নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা মেয়েকে একটা ছেলের হাতে তুলে দিতে গিয়ে বাবা-মা’রা কতটা অসহায় বোধ করেন তা শুধু মেয়ের বাবা-মা- ভাইরাই বুঝতে পারে!
>>যতই গরীব বা মধ্যবিত্ত হোক না কেন মেয়ের বাবা-মা চেষ্টা করে ছেলে পক্ষের সব ধরনের চাওয়া পুরণ করতে কিন্তু বেশির ভাগ ছেলে পক্ষই মেয়ের বাবা-মা’কে বিয়ের সময় ছোট- খাটো অনেক বিষয়ে হেনস্তা করতে ছাড়ে না ! বিশেষ করে তৃতীয় পক্ষের লোকজন এটা করে!
>>আর বিদায়ের সময় যখন বাব-মা ছেলের বাবা-মা’র হাতে মেয়েকে তুলে দেয় সেই সময়ের পরিস্থিতি আর কষ্টটা একমাত্র তারাই বোঝে! যখন হাউ-মাউ করে কাঁদতে কাঁদতে ছেলের বাবা-মা’র পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়ে!
>>> দুদিন আগে এক কাজিন ( ছেলে) এর বিয়েতে দই অল্প দেয়া নিয়ে তৃতীয় পক্ষ যখন ক্যাচাল শুরু করতে যায় সেটা দেখে প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হয় আর বিদায়ের সময় মেয়ের বাবা-মা, ভাইয়ের- বোনের আর মেয়ের কান্নায় লুটিয়ে পড়া দেখে প্রচন্ড কষ্ট হয়!
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু! আমরা ভুলে যাই- আমাদের ও বোন- ভাতিজি/ ভাগ্নি আছে... !
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৬
অকুল পাথার বলেছেন: স্বামীরাও অসহায়। তাই পোষ্টের টাইটেল হওয়া উচিত ছিল "মেয়ের বাবা- মা ও স্বামীরা কত অসহায়!"
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: এখানে স্বামীরা কেন অসহায় তা বুঝলাম না ভাইয়া! প্রসঙ্গ ছিল- মেয়েকে তুলে দেয়া নিয়ে!
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আসলে এই দোষে দুষ্ট আমাদের কৃষ্টি -কাল্চার যা বিদেশ থেকে আমরা পতিনিয়ত আমদানি করি।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: আমরা ভালটা গ্রহন করি না।। এটা আমাদের দোষ !
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪
ধুমধাম বলেছেন: 'বিশেষ করে তৃতীয় পক্ষের লোকজন এটা করে!'
এইটা ঠিক বলছেন, তবে যদি পক্ষরা কঠোর থাকে ওরা সুবিধা করতে পারে না, আর সেটাই করা উচিত
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু দুই পক্ষ ঠিক থাকলে সব ঠিক থাকে কিন্তু বিয়েতে তৃতীয় পক্ষ থাকেই আর এরাই চেষ্টা করে এসব গোলমালের !
৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ছেলেরাও অসহায়। বিয়ের দেনমোহর হিসেবে যে পরিমাণ টাকা চাওয়া হয় তা আমাদের জন্য দু:সাধ্য হয়ে দাড়াঁয়।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: মানছি সেটা! এটাও ঠিক নয়! কিন্তু দেনমোহর ব্যাপারটা মনে হয় মেয়ের নিরাপত্তার জন্য বেশি করা হয় কিংবা ভবিষ্যতে যাতে বিপদে না পড়ে এই কারনে...।
৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যে এটা উলটো ! মেয়ের বাবাকে অনেক বড় অংকের টাকা দিতে হয় ছেলের, এজন্য একজন ছেলের জন্য বিয়ের উপযুক্ত হওয়া অনেক কঠিন।
এজন্য অনেক আরব ছেলেরা ভারত বা পাকিস্তানে বিয়ে করে শুনেছি। আর মেয়েরা বুড়ো হয়ে গেলেও ওদের বিয়ে হয় না, যেটা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করে...
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু! এক এক দেশে এক এক নিয়ম... কিন্তু সব কিছুর মধ্যে গোলমেলে ভাবটা বেশি!
৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫
অজানাবন্ধু বলেছেন: অকুল পাথার বলেছেন: স্বামীরাও অসহায়। তাই পোষ্টের টাইটেল হওয়া উচিত ছিল "মেয়ের বাবা- মা ও স্বামীরা কত অসহায়!"
সহমত
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: এখানে স্বামীরা কেন অসহায় তা বুঝলাম না ভাইয়া! প্রসঙ্গ ছিল- মেয়েকে তুলে দেয়া নিয়ে!
৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ঢাকাবাসী'র সাথে ঐক্যমত পোষণ করছি।
"মেয়ের বাবা- মা’রা কত অসহায়!" আসলেই কি তাই? আর অসহায় অনুভব করার মতো যুক্তি সংগত কারণও আমি খুঁজে পাইনি। ব্যাপারটা আমার কাছে বরাবরই "ওভাররেটেড" মনে হয়েছে। বাস্তবতা হলো, দু'পক্ষের সম্মতিতেই সব হচ্ছে, তাহলে "অসহায়" বোধ করার মতো কারণ কি হতে পারে? এখানেতো কেউ কাউকে দয়া বা অনুগ্রহ করছেনা। বরং কনের পক্ষ তাদের সন্তানকে ছেলের পক্ষের হাতে তুলে দেয়ার মতো মহান কাজ করছেন, যেটা ছেলে পক্ষকে শ্রদ্ধার সাথে দেখা উচিত। মেয়ের পক্ষকে অসহায় ভাবাটা আমার কাছে মানসিক দৈনত্যার প্রকাশ বলেই মনে হয়।
হ্যাঁ, মেয়েকে বিদায় দেয়ার বিষয়টা ভীষণ কষ্টকর এটা অবশ্যই বোধগম্য। আর যেসব ছেলে পক্ষ চাওয়া-পাওয়ার বিষয় নিয়ে দর কষাকষি করে কিংবা মেয়ে পক্ষকে হেনস্তা করার চেষ্টা, তারা কেবলই তাদের ছোট মন-মানসিকতার পরিচয় দেয়। এদের সাথে আত্মীয়তা করে, মেয়ে পক্ষও একপ্রকার অন্যায়কে মেনে নেয়ার মতো কাজ করে বসে। দিস ইস রং এট দ্যা ফার্স্ট প্লেস। মেয়ে পক্ষকে কোনভাবেই ছেলে পক্ষের অন্যায় আবদার মেনে নেয়া উচিত নয়। সময় বদলেছে, আমাদেরও উচিত মন-মানসিকতার পরবির্তন আনা। আর ছেলে পক্ষেরও উচিত বিয়ের অনুষ্ঠানে এসব ছোট-খাটো বিষয়গুলোকে সহজভাবে নেয়া।
"যখন হাউ-মাউ করে কাঁদতে কাঁদতে ছেলের বাবা-মা’র পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়ে!" এটা কেন হবে? আবেগপ্রবণ হয়ে এসব করার যুক্তিসংগত কোন কারণ নেই। এটা অনুচিত এবং অবশ্যই অপ্রয়োজনীয়।
বিদায়টা সব সময়ই বেদনাদায়ক। তারপরেও চিরসত্য বাস্তবতাকে মেনে নিতেই হবে আমাদের। বাড়াতে হবে পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ এবং সংবেদনশীলতা। বেরিয়ে আসতে ঐসব পুরোনো ধ্যান-ধারনার বেড়াজাল থেকে।
বিয়ের ব্যাপারে কোন মেয়ের পক্ষই যেন এ ধরনের হীণমন্যতায় না ভোগে সেই প্রার্থনাই করছি। লিখার জন্য ধন্যবাদ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: বিয়ের ব্যাপারে কোন মেয়ের পক্ষই যেন এ ধরনের হীণমন্যতায় না ভোগে সেই প্রার্থনাই করছি। আপনার এই কথার সাথে সহমত! এবং সচেতনতা+ মানসিকতার ব্যাপারটা তো থাকছেই! তবু একটা মেয়েকে একটা ছেলের হাতে তুলে দিতে গিয়ে মেয়ের বাবা-মা’রা অসহায় হয়! জানি না- আপনি এটা দেখেছেন কি না?
৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই ব্যাপারগুলো খুবই দুঃখজনক এবং হতাশার। অনেক সময় আমি দেখেছি বিয়ে বাড়িতে ছেলের পরিবার বা মেয়ের পরিবারের লোকজন ঠিক থাকলেও অন্য লোকজন এসে সেই রকম গ্যাঞ্জাম শুরু করে। নিজেদের প্রভাব বুঝানোর জন্য নতুন আত্মীয়দের সাথে এই রকম নিচু মানসিকতার আচরন করে।
আমার পরিচিত এক বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখেছিলাম শুধু মাত্র ডিম ছিল না দেখে মেয়েকে যখন শুরুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানে রাতে মেয়েকে জোর করে ডিম খাওয়ানো হয়েছিল। খবর টা শুনে আমি খুবই মর্মাহত হয়েছিলাম। যদি পারতাম একটা বাঁশ নিয়া গিয়া ঐ পোলার পরিবারকে পিডাইয় আসতাম।
এই ধরনের অদ্ভুত কালচার থেকে আমাদের বের হয়ে আসা উচিত। একটা মেয়ে তার পরিবার ছেড়ে সম্পূর্ন নতুন একটা পরিবারে আসে, এটা বিশাল একটা ব্যাপার। এই দিকটা মাথায় রেখে ছেলেপক্ষ বা শশুরবাড়ির লোকদের আরো অনেক সহনশীল ও বন্ধুত্বপূর্ন আচরন করা দরকার।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: সহমত ভাইয়া! আসলে এক্ষেত্রে মনে হয় ছেলে পক্ষর মেয়ে পক্ষ এবং মেয়েটার প্রতি বেশি সহনশীল হওয়া উচিৎ ! এবনহ ছোট - খাটো বিষয় গুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ !
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়াতে সবচাইতে অসভ্য অশিক্ষিত নিকৃষ্ট জাতি হলাম আমরা। যারা কনে পক্ষের সাথে এরকম করে ঐ হারামীরা ভুলে যায় তাদেরও বোন ভাতিজী আছে!