নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমান ভার্চুয়াল লাইফের বন্ধুত্ব/ ভালোবাসা!
ছেলে- বন্ধু হতে পারি?
মেয়ে- প্রোফাইল ঘুরে কিছুটা নিশ্চিত হয়ে - এরপর হু! বন্ধু হতে পারবে কি না এইসব সাতপাঁচ অল্প- সল্প কিছু ভেবে নিয়ে বন্ধুলিস্টে এসে যায় একজন! শুরুটা মধুর মিষ্টতা দিয়ে! শেষ কেবল-ই তিক্ততা আর তিক্ততা! আহহাহা! এরপর কয়েকদিন এই সেই আলাপন... তারপর হুট করে কেউ কেউ বলাবলি করে- আইএল ইউ! মি-টু ! মিস ইউ ! মি-টু! এই সেই দুই অক্ষরেই আবেগ/ ভাললাগা/ ভালোবাসা! শেষ! চিরকুট বলতে এই দুই একটা অক্ষর এই মুঠোবার্তা আর চ্যাটে মেসেজ! আর চিঠি--হাহ্! সেও ঐ কখনো সখনো প্রয়োজনে আবেগবিহীন মেইল একখান! ( ব্যাতিক্রম কেউ কেউ হলেও অন্যজনের নীরবতায় সবটুকু বিফলে যায়) ! আর রাত জেগে প্রেমালাপ নয় চলে সেক্সালাপ...! স্কাইপে/ ওয়েব চ্যাটেও চলে ধুমিয়ে প্রেমালাপের নামে সেক্সালাপ! কেউ যদি রাজী না হয় তাহলে তারে জবাব- ওকে তোমারে সিটিএন! দুদিনের ভালোবাসায় ছোঁয়াছুঁয়িটা বড্ড বেশী জরুরী করে ফেলে ছেলেরা ( মেয়েরা তুলনামূলক ভাবে কম) ! তারপর আর কি ? কেউ হয় প্রতারিত / কেউ হয় ধর্ষিত/ কেউবা বিয়ের আগেই বাচ্চা- কাচ্চা/ অ্যাবরশন/ ব্লা...ব্লা...! এরপর পালাতে পারলেই বাঁচি বাঁচি ! টুট...টুট ...ব্লা ...ব্লা...।। একটুখানি আঁতে ঘা কিংবা ছল/ চাতুরী/ প্রতারণার শিকার/ দুদিনের বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসার মানুষটাই হয়ে যায় শত্রু/ কেউ কেউ ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী এইতো এসব-ই চলে এই ভার্চুয়াল জগতে! এক একটা ঘটনা দেখে মনে হয় এরা আসলেই সাইকো নয়তো ম্যানিয়াকে পেয়ে বসেছে এদের! একদম ফালতু ম্যানিয়াক! যাচ্ছেতাই! জীবন/ চাওয়া- পাওয়া সব কিছুতেই তারা বড্ড বেশী মেকী হয়ে গেছে! সম্পর্ক ধরে রাখার ইচ্ছে নেই কিন্তু গড়ে চলার ইচ্ছেটা থেমে নেই......! (ব্যাতিক্রম - দু/ একটা দারুন্স- যারা সত্যিকারের বন্ধুত্ব/ ভালোবাসা দিয়ে এক একটি অটুট বন্ধন গড়ে তোলে, আর বিশ্বাস ও আস্থা দিয়ে তা টিকিয়ে রাখে! )
আর আগেকার দিনের বন্ধুত্ব/ ভালোবাসা!
পাশের বাসার এক বখাটের বোন এসে এইট পড়ুয়া বালিকাকে বলে- আমার ভাই না তোমার বন্ধু হতে চায়? বালিকা ভয়ে ভয়ে বলে- বন্ধুত্ব করার বয়স আমার হয় নাই!
একদিন বাবা-মা অফিসে যাবার পর- কে যেন দরজার ফাঁক দিয়ে - ভালোবাসার চিরকুট দিয়ে যায়! বালিকা ভয়ে সেই চিরকুট হাতে নিয়ে কাঁপতে থাকে, যদি বাবা-মা এসে দেখে ফেলতো, তাহলে না জানি কি হত! এরপর চিরকুট ছিঁড়ে পানিতে ভিজিয়ে ময়লা ফেলার বালতিতে ফেলে দেয়!
এরপর স্কুলের গন্ডি পেড়িয়ে কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন এক সাথে চলতে গিয়ে কিছু বন্ধুত্বের বাঁধন অটুট হয়ে থেকে যায়...!
জীবন চলার পথে কারো সাথে পরিচয় থেকে কিংবা কোন না কোনভাবে কেউ কেউ ভালোবাসায় জড়িয়ে যায়! সে সময়ের ভালোবাসায় লুকিয়ে লুকিয়ে চিঠি পাঠানো, ভাই- বোনের দ্বারা চিরকুট পাঠানো, দোকানে গিয়ে ফোন করা, লুকিয়ে দেখা করা কিংবা দেখা নেই কথা নেই শুধু চিঠি বিনিময় তাও আবার নিজের ঠিকানায় নয়, অন্য কারো ঠিকানায়... আবেগী সময়, আবেগী ভালোবাসা... বিশ্বাস ... মিলেমিশে একাকার হয়ে থাকতো ! আর ছোঁয়াছুঁয়ির ব্যাপার তো ছিলো না বললেই চলে! অনেক প্রেম-ই বিয়েতে রূপ নিয়ে প্রথমবারের মত হাতটি ধরে দেখার সুযোগ পায় বা নেয়! টিকে যেত সেসব ভালোবাসা...! ভালোবাসা দিয়েই টিকিয়ে রাখতো তারা! (ব্যাতিক্রম দু/একটা ছাড়া) ! সে সময়ের ভালোবাসায় বিশ্বাস/ আস্থার একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছিলো, ছিলো একে- অপরকে সম্মান করার মত মানসিকতা!
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হাহাহহা! ধন্যবাদ ভাইয়া!
২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: আপনার অনেকগুলো লেখার মধ্যে এটা ব্যতিক্রম এবং সবচেয়ে এক নম্বর.++++++
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হাহহা! এই টাইপের লেখা লিখেছিলাম আগেও! তখন হয়ত আপনি আমার ব্লগে আসেননি ! যাক, অনেক অনেক ধন্যবাদ কেচ্ছা ভাই! ভুতের কেচ্ছা কবে শোনাবেন? ভাল থাকবেন সব সময়!
৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: আস্থা, বিশ্বাস, পারস্পরিক নির্ভরশীলতা কথামালা গুলো ভালবাসার অভিধান থেকে হারিয়ে গিয়েছে সেই অনেক আগে।
তবে বেচে থাকুক ব্লগ সন্ত্রাসীর ভালবাসাটা।
ভাল থাকুক ঈপ্সিতা চৌধুরী
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু ভাইয়া! আস্থা, বিশ্বাস, পারস্পরিক নির্ভরশীলতা এরা সব হারিয়ে গেছে! কেউ কেউ এসবের বাঁধনে সম্পৃক্ত থাকতে চায় কিন্তু অন্যজন হয়ত সব গোলমেলে করে ফেলে!
৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০২
রুমি৯৯ বলেছেন: ণডৃজটহাজদ
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ????????
৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮
বলেছেন: +
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ধইন্না পাতা! কবে যে মাইনাস দিবেন-- হাহা!
৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া!
৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৩
রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: "সে সময়ের ভালোবাসায় বিশ্বাস/ আস্থার একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছিলো, ছিলো একে- অপরকে সম্মান করার মত মানসিকতা!"-ঠিক।এখন চাইলেই পাওয়া যায়,একজন গেলে পরে তার থেকে বেটার আরেকজন।
কপ্রোমাইজ,কিংবা দোষ ত্রুটি মানিয়ে নিয়ে ভালবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মত ধৈর্য এখন খুব কম মানুষেরই আছে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৭
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু! টিকিয়ে রাখার থেকে, একটাকে ছেড়ে আর একটা ধরতে ব্যস্ত এখনকার কিছু মানুষ ! ধন্যবাদ !
৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬
শাহ আজিজ বলেছেন: পারিবারিক অবস্থান , সামাজিক পরিবেশ , পরিবারের বন্ধন এসব থেকেই একটা সময়ে মানে ৭০ দশকের কথা বলছি ভালবাসার আবহ সৃষ্টি হতো। চিঠিই ছিল মনের আকুলি বিকুলি প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম। দেখা শোনা বা যৌনতা দুর্লভ বিষয় ছিল। পাশের বাড়ির আস্থাভাজনের সাথে আবার ভিন্ন রুপ ছিল। কারন বোধকরি কেউ সন্দেহ করত না। মা তার মেয়েকে করা নজরে রাখত ।
এখন সময় পালটে গেছে। কৌমার্যের ব্যাপার আর নেই। জীবন আধুনিক আর পোশাক আশাক আরও খোলা মেলা। বিনোদন আর সামাজিক যোগাযোগ বদলে গেছে । একটি ছেলে বা মেয়ে একাধিক সম্পর্কের নাটক করে এবং এতেই তাদের মজা। এরাই যখন বিয়ের পিড়িতে বসছে তখন দ্বিধা আর সন্দেহ বুকে নিয়েই বসছে। উভয়েই দেখছে কার কতটুকু সহায় সম্পদ, ভালোবাসা নয়। ভেঙ্গে যাচ্ছে সম্পর্ক খুব দ্রুত। কারন তৃতীয় জনের ইনভল্ভমেনট। উচ্চাশা এবং অতৃপ্তি । আমি খুব লক্ষ্য করেছি যে মেয়েটি সামাজিক অনুশাশন মানছে তাদের অবস্থান ভিন্ন। আমি নিজেও বদলে গেছি নিজের ভাবনায় যে ধর্মীয় অনুশাসন কেন দরকার। ধর্মীয় অনুশাসন মানে জামাতি বা হেফাজত নয় অথবা পুরো শরীর বোরখায় ঢেকে রাখা নয়, প্রয়োজন হচ্ছে পাপবোধ ও সততার জীবন যাপন । একজনেই আস্থা স্থাপন ও কলুষতামুক্ত জীবনযাপনের চেষ্টা । সন্তানদের সুশিক্ষা এবং তাদের গড়ে উঠতে সাহায্য করা। জীবনটা যে টিভির ভারতীয় সিরিয়াল নয় তা অনুধাবন । অর্থাৎ রিয়ালিটি থেকে সিরিয়ালের পার্থক্য করন ।
এরকম অনেক কিছুই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: লাইক দিয়ে যাচ্ছি পরে পড়বো।