নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বইসমূহঃ আকুতি(২০১৪), এবং গল্প (২০১৮) ফেসবুকঃ https://www.facebook.com/EndShuvo ওয়েবসাইটঃ https://endshuvo.blogspot.com

সালাহ উদ্দিন শুভ

সুশীল সমাজের রুচিহীন একজন প্রাণী

সালাহ উদ্দিন শুভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এত ধর্ষনের কারন

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

এত এত ধর্ষন, এর কারন কি?
অনেকে অনেক ভাবে বিশ্লেষণ করেছে। আমার মতামত, অতিরিক্ত যৌন আবেদন।

সেক্স আমাদের দেশে এখনো একটা ট্যাবু। এটাকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারিনা আমরা।

প্রসেসটা একেবারেই স্বাভাবিক। সামাজিকভাবে হয়ে আসছে। তারপরেও সেক্স শব্দটা শোনা মাত্রই মাথার মধ্যে নিয়ে আসি নোংরা চিন্তা।
সব কিছুর পেছনে আমি নিদৃষ্ট সংখ্যক বস্তুকে দায়ী করবো।

১। সংস্কৃতিঃ আসছে ১৪ই এপ্রিল। বাঙ্গালী সংস্কৃতি শো অফ করার দিন। এই দিনটা নিয়ে আমার বিশেষ কিছু কথা রয়েছে। যেমনঃ

*এই দিনটাতে এত উপচে পড়া ভিড়। ভিড়ের অধিকাংশই থাকে তরুন যুবকরা। এবং এই দিনটাতেও কিছু কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। মজার ব্যাপার হল, এই দিনে আপনি মেয়েদের বাইরে বেড়ানো বন্ধ করে দিন, দেখুন ফলাফল কি হয়। আশ্চর্য্যজনকভাবে এটাই সত্য, এই একটা দিনেও আমরা অধিকাংশরা সংস্কৃতি শো অফ করতে যাইনা বরং নোংরা মেন্টালিটি নিয়ে যাই। আমার মনে হয়না একটা মানুষও ঘর থেকে বের হবে যদি মেয়েরা না আসে।

তার মানে কি সমস্যাটা মেয়েদের! এমন প্রশ্ন যদি আপনার মনে এসে থাকে তবে আপনিই আসল কালপিট। আপনি আসছেন বৈশাখে সংস্কৃতি প্রদর্শনে যদি মেয়েরা আসে তবে। আর আপনিই আসছেন না বৈশাখে সংস্কৃতি প্রদর্শন করতে যদি মেয়েরা না আসে। সমস্যাটা কি মেয়েদের নাকি আপনার?

২। কালচারাল ডিফিউশনঃ খুব তেতো হলেও সত্য যে আমাদের কোন সংস্কৃতি নেই বললেই চলে। আমাদের সংস্কৃতি ছিল, কিন্তু তা পাশের দেশের কালচারের প্রভাবে হারিয়ে গেছে। এটাকে বলা হয় কালচারাল ডিফিউশন। অর্থাৎ এক সংস্কৃতির উপর অন্য কোন দেশের সংস্কৃতির ওভারল্যাপ।

তো তাদের কালচার অনুযায়ী তারা শরীর প্রদর্শনে অনেক পারদর্শী। এজন্যে রেকর্ড সংখ্যক ধর্ষন তাদের দেশেই হয়। তাদের দেশে সেক্স একটা আর্ট। তো আমরা তাদেরই ফলো করছি। মাথা বিগড়ে যাচ্ছে তাদের দেখেই।

৩। পশ্চিমা সংস্কৃতিঃ আমরা হচ্ছি হুজুগে বাঙ্গালী। ভাত জুটেনা কপালে ফ্যাশনের ঠেলায় জাইঙ্গা পড়ি। দুঃখিত এভাবে বলার জন্যে। পশ্চিমাদের ফলো করা দোষের নয়। তাদের যখন ফলো করেন তবে ভাল করেই করেন। শুধু খারাপ দিকটা কেন ফলো করবেন?

আজ তারা সবদিক থেকে এগিয়ে, শিক্ষা, চিকিৎসা, অস্র সবদিক থেকে। আপনি আগে তাদের মত পরিবেশ তৈরি করুন। এরপর না হয় তাদের চেয়েও বেশি শো করুন কোন সমস্যা নেই। কারন অতটা উন্নত হলে এমনি মানুষিকতা উন্নত হবে।

পশ্চিমা মেয়েদের কাছে এসব কোন কিছুই না। তাদের শরীরে কেউ হাত না দিলে বরং তারা কষ্ট পায় (কথার কথা)। আপনার শরীরে অনিচ্ছাকৃতভাবে স্পর্শ লাগলেও আপনি চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করতে ছাড়েন না।

হ্যা, কারন তাদের কাছে এসব তেমন কিছু ভেরি করে না। এটা তাদের ওখানে খুব ইজি। কারন এটাই তাদের সংস্কৃতি। কিন্তু আপনার সংস্কৃতি কি এটা বলুন? ওখানের মানুষ আর এখানের মানুষের ধ্যান ধারণা কি এক?

যদি একই হত, তবে আমাদের বাবা-মা ও ১৭ বছর এর সময় ঘর থেকে বের করে দিত কর্মের সন্ধানে। ছেলে-মেয়ে উভয়কেই। আপনিতো এগুলো করেন আপনার বাবার টাকায়।

৪। আইটেম সং এবং সুড়সুড়ি মিডিয়াঃ ভাই, শিক্ষিত মানুষ ধর্ষন করে? কারা করে? তাদের উত্তেজনা সৃষ্টি হয় কোথা থেকে? অনেকগুলো প্রশ্ন। আইটেম সংগুলো একটা মানুষকে কতটা উত্তেজিত করে?

এই সং গুলো বানানোই হয় উত্তেজনা সৃষ্টি করর জন্যে। একটা পুরুষের মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রনের বাইরে রাখার জন্যে।

তাদের কাছে আইটেম সং এবং মেয়েদের শরীর একটা ফ্যান্টাসী মনে হয়। শুরুর চুলকানীগুলো এখান থেকেই শুরু হয়।


আরো অনেক কিছু লেখার ইচ্ছে থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারনে পারছিনা। কিন্তু কথা একটাই। জীবনটা সিনেমা নয়। নায়ক নিষ্পাপ, আর গুন্ডা এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ খারাপ লোক। এমনটা সিনেমায় হয়। বাস্তবে, প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যেই ভাল এবং খারাপ গুন দুটোই আছে। কারো মধ্যে বেশি, কারো মধ্যে কম। এসব মিলিয়েই মানুষ।

একটা ঘটনায় দুটো পার্ট থাকে। এক হাতে তালি হয়তবা বাজে। কিন্তু এই তালি বাজানোর জন্যে একটা উস্কানী প্রয়োজন হয়। নারীর পোষাক ধর্ষনের জন্যে দায়ী থাক বা না থাক। ধর্ষক মন এত কিছু বিচার করে না। তার বিচার করার ক্ষমতা থাকলে ৯বছরের বাচ্চাকে ধর্ষন করতে পারেনা।

সমস্যাটা অন্য কোথাও। আর সেই সমস্যাটার যোগান দিচ্ছি আমরাই। নিজের সংস্কৃতিকে কবর দিয়ে। পাশের দেশের সংস্কৃতিকে বুকে লালন করে। কিছু অসভ্য (ব্যাক্তিগত মতামত) ছেলে এবং মেয়েদের পশ্চিমা সভ্যতা প্রমোট করে। আইটেম সং, যৌন উত্তেজক মিডিয়ার বিষয়বস্তু দিয়ে নিম্নশ্রেণীর মানুষদের নিম্ন মেন্টালিটিকে উস্কে দিয়ে।

সবাই মহাত্মা গান্ধী হতে পারেনা। সবার সামনে খাবার খুলে রেখে দিলে বসে থাকতে পারেনা। কারন এক একজন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি এক এক ধরনের। সবার দৃষ্টিভঙ্গি আপনি কিভাবে পরিবর্তন করতে পারবেন?
এজন্যেই তৈরি হয় বিধান, এজন্যেই তৈরি হয় নিয়ম। যে নিয়মটা উচু, নিচু সব মেন্টালিটির মানুষরা মেনে নেয় শান্তির জন্যে। শুষ্ঠভাবে সমাজকে চালানোর জন্যে। তাই উচু মেন্টালিটির মানুষরা যখন নিয়ম ভঙ্গ করে, নিচুরাও একই কাজটা করে। দোষটা স্পেসেফিকলি কাউকেই দিতে পারবেন না, যদি আপনি নিরপেক্ষ হন তবে।

১৭কোটি আলুতে ১৭টা পচা আলু থাকবেই। তবে এই ১৭টা পচা আলুই ১৭কোটিকে নষ্ট করার জন্যে যথেষ্ট।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


উদাহরণটা মোটেই সঠিক নয়, যদি বন্ধুর স্ত্রী যদি গর্ভ-ধারণ করে, সবাই খুশী হয়, সবাই সাধ্যমতো পাশে দাঁড়ায়!

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪১

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: হু, আসলেই উদাহরনটা সঠিক হয়নি। যেমনটা বুঝাতে চেয়েছি তেমন হয়নি।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: বন্ধুর স্ত্রীর ব্যাপারটা ক্লিয়ার হল না। বাকী সব কথায় সহমত।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: ধন্যবাদ। যেমনটা বুঝাতে চেয়েছি পারিনি বুঝাতে। আমার ব্যার্থতা। অংশটুকু মুছে ফেলছি। ক্ষমার চোখে দেখবেন।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১২

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:
ঠিক বলেছেন,সবাই মহাত্মা গান্ধী হতে পারে না।সবাইকে মহাত্মা গান্ধী বানানোর চেষ্টাটা ও একটা ব্যর্থ চেষ্টা। কিন্তু সবার শান্তির কথা চিন্তা করে নিয়ম কানুন তৈরি করা যায়। এবং সেই নিয়মকানুনের আকার আকৃতি নির্ভর করবে নিজস্ব সংস্কৃতির ওপর।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২১

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: হ্যা ভাই, এটাই আমার নিজস্ব মতামত। যেখানে কোন নিয়ম শৃঙ্খলা নেই। সেখানে এর চেয়ে খারাপ কিছু হওয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু হবে না।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এত কারণ টারণ না খুঁজে মৃত্যুদন্ডই একমাত্র সমাধান হওয়া উচিত। বাকীগুলো খালি টক শো আর সময় নষ্ট...

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২৭

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: হাহাহা, এটা ভাল বলছেন। এটার সাথে অবশ্যই একমত। মাত্র ৪% ধর্ষক শাস্তি পেয়েছে। তাও জামিনে বেড়িয়ে এসেছে। আর কত মানুষ শুধু ইজ্জতের ভয়ে মামলাই করেনি তার হিসেব নেই।

৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

ক্স বলেছেন: আইটেম সং মানেই হচ্ছে, 'এসো, দেখ, হাতাও' টাইপের একটা আমন্ত্রণ। আমাদের দেশে ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই আইটেম সং। মিম নামে এক মডেলের 'চুম্মা চুম্মা' আর 'কি জ্বালা' নাকি ভাইরালের শীর্ষে। কারা দেখে এই ভিডিও ভাইরাল বানাল? তাদের কি কেবল দেখতেই ভাল লাগে, নাকি করতেও ইচ্ছে করে। করা যদি শুরু করে, তাহলে আইটেম সংয়ে যা থাকে তাই করে, নাকি আরেকটু বেশি কিছু করতেও সাধ জাগে? তাই করতে গিয়ে মেয়েটি যদি বাধা দেয়, তাইলেই নাকি ধর্ষণ।

প্রথমত, যেসব জায়গায় একা একা গেলে মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হয়, সেসব জায়গায় যায় কেন?
দ্বিতীয়ত, এইসব ভাইরাল ভিডিওকে মিডিয়ায় ইতিবাচকভাবে পরিবেশন করা হয় কেন? এতে তো ঐসব মডেলের গায়ের জ্বালা আরও বাড়বে - আর ধর্ষকদের গায়ে আগুন ধরাবে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: মেয়েদের কোথাও যাওয়া না যাওয়া নিয়ে আমার কোন আপত্তি নেই। এটা তাদের ব্যাক্তি স্বাধীনতা। কিন্তু আইটেম সং এবং উত্তেজনা প্রমোট করা মিডিয়া অবশ্যই মানুষকে উস্কে দিচ্ছে ধর্ষনের জন্যে। জানি অনেকে এর বিরোধিতা করবে। কিন্তু দুঃখিত, আইটেম সং অবশ্যই ধর্ষনের অন্যতম কারন

৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: চুম্মা চুম্মা গানের ভিডিও দেখলেতো সবাই আসবে, দেখবে এবং হাতাবে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: হ্যা, আপত্তিটা এখানেই

৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

চোরাবালি- বলেছেন: আমরা চাল চলনে আমেরিকান আর বিবাহে বাঙালী মুসলাম হতে চাই যেটা কোন কালেই সম্ভব নয়।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: হ্যা, এটাও একটা ব্যাপার বটে

৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সোহানী বলেছেন: আপনি পশ্চিমা কালচারের যে উদাহরন এনেছেন এটা কিন্তু একেবারেই ঠিক না। পশ্চিমা দেশে গায়ে হাততো দূরে থাক চোখের দৃষ্টি খারাপ মনে হলেও একটি মেয়ে পুলিশ কল করতে পারে। এবং তা কোর্ট পর্যন্ত উঠবে থাকতো অন্য কিছু। এখানে মেয়েদের যে সন্মান এবং কড়া আইন তা ছেলেরা ভালোই জানে তাই কখনোই ও পথে পা মাড়ায় না।

আমাদের দেশে একটু শক্ত আইন হোক দেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০৯

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: ধর্ষনের বিচার অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পক্ষে আমি। কিন্তু আমি পশ্চিমাদের উদাহরণটা জেনেশুনেই দিয়েছি। তারা হ্যারাসমেন্টের শিকার হলে অনেক ঝামেলায় গড়ায় ব্যাপারটা। কিন্তু ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে তাদের মেন্টালিটি এভাবেই সেটআপ থাকে। তারা এসব ব্যাপারগুলো পজিটিভভাবেই নেয়। আপনি এ ব্যাপারে আমার সাথে হয়ত আর্গু করতে পারেন। তবে আমি জেনেশুনেই ইতি টানলাম। :)

৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১৯

নাঈম মুছা বলেছেন: কিছু বলব না শুধু সোহানীর মন্তব্যের বিপরীতে বলতে চাই ফার্স্ট ওয়াল্ড কান্ট্রিগুলো নারীদেরকে কতটা সম্মান দেয় সেটা! আহ কত সম্মান! এখন কেউ যদি ধর্ষণকে সম্মান মনে করে সেটা তো আর আমাদের দোষ না!

সম্প্রতি প্রকাশ করা হলো ধর্ষণের মতো জঘন্নতম অপরাধে বিশ্বের শীর্ষ দশ দেশের তালিকা । এই তালিকায় ফ্রান্স, ব্রিটেন জার্মানির মত দেশের নামও রয়েছে। কিন্তু সর্ব প্রথমে আছে যুক্তরাষ্ট্রের নাম। ধর্ষণে বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশ হচ্ছে-

১. ধর্ষণের তালিকায় একেবারে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অব জাসটিস স্ট্যাটিস্টিকস অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ষণের শিকার নারীর সংখ্যা ৯১ ভাগ। সেখানে ৮ ভাগ পুরুষও ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকে। ন্যাশনাল ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইম্যানের সার্ভে অনুযায়ী আমেরিকার প্রতি ৬ জন মহিলার মধ্যে ১ জন ধর্ষণের শিকার। পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রতি ৩৩ জনে ১ জন ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকে। এই দেশে ১৪ বছর বয়স থেকেই ধর্ষণের মত অপরাধের প্রবণতা তৈরি হয় শিশু মননে।

২. যুক্তরাষ্ট্রের পরেই আছে দক্ষিণ আফ্রিকার নাম। সন্তান এবং শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা গোটা পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয়। এই দেশে একজন ধর্ষকের শাস্তি মাত্র ২ বছরের কারাবাস। দক্ষিণ আফ্রিকাকে বলা হয় রেপ ক্যাপিটাল অব দ্য ওয়ার্ল্ড।

৩. ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে সুইডেনেই সব থেকে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সুইডেনে যৌন নির্যাতনের ঘটনা আগের চেয়ে প্রায় ৫৮ ভাগ বেড়েছে।

৪. ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো অনুযায়ী ২০১২ সালে ভারতের মত উন্নতশীল দেশে ধর্ষণের অভিযোগ জমা হয়েছে ২৪ হাজার ৯২৩টি। ভারতে ধর্ষণের শিকার হওয়া ১শ’ নারীর মধ্যে ৯৮ জনই আত্মহত্যা করেন। প্রতি ২২ মিনিটে ভারতে একটি করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই হিসাবে ধর্ষণে ভারতের অবস্থান চতুর্থ।

৫. ব্রিটেনে ৪ লাখ নারী প্রতিবছর ধর্ষণের শিকার হন। ১৬-৫৯ বছর বয়সী প্রতি ৫ জন নারীর মধ্যে একজন ধর্ষণের শিকার হন।

৬. এখনও পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হয়ে ২ লাখ ৪০ হাজার নারীর মৃত্যু হয়েছে জার্মানিতে। জার্মানিতে প্রতি বছর গড়ে ৬৫ লাখ ৭ হাজার ৩৯৪টি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয় ।

৭. ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ধর্ষণের মত ঘটনাকে ফ্রান্সে অপরাধ বলে ভাবাই হত না। ফ্রান্সের সরকারি গবেষোণায় দেখা গেছে, প্রতি বছরে এই দেশে ধর্ষণের শিকার হন অন্তত ৭৫ হাজার নারী।

৮. কানাডায় এখন পর্যন্ত ধর্ষণের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের সংখ্যা ২৫ লাখ ১৬ হাজার ৯১৮টি। প্রতি ১৭ জন নারীর মধ্যে ১ জন সেখানে ধর্ষিতা হন। এদের মধ্যে ৬২ ভাগ নারীই শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

৯. শ্রীলঙ্কার অপরাধের মধ্যে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ অপরাধই সংগঠিত হয় ধর্ষণে। ধর্ষণে অভিযুক্তদের ৬৫ দশমিক ৮ ভাগ ধর্ষণের মত নরকীয় কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকেও কোনও প্রকার অনুশোচনায় ভোগেন না।

১০. ধর্ষণে শীর্ষ দেশের তালিকায় দশম অবস্থানে আছে ইথিওপিয়া। সেখানে ৬০ ভাগ নারীই ধর্ষণের শিকার

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২১

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: পুরো নথি এনে দিয়েছেন। বিশেষ কিছু বলার প্রয়োজন মনে করছিনা। :)

১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ অনেকটা সঠিক। প্রাথমিক কারন গুলি ঠিক আছে। বিচারহীনতা আরো বড় কারন। আমরা চাইলেও এখন অবাধ সংস্কৃতির যুগে আমাদের সাংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে পারবো না। সঠিক ও দ্রুত বিচার, প্রশাসন থেকে কড়া মেসেজ দিলে অনেকটা নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২৫

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: হ্যা, এক্ষেত্রে ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই শ্রেয়। এর বিকল্প নেই।

১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট টির সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।
এই পোষ্ট স্টিকি করা যেতে পারে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই :)

১২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

সফেদ বিহঙ্গ বলেছেন: ভাল লিখেছেন.......

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: ধন্যবাদ

১৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: ২ বছর আগের লেখা ছিল! এখনো মানুষজন ধর্ষণের জন্যে দায়ী কি বা কে সেটা আবিষ্কারে ব্যাস্ত। আসল কারনগুলো এখনো কেন যেন খুজে পায়না কেউ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.