![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অকাল মৃত্যু ও রাজনীতির ভবিষ্যত ।
কোন অকাল মৃত্যুর খবর শোনলে ইন্নালিল্লাহ্ বলতে ব্যক্তিগতভাবে আমি কষ্ট পাই । এই অনাকাংখীত মৃত্যুর কারণগুলো কি কি, তাই ভাবী, আর কতক্ষণ থ্ব মেরে বসে থাকি । যখন দেখি রাজনৈতিক হানাহানিতে কেহ মারা গেছে এবং সে ছোটো খাটো নেতা টাইপের তখন সে যে দলেরই হউক, মুসলমান হয়েও আমি ইন্নালিল্লাহ্ বলিনা ।
এই যে অসময়ে বীনামেঘে বজ্রপাত একটি পরিবারের কতদিকে ক্ষতি করে তার ছবি আঁকি ভিতরে ভিতরে । কখনও নিজেকে নিয়েও ভাবী । আমরাও ঐ সকল সময় পেরিয়ে এসেছি, মৃত্যুর সাথে এই জীবনে পাঁচবার সাক্ষাৎ হয়েছিলো, একমাত্র আল্লাহ বাঁচিয়েছেন । আমার জীবনের ঘটনা সবই দূর্ঘটনা । কাহারো ক্ষতি করে, লাঠি মেরে, রাজনীতি বা অন্য কোন শত্রুতা ছিলোনা বলেই হয়তো আল্লাহ্ সহায় হয়েছিলেন, সাথে মা, বাবাসহ শত মূরুব্বীগণের দোয়াও ছিলো । আজ যে তাজা প্রাণটি ঝরে গেলো তার জন্যে দায়ী কে? কেন মৃত্যু এদেশে পুতুল খেলা হয়ে গেলো? মারতে ও মরতে এখন আর আগে পিছে কিছুই ভাবতে হয়না । কেনো মানুষ কারনে অকারণে আইন হাতে তুলে নিচ্ছে? এর উত্তরে কি আসে বা আসতে পারে তা সবারই জানা ।
দেশের ছাত্র, যুবক, সমাজকে হাতে বই দিয়েছিলেন বাবা মা আর রাজনীতি দিয়েছে লাঠি, পিষ্টল, ককটেল, বোমা, আগুন সহ মানুষের সামনে মানুষ মারার মতো আধুনিকতা । এই যে লোক লজ্জা, মান, সম্মান, সামাজিক বন্দন, আত্ম মর্যাদার বিরুদ্ধে চলা তাতে কোন দলের লাভ হলেও, প্রজন্মের পর প্রজন্ম শিক্ষা গ্রহণ করে সার্টিফিকেটধারী হলেও প্রকৃত শিক্ষা তাদের ভিতরে বাহিরে বহন করেনা ।
আমি বহু দেখেছি, ভদ্র ঘরের অনেক সন্তান এখন বস্তির ভাষায় কথা বলে । অনেক বড় নেতারা, ডক্টরেট, ব্যারিষ্টারেরও একই অবস্থা । কথাবার্তা শোনলে মনে হয় যেন এইমাত্র বস্তি থেকে বেড়িয়ে এসেছে । সব নষ্ট করেছে চরিত্রহীনদের রাজনীতি ।
যে কথা বলতে ছিলাম । গতকাল একটি ছেলে মারা যায় । সাথে সাথে ফোন করে বিস্তারিত জেনেছি । যখন জানলাম সে নেতা ছিলো, তখন তার এ অসময়ে চলে যাওয়ায় কষ্ট পেয়েছি ঠিকই কারণ আমিও পিতা,সুতরাং সন্তান হারা পৃথিবীর যে কোন ধর্ম বর্ণের পিতার সাথে এ ব্যাপারে আমার একটিই সম্পর্ক । আমার কষ্টের জায়গা মৃত্যুতে নয়, মৃত্যুর কারণগুলোতে নিহীত ।
এই যে যখন যা ইচ্ছা তাই করে ফেলার মনমানসিকতা এটি তৈরীর কারখানা ঐ রাজনীতি । সন্তানের মৃত্যুতে মা বাবা আজ ঠিকই শোকে মূহ্যমান, কিন্তু সময় থাকতে তাদের কি কিছুই করার ছিলোনা? কেন সন্তানকে বড় করে রাজনীতির হাতে সপে দিলেন? এর চেয়েও ভালো ছিলো কোন দরগাহ বসে গাঁজার কলকিতে লম্বা টানে আরামে ঘুমানো । জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে মারামারিতে ছেলেটির মাথায় দায়ের কূপ লাগে তারপর হাসপাতালে মাস খানেক কোমায় থেকে গতকালই জীবনের ফুলস্টপ হয়েছে । এই যে সুস্থ্য জীবনকে দায়ের নীচে নিয়ে যাওয়া অথবা অন্যদিকে যে বা যারা দা দিয়ে একটা তাজা মানুষকে পৃথিবীর সকল কিছু থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার কাজটি অতিসহজে করছে, এদের কারো কোন ভয় নেই, কারণ বাঁকী প্রসেস চলবে টাকায় ।
আগে একটা মার্ডার হলে পুরো থানায় ভয় ঢুকে যেতো, এখন দিনে একশত খুন হলেও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অনেক ভালো বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিবে । ছেলেটি জীবিত থাকলে এ দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এম,পি হতো কিনা তাতে সন্দেহ থাকতেই পারে এবং আছেও । কিন্তু তবুও রাজনীতি করতেই হবে । সমস্যা আরও বহু জায়গায়, আগের দিনে মানুষের আঠারো বিশটা সন্তান, দুইটা চারটা স্ত্রী থাকতো । এমন অনেক পরিবার আছে যাদের ভাইয়ের সংখ্যাই বার চৌদ্দটা । চারটা, ছয়টা, আটটাতো নরমাল । এদের জন্যে বর্তমানের রাজনীতি চলতে পারে এই অর্থে যে দুই একটা মাইনাস হয়ে গেলেও আরোও কয়টা থাকবে ।
এখতো দুটির বেশী সন্তান খুব কম ঘরেই আছে । যার একটি সন্তান বড় হয়ে বিভিন্নভাবে মরেছে তার সংসারের হাল কে ধরবে? যদি রাজনৈতিক দলগুলো মানুষকে দুই চারটে বিয়ে করে আজাইরা সন্তান উৎপাদন করার ব্যবস্থা করতে পারে তবে আমাদের ভবিষ্যতে রাজনীতি আরও শক্তিশালী হবে, বলে আমার বিশ্বাস । নইলে যেভাবে লাশের সারি দীর্ঘায়িত হচ্ছে, তাতে যার একটা দুইটা সন্তান আছে তারা রাজনৈতিক উৎসাহ হারাবে, পরিণামে রাজনীতি নামক শব্দটিই একদিন যাদুঘরে ফেরাউনের মূর্তির সাথে প্রদর্শিত হবে, ইনশাল্লাহ্ ।
Thanks & best regards
Enamul Haque
Singapore
21/10/2014
Monday
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮
ভিটামিন সি বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে আপনার লিখাটি। পড়লাম মনোযোগ দিয়ে। আমরাও চাই সমাজ থেকে এই অসুস্থ্য রাজনীতির বিষ মুছে যাক। ভরে উঠুক ভালোবাসায় সোনার বাংলা। এ রকম আরো লেখা লিখুন।