নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Epshi007

ঈপ্সিতা চৌধুরী

I wanna know the wonders around me

ঈপ্সিতা চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

টোনা-টুনির পিঠা খাওয়ার গল্প!

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩০

কুয়াশার চাদর গায়ে দিয়ে শীতটা হুড়মুড় করে এসে একদম জাঁকিয়ে বসেছে...।! শীতের সকাল আর সন্ধ্যাটা বাইরে বের হলেই কনকনে বাতাসে কাঁপুনি এসে যায়... ! এই সময়ে রাস্তার পাশ দিয়ে গড়ে ওঠা দোকান বা টঙগুলিতে ছোট্ট একটা ডিম ডিম লাইটের আলোয় বা হারিকেনের মিটিমিটি আলোয় চা বানাতে দেখা যায় আর তখন এইসব জায়গায় দাঁড়িয়ে চা খেতে আর মুখ দিয়ে ধোঁয়া ছাড়ার মজাই আলাদা! কিংবা পিঠার দোকানগুলিতে দাঁড়িয়ে গরম গরম ভাপা/ চিতই পিঠা হাতে নিয়ে ফুঁ দিয়ে দিয়ে ভেঙ্গে খেতেও দারুন মজা... ! রাস্তায় লোকজন কম থাকে... তবে ভিড় থাকে এইসব দোকানে! কনকনে শীতে উহুউউ করতে করতে একবার প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকায় তো একবার হুডির পকেটে হাত ঢুকিয়ে ধীর পায়ে ছেলেটা হেঁটে আসে এরকম একটা পিঠার দোকানে...! লাইন করে দাঁড়ায় আর বলে- একটা ভাপা পিঠা দিয়েন মামু! পাশেই থাকা বেঞ্চ খালি হয় একটু পর, ছেলেটা অর্ডার দিয়ে লাইন ছেড়ে বসে পড়ে... হাফ প্যান্ট পড়া কিছু পিচ্চি শীতে কাঁপছে আর কাগজ পুড়াচ্ছে। আগুনের পোড়া গন্ধ নাকে আসছে। ছেলেটা এবার মোবাইলটা হাতে নিয়ে গুতাতে থাকে ... হুর ফেবু আর ভাল লাগে না... বলেই হাবিজাবি কি সব লিখতে থাকে--তারপর-ই লিখে-
“ জানিস কনকনে শীতে বাইরে দোকানে এসেছি, গরম গরম ভাপা পিঠার অর্ডার দিয়েছি রে”! খাবি? এরপর-ই তা সেন্ড করে বালিকার কাছে!
সাথে সাথেই রিপ্লাই- হু খাবো! তবে তোকে কিন্তু ফুঁ দিয়ে দিয়ে ঠান্ডা করে, আমাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে দিতে হবে? দিবি তো?
হাহহা! আমাকে দিয়ে কাজ না করালে বুঝি তোর ভাল লাগে না?
বা রে! কাজ হবে কেন? এটা তো একটা আবদার রে বুদ্ধু! বুঝিস না? জানিস না তুই ভেঙ্গে দিলে আমার খাওয়াটা অনেক তৃপ্তিদায়ক হবে!
হু বুঝলাম শয়তান্নী! আচ্ছা, তুই আমাকে একদিন এভাবেই পিঠা বানিয়ে খাওয়াবি ? হাহহা! হু খাওয়াবো ! তুই টোনার মত বাজার থেকে, চাল গুড়ো করে আনবি, গুড় আনবি! এরপর আমি ...এটুকু লিখেই মেয়েটা মেসেজ সেন্ড করে! কারন জানে এরপর ছেলেটা লিখবে---
অই অই দাঁড়া দাড়া -- আমি বলি - এরপর তুই কি করবি- “ তুই শাড়ী কোমরে পেঁচিয়ে রান্না ঘরে পানি গরম করতে থাকবে, পিঠা বানানোর হাঁড়িতে! আমি বাজার নিয়ে দরজায় নক করবো! তুই দরজা খুলবি - আমি বলবো - এই নে বউ, চালের গুড়া/ গুড় সব এনেছি ... এবার আমার জন্য দু’খানা - অই না না ৮ খানা ছোট সাইজের ভাপা পিঠা বানিয়ে দে তো ! ৮ খানা? কস কি মমিন? রাক্ষস!!! আরে মমিনার মা, তুই আমারে খেতে দিতে চাস না কেন? মানে? ভুড়িটার দিকে খেয়াল করছিস? অই অই আমার ভুড়ি ঠিক আছে, নে এবার চল, পিঠা বানা দেখি! টুনি চালের গুড়ো পিঠা বানানোর জন্য তৈরি করতে থাকে, টোনা হাতের কাছে সব এগিয়ে দেয়...! চালের গুড়ো মাখতে মাখতে কপালে হাত চলে যায় টুনির, সাদা সাদা গুড়োয় কপালে চুলগুলি সাদা হয়ে যায়, টোনা হাসতে হাসতে বলতে থাকে- অই সাদা চুলের বুড়ি বুড়ি--! টুনি অবাক হয়ে চোখ গরম করে তাকায়, এরপর হাতের আঙ্গুলে চালের গুড়া নিয়ে টোনার নাকে লাগিয়ে দেয়...! টোনাও হারামী বলে- টুনির কোমরের পেচিয়ে থাকা শাড়ীর কোণ খুলে নিয়ে নাকে ঘসতে থাকে...! ওদিকে পানি টগবগ করতে থাকে! টুনি বলে ওঠে- অ্যাই সর সর।। এরপর টুনি পিঠা বানানোর বাটি হাঁড়ির মুখে দিতে গিয়ে গরম পানির ছোঁয়া লেগে যায়...আহ্‌ বলে চিৎকার করে ওঠে! কি করিস রে হারামী? দেখে কিছুই করিস না কেন? মরবি না কি? সর সর, আমি বানাচ্ছি! শালা গাধী! দেখি আগে হাত দেখি... খুব লেগেছে বুঝি? টুনির চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে! অই অই কাঁদিস কেন? জ্বলছে খুব? টুনি চুপ! কথা বলিস না অই অই? টুনি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে... এবার টোনা অপলক চোখে তাকিয়ে এক ঝটকায় টুনিকে বুকে টেনে নেয়......।। তারপর......তারপর... অনেকক্ষণ অনেকক্ষণ পর... টোনা- টুনি পিঠা বানিয়ে খায়...।। পিঠা নেন মাম্মা... চমক ভাঙ্গে ছেলেটার... চমকে উঠে পিঠাটা হাতে নিয়ে টাকা দিয়ে এলো পায়ে সামনে এগিয়ে আসতেই এক পথশিশুর হাত সামনে দেখতে পায়...পিঠা চাচ্ছে... ছেলেটা আনমনে পিঠাটা ওর হাতে দিয়ে দেয়... এরপর হাঁটতে থাকে ... গন্তব্যহীন আরেকটা সন্ধ্যায় ......! মাঝে মাঝে আকাশের দিকে তাকায় ...। নিশুতি এই শীত সন্ধ্যায় নতুনভাবে অনুভব করে শূন্যতাকে। মনে হয় একটা মিরাকল যদি ঘটেই যেত এভাবে ... আরেকটু আশায় তার বাঁচতে ইচ্ছা করে......... চোখ বন্ধ করে...।। আর চোখ খুলে ... চারপাশ জুড়ে অজানা অবসাদে অযথাই মনটা বারবার ভরে ওঠে...... চিৎকার করতে ইচ্ছে করে তার.........।


মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯

 বলেছেন: :D+

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৬

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ধইন্না পাতা ধইন্না পাতা!

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১২

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: নিজেদের গল্প টোনাটুনি দিয়ে চালিয়ে দিলেন।



লেখায় +++



ভাল থাকুক ব্লগ সন্ত্রাসীটা।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৬

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হাহহা!

ধইন্না পাতা ধইন্না পাতা!

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: ১ম লাইকটা আমার

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৭

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ধইন্না পাতা ধইন্না পাতা!

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ২য় ভালোলাগা @ইপ্সি :)

অনেক শুভকামনা :)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৭

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ধইন্না পাতা ধইন্না পাতা!

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

তুষার কাব্য বলেছেন: টোনা-টুনির পিঠা খাওয়ার গল্প! ভালো লাগলো... :D

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৭

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ !

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:




আপনের নাকি আজকে জন্মদিন !
হইলে শুভ জন্মদিন ... খাওয়াটা পাওনা থাকলো।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৭

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হহাহহা! হু আজ আমার জন্মদিন! চলে আসেন- টিকটিকি/ তেলাপোকার মজার মজার খাবার খাওয়াবো !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.