নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
>যে মেয়ে বেশি পড়াশুনা করার সুযোগ পায়নি কিংবা করতে পারেনি সেই মেয়ে অন্য মেয়ের বেশি পড়াশুনা করাকে ভালভাবে গ্রহন করতে পারে না!
>যে মেয়ের অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছে সেই মেয়ে তার থেকে ২/১ বছর বড় এমন টাইপের মেয়ের বিয়ে না হলে- কথা শোনাতে ছাড়ে না!
>যে মেয়ের বিয়ে হয় না অনেক দিন কিন্তু হুট করেই যখন সে বর পেয়ে যায় তখন সে তার-ই মত ভুক্তভোগীকে সহমর্মিতা না দেখিয়ে - নিজের বিয়ে হয়ে গেছে- বেঁচে গেছে এই টাইপ কথা বলে- এন সেই ভুক্তভোগীর কেন বিয়ে হচ্ছে না, যে কাউকে তার বিয়ে করে ফেলা উচিত এই টাইপ বড় বড় ডায়লগ দেয়া শুরু করে!
>যে মেয়ে টিজের স্বীকার হয় প্রাথমিক অবস্থায় তার বান্ধবীরা তাকে সহযোগিতা না করে এটাই বলে-“ ভাগ্যিস আমরা সুন্দর হইনি”!
>পরীক্ষার হলে মেয়েরা মেয়েদের খাতা দেখাতে চায় না কিন্তু ছেলেদের ঠিক-ই দেখায়!
> যে শাশুড়ি তার বিবাহিত জীবনে অনেক কিছুই করতে পারেনি, সে তার বউয়ের সে সব পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় - আর বউ- শাশুড়ির বেশির ভাগ দ্বন্দ্বই এটা থেকে হয়!
> বিয়ের পর অনেক মেয়েই স্বামীকে তার একার নিজস্ব সম্পত্তি মনে করে আর শাশুড়ি মনে করে তার ছেলে নামক সম্পদ বউয়ের কারনে হাত ছাড়া হয়ে গেল বুঝি-
ব্যস শুরু কাঁই-মাঁই ...!
>অনেক মেয়ের অনেক পারদর্শিতায় - অনেক মেয়েরাই আলগা কথা ঝেরে দেয়... যেটাকে জ্বলুনি ছাড়া আর কি বলা যায়...?
> খুব কম মেয়েই অন্য মেয়ের প্রশংসা মন-প্রান খুলে করতে পারে!
>খুঁজলে আরো কিছু পাওয়া যাবে!
>> আমিও হিংসা করি- ! রাস্তায় কোন মেয়ের স্কিন সুন্দর দেখলে - আপ্সুস হয়- আমার স্কিন এত পঁচা কেন? কোন মেয়ের সিল্কি চুল দেখলে মনে হয়- ইসস! আমার চুলগুলা হাফ সিল্কি কেন? অনেক মেয়ের দারুন্স সব লেখা পড়ে মনে হয়- আহা্! আমি কেন ওদের মত পারছিনা লিখতে! প্রতিষ্ঠিত কোন মেয়েকে দেখলে মনে হয়- হেলা-ফেলায় নিজে কেন ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারলুম না!
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হাহহা ক্ষেপি নাই... এটা যে সত্যি! তবে এর পেছনে অএক কারন ও আছে! দেখুন লাইলী আপা কিছু বলেছে কমেন্টে!
২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯
জামান শেখ বলেছেন: হিংসুটে ঈপ্সিতা !
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১০
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু হু আমি হিইংসুট্টি !হহাহা!
৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৫০
দীপঙ্কর_আলোসন্দিপ বলেছেন: লুটুস এ কুদ্রতে আহুজা আহুজা ঃ উইয়ে বেজি , কামাস্মুয়া তেলি ফন্তাসম
আফা ,
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১০
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ভাই কোন ভাষায় কি কইলেন!
৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০১
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আসলে যে সমস্যার কথা বলেছেন সেগুলো সোসালাইজেশনের কারণেই ঘটে থাকে -- দুটো শিশুই ( ছেলে এবং মেয়ে) একই জন্মগ্রহণ ও বেড়ে উঠছে কিন্তু দেখা যায় এর ভেতরই ফাঁক থাকে ---সোসালাইজেশনই তাকে এরূপ করতে বাধ্য করে ---পরিবার, সমাজ হতে সে শিখে, তার মননে এসব গেঁথে যায় --- আর তা চর্চাও করতে থাকে ----
এর বাইরে আসার জন্য নিজের মনে স্পেস/জায়গা তৈরি করতে হবে --শেখার, জানার, বোঝার, মনে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করা আবশ্যক ----আর তা চর্চা জরুরী -----
আন্তরিক ধন্যবাদ
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১০
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু আপু! আপনি যা বলেছেন তা সত্যি! একদম সত্যি কিছু ক্ষেত্রে! কিন্তু সেটা অনেকের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়! আর আমার লেখার ও সত্যতা আছে... এসব কারন ছাড়াও! অনেক ধন্যবাদ !
৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫
সোহানী বলেছেন: সহমত লাইলী আরজুমান খানম লায়লা ।
আমি দীর্ঘদিন জেন্ডার আর নারী নির্যাতন নিয়ে কাজ করছি। উপরের লায়লা আপার কথাগুলো একটু মনোযোগ দিয়ে পড়েন... সমাজের এ বিবেধ চিরন্তর... এটা নারীর প্রতি নারীর বিবেধ নয়.. এটি ক্ষমতার লড়াই, অধিকার প্রতিষ্টার লড়াই....। যা আমাদের মাঝে তৈরী করেছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা।
আর হিংসের কথা বলছেন.. যা আপনার মনে যেমন আছে তেমনি দশটি ছেলের মনে ও আছে এবং তা আরো প্রকট আকারে হয়তো।
যদি পারেন কামলা ভাসিন এর কিছু বই আছে আইএলও পাব্লিশ করেছে, পড়তে পারেন। আর আবারো নারী সমাজ নিয়ে চিন্তার আহবান জানাই...
ভালো থাকুন...
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু! হু নারীদের নিয়ে ভেবেছি বলেই কথাগুলি বলেছি! কারন আমাদের দুর্বলতার জায়গাগুলো পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাই তৈরি করেছে, আমাদের চারপাশের প্রতিকুল পরিবেশ হয়ত এমন ভাবনা আমাদের ভাবাচ্ছে কিন্তু এটা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা আমাদেরকেই করতে হবে, ভাঙ্গতে হবে এসব হীনমন্যতাকে ... ! কারন আমরা নিজেরাই যদি নিজেদের শত্রু হয়ে দাঁড়াই তাহলে তো ... !
৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সোহানী আপার মতামতের সাথে সম্পর্ণরূপে একমত ---- আমি জেন্ডার স্পেসালিস্ট হিসেবে কাজ করছি --- অনেক ওয়ার্কশপে, প্রশিক্ষণে প্রথমেই এসব কথা বলে --- কিন্তু যখন আলোচনার গভীরে যাই তখন বলে আসলেই আপা -- সবই ছিল আমাদের ভুল ধারনা---------
প্রচলিত কিছু বিষয় যা আমরা চর্চা করছি -- এগুলো সবই পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা --- এসব পুরুষ চর্চা করছে আর সাথে সাথে নারীও করছে ----
আমাদেরই এসব ধারণার পরিবর্তন করতে হবে --- জেন্ডার বিষয়ক বিভিন্ন বই বাজারে পাওয়া যায় -- সময় পেলে পড়বেন ---।
ভাল থাকুন
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: উহু সব ক্ষেত্রে পুরুষ চর্চা করছে আর তাদের সাথে নারীরা যোগ করছে এমনটা নয়। উপরের ঘটনাগুলির সাথে আমার নিজের কিছু অভিজ্ঞতা আছে, বাকিটা চারপাশ প্রত্যক্ষ করেই বলা! আর বাকিটা সোহানী আপুর মন্তব্বে বলেছি!
৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪
জনাব মাহাবুব বলেছেন: মেয়েরাই যদি মেয়েদের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে থাকে তাহলে কেন পুরুষদের নারী নির্যাতনকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
মেয়েরাই মেয়েদের সবচেয়ে বড় শত্রু কিন্তু ছেলেরা সবচেয়ে বড় বন্ধু।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: এর উত্তর লাইলী ও সোহানী আপুর মন্তব্বে এবং আমার মন্তব্বে আছে ভাই!
৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১১
সেজুতি_শিপু বলেছেন: অধিকাংশ মেয়েরা হিংসুটে হয়ে যায় । ছেলেদেরও হিংসা আছে । ক্ষেত্রটা শুধু আলাদা ।
কিছু 'হীণ ও হাস্যকর আচরনও মেয়েরা অনেক সময় করে । যা ছেলেরা ও যে করেনা তেমন নয় । তবে মেয়েদের নেতিবাচক আচরনের প্রভাবটা সংসারে - সম্পর্কে বেশী । কারন মেয়েদের ঘিরেই রচিত হয় ঘর । তাই তাদের ভুমিকা সেখানে বেশী বড় হয়ে দেখা দেয় ।
তাছাড়া সুদীর্ঘ কাল ধরে ছোট পরিসরে - ছোট বিষয় নিয়ে থাকতে থাকতে তার প্রভাব পড়ে আচরনে । মনটাও হয়ে পড়ে ছোট । বড় চিন্তা, বড় মন, উদারতা এসব চর্চা করার মত বড় ক্ষেত্রে বিচরনের সুযোগ যত বাড়বে ততই মেয়েরা এসমস্ত ক্ষুদ্রতা থেকে বের হতে পারবে ।
আর যারা সুযোগ পেয়েছে বড় পরিসরে বিচরনের তাদের সচেতন ভাবে চেষ্টা করতে হবে নিজেকে এই ক্ষুদ্রতা থেকে মুক্ত করতে ।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু এটাই! আমাদের সমস্ত ক্ষুদ্রতা থেকে মুক্ত করে বের হয়ে আসতে হবে তা না হলে- নিজেরাই নিজেরেদের পথের কাঁটা হয়ে যাবো!
৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: উপরে অনেক বিজ্ঞ সুধীজনের মতামত পড়ে ঘাবরে গেলুম। তবু বলছি, দেখুন আমাদের দেশের সর্বোচ্চ পদের অধিকারিনীদের গত ২৫ বছরের কায় কারবার দেখলেই বুঝবেন, আপনিই রাইট।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৬
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু ভাইয়া! না ঘাবড়ানোর কিছু নেই, সবাই সবার মত করে দেখা পরিবেশের উপর ভিত্তি করে বলেছে!
১০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৫২
জামান শেখ বলেছেন: আমার মতে সৃষ্টিকর্তা মেয়েদের জন্মগত ভাবেই পুরুষের চেয়ে অনেক কিছুই কম দিয়েছেন। যেমনঃ
১। দৈহিক গঠন
২। শক্তি
৩। সাহস
৪। ধৈর্য্য
৫। শারীরিক সৌন্দর্য্য (ইহা একজন ডাক্তার বলেছেন, জীব জগতের সব প্রাণীদের মধ্যে পুরুষ প্রাণীরা সুন্দর, যেমনঃ মোরগ, সিংহ, সেই হিসাবে পুরুষ মানুষ মেয়েদের চেয়ে সুন্দর )
৬। মেধা
উপরের যুক্তিতের মেয়েদের বুদ্ধিটাও কম হওয়ার কথা।
(যদিও নারীবাদীরা এটা মানবে কিনা জানিনা)
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৬
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হতে পারে! তবে সব ক্ষেত্রেই কম বুঝি আজ আর মেয়েরা নেই!
১১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪২
আমি তুমি আমরা বলেছেন: হাফ সিল্কি কি জিনিস?
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫২
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: আমার চুল পুরা সিল্কি না হাফ সিল্কি হাফ কার্লি!
১২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: শাঁখেরকরাত ! কি বলবো !
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫২
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু! কি আর বলিবেন!
১৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০১
এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: ঠিক বলিয়াছেন। নারী নির্যাতনের দায় টা পুরুষের ঘাড়েই যদিও চাপে কিন্তু, খোঁজ নিয়ে দেখবেন এর পেছনে এক বা একাধিক নারীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: সেটা হতে পারে- তবে খুব কম কিন্তু তার থেকেও বেশি পুরুষ নারী নির্যাতন করে থাকে অহেতুক!
১৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৯
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: বউয়ের উপরে স্বামীর চাইতে ননদ-শ্বাশুড়ীরাই বেশি করেন। অথবা স্বামীকে প্ররোচিত করেন। (আমার নিজের চোখে দেখা)
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩০
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু!
১৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪১
ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: এক ছিল দুষ্টু মেয়ে— বেজায় হিংসুটে , আর বেজায় ঝগড়াটি। তার নাম বলতে গেলেই তো মুশকিল, কারণ ঐ নামে শান্ত লক্ষ্মী পাঠিকা যদি কেউ থাকেন, তাঁরা তো আমার উপর চটে যাবেন।
হিংসুটির দিদি বড় লক্ষ্মী মেয়ে— যেমন কাজে কর্মে, তেমনি লেখাপড়ায়। হিংসুটির বয়েস সাত বছর হ'য়ে গেল, এখনও তার প্রথম ভাগই শেষ হল না— আর তার দিদি তার চাইতে মোটে এক বছরের বড়, সে এখনই "বোধোদয়" আর "ছেলেদের রামায়ণ" পড়ে ফেলেছে, ইংরিজি ফার্স্টবুক তার কবে শেষ হয়ে গেছে। হিংসুটি কিনা সবাইকে হিংসে করে, সে তো দিদিকেও হিংসে করত। দিদি স্কুলে যায়, প্রাইজ পায়— হিংসুটি খালি বকুনি খায় আর শাস্তি পায়।
দিদি যেবার ছবির বই প্রাইজ পেলে আর হিংসুটি কিচ্ছু পেলে না, তখন যদি তার অভিমান দেখতে! সে সারাটি দিন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে গাল ফুলিয়ে ঠোঁট বাঁকিয়ে ব'সে রইল— কারও সঙ্গে কথাই বলল না। তারপর রাত্রিবেলায় দিদির অমন সুন্দর বইখানাকে কালি ঢেলে, মলাট ছিঁড়ে, কাদায় ফেলে নষ্ট করে দিল। এমন দুষ্টু হিংসুটে মেয়ে।
হিংসুটির মামা এসেছেন, তিনি মিঠাই এনে দু'বোনকেই আদর ক'রে খেতে দিয়েছেন। হিংসুটি খানিকক্ষণ তার দিদির খাবারের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ভ্যাঁ ক'রে কেঁদে ফেলল। মাম ব্যস্ত হয়ে বললেন, "কি রে, কী হ'ল? জিভে কামড় লাগল নাকি?" হিংসুটির মুখে আর কথা নেই, সে কেবলই কাঁদছে। তখন তার মা এক ধমক দিয়ে বললেন, "কী হয়েছে বল্ না!" তখন হিংসুটি কাঁদতে কাঁদতে বলল, "দিদির ঐ রসমুণ্ডিটা তাকে আমারটার চাইতেও বড়।" তাই শুনে দিদি তাড়াতাড়ি নিজের রসমুণ্ডিটা তাকে দিয়ে দিল। অথচ হিংসুটি নিজে যা খাবার পেয়েছিল তার অর্ধেক সে খেতে পারল না— নষ্ট ক'রে ফেলে দিল। দিদির জন্মদিনে দিদির নতুন জামা, নতুন কাপড় আস্লে হিংসুটি তাই নিয়ে চেঁচিয়ে বাড়ি মাথায় তোলে।
একদিন হিংসুটি তার মায়ের আলমারি খুলে দেখে কি— লাল জামা গায়ে, লাল জুতা পায়ে, টুক্টুকে রাঙা পুতুল বাক্সের মধ্যে শুয়ে আছে। হিংসুটি বলল, "দেখেছ! দিদি কি দুষ্টু! নিশ্চয়ই মামার কাছ থেকে পুতুল আদায় করেছে— আবার আমায় না দেখিয়ে মায়ের কাছে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।" তখন তার ভয়ানক রাগ হল। সে ভাবল, "আমি তো ছোট বোন, আমারই তো পুতুল পাওয়া উচিত। দিদি কেন মিছিমিছি পুতুল পানে?" এই ভেবে সে পুতুলটাকে উঠিয়ে নিল।
কি সুন্দর পুতুল! কেমন মিট্মিটে চোখ, আর ফুট্ফুটে মুখ, কেমন কচি কচি হাত পা, আর টুক্টুকে জামা কাপড়! যত সব ভালো ভালো জিনিস সব কিনা দিদি পাবে! হিংসুটির চোখ ফেটে জল এল। সে রেগে পুতুলটাকে আছড়িয়ে মাটিতে ফেলে দিল। তাতেও তার রাগ গেল না; সে একটা ডাণ্ডা নিয়ে ধাঁই ধাঁই ক'রে পুতুলটাকে মারতে লাগল। মারতে মারতে তার নাক মুখ হাত পা ভেঙে, তার জামা কাপড় ছিঁড়ে— আবার তাকে বাক্সের মধ্যে ঠেসে সে রাগে গরগর করতে করতে চলে গেল।
বিকেলবেলা মামা এসে তাকে ডাকতে লাগলেন আর বললেন, "তোর জন্য কি এনেছি দেখিস্নি?" শুনে হিংসুটি দৌড়ে এল, "কই মামা, কী এনেছ দাও না।"
মামা বললেন, "মার কাছে দেখ্ গিয়ে কেমন সুন্দর পুতুল এনেছি।" হিংসুটি উৎসাহে নাচতে লাগল, মাকে বলল, "কোথায় রেখেছ মা?" মা বললেন, "আলমারিতে আছে।" শুনে ভয়ে হিংসুটির বুকের মধ্যে ধড়াস্ ধড়াস্ করে উঠল। সে কাঁদ কাঁদ গলায় বলল, "সেটার কি লাল জামা আর লাল জুতো পরান— মাথায় কালো কালো কোঁকড়ানো চুল ছিল?" মা বললেন, "হ্যাঁ, তুই দেখেছিস্ নাকি?"
হিংসুটির মুখে আর কথা নেই! সে খানিকক্ষণ ফ্যাল্ফ্যাল্ ক'রে তাকিয়ে তারপর একেবারে ভ্যাঁ ক'রে কেঁদে এক দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে গেল।
এর পরে যদি তার হিংসে আর দুষ্টুমি না কমে, তবে আর কী ক'রে কমবে?
হিংসুটি..সুকুমার রায়..
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৩২
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হায় হায় একি শোনালেন?
১৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: শুরুটা তো এখান থেকেই ..হা.হা..
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হাহহা হু এখান থেকেই হয়!
১৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার স্কিন সুন্দর এবং চুলও তো সিল্কি তারপরেও কেন হিংসা করেন?
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: বাঙালী ভাই কে আপনি? কই দেখলেন? আমার চুল হাফ সিল্কি!
১৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১
আরুশা বলেছেন: আপনার লেখার সাথে একমত +++++++্
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ !
১৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: (৯৯%ই - বাকি ১% রেয়ার কেস) এইটা বেশি হয়ে গেলো না?
(৯০%ই - বাকি ১০% রেয়ার কেস) এইটা হ্ইতে পারে ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: স্ব-লিঙ্গের প্রতি ক্ষ্যাপলেন কেন।???