নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বইসমূহঃ আকুতি(২০১৪), এবং গল্প (২০১৮) ফেসবুকঃ https://www.facebook.com/EndShuvo ওয়েবসাইটঃ https://endshuvo.blogspot.com

সালাহ উদ্দিন শুভ

সুশীল সমাজের রুচিহীন একজন প্রাণী

সালাহ উদ্দিন শুভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই চোর

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৬



আমি কোন বই কিনলে সেই বই সাতদিনের বেশি টিকত না। প্রথম দিকে বুঝতে পারতাম না যে বইগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম এত বই কেনার পরেও বইগুলো কই যায়? অতঃপর একদিন কঠিন গবেষণা, পরীক্ষণ–নিরীক্ষণের পর অনুধাবন করতে পারলাম যে উক্তকৃত কর্ম আর কারো নয়, আমার পাজি, বদের হাড্ডি বন্ধুদের। ওরা আমার অবর্তমানে আমার বাসায় আসে, সুযোগ বুঝে বুকশেলফ কিংবা টেবিল থেকে হাতে বাজিয়ে নিয়ে যায়। এটা কখনো বুঝতে পারতাম না যদিনা আমি সেদিন জুবায়েরের অবর্তমানে ওর আলমিরা খুলেছিলাম। পুরো আলমিরা বইয়ে ভরা। অনেকগুলো বইয়ের মধ্যে আমার ক্রয়কৃত বইও ছিল। বাকি বইগুলোও যে জুবায়ের অন্য কারো থেকে চুরি করে এনেছে এটা মোটামুটি নিশ্চিত। কারন নাম যখন তার জুবায়ের, একটা বই কিনলে সারা দুনিয়া বলে বেড়াবে আজ হুমায়ন আহমেদ কিনেছি, আজ আহমেদ ছফা কিনেছি। তাই বলাবাহুল্য এতগুলো বই সে কিনবে আর তা আমার কর্ণকুহরে প্রবেশ করবে না তা ভাবাটাও অন্যায়। তবে আসল কথা হল জুবায়ের আলমিরাতে আমার খুব অল্প সংখ্যক খোয়া যাওয়া বই রয়েছে। বাকীগুলোর হদিস না পাওয়া গেলেও ওগুলো যে হুমায়ন আর রাতুলের ঘরে তা বুঝতে আর বাকি নেই আমার।

একদিন জুবায়েরকে বললাম, তুই আমার বইগুলো নিয়ে আর ফেরত দেসনি কেন?
আকাশ থেকে পড়ার মত করে জুবায়ের বলল, তোর বই! আমি নিয়েছি! নিয়ে আবার ফেরত দেইনি! এমন গাঁজাখুরি কথা কোথায় পেলি? কিছু খেয়েছিস নাকি?
আমি বললাম, দেখ জুবায়ের, আমি তোর আলমিরাতে অনেকগুলো বই দেখেছি। তার মধ্যে আমার চার-পাচটাও ছিল।
জুবায়ের একটু থতমত খেলেও নিজেকে সামলে নিয়ে বলল, ওগুলো তোর বই তার প্রমাণ কি? নিজ হাতে টাকা গুনে প্রদান করে অবশেষে বইগুলো কিনেছি আর তুমি ঘুঘুচান বললেই হল বই তোমার।
আমি আর কিছুই বললাম না, উপযুক্ত প্রমাণ না থাকার কারনে বই বঞ্চিত হয়ে থাকতে হল সময়টাতে।

এরপর আমি বইয়ের দিকে একটু নজরদারি করা শুরু করলাম। প্রত্যেকটা বইয়ের প্রথম সাদা খালি পৃষ্ঠাতে আমার নাম লিখে রাখতাম। এবার চোর কোথায় পালাবা? ধরাতো পড়তেই হবে তোমায়। ভেবেছিলাম এবার অন্তত কোন বই খোয়া যাবেনা। হন্তদ্যমে বই পড়তে শুরু করলাম টেবিলে, বিছানায়। বুকশেলফে রাখারও প্রয়োজন মনে হয়নি। দুদিন না ফুরোতেই আবার হাওয়া। সোজা গিয়ে জুবায়েরের বাসায়। ওর সামনেই আলমিরা খুললাম এবং খুজে বের করলাম হাওয়া হওয়া বইটি। জুবায়েরের দিকে কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম এটা কি?
নিরলস ভঙ্গিতে জবাব দিল, বই!
আমি এবার আরো গরম হয়ে বললাম, হ্যা বই, তবে আমার বই। চোর জানি কোথাকার।
জুবায়ের আবারো স্বভাবসুলভ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, এটা তোর বই তার প্রমান কি?
এবার আমি হাসতে হাসতে প্রমাণ দেখানোর জন্যে বইয়ের পৃষ্ঠা খুলে ওর দিকে ফিরালাম। মনে মনে বলতে লাগলাম চান্দু তুমি ধরা খেয়ে গেছ। কিন্তু জুবায়েরের মুখের ভাষা স্বাভাবিক দেখে আমার কিঞ্চিৎ চিন্তা হল। কি যেন মনে করে বইয়ের দিকে ফিরে তাকালাম। কতবড় খ”চর প্রাণী হলে এমন কাজ করতে পারে তার অন্ত নেই। মেজাজটাই গেল খারাপ হয়ে। নিজের নাম লেখা পৃষ্ঠাগুলো ছিড়ে ফেলেছে জুবায়ের। যার কারনে আমার প্রমাণের বাকী আর কিছুই রইলোনা। আমি একবার হা করে তাকাই বইয়ের দিকে, আরেকবার জুবায়েরের দিকে। এতদিন পর্যন্ত বইয়ের গায়ে কোন আচড়ও লাগতে দেইনি সেখানে পৃষ্ঠা ছিড়ে ফেলা! জুবায়ের যেন আমার কাটা গায়ে নুনেরছিটে দিল। বলল, বইটা আলমিরাতে রেখে যাস। রাগে ক্ষোভে বই ছুড়ে ফেলে বাসায় চলে আসলাম।

সেদিনের পর সব বইয়ের সূচিপত্রের বিপরিত সাদা পৃষ্ঠায় নাম। লিখলাম নিজের নাম। এবারতো কোনভাবেই এই পৃষ্ঠা ছিঁড়তে পারবেনা। এবার দেখবো মজা কি করে। বই চুরি করা এখন নেশায় পরিণত হয়ে গেছে, খুব শীঘ্রই এই স্বভাব ছাড়তে পারবে না। এবার হাতে নাতে ধরা পরবেই।

অনেকদিন হয়ে গেল, ব্যাস্ততার কারনে টের পাইনি কোন বই খোয়া গেছে কিনা। বই হিসেব করতে গিয়ে দেখলাম তিনটে বই নেই। কোন কথাবার্তা না বলে সোজা জুবায়েরের বাসায়, ওকে সরিয়ে আলমিরা খুলে তন্নতন্ন করে খুজতে লাগলাম বইগুলো। দূর্ভাগ্যক্রমে পেলাম না কোথাও। উল্টো সবকিছু অগুছালো করার জন্যে জুবায়ের আমাকে দিয়েই সবকিছু পরিষ্কার করিয়ে ছাড়ল।
জুবায়েরের বাসা থেকে বেড়িয়ে দৌড় দিলাম হুমায়নের বাসায়। হুমায়ন ঘরে না থাকার।কারনে আমার ওর রুম পিঁপড়ার মত খুজতে সমস্যা হলনা। আবিষ্কার করলাম আমার অতীতে হারিয়ে যাওয়া বইয়ের বিশাল ভাণ্ডার হুমায়নের খাটের নিচের ট্রাংকে। রাগে ক্রোধে শরীরটা ছ্যাঁত করে উঠল। কোন বইতেই নিজের নাম না থাকায় প্রমাণের নিদর্শন নেই কোন। তাই বাধ্য হয়ে নতুন বই তিনটি খুজতে লাগলাম। সবকিছু খুঁজাখুঁজি শেষ করেও খুজে পেলাম না বই তিনটি।

হুমায়নের বাসা থেকে বেড়িয়ে গন্তব্য রাতুলের বাসা। রাতুল টিউশনিতে যাওয়ার কারনে রাতুলের রুমে হানা দিলাম। অতঃপর ওখানে আমার বাকি সব বইগুলোর সন্ধান পেলাম। বইচোরগুলোকে হাতেনাতে ধরা পরারও ব্যাবস্থা করা হচ্ছে প্রায়। কারন হারিয়ে যাওয়া নতুন তিনটি বইয়ের সন্ধানও পাওয়া গেছে। একটি বই হাতে নিয়ে অনেক ভয়ে ভয়ে পৃষ্ঠা খুললাম, না জানি আবারও পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলে সব তথ্য প্রমাণ নষ্ট করে দেয়। সূচিপত্র দেখে হাফ ছেড়ে বাচলাম। তার মানে পৃষ্ঠা ছিড়েনি। এবার হাতেনাতে ধরা নিশ্চিত। কিন্তু আমি অপর পৃষ্ঠা উলটে থ হয়ে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষণ। অনুভূতিশূন্য হয়ে তাকিয়ে ছিলাম ঠায়। পৃষ্ঠাটির কিছু হয়নি, আমার লেখা নামটাও স্পষ্ট লেখা আছে। তবে যেটা হয়েছে সেটা হল নতুন কিছু শব্দ যোগ হয়েছে। পৃষ্ঠাটিকে তিনবার মূদ্রন করা হয়েছে। লেখাছিল শুভ। জুবায়ের সর্বপ্রথম চুরি করার পর নামের পাশে যোগ করল, ‘শুভ কর্তৃক জোবায়েরকে ভালবাসার নিদর্শনস্বরুপ’। অতঃপর জুবায়েরের থেকে চুরি করে বইটি গেল হুমায়নের হাতে। হুমায়ুন দ্বিতীয় মুদ্রনে আমার এবং জুবায়েরের লেখার পাশে যোগ করল, ‘শুভ কর্তৃক জুবায়েরকে ভালবাসার নিদর্শনস্বরুপ উপহার দেয়ার ফলে হুমায়ুনকে এই ভালবাসার অংশীদার করা হল’। অতঃপর সর্বশেষবার হুমায়ুনের কাছ থেকে রাতুল বইটি চুরি করে তার সাথে যোগ করল, ‘শুভ কর্তৃক জুবায়েরকে ভালবাসার নিদর্শনস্বরুপ উপহার দেয়ার ফলে হুমায়ুনকে এই ভালবাসার অংশীদার করা হল। কিন্তু হুমায়ুন এই ভালবাসার যোগ্য নয় বলে উক্ত উপহার জনাব রাতুলকে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে দান করা হইলো। উক্ত উপহারের একমাত্র ন্যায্য অংশীদার একমাত্র জনাব মোহাম্মদ তানভীর মেহেদী রাতুল'।
অতঃপর এই সাহিত্য চোরদের সাহিত্যিক চুরি দেখে আমি দাত কটা বের করে হোহো করে ঘন্টাখানেকের মত হাসতে লাগলাম।

পুনশ্চঃ ইহা একটি গল্প হইলেও কিছুটা সত্যের মিশ্রণ রয়েছে।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বই তো চুরির জিনিস ই :P
অনেক মজা করে লিখেছেন; লেখায় ভালোলাগা।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১০

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: আর বলবেন না, আমার কত বই যে চুরি হয়ে গেছে তার হিসেব নেই। বিনিময়ে আমি তিন চারটে বইয়ের বেশী চুরি করতে পারিনি।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৭

শাহিন-৯৯ বলেছেন: একবার এক লেখক বলেছিলেন (এই মূহূতে লেখটার নাম মনে পড়ছে না) আমার সংগ্রহে যে বই আছে তার একটিও আমার না, সবগুলো বই বন্ধদের থেকে ধার নেওয়া, আর আমার কেনা সব বই বন্ধুরা ধার নিয়ে গেছে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৩

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: B-)
সমস্যা হল বইচুরি এখন এমন একটা জিনিস হয়ে গেছে যে কেউ বই ধারও দিতে চায় না। সেদিন এক বন্ধুর কাছে বই ধার চাওয়ার পর বলল, পৃথিবীতে দুইটা জিনিস কখনো ধার দিতে হয়না, এক হল বই আর দুইয়ে হল বউ। :D

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


৭ দিনের ভেতরেই বই চুরি? রসগুপ্তের বইটই নাতো?

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৯

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: :) রসগুপ্তের বই আছে কিনা জানিনা, থাকলেও পড়ার অভ্যাস ছিল না কোন কালেই। জমানা পরিবর্তন হইছে, এখন ভিজুয়ালাইজেশনের যুগে রসগুপ্ত কালের গর্তে হারিয়ে গেছে। দেশীয় ঐতিহ্য থেকে আরো একটা বস্তু বিলীন হয়ে গেল। :||

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৫

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: বই চুরি; ইহা সভ্য চুরদের সভ্য ব্যবসা।
আপনাকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত B:-/ =p~

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৭

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: আমি কৃতজ্ঞ, সাথে এই প্রার্থনাও করি আপনিও যেন সভ্য চোরদের কবলে পরেন। তখন বুঝবেন ঠেলা B-))

৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: চুরেরা আমাকে পাবে না, কারণ আমি আমার বইগুলো শেষ করার সাথে সাথেই অন্যদের পড়তে দিয়ে দেই। বিশাল দানবীর মানুষ, বুঝলেন। তবে হারিয়ে গেলে নতুন বই আদায় করতে আমি বড়ই বীর =p~

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৬

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: :-& তাইলে আপনি একটা কাজ করেন, আমায় কুরিয়ার করে কয়েকটা বই গিফট করেন। ইহকাল এবং পরকালের পুণ্য হাসিল হইবে। :``>>

৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বই চুরি না করে জ্ঞান অর্জন কঠিন। জ্ঞান অর্জনটাও এক রকমের চুরি। :D

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: কথা অবশ্য ঠিক। চিন্তায় ফেলে দিলেন B:-)

৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:৪৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমি ব্যপারটাকে একদমই পছন্দ করি না। যদিও অনেক বিখ্যাত লেখক এটাকে পজিটিভলি নেয়ার কথা বলেছেন...

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: হাহা, ব্যাপারটা অনেক বিরক্তিকর হলেও মাঝেমধ্যে এসব ভাবতে মন্দ লাগেনা।

৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:৩৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বই চুরি না করে জ্ঞান অর্জন কঠিন। জ্ঞান অর্জনটাও এক রকমের চুরি। মুজতবা আলী বলেছেন, ধারের বইয়ে জ্ঞান অর্জন হয় না | চুরির বইয়ে হবে ?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: ধার নেয়ার কথা বলা হয়েছে, তো চুরির বইয়ে জ্ঞান অর্জন হওয়ার কথা :P

৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:০৭

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: মুজতবা আলীর ররেফারেন্সে মলাসইলমুইনা বলেছেন: ধারের বইয়ে জ্ঞান অর্জন হয় না |

কিছু বুঝলেন :-B

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: আমিতো আপনার কাছ থেকে ধার নিবো না, সরাসরি গিফট =p~

১০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:১০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: বই চোরদেরকে চোর বলা উচিত নয়।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: পুস্তক চোর, কিতাব চোর, চলবে :)

১১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাাহা.................... অারে বই চুরিতো কঠিন একটি টেকনিক। যে কেউ দ্বারা তা হয় না।........... তবে আমার বই যেমন গায়েব হতো আমি ও তেমন গায়েব করতাম সুযোগ বুঝে।

ভালো লাগলো চুরির কাহিনী.........++++++++++

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: আমি কখনই কারো বই চুরি করতে পারিনি, তবে আমার থেকে যে কত বই গেছে তার হিসেব নেই।

১২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সম্রাট ভাইয়ের কথাটি ভাল লেগেছে-বই চোরদেরকে চোর বলা উচিত নয়।
গল্পও ভাল হয়েছে।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :)

১৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো মানুষরা পুরোপুরি মিথ্যা লিখতে পারে না। কাজেই কোনো গল্প পুরোপুরি মিথ্যা হতে পারে না।

আমি নিজেই কত বই চুরী করেছি তার হিসাব নাই।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: হাহাহ, রাজীব ভাই আমাকে চুরির বই থেকে কয়েকটা বই পাঠিয়ে দিন উপহারস্বরূপ। ফেরত পাবার আশা কইরেন না :#)

১৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৬

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: কি সাংঘাতিক চোর রে !
এইটা সত্যি ব ই নিলে কেউ ফেরত দিতে চায় না ।
গল্পটা ভালো লাগলো

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সালাহ উদ্দিন শুভ ,




আপনার উচিৎ ছিলো এমন সাহিত্যপ্রেমী বন্ধুদের আরো ডজন খানেক বই কিনে দিয়ে বলা - আগামী ছয মাস আমার বইয়ে হাত দিবিনা। যা চুরি করতি ছয়মাসে তা একবারে দিয়ে গেলাম । :D ;)

বই চুরিতে কোনও পাপ তো নেই-ই উল্টো সওয়াব বেশী । ছোটকালে অর্জিত ঐ সওয়াবের গুনেই তো ব্লগে কিছু লিখতে-টিকতে পারছি এখন। #:-S :P

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০৭

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: আমার কষ্ট কেউ বুঝেনা। গরীব মানুষ, বই কিনি কত কষ্ট করে। সেই বই গিফট করতে তো বুক ফেটে যাওয়ারই কথা :((

১৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সালাহ উদ্দিন শুভ ,



তা আপনার বুক ফাঁটে তো মুখ ফোটেনা , এই তো ?
এক্ষনি যান , মুখ ফুটে বন্ধুদের চৌদ্দগুষ্টি তুলে গালাগাল করে আর দুই গালে দু'টো থাপ্পড় দিয়ে আসুন ।
গরীব মানুষদের কষ্টে কেনা বই, চুরির হাত থেকে বাঁচানোর এ ছাড়া আর রাস্তা খোলা নেই ..... ;) :-P !:#P

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: তাই করতে হবে ভাই, গল্পটা প্রকাশ করার পর আমার আবারো ২টা বই গায়েব। সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারছিনা :(

১৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:০৩

ওমেরা বলেছেন: বই চুরি করা তো ভাল,কিন্ত আমি কখনো কারো বই চুরি করি নাই। আমি গল্পের বই পড়িও না কিনিও না।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: বই চুরি করা আসলেই মহৎ কাজ। তাইতো আজ আমি দেউলিয়া X(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.