোস্লাভিয়ার লোক, কাজ করতেন ব্রিটিশ গুপ্তচর বিভাগে। ব্রিটিশ এজেন্ট হিসেবে তিনি গোপনে নাৎসি গুপ্তচরদের সঙ্গে মিশে যেতেন, সংগ্রহ করতেন জার্মানদের সব গোপন খবর। ব্রিটিশদের সম্বন্ধে ভুল খবর দিয়ে নাৎসি বাহিনীকে উলটোপথে পরিচালিত করতেন। ব্রিটেনের ‘ডাবল এক্স’ কমিটির প্রাণ ছিলেন এই দুস্কো পোপোভ। ডাবল এক্স কমিটি নামের মধ্যেই তার কাজ-কারবারের রহস্য লুকিয়ে আছে। ইংরেজী ‘ডাবল ক্রসিং’ কে বাংলা করলে দাঁড়ায় দ্বৈত ভুমিকা। নাৎসি গুপ্তচর বাহিনীর সঙ্গে মিশে যাবে কিছু ব্রিটিশ এজেন্ট, ভুল খবর দিয়ে তারা নাৎসি বাহিনীকে ঠেলে দেবে বিপর্যয়ের মুখে। উপন্যাসের বন্ডের মতো বাস্তবের এই বন্ড দুস্কো পোপোভও খুব বিপজ্জনকভাবে বাঁচতেন। রাজকীয় জীবন যাপন করতেন। আর কর্মদক্ষতা ছিলো অসাধারণেরও অসাধারণ। আশ্চর্য্যরকম দক্ষতায় তিনি সব বাধা দূর করতেন।তখন ব্রিটিশ গুপ্তচর ‘দুস্কো পোপোভ’ এর বিভিন্ন গুণ তাকে আকৃষ্ট করে।ইয়ান ফ্লেমিং তার ‘জেমস বন্ড’ চরিত্রে ফুটিয়ে তোলেন সেই ‘দুস্কো পোপোভ’কে।


একসময় ফ্লেমিং পোপোভকে এক ক্যাসিনোতে দেখেছিলেন। তীক্ষ বুদ্ধিমত্তার সাথে জুয়ার চাল দিতেন পোপোভ। রুলেত টেবিলেই তিনি প্রমাণ করে দেন, জীবন নিয়ে জুয়া খেলতেও তিনি বিন্দুমাত্র পেছপা নন। আর আমাদের গল্পের জেমস বন্ডের অভিযানও শুরু হয়েছিলো ক্যাসিনো থেকে।উপন্যাসে বন্ডকে দেখানো হয় রয়্যাল নেভির একজন কমান্ডার হিসেবে, পরে যাকে ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিসের গোয়েন্দা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
১৯৭৪ সালে দুস্কো পোপোভ একটি বই প্রকাশ করেন। বইটির নাম ছিলো ‘স্পাই-কাউন্টারস্পাই’। ঘটনার ঘনঘটা, মৃত্যু মুখে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতাসহ পোপোভের জীবনের অনেক রোমাঞ্চকর ঘটনা এই বইয়ে স্থান পেয়েছে। বন্ডের মতো পোপোভও বিপদের মুখে স্থির, অবিচল থাকতেন। পোপোভ লিখেছেন, “আমি শুনেছি আমার অভিজ্ঞতা ও জীবনের ওপর কিছু-কিছু ক্ষেত্রে ভিত্তি করে ইয়ান ফ্লেমিং জেমস বন্ড চরিত্র সৃষ্টি করেছেন। জেমস বন্ড রক্তমাংসের মানুষ হলে গুপ্তচরবৃত্তির দুনিয়ায় ৪৮ঘন্টাও বেঁচে থাকতেন কিনা সে বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে। এই পৃথিবীতে পদে-পদে মৃত্যু আর বিপদের হাতছানি।”

ইয়ান ফ্লেমিং এর পরিচয়
‘ইয়ান ফ্লেমিং’ এর পুরো নাম ইয়ান ল্যাংকেষ্টর ফ্লেমিং (Ian Lancaster Fleming)। ১৯০৮ সালের ২৮ মে ইংল্যান্ডের লন্ডন শহরের মেফেয়ারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পেশাগতভাবে ‘ইয়ান ফ্লেমিং’ ব্রিটিশ লেখক, সাংবাদিক ও নৌ-গোয়েন্দা হিসেবে পরিচিত। লন্ডনের এটন কলেজ থেকে পড়াশুনা সম্পন্ন করেন ফ্লেমিং।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার সময়েই ইয়ান ফ্লেমিং তার এক বন্ধুকে বলেছিলেন, তিনি একটি গোয়েন্দা উপন্যাস লিখতে চান। কিন্তু সেই উপাখ্যান লেখা শুরু হয় ১৯৫২ সালে,যখন তিনি তার অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। তার অভিজ্ঞতা এবং কল্পনার রং মিশিয়ে ১৯৫২-র ১৭ ফেব্রুয়ারির এক সকালে জ্যামাইকায় বসে লিখতে শুরু করেন তার প্রথম উপন্যাস ‘ক্যাসিনো রয়াল’। এক মাসের মধ্যে অর্থাৎ ১৮ মার্চ, ১৯৫২-তে লিখে শেষ করে ফেলেন ২ হাজার শব্দের তার এই প্রথম উপন্যাসটি। এরপর একে একে লিখে শেষ করেন বন্ড সিরিজের আরো বারটি উপন্যাস এবং দুটো গল্প।আর তার পরের ঘটনা তো ইতিহাস। সর্বকালের প্রিয় চরিত্র হিসেবে স্থান করে নিলো পাঠকের হৃদয়ে। ফ্লেমিং পরে রসিকতা করে বলেছিলেন “আমার উপন্যাস লেখার পেছনে সেরকম মহৎ কোনও কারণ নেই। ৪৩ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলাম, বুড়ো বয়সে বিয়ে করার সেই আঘাতটাকে কাটিয়ে ওঠার জন্যই বোধহয় উপন্যাস লিখতে শুরু করি।” বন্ডের অভিযান যেন শুরু হয়েছিলো ফ্লেমিংয়ের অবিবাহিত জীবনকে বিদায় জানাতে। ২০০৮ সালে টাইমস পত্রিকা ইয়ন ফ্লেমিংকে “১৯৪৫ সালের পর সেরা ৫০ ব্রিটিশ লেখক”দের একজন ঘোষনা করে। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপান ও মদাসক্তির জন্য ১৯৬১ সালে হার্ট অ্যাটাকের স্বীকার হন ফ্লেমিং। ১২আগস্ট, ১৯৬৪ সালে পুনরায় হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরন করেন তিনি।তার শেষ দুটো উপন্যাস ‘দ্য ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন গান’ এবং ‘অক্টোপুসি অ্যান্ড দ্য লিভিং ডেলাই’ তার মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়।


তার মৃত্যুর পর, বন্ড সিরিজের লেখা থেমে থাকেনি- জেমস বন্ড চরিত্রটিকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য বই, চলচ্চিত্র, কমিকস, ভিডিও গেমস ইত্যাদি । জন গার্ডনার (বন্ড সিরিজের ১৪টা উপন্যাস), রেমন্ড বেনসন (বন্ড সিরিজের ৬টা উপন্যাস) সহ লিখেছেন কিংসলে এমিস, সেবাস্টিয়ান ফোকস, জেফেরি ডেফার এবং উইলিয়াম বয়েডের মতো লেখকেরা। উপন্যাসগুলোকে কেন্দ্র করে এই পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে ২৪টি চলচ্চিত্র এবং পৃথিবী বিখ্যাত ছয়জন অভিনেতা প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রায় প্রত্যেকটা নায়ক ‘মহানায়ক’ এর আইকন হয়ে গেছেন ধীরে ধীরে।

তারা হলেন শন কেনারি, জর্জ ল্যাজেনবি, রজার মুরে, টিমোথি ডাল্টন, পিয়ার্স ব্রুসনান এবং সর্বশেষ ডেনিয়েল ক্রেগ। ১৯৬২ সালে ‘জেমস বন্ড’ সিরিজের প্রথম মুভি ড. নো মুক্তি পায়, এতে ‘জেমস বন্ড’ চরিত্রে অভিনয় করেন ‘শন কেনারি’।২০১৫ সালে মুক্তি পায় সর্বশেষ ছবি ‘স্পেকট্রা’, এতে ‘জেমস বন্ড’ চরিত্রে অভিনয় করেন ‘ডেনিয়েল ক্রেগ’।

শুরুতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ‘জেমস বন্ড’
সেই ১৯৬২ সাল থেকে ২০১৫, দীর্ঘ এই সময়ে দর্শক মহলে এতটুকু জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি ‘জেমস বন্ড’ সিরিজের। কিন্তু মুভি হিসেবে মুক্তি পাওয়ার আট বছর আগে প্রথমে টিভি সিরিয়াল তৈরি করা হয় ‘ইয়ান ফ্লেমিং’ এর ‘ক্যাসিনো রয়েল’ উপন্যাস অবলম্বনে। সেই টিভি সিরিয়ালে ‘জেমস বন্ড’ চরিত্রে অভিনয় করেন ‘ব্যারি নেলসন’। তবে সেই সিরিয়ালে নায়কের চরিত্রের নাম ছিল ‘জিমি বন্ড’। দর্শকমহলে খুব একটা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারে নি সেই সিরিয়ালটি। হলিউড বোদ্ধারা প্রায় ধরেই নিয়েছিলেন ‘জেমস বন্ড’ চরিত্রটি মুখ থুবড়ে পড়বে। কেননা ‘ইয়ান ফ্লেমিং’ তার উপন্যাসে নায়ককে যেভাবে তুলে ধরেছেন পর্দায় ‘ব্যারি নেলসন’ সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেন নি। তাই চরিত্রটি সকলের কাছে সেভাবে মন:পুত হয় নি।



আবার এগিয়ে যাওয়া
টিভি সিরিয়ালে ফ্লপ ‘জেমস বন্ড’ চরিত্রটিকে নিয়ে এবার মুভি বানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। টিভি সিরিয়ালে নায়কের কারণে মার খায় চরিত্রটি। তাই এবার নায়কের ব্যাপারে বেশি গুরুত্ব দেন ‘ইয়ান ফ্লেমিং’। ‘জেমস বন্ড’ সিরিজের প্রথম মুভি ‘ডাক্তার নো’ এর নায়কের বর্ণনা করতে গিয়ে ‘জেমস বন্ড’ সিরিজের লেখক ‘ইয়ান ফ্লেমিং’ বলেছিলেন – নায়ককে লম্বায় হতে হবে ছয় ফুটের উপরে, তার থাকতে হবে পুরুষালি কন্ঠস্বর, দড়ির গোছার মতো শরীরের এখানে ওখানে ছড়িয়ে থাকবে পেশী, চুলগুলো হবে কোঁকড়ানো কিন্তু মসৃণ, তার গতি হবে চিতা বাঘের মতো, উপস্থিত বুদ্ধিতে সে হবে সকলের সেরা, খেলনার মতো অস্ত্র চালাতে জানতে হবে, মেয়েদের কাবু করতে যার চোখের একটি পলকই যথেষ্ট, কিন্তু দয়া-মায়া-মমতা বলতে তার মধ্যে কিছু থাকতে পারবে না। বুঝতেই পারছেন এমন একজন পুরুষ মানুষ খুঁজে বের করা চাট্টিখানি কথা নয়। তারপর বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর অবশেষে দেখা মিলল কাঙ্ক্ষিত সেই পুরুষের। তার নাম ‘শন কেনারি’।১৯৬২ সালে ‘জেমস বন্ড’ সিরিজের প্রথম মুভি ড. নো মুক্তি পায়, দুর্দান্ত সব অ্যাকশনের পাশাপাশি তার অনবদ্য রসিকতা সবার মনে ধরেছিল। শন কনারির তীব্র পুরুষালি কণ্ঠে সেই পরিচয় প্রদান 'মাই নেম ইজ বন্ড, জেমস বন্ড' আজও বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা সংলাপ।



তথ্য সূত্র : ইন্টারনেট ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ইন্টারনেট ঘেঁটে এসব চমৎকার তথ্য এখানে পরিবেশন করার জন্য ধন্যবাদ। লেখাটি উপভোগ করেছি। বিশেষ করে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের পাখি বিশারদের নামানুসারে "জেমস বন্ড" নাম রাখার তথ্যটা চমকপ্রদ।

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

অনভিজ্ঞ বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.