![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন যেখানে দ্রোহের সমার্থ মৃত্যুই সেখানে শেষ কথা নয়
গত শুক্রবারই মধ্য দুপুরে ব্লগার নিলাদ্রী তার নিজ বাসায় খুন হয়েছে। খুনের মোটিভ এখনো অস্পষ্ট। যদিও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীরা বিভিন্ন রকম কথা বলছেন। জামায়াত -বিএনপি কে দায়ী করছেন। প্রিন্ট মিডিয়া আর ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো এ বিষয়ক নিউজ কাভারে ব্যস্ত।সোস্যাল সাইটের নিউজ ফিডে বহুমুখী আলোচনা- সমালোচনা। এর মধ্যেই গতকালই সন্ধ্যায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু'র এক ভাইপোকে নিলয় হত্যার সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে এ জাতীয় হত্যাকান্ড ঘটবার পর পরই কিছু জিহাদি গোষ্ঠী হত্যার দায় স্বীকার করে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে থাকে। আর সেই সাথে সাথেই আমাদের সুশীল সমাজ, কিছু বুদ্ধিজীবী এবং কিছু বামপন্থী গণমাধ্যম ইসলামকে নিয়ে ধর্মীয় আচার -আচরণ কে নিয়ে ব্যাপক কাটা-ছেড়া শুরু করে দেয়। এখন আমার প্রশ্ন হলো এইযে ব্লগার নিলয় খুন হলো এর জন্য কি তার নিজের কোন দায় নেই? সে মুক্তচিন্তার নামে যে ধর্মকে নোংরা ও অশ্লীল গালাগালি করতো সেটা কতটুকু যৌক্তিক। তারমানে মুক্তচিন্তা মানেই ধর্মকে গালাগালি? নীলয় কি ভালো কেউ ছিলো? কয়েকদিন থেকে ফেসবুক আর ইউটিউবের কল্যাণে প্রকাশ পাওয়া যে ছবি আর ভিডিও চিত্রগুলো সবাই প্রত্যক্ষ করলো এতেই পরিষ্কার হয়ে যায় সে এবং তার সঙগ পাঙগরা কেমন ছিলো। তারপরও আমাদের বুঝানোর চেষ্টা হয় তারা 'ভদ্র ছেলে'। কারণ তারা ব্লগার তারা গণজাগরণ কর্মী তাই তারা শত অপকর্ম করলেও কিছু বলা যাবেনা। আর তাদের বিরুদ্ধে মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু করলেই তখন ধর্মকে দায়ী করা হচ্ছে। ব্লগার নিলয় কোন ধরনের বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়া আশামনি নামের আরেক গণজাগরণ কর্মীর সঙগে একই বাসায় থাকতো। সেখানে ইচ্ছামত নেশার আসর চালিয়ে যেত। এসব কি কোনভাবে সাপোর্টেড?
আজকে গণজাগরণের নামে যে একধরনের নোংরামো অশ্লীলতাকে সহজপ্রাপ্যতা দেয়া হচ্ছে এর জন্য কখনো কি তাদের দোষারোপ করা হয়েছে। আজকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে ভুলুন্ঠিতো করা হচ্ছে। চেতনা নামক এক বিষাক্ত ট্যাবলেট খাইয়ে তরুণ প্রজন্মকে মিসগাইডেড করা হচ্ছে এ জন্য কি ঐ তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চেকে কেউ দায়ী করেছে? আর এইযে চেতনার নামে যে কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি হয়েছে অথচ আওয়ামি লীগের অনেক নেতার মুখেই এখন শোনা যাচ্ছে কাদের মোল্লা আসলে কোন অপরাধী ছিলেননা উল্টো তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। যদি তাই থাকে আর একদিন যদি প্রমাণিত হয় কাদের মোল্লাকে জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে তাহলে তখন এর দায় কে নেবে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামি লীগের সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনির চ্যানেল আইতে প্রচারিত টকশোর কথাটি উপস্থাপন যোগ্য: বলছিলাম ব্লগার নিলয় আর গণজাগরণ মঞ্চের চেতনার নামে ধান্দাবাজির কথা। এই যে নিলয় হত্যা নিয়ে অনেক কথাই হচ্ছে প্রথম আলো পত্রিকা সহ আরো কিছু বাম পন্থী পত্রিকা ( পক্ষান্তরে ইসলাম বিরোধী পত্রিকা) একজোট হয়ে নিলয়ের জন্য সংহতি প্রকাশ, হত্যার বিচার এবং ইসলাম নিয়ে পরোক্ষ সমালোচনা করছে তারা কি কখনো পড়ে দেখেছে এই বুদ্ধি বিকৃত এবং বিবেক প্রতিবন্ধী ধর্মবিদ্বেষী ব্লগাররা কি ধরনের লেখালেখি করে? না পড়লে দেখে নিন এই নিলয়-আসিফ মহিউদ্দীনের মতো ইসলাম বিদ্বেষীরা ধর্মকে নিয়ে কি ধরনের কটূক্তি করেছে।
প্রদর্শিত স্ক্রিনশটগুলো থেকেই প্রমাণ হয় এইসব ব্লগার মুক্তচিন্তার নামে কিভাবে ধর্মকে তুচ্ছ করে কটাক্ষ্যপূর্ণ লেখালেখি করে।
অথচ আমাদের দেশের কিছু মিডিয়া সেই প্রথম থেকেই এই কটূক্তি কারী নাস্তিক ব্লগারদের পক্ষ নিয়েছে। এই ক্ষেত্রে অন্যসব মিডিয়া থেকে প্রথম আলো পত্রিকা নাস্তিকদের পক্ষে একটু বেশি সরব। গেলো এক সপ্তাহে ওরা প্রতিদিনই নিলয়কে নিয়ে প্রতিবেদন ছেপেছে। নাস্তিক ব্লগার খুন হওয়াতে তাদের উদ্বেগের শেষ নাই। তারা প্রতিবেদনে তৈরি করে 'কথিত নাস্তিক' 'কথিত কটূক্তির অভিযোগ' ইত্যাদি কিছু সন্দেহ সৃষ্টকারী শব্দ জুড়ে দিয়ে। অর্থাৎ তারা বুঝাতে চায় এ ব্লগাররা নাস্তিক নয়, এরা কটূক্তিও করেনা। কিন্তু প্রথম আলোকে বুঝা দরকার তথাকথিত চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা, মানবতাবাদীতা, আর নিজেকে বদলানোর স্লোগান দিয়ে আর কয়দিন নিজেদের ভন্ডামিকে আড়াল করবেন। ভালোমানুষির ছদ্মাবরনে আপনারা যে এক বদমতলব নিয়ে চলছেন সেটা এখন অনেকটাই পরিষ্কার। যে দেশে প্রায় ৯৯% বেশি লোক তাদের নিজ নিজ ধর্মের প্রতি অনুভূতিশীল সেদেশে আপনাদের মত গুটি কয়েক ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদীকে নিয়ে খুব বেশিদূর এগোতে পারবেন না। এ কয়দিনে নীলয় হত্যা নিয়ে যত প্রতিবেদন করেছেন তার সবই যে কটূক্তিকারি নাস্তিক ব্লগারদের তাদের মুক্তচিন্তার আড়ালে যে কটূক্তি করেছে তার পক্ষে এক ধরনের প্রত্যক্ষ সমর্থন তা আর কারো বুঝার বাকি নেই। একজন ব্রগার তার অপকর্মের জন্য খুন হয়েছে সেটা নিয়ে আপনাদের এতো দরদ কেন। খুবতো মাবাধিকার আর মানবতার কথাবলেন যে দিন রাজনৈতিক আন্দোলনে অসংখ্য প্রাণ যায় সেদিন কোথায় যায় আপনাদের মতো সম্পাদক মতি মিয়াদের মানবতা। হেফাজতের নাস্তিক বিরোধী আন্দোলনে যে রাতে অনেক মানুষের প্রাণ গিয়েছিলো সেদিনও যে আপনার প্রথম আলো এ সব হত্যাকান্ডকে সমর্থন করে গেছেন মনে আছে? এক ব্লগার হত্যা নিয়ে যখন আপনাদের এতো মাতামাতি তখন হাজার রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যুতে কোথায় থাকে আপনাদের মানবতাবোধ। তখন কেন নির্লীপ্ত থাকেন। এসব মানবতাবোধের নামে ভন্ডামি আর কত দেখাবেন। শুনুন আপনারা প্রথম আলো গং কিছু মানুষকে হয়তো কিছু সময়ের জন্য বোকা বানাতে পারেন কিন্তু সব মানুষকে সব সময়ের জন্য বোকা বানাতে পারেন না।
সেদিন সরকারি দল আ'লীগের অঙ্গ সংগঠন ওলামা লীগ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে কটূক্তিকারি ব্লগারদের শাস্তির দাবি করেছে তাতেও প্রথম আলোর গাত্রদাহন শুরু হয়ে গেছে। সে খবর নিয়ে আপনাদের সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ কলাম লেখলেন 'বাঘের ভেতর ঘোঘের বাসা'। আরে বাঘের ভেতর ঘোঘের বাসাতো বেঁধেছেন আপনারা। দেশের প্রায় ১০০% মানুষ ধর্মীয় অনুভূতিশীল মানুষের বসবাস সেখানে বসে আপনারা গুটি কয়েক নাস্তিক জোটবদ্ধ হয়ে কেউ ধর্মকে নিয়ে কটূক্তি করে আর কেউ তার পক্ষে সাফাই দেন। যে দেশের মানুষ ধর্মের ব্যাপারে কোন আপস করেনা সে দেশকে আপনারা মুক্তচিন্তার রাজধানী বানানোর স্বপ্ন দেখছেন। আমার বিশ্বাস এই ফারুক ওয়াসিফ নিজেও ব্লগে কোন ছদ্মনামের আড়ালে ধর্মকে কটূক্তি করে তথাকথিত মুক্তবুদ্ধির চর্চা করে। আমার বিশ্বাস সেও একজন নাস্তিক ব্লগার। এদের প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে এদের অন্তরালের ভূমিকা আজ প্রকাশিত হচ্ছে।
আপনাদের এই কটূক্তিকারি ব্লগারদের পক্ষে কেউ নেই। সেটা হয়তো এরই মধ্যে টের পেয়ে গেছেন, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশপ্রধানসহ আরো অনেকেই বলেছেন ধর্মকে নিয়ে কটূক্তি বন্ধ করতে। সুতরাং প্রথম আলো আপনাদের বলছি এখন ধর্মান্ধতার কথা বলে ধর্মের বিরুদ্ধে মুক্তচিন্তার নামে ব্লগারদের সাফাই দেয়া বন্ধ করুন। মতি মিয়া আপনারা হয়তো ভাবছেন বাংলাদেশের বড় একটা অংশ প্রথম আলো পত্রিকা পড়ে, পাঠকেরা হয়তো আপনাদের দর্শনকে গ্রহণ করছে। কিন্তু জেনে রাখুন প্রথম আলোর পাঠকেরা প্রথম আলো পড়ার সময় তারা এক ধরনের ঘৃণা আর নেতিবাচক ধারনা নিয়েই প্রথম আলো পড়ে। পাঠকেরা এটাও জানে এই প্রথম আলো যে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার টাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে বাংলাদেশেরর সংবাদপত্র শিল্পের মাফিয়ায় রুপান্তরিত হয়েছে।
সুতরাং ধর্মপ্রাণ মানুষের দেশে বসে ধর্মের বিরুদ্ধে যে বৈরীস্বর উচ্চকিত করছেন সেটা গণমানুষের কাছে খুব গ্রহণযোগ্য নয় বিষয়টা ভালো করে মাথায় রাখবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: মতি মিয়া আপনারা হয়তো ভাবছেন বাংলাদেশের বড় একটা অংশ প্রথম আলো পত্রিকা পড়ে, পাঠকেরা হয়তো আপনাদের দর্শনকে গ্রহণ করছে। কিন্তু জেনে রাখুন প্রথম আলোর পাঠকেরা প্রথম আলো পড়ার সময় তারা এক ধরনের ঘৃণা আর নেতিবাচক ধারনা নিয়েই প্রথম আলো পড়ে।
পরিপূর্ণভাবে সহমত !