![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ এটাই আমার বড় পরিচয়। জীবন চালানোর তাগিদে কামলা দিই। জীবনের অনেক গুলো বছর অতিবাহিত হওয়ার পর উপলদ্ধি করলাম, আমি আমার গন্তব্য ভুলে গেছি। তাই আবার নিজেকে নিজের ভিতর নতুন করে খোজা শুরু করেছি। খুজে খুজে যা পাচ্ছি তা লিখতে চেষ্টা করছি।
আত্ম জ্ঞান- পর্ব- ১ ও ২
দেহ একটি রাজ্য। এই রাজ্য যিনি ধারন করে আছে তার মন। আর এই মনই দেহরুপ রাজ্যের রাজা। এই মন রুপ রাজা আবার অন্ধ। সে কিছুই দেখতে পায় না। বুদ্ধির দ্বারা ভাল মন্দ বিষয় তার গোচরীভূত হয়।
এই শরীর রুপ ক্ষেত্রে যুদ্ধার্থী মনের পক্ষে ইন্দ্রিয়গণ, যেহেতু ইন্দ্রিয়গণকেই মন আপনার বলে মনে করে..তাদেরকেই আত্মীয় মনে করে। রাজারুপী এই মনের মন্ত্রী পরিষদ হচ্ছে 10 ইন্দ্রিয়...05টি জ্ঞান ইন্দ্রিয় ও পাচটি কর্ম ইন্দ্রিয়। পাচটি জ্ঞান ইন্দ্রিয় হচ্ছে..চোখ, নাক, নাক, জিহ্বা ও ত্বক। আর পাচটি কর্ম ইন্দ্রিয় হচ্ছে -বাক বা কথা, পাণি বা হাত, পাদ বা পা, পায়ু বা মল দ্বার ও উপস্থ বা লিঙ্গ।
এই দশ ইন্দ্রিয় প্রত্যেকেই পূর্ব পশ্চিমাদি 10 দিকে ধাবমানশীল হয়। অর্থাৎ প্রত্যেক ইন্দ্রিয়ই দশদিকে গমনাগমন রুপ দশগুণ বিশিষ্ট হওয়ায় এই কারণে 10 গুণ 10 =100টি প্রবৃত্তি মনে সৃষ্টি হয়। যা এই অন্ধ মন নিজের মনে করে।
এই 100 প্রবৃত্তি শরীস্থ ধর্ম রাজ্য স্থাপনের জন্য রয়েছে যে নিবৃত্তিরুপী পঞ্চ যোদ্ধা ( ক্ষিতি, অপঃ তেজ, মরুৎ ও ব্যোম) যারা নিবৃত্তির পক্ষে...তাদের সাথে প্রতি পলে পলে যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে।
ইন্দ্রিয় বা প্রবৃত্তি পক্ষ চাইছে ইন্দ্রিয় রাজ্য স্থাপন করতে আর পঞ্চ শক্তি নিবৃত্তি পক্ষ চাইছে আত্মরাজ্য স্থাপন করতে। এই নিয়ে যুদ্ধ চলছে। যখন প্রবৃত্তি পক্ষ মনকে জয় করে তখন মনে ইন্দ্রিয় রাজ্যের জয় হয় এবং মানুষ ফাদে পড়ে। আর যখন পঞ্চশক্তি বা নিবৃত্তি পক্ষ মনকে জয় করে তখন মনে আত্মরাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
বস্তুতঃ মন এক সাথে দুটো বিষয়ই এক সাথেই ধারণ করছে। মানুষ একই সাথে প্রাকৃতিক ভাবে ও জন্মগত স্বভাবজাত ভাবেই দুটি ধর্ম পালন করে একটি হচ্ছে আত্ম ধর্ম অপরটি হচ্ছে ইন্দ্রিয় ধর্ম। (চলবে)
©somewhere in net ltd.