নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রেম আমার রব, সে-ই আমার সব।

ধর্ম আমার প্রেম, প্রেম আমার ধর্ম।

ইভা_110

প্রেম আমার রব, সে-ই আমার সব।ধর্ম আমার প্রেম, প্রেম আমার ধর্ম।

ইভা_110 › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীরা কী পুরুষদের পাজরের হাড্ডি থেকে সৃষ্টি ?

০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৫৫

নবী (সা.) তাঁর নবুওয়্যাত প্রকাশ্য প্রচারের পূর্ব পর্যন্ত নারীদের উপর অসহনীয় অত্যাচার করা হত, এখনো যে হচ্ছে না তা বলছি না তবে তখন এমনই যুলুম হত যে তাদেরকে শিশু অবস্থায় জীবন্ত কবর দেয়া হত। মহা নবী (সা.) হচ্ছেন সর্বপ্রথম ব্যক্তি যিনি এ কুসংস্কারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এবং তাদেরকে জীবন্ত কবর দেয় নিষিদ্ধ্য ঘোষণা দেন। আর ইসলামই হচ্ছে সর্বপ্রথম ধর্ম, যে ধর্ম নারীকে দিয়েছে তার যথার্থ মর্যাদা, সম্মান ও স্থান। তবে বর্তমানে মুসলিম সমাজে এখনো নারীরা বিভিন্নভাবে পুরুষের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে, আর এই নির্যাতিত হবার পেছনে কিছু ভ্রান্ত ধারণা যা দ্বীন-মাযহাবের রংয়ে কাজ করছে। আর ঐ সমস্ত চিন্তার দোহাই দিয়ে নারীকে পুরুষের থেকে নিচু বা দ্বিতীয়শ্রেণীর মানুষ হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। আর এমনই একটি বিষয় নিয়ে এ লেখা, যা নারীর অস্তিত্বের সাথে সম্পৃক্ত তা নিয়ে লেখা হেয়েছে লেখাটি গভীর দৃষ্টি নিয়ে পড়ুন, ভাবুন এবং সিন্ধান্ত নিন।



﴿إِنَّ الْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ وَالْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْقَانِتِينَ وَالْقَانِتَاتِ وَالصَّادِقِينَ وَالصَّادِقَاتِ وَالصَّابِرِينَ وَالصَّابِرَاتِ وَالْخَاشِعِينَ وَالْخَاشِعَاتِ وَالْمُتَصَدِّقِينَ وَالْمُتَصَدِّقَاتِ وَالصَّائِمِينَ وَالصَّائِمَاتِ وَالْحَافِظِينَ فُرُوجَهُمْوَ الْحَافِظَاتِوَ الذَّاكِرِينَ اللَّهَكَثِيراً وَالذَّاكِرَاتِ أَعَدَّاللَّهُ لَهُممَّغْفِرَةً وَأَجْراًعَظِيماً﴾



“নিশ্চয়ই মুসলমান পুরুষ ও মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ ও নারী, ইবাদতকারী পুরুষ ও নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও নারী, ধৈর্য্যশীল পুরুষ ও নারী, খোদাভীরু পুরুষ ও নারী, ছদকা দানকারী পুরুষ ও নারী, রোযাদার পুরুষ ও নারিগণ এবং যে সকল পুরুষ ও নারী তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে এবং যে সকল পুরুষ ও নারী আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের সকলের জন্যেই আল্লাহ্‌ তা’য়ালার কাছে রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার” (আহ্‌যাব : ৩৫)।



এই পবিত্র আয়াতে, পুরুষ ও নারীকে পাশা-পাশি উল্ল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ্‌ তা’য়ালা পুরস্কার দান ও ক্ষমা করার ব্যাপারে তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য করেন নি।



﴿يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُم مِّن ذَكَرٍ وَأُنثَى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوباً وَقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوا إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِندَ اللَّهِ أَتْقَاكُمْ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ﴾



“হে মানব সকল! আমরা তোমাদের সকলকে একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি এ কারণে যে, তোমরা যেন একে অপরকে চিনতে পার (এবং বুঝতে পার বংশ ও গোত্র কোন গর্বের বিষয় নয়)। তোমাদের মধ্যে সেই আল্লাহ্‌র কাছে অধিক উত্তম যে অন্যের থেকে বেশী তাকওয়াসম্পন্ন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ জ্ঞানী এবং মানুষের ভাল ও মন্দ কাজের বিষয়ে সম্যক অবগত আছেন” (হুজুরাত : ১৩)।



পবিত্র এ আয়াতটিতে আল্লাহ্‌ তা’য়ালা পুরুষ ও নারী সৃষ্টির উদ্দেশ্য তাঁর ও একক উৎস, এবং এ সৃষ্টি বৈচিত্রের কারণ হিসেবে পরস্পরকে জানার কথা বলা হয়েছে । আর বংশ, ক্ষমতা, ধন-দৌলত, জ্ঞান, রং, ভাষা ও ভৌগলিকতার (আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া ইত্যাদি) ভিত্তিতে আল্ল্লাহ্‌ মানুষের মর্যাদাকে নির্ধারণ করেন নি বরং আল্লাহ্‌র কাছে সেই উত্তম যার তাকওয়া বেশী, আর তাকওয়ার অর্থ হচ্ছে আল্লাহ্‌র আদেশ-নিষেধকে মেনে চলা।



﴿مَنْ عَمِلَ صَالِحاً مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَى وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ مَا كَانُواْ يَعْمَلُونَ﴾



“পুরুষ ও নারীদের মধ্য থেকে যারাই ঈমান আনবে এবং উত্তম কাজ আঞ্জাম দিবে, তাদেরকে আমরা পবিত্র জীবন দান করবো এবং তাদের কাজের তুলনায় উত্তম পুরস্কার দান করব”(নাহ্‌ল : ৯৭)।



এই আয়াতেও আল্লাহ্‌ তা’য়ালা উত্তম কাজের বিনিময় স্বরূপ পুরস্কার ও সওয়াব দানের অঙ্গীকার করেছেন, আর সৎকর্ম সম্পাদনকারী পুরুষই হোক অথবা নারী হোক কোন পার্থক্য করেন নি বরং যে কোন বান্দাই এই ভাল কাজ আঞ্জাম দিবে আল্লাহ্‌ তা’য়ালা তাকেই এই পুরস্কারে পুরস্কৃত করবেন।



﴿وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجاً لِّتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُم مَّوَدَّةً وَرَحْمَةً إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ﴾



“আল্লাহ্‌ তা’য়ালার নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হচ্ছে যে, তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতে সহধর্মিনীদেরকে সৃষ্টি করেছেন যাতে করে তাদের সান্নিধ্যে প্রশান্তি অনুভব করতে পার, আর তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও রহমতকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ সব কিছুই হচ্ছে নিদর্শন তাদের জন্য যারা চিন্তা করে” (রূম : ২১)।



এই পবিত্র আয়াতেও আল্লাহ্‌ তা’য়ালা নারী সৃষ্টিকে তাঁর অন্যতম নিদর্শন হিসেবে পেশ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, নারীরা হচ্ছে ভালবাসা, রহমত ও প্রশান্তির কারণ। বিশিষ্ট মুফাসসির আল্লামা তাবাতাবাই (রহ.) এই আয়াতের তাফসীরে বলেন, পুরুষ ও নারী এমনই এক সৃষ্টি একে অপরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ফলে যারা উভয়ই পূর্ণতা অর্জন করে এবং এ দু’য়ের মিলনের মাধ্যমে মানব জাতির বংশ বিস্তার ঘটে থাকে, আর তারা একজন অপরজন ছাড়া অসম্পূর্ণ।



আল্লাহ্‌ তা’য়ালা এই আয়াতের শেষে বলছেন: এই বিষয়টি তাদের জন্য নিদর্শন যারা চিন্তা করে বা যারা বিবেক সম্পন্ন। তারা এর মাধ্যমে বুঝতে পারবে যে, পুরুষ ও নারী একে অপরের পরিপূরক। আর নারীই একটি পরিবারকে সতেজ ও উদ্যমী করে রাখে এবং এর সদস্যদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে নিয়ামকের ভূমিকা পালন করে। যে কারণে পুরুষ ও নারী শুভ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তা হচ্ছে আল্ল্লাহ্‌ প্রদত্ত ভালবাসা ও রহমত। শুধুমাত্র দৈহিক চাহিদার কারণেই তারা এ বন্ধনে আবদ্ধ হয় না।



কিন্তু পুরুষ ও নারীর বন্ধনের মধ্যে দু’টি দিক বিদ্যমান। তার একটি হচ্ছে ঐশী ও ভালবাসার দিক অপরটি হচ্ছে বৈষায়িক দিক। তবে মানুষ তার ঐ ঐশী ও ভালবাসার বোধের মাধ্যমেই পূর্ণতায় পৌঁছে থাকে।



এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা বিশেষ প্রয়োজন বলে মনে করছি তা হচ্ছে, অনেক মুফাসসির উল্লিখিত আয়াত ও এ ধরনের আরো কিছু আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন যে, নারী পুরুষের শরীরের অংশ। কেননা তাদেরকে পুরুষের শরীরের অংশ থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর এই ধরনের তফসিরের ফলে অনেক সুবিধাবাদী পুরুষ, নারীদেরকে তাদের থেকে নীচু পর্যায়ের সৃষ্টি মনে করে থাকেন যা নারীর জন্যে একটি অপমান জনক বিষয়। এক্ষেত্রে নিম্নলিখিত আয়াতসমূহকে তারা প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন :



- ﴿يَاأَيُّهَاالنَّاسُ اتَّقُواْرَبَّكُمُالَّذِي خَلَقَكُممِّننَّفْسٍ وَاحِدَةٍوَخَلَقَمِنْهَازَوْجَهَاوَبَثَّمِنْهُمَارِجَالاًكَثِيراًوَنِسَاء﴾



- হে মানব সকল! তোমাদের পরওয়ারদিগারকে ভয় কর। যিনি তোমাদেরকে একক সত্তা থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর তা থেকে তার সহধর্মিণীকেও এবং ঐ দু’জন থেকে অনেক পুরুষ ও নারী সৃষ্টি করেছেন (নিসা : ১)।



- ﴿هُوَالَّذِيخَلَقَكُم مِّننَّفْسٍوَاحِدَةٍ وَجَعَلَمِنْهَازَوْجَهَا﴾



-তিনিই তোমাদেরকে একক সত্তা থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তার থেকে তার স্ত্রীকেও (আ’রাফ : ১৮৯)।



- ﴿خَلَقَكُممِّننَّفْسٍ وَاحِدَةٍثُمَّجَعَلَ مِنْهَازَوْجَهَا﴾



- তোমাদেরকে এক সত্তা থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তা থেকে তার স্ত্রীকেও (যুমার : ৬)।



- ﴿وَمِنْآيَاتِهِأَنْخَلَقَلَكُممِّنْأَنفُسِكُمْ#1571;َزْوَاجاً﴾



- আর এটা তাঁর নিদর্শনমূহের নমুনা স্বরূপ যে, তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সহধর্মিণী সৃষ্টি করেছেন (রূম : ২১)।



- ﴿وَاللّهُجَعَلَلَكُم مِّنْأَنفُسِكُمْأَزْوَاجاً وَجَعَلَلَكُممِّنْأَزْوَاجِكُم بَنِينَوَحَفَدَة﴾



- আর আল্লাহ্‌ তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রী নির্দিষ্ট করেছেন এবং তোমাদের স্ত্রীদের থেকে সন্তান ও পৌত্রদের সৃষ্টি করেছেন (নাহ্‌ল : ৭২)।



- ﴿جَعَلَلَكُممِّنْ أَنفُسِكُمْأَزْوَاجاً﴾



- তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীগণকে সৃষ্টি করেছেন (শুরা: ১১)।



বাহ্যিকভাবে দেখা যায় যে, প্রথম তিনটি আয়াতে বলা হয়েছে সমস্ত মানুষ একটি নফস (সত্তা) থেকে সৃষ্টি হয়েছে এবং তাদের স্ত্রীগণও ঐ নফস থেকেই সৃষ্টি হয়েছে।



কিন্তু পরের তিনটি আয়াতে উক্ত বিষয়টিকে সমস্ত পুরুষের প্রতি ইশারা করে বলা হচ্ছে যে, তোমাদের স্ত্রীগণকে তোমাদের থেকেই সৃষ্টি করা হয়েছে। যদি আমরা একটুখানি এই বিষয়ের প্রতি গভীর দৃষ্টি দেই তবে এটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে, এ আয়াতসমূহে আল্লাহ্‌ তা’য়ালা এটাই বুঝাতে চেয়েছেন যে, তাদের স্ত্রীগণ সৃষ্টিগত উৎসের দৃষ্টিতে তাদেরই প্রকৃতির, ভিন্ন প্রকৃতির নয়। এটা নিশ্চয় বুঝাতে চাননি যে, স্ত্রীগণ তাদের দেহের অংশ থেকে সৃষ্টি হয়েছে। যদি তাই হয়ে থাকে তবে বলতে হয় যে, প্রতিটি স্ত্রীই তার স্বামীর দেহের অংশ থেকে সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তী তিনটি আয়াত প্রথম তিনটি আয়াতকে ব্যাখ্যা করেছে, যাতে করে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায়।



আল্লামা তাবাতাবাই এই আয়াতের তফসিরে বলেছেন : ‘ওয়া খালাকা মিনহা যাওজাহা’ আয়াতের বাহ্যিক অর্থ হচ্ছে যে, স্ত্রীদের পুরুষের প্রকৃতিতে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং তাদের উভয়েরই সৃষ্টির উৎস হচ্ছে এক।



এই আয়াতে ‘মিন’ শব্দটি উৎস বর্ণনা অর্থে এসেছে অর্থাৎ এখানে ‘মিন’ কোন কিছু সৃষ্টির উৎসকে বর্ণনা করছে। এই আয়াতটি অন্যান্য আয়াতের মতই পুরুষ ও নারীর সৃষ্টির উৎস বর্ণনা করেছে, যা পূর্বে উল্লিখিত হয়েছে।



অতএব, এটা আমাদের কাছে পরিস্কার এবং বিভিন্ন তফসির গ্রন্থের ভাষ্য অনুযায়ী যে বলা হয়ে থাকে আল্লাহ্‌ তা’য়ালা নারীকে পুরুষের বাম পাজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন তা সম্পূর্ণরূপে দলিলহীন কথা (আল মিযান ফি তাফসিরুল কুরআন, খণ্ড- ৪, পৃ.-১৩৬)।



উপরোল্লিখিত ভ্রান্ত ধারণাটির পক্ষে রয়েছেন আহলে সুন্নাতের মুফাস্‌সিরগণ যেমন: ওয়াহ্‌বাহ্‌ যুহাইলী এবং ফাখরুদ্দীন রাযি তারা তাদের নিজ নিজ গ্রন্থে তা উল্লেখ করেছেন ও গ্রহণ করেছেন।



সুতরাং কোরআনের আয়াত থেকে আমাদের কাছে যা প্রমাণিত হয়েছে তা হচ্ছে, পবিত্র কোরআন পুরুষ ও নারী সৃষ্টির উৎসগত আলোচনা করেছে এবং তাদের মধ্যকার সাদৃশ্যকে তুলে ধরেছে। এর পক্ষে আমাদের আরো জোরাল যুক্তি রয়েছে যা নিম্নরূপ:



নবী (সা.)-এর ৬ষ্ঠ উত্তরসূরী ইমাম আবু হানিফার ওস্তাদ ইমাম সাদিক (আ.)-এর কাছে প্রশ্ন করা হল যে, ‘একদল লোক বলে হযরত হাওয়াকে হযরত আদমের বাম পাজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে’ এ ব্যাপারে আপনার মত কি?



তিনি বললেন: আল্লাহ্‌ তা’য়ালা এমন ধরনের কাজ করা থেকে পবিত্র। এরপর তিনি তাদেরকে পাল্টা প্রশ্ন করে বললেন: আল্লাহ্‌র কি ক্ষমতা ছিল না যে, হযরত আদমের জন্য স্ত্রী সৃষ্টি করবেন যে তার পাজরের হাড় থেকে হবে না? যাতে করে পরবর্তীতে কেউ বলতে না পারে যে, হযরত আদম নিজেই নিজের সাথে বিয়ে করেছেন। আল্লাহ্‌ তাদের ও আমাদের মধ্যে এ বিষয়ে ফায়সালা করুন (ওয়াসায়েলুশ শিয়া, খণ্ড-২০, পৃ. -৩৫২, বাব- ২৮, হাদীস নং-২৫৮০৪)।



(অর্থাৎ এখানে ইমাম বুঝাতে চেয়েছেন যে, আল্লাহ্‌ যখন হযরত আদমকে মাটি থেকে সৃষ্টি করতে পেরেছেন তবে তার স্ত্রী সৃষ্টির জন্য, তার পাজরের হাড় থেকে করতে হবে কেন? যেহেতু আল্লাহ্‌ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তাই এ কথা বললে তাঁর অক্ষমতাকেই তুলে ধরা হয়, নয় কি? -নাউযুবিল্লাহ্‌)।



অন্য আরেকটি হাদীসে এসেছে যে, ‘আল্লাহ্‌ তা’য়ালা হযরত আদম সৃষ্টির পরে অবশিষ্ট কাদা-মাটি থেকে হযরত হাওয়াকে (হযরত আদমের মতই) স্বতন্ত্রভাবে সৃষ্টি করেছেন (বিহারুল আনোয়ার, খণ্ড-১১, পৃ. -১১৫, হাদীস নং-৪২)।



﴿وَأَوْحَيْنَاإِلَى أُمِّمُوسَىأَنْأَرْضِعِيهِ فَإِذَاخِفْتِعَلَيْهِ فَأَلْقِيهِفِيالْيَمِّ وَلَاتَخَافِيوَلَاتَحْزَنِي إِنَّارَادُّوهُإِلَيْكِ وَجَاعِلُوهُمِنَالْمُرْسَلِينَ﴾



“আমরা মুসার মায়ের প্রতি এরূপ ইলহাম করেছিলাম যে, তাকে দুধ দাও এবং যখনই তার ব্যাপারে ভয় পাবে তখনই তাকে (নিল নদের) পানিতে নিক্ষেপ কর, তুমি ভয় করো না ও দুঃখিত হয়োনা আমরা তাকে পুনরায় তোমার কাছে ফিরিয়ে দিব এবং তাকে রাসূলগণের মধ্যে স্থান দিব”(কাসাস : ৭)।



এই আয়াতে এ বিষয়টি পরিস্কার যে, আল্লাহ্‌ তা’য়ালা হযরত মুসা (আ.)-এর মায়ের প্রতি ইলহাম করেছেন, আল্লাহ্‌ একজন নারীকে উদ্দেশ্য করে কথা বলেছেন এটা হচ্ছে নারীদের জন্য একটি মর্যাদার বিষয়।



﴿إِذْقَالَتِالْمَلآئِكَةُ1610;َا مَرْيَمُإِنَّاللّهَيُبَشِّرُكِ بِكَلِمَةٍمِّنْهُاسْمُهُ الْمَسِيحُعِيسَىابْنُ مَرْيَمَوَجِيهاًفِيالدُّنْيَا وَالآخِرَةِوَمِنَالْمُقَرَّبِينَ﴾



“(ঐ সময়কার কথাকে স্মরণে আন) যখন ফেরেশতাগণ বলেছিলেন : ‘হে মারিয়াম! আল্লাহ্‌ তা’য়ালা তোমাকে তাঁর পক্ষ থেকে এক বাণীর সুসংবাদ দান করছেন যে, তার নাম হচ্ছে মাসিহ্‌ ঈসা ইবনে মারিয়াম, সে এই দুনিয়া ও আখেরাতেও একজন সম্মানিত ব্যক্তি এবং নৈকট্যপ্রাপ্তদের মধ্যে শামিল হবে” (আলে ইমরান: ৪৫)।



তাহলে আমাদের কাছে এটা পরিস্কার যে, একজন নারীর পক্ষে এটা সম্ভব যে, সে পরিপূর্ণতার এমন পর্যায়ে পৌছাবে, যার কারণে আল্লাহ্‌ তা’য়ালা আসমানী কিতাবে তাকে উদ্দেশ্য করে কথা বলবেন। আর আল্লাহ্‌র ফেরেশ্‌তাগণ ও স্বয়ং জিব্রাঈল (আ.) তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হয়ে তাঁর সাথে কথা বলবেন। আর এমন নজির পুরুষদের মধ্যেও কম দেখা যায়।



﴿وَضَرَبَاللَّهُ مَثَلاًلِّلَّذِينَ آمَنُوا اِمْرَأَةَ فِرْعَوْنَ إِذْ قَالَتْ رَبِّ ابْنِ لِي عِندَكَ بَيْتاً فِي الْجَنَّةِ وَنَجِّنِي مِن فِرْعَوْنَ وَعَمَلِهِ وَنَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ﴾



“আল্লাহ্‌ তা’য়ালা মু’মিনদের জন্য ফিরআউনের স্ত্রীকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, যখন সে বলেছিল যে, হে আল্লাহ্‌! বেহেশ্‌তে তোমার কাছে আমার জন্য একটি গৃহ নির্মাণ কর এবং আমাকে ফিরআউনের কু-কর্ম ও তার অত্যাচারী দলবল থেকে রক্ষা কর”(তাহ্‌রিম : ১১)।



১- আল্লাহ্‌ তা’য়ালা এই আয়াতে সকল পুরুষ ও নারীর সামনে একজন নারীকে আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।



২- আছিয়া (ফিরআউনের স্ত্রী) সকল নারীকে এটাই শিক্ষা দিল যে, আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জন করা কোন বাদশাহ্‌র প্রাসাদে জীবন-যাপন করার (সেখানে সব ধরনের সু-ব্যবস্থা থাকা সত্বেও) থেকেও উত্তম। সে আরো প্রমাণ করলো যে, কোন নারীরই উচিৎ নয় এই দুনিয়ার বাহ্যিক রূপের মোহে ভুল করা। কেননা দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তা ধবংস হয়ে যাবে। আর শুধুমাত্র আল্লাহ্‌ই থাকবেন।



৩- সে আরো শিক্ষা দিল যে, নারীদের স্বাধীনতা থাকবে (যতটুকু আল্লাহ্‌ অনুমতি দিয়েছেন) এবং তারা জুলুম ও জালিমের প্রতি ঘৃণা রাখবে; যদিও ঐ জালিম তার স্বামীও হয়ে থাকে।



﴿إِنَّاأَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَر * فَصَلِّلِرَبِّكَ وَانْحَرْ * إِنَّشَانِئَكَ هُوَالْأَبْتَرُ﴾



“হে রাসূল! আমরা তোমাকে অফুরন্ত নেয়ামত - নবুওয়াত, শফা’য়াতের ন্যায় উচ্চ মর্যাদাসহ কাউসার (ফাতিমাকে) -দান করেছি। সুতরাং তুমি এই নে’য়ামতসমূহের শুকরিয়া স্বরূপ নামায আদায় এবং কুরবানী কর। আর প্রকৃতপক্ষে তোমার শত্রুরাই হচ্ছে নির্বংশ” (কাউছার : ১, ২, ৩)।”



যদি প্রত্যেক স্ত্রী তার স্বামী পাজড়ের হাড় থেকে সৃষ্টি হবে তাহলে যেসব মহিলা তালাক প্রাপ্ত হয়ে অন্য পুরুষের সাথে বিয়ে করেন তারা ক,জন পুরুষের হাড্ডি থেকে সৃষ্টি হয়েছে বা যেসব নারী আদৌ বিয়ে করেন না তাদের স্বামী কারা ? তারা কিভাবে সৃষ্টি হলেন ?


http://islamibd.com/home/

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:০৩

জাগরূ৪৯ বলেছেন:

নবী (সা.)-এর ৬ষ্ঠ উত্তরসূরী ইমাম আবু হানিফা ?

০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:০৩

ইভা_110 বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ার জন। মহানবীর (স.)-এর কন্য হযরত ফাতেমা তাঁর ৬ষ্ঠতম সন্তান ইমাম জাফর আস্ সাদিক । ইমাম জাফর আস্ সাদিক ছিলেন জনাব আবুহানিফার ওস্তাদ।

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:০৬

রুদ্র হুমায়ূন বলেছেন: যেসব নারীরা তালাক প্রাপ্ত হয় তাঁরা দুইজন পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি। :#) :#) :#) :#) :#) :#) :#) :) :D

০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:২০

ইভা_110 বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল ব্লগে ।
যদিআমরা মনে করি যে প্রত্যেক নারী তার স্বামীর পাজড়ের হাঁড় থেকে সৃষ্টি হয়েছে তখন যেসব নারীদের কয়েক বার বিয়ে হয়ে থাকে তাদের ব্যাপারে প্রশ্ন এসে দাঁড়াবে তারা কোন পুরুষের পাজড়ের হাঁড় থেকে সৃষ্টি হয়েছেন। বা অনেকের বিয়ে-ই হয় না বা তার পূর্বে মারা গেলেন তাহলে তারা কার পরজড়ের হাড় থেকে সৃষ্টি হয়েছেন ?
আর যদি মনে করি কোন নারীই কোন পুরুষের পাজড়ের হাঁড় থেকে সৃষ্টি নয় বরং একজন পুরুষের মত স্বাধিন সৃষ্টি তখন আর ঐ প্রশ্ন গুলোও আসবে না। পবিত্র কুরআনের উল্লেখিত আয়াতগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা মতে প্রত্যেক নারী পুরুষের মত স্বাধিন একসৃষ্টি কারো পাজড়ের অংশ বা হাড় থেকে নয়।

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:১০

ক্যাপ্টেন রিফাত বলেছেন: ধর্মের গোজামিল দেওয়া হয়েছে, এটা তার একটা হতে পারে!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:২৪

ইভা_110 বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য । দয়া করে বলবেন কোথায় গোজামিল দেয়া হয়েছে ?

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:২১

চ।ন্দু বলেছেন: একথা ঠিক নারীদের উপরে পুরুষের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে-সৃষ্টিগতভাবে। তবে সৌন্দর্যের ক্ষেদ্রে পুরুষ (সানুষ) পিছিয়ে রয়েছে নারীর তুলনায়। যাইহোক, আপনার প্রশ্নের মতই একটি প্রশ্ন ইস্রায়েলীরা ঈসাকে করেছিল। এক স্ত্রীলোককে পরপর সাতভাই বিয়ে করার কাহিনী। ঈসার উত্তরটা দেখুন, বোধহয় আপনি বুঝতে পারবেন।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৫৮

ইভা_110 বলেছেন: নারী ও পুরুষ কেউ কারো উপর শ্রেষ্ঠত্ব রাখে না । সৃষ্টিগতভাবেই প্রত্যেকেই নিজ স্থানে পরিপূর্ণ এক সৃষ্টি । পবিত্র কুরআনের কোথাও কারো উপর কারো শ্রেষ্ঠত্বে কথা আসেনি বরং ইসলামের দৃষ্টিতে ঐ শ্রেষ্ঠত্বেরদাবীদার যার তাকওয়া বেশী। ধন্যবাদ

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:১৩

রওনক বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন।
আসলে তৎকালিন আরবে প্রচলিত অনেক কাহিনিকে বিভিন্ন লোক ইসলামের নামে প্রচার করেছেন। আপনি এরকম অনেক কাহিনি পাবেন যেগুলো আসলে ইহুদিদের। কয়েক জন অতি উৎসাহি সাহাবি এইসব কাহিনি সংগ্রহ করে ইসলামের নামে প্রচার করেছে।
এমন কি আপনি "রজম" প্রথার কথা শিনে থাকবেন, এটা আসলে ইহুদি ধর্মের আইন, ইসলামে ৮০ দোররা মরতে বলেছে। কিন্তু কয়েক জন অতি উৎসাহি সাহাবি ইহুদি দের এই আইনকেই ইসলামিক আইন বলে চালু করে দিয়েছে।
আর কোরআনে ইসলামের৮০ দোররা আইন নাজিল হওয়ার আগে নবীজী(সা.) একবার ইহুদি দের এই আইন ফলো করেছিলেন বলে জানা যায়, কিন্তু পরে একই অপরাধে অনেক কেই এরচেয়েও লঘু সাস্তী দিয়েছেন বলে প্রমান পাওয়া যায়।

যেকারনে বর্তমানে জাল হাদিস সনাক্ত করনকে এত গুরুত্ব দেয়া হয়।
(আ’রাফ : ১৮৯)-তিনিই সে সত্তা যিনি তোমাদিগকে সৃষ্টি করেছেন একটি মাত্র সত্তা থেকে; আর তার থেকেই তৈরী করেছেন তার জোড়া, যাতে তার কাছে স্বস্তি পেতে পারে। অতঃপর পুরুষ যখন নারীকে আবৃত করল, তখন, সে গর্ভবতী হল। অতি হালকা গর্ভ। সে তাই নিয়ে চলাফেরা করতে থাকল। তারপর যখন বোঝা হয়ে গেল, তখন উভয়েই আল্লাহকে ডাকল যিনি তাদের পালনকর্তা যে, তুমি যদি আমাদিগকে সুস্থ ও ভাল দান কর তবে আমরা তোমার শুকরিয়া আদায় করব।

এখানে বলা হয়েছে "তোমাদিগকে সৃষ্টি করেছেন একটি মাত্র সত্তা থেকে" অর্থাত সব মানুষকে একই উৎস থেকে সৃষ্টি করেছেন।
আরও বলা হয়েছে "আর তার থেকেই তৈরী করেছেন তার জোড়া"। দেখেন এর আগের বাক্যাংশের উৎস "একটি মাত্র সত্তা" যা এক বচন, "তোমাদিগকে" শব্দটা বহুবচন। স হজেই বোঝা যায় তার বলতে "একটি মাত্র সত্তা" -কে বুঝানো হয়েছে।
অর্থাৎ, এই আয়াতের অর্থ: সকব পুরুষ এবং সকল নারী একই উৎস/সত্তা থেকে তৈরি। অর্থাৎ নারী- পুরূষ সমান।

আর ধর্মান্ধরা এই আয়াতকেই বিকৃত করে বানিয়েছে নারীরা পুরুষ থেকে তৈরি!!
আল্লাহ আমাদের এর থেকে আস্রয় দিন।

এখানে দেখুন তাকওয়া

১০ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৫৫

ইভা_110 বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব রওনাক । আপনি ঠিকই বলেছেন অনেক অযোগ্য সাহাবীদের দ্বারা জাল হাদিসের সূত্রপাত ঘটে। আপনার দীর্ঘ বক্তব্যের মধ্যে একটা কথা এসেছে তাতে আমি একমত হতে পারছি না। আর তা হল নবীজী (স.) ভুল করে ইহুদীদের আইন অনুসরণ করেছেন। এ কথাটির সুত্রধরে অনেকে ভাবতে পারেন তিনি বুঝি ভুল করে থাকেন। যা আজকের ওহাবী চিন্তাধারায় প্রায়-ই দেখা যায়। আসলে এটাও পবিত্র কুরআনে দৃষ্টিতে এবং বুদ্ধিবিত্তিক যুক্তির আলোকে তাঁর ভুল করাটা সম্ভব নয়। ভাল থাকুন।

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৪৩

শার্লক বলেছেন: এতোদিন ভুল জানতাম। তাওরাতেও তো একই কথা বলা আছে যে, হাওয়াকে আদম (আঃ) এর পাজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তারপর তারা বেহেশতে বসবাস করতে লাগলো। নাকি এখন ভুল জানছি কোনটা?

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:২৯

ইভা_110 বলেছেন: ধন্যবাদ শার্লক সাহেব । তৌরাত গ্রন্থ ইহুদীদের হাতে বিকৃত হয়েছে । তাই তার সব তথ্য সঠিক নয়। ইহুদী জাতির অনেক কল্পকাহীনি হাদীসরূপে পরবর্তিকালে ইসলামে প্রবেশ করে যার একটি হল বিবি হাওয়াকে হযরত আদম (আ.) পাজড়ের হাড় থেকে সৃষ্টির কাহিনী। পবিত্র কুরআনের কোথাও এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় না।

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৫২

সজীব৬১৪ বলেছেন: উত্তর টা কই ?? ঈশার (আঃ) এ উত্তর টা জানতে মন চাই।

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৫৩

ইভা_110 বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়া এবং কমান্ট করা জন্য । আপনার উত্তরে বলতে হয় , আপনার প্রশ্নটাই যে একটি সঠিক প্রশ্ন বা উল্লেখিত বিষয়টি সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নাই। আপনি কোন গ্রন্থ থেকে বিষয়টি জেনেছেন?

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:১৭

গাজী আলআমিন বলেছেন: যদি প্রত্যেক স্ত্রী তার স্বামী পাজড়ের হাড় থেকে সৃষ্টি হবে তাহলে যেসব মহিলা তালাক প্রাপ্ত হয়ে অন্য পুরুষের সাথে বিয়ে করেন তারা ক,জন পুরুষের হাড্ডি থেকে সৃষ্টি হয়েছে বা যেসব নারী বিয়ে করেন না তাদের স্বামী কারা ? তারা কিভাবে সৃষ্টি হলেন ?

আমি শুধু বলতে চাই যে ইসলামের একটি মাত্র গ্রন্থ তা হলো কুরআন আর কুরআন কে বিভিন্ন ভাবে অপব্যাক্ষা দিয়েছে কিছু স্বার্থবাজ। তাদের জন্যই ইসলাম ধর্ম আজ অবহেলিত।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৪৭

ইভা_110 বলেছেন: ধন্যবাদ গাজী আল আমিন সাহেব ! শুধু তাই নয় বরং এজাতিয় ধান্দাবাজরা বিভিন্ন যুগে রাজা বাদশাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামকে টুকরো টুকরো করে অসংখ্য ফেরকায় বিভক্ত করে ফেলেছে।

৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৩

রওনক বলেছেন: আমি নবীজী (স.) ভুল করে ইহুদীদের আইন অনুসরণ করেছেন। একথা বলি নাই।
আমি বলেছি, "কোরআনে ইসলামের৮০ দোররা আইন নাজিল হওয়ার আগে নবীজী(সা.) একবার ইহুদি দের এই আইন ফলো করেছিলেন বলে জানা যায়"।

মদ হারাম হওয়ার আগে অধিকাংশ সাহাবী মদ খেতেন, সেটাকি তাদের ভুল বা পাপ ছিলো? না।
শুরুতে নামাজ/সালাত ইহুদিদের কাবলায়ই পড়া হত, ইবরাহিম(আ.) এর কেবলায় নয়। এটা কি ভুল ছিলো?

১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৩৩

ইভা_110 বলেছেন: ধন্যবাদ রওনক সাহেব । বুঝতে ভুল হয়েছে।

১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:০০

রওনক বলেছেন: আরেকটা কথা, শার্লক বলেছেন: এতোদিন ভুল জানতাম। তাওরাতেও তো একই কথা বলা আছে যে, হাওয়াকে আদম (আঃ) এর পাজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।

তাওরাত-কে আমরা ধর্ম গ্রন্থ বলে স্বীকার করি। তবে কথা হচ্ছে-
১ কোরআনের বাংলা/ইংরেজী অনুবাদকে কোরআন বলা হয় না, এটা অযু ছারা ধরতে কেউ নিষেধ করেন নাই। এখন আমরা যেটাকে তাওরাত বলে ভাবি তাও একই অর্থে তাওরাত নয়। কারণ এটিও মুল ভাষায় নেই।
২- আমরা মনে করি তাওরাতকে বিকৃত করা হয়েছে, ফলে নতুন ধর্মগ্রন্থ এসেছে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৬

ইভা_110 বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:০৪

রিমন০০৭ বলেছেন: ইসলামে নারী-পুরুষ উভয়কে সমান সম্মান দিয়েছেন। আমারতো মনে হয় নারীকেই বেশি দেওয়া হয়েছে। যেমনভাবে মা কে সম্মানীত করা হয়েছে। আপনার লেখাটা চমৎকার।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৩১

ইভা_110 বলেছেন: ধন্যবাদ রিমন০০৭ সাহেব!

১২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৯

শার্লক বলেছেন: @ লেখক এবং রওনক আমিও জানি যে বর্তমানে মূল তাওরাত নেই। ইহুদীরা সেটার অনেক পরিবর্তন করছে। কিন্তু আমি কিছু কিছু অংশ পড়লাম যাতে কিভাবে পৃথিবী সৃষ্টি করা হলো ,কিভাবে মানব সৃষ্টি করা হলো । আস্তে আসেত বাকিটাও পড়বো। তবে কিছু অংশ হয়তো কালের আবর্তনে পরিবর্তিত হয়ে গেছে সংরক্ষনের অভাবে। আসল কিতাব কোথায় আছে একমাত্র আল্লাহ জানেন।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:১১

ইভা_110 বলেছেন: ধন্যবাদ শার্লক সাহেব ! ‍‌"তবে কিছু অংশ হয়তো কালের আবর্তনে পরিবর্তিত হয়ে গেছে সংরক্ষনের অভাবে। "
শুধু সংরক্ষনের অভাবে নয় বরং তথাকথিত তৌরাতগুলোর সবই সরাসরি কয়েকজন ব্যক্তির রচিত গ্রন্থ তাও কয়েক;শ বছর পরে ।

১৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

শার্লক বলেছেন: আমি জানি এবং তা স্বীকার করছি যে, তাওরাত বিকৃত হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু ঘটনা যেমন পৃথিবী সৃষ্টি, মানব সৃষ্টি এগুলো তো আমি যেটা জানতাম সেরকমই পড়লাম । যেখানে বিকৃত করলে ওদরে সুবিধা হয় সেখানে ওরা পরিবর্তন করছে। যেমন ইঞ্জিল এর বিকৃতি করা হয়েছে, পোপরা ইচ্ছামত বিকৃতি করেছে নিজেদের স্বার্থে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:১৭

ইভা_110 বলেছেন: ধন্যবাদ।
আসলে প্রতিধর্মের মুল উৎস হল মহান আল্লাহ তাই সনাতন ধর্ম থেকে শুরু করে সর্বশেষ ধর্ম ইসলামের সাথে অনেক মিল রয়েছে। তবে ইসলাম ধর্মে যেভাবে উন্নততর ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিষয়বস্তু দেখা যায় এমনটি অন্য ধর্মে নেই ।

১৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:০৩

মাহফুজশান্ত বলেছেন: মহান আল্লাহতায়ালা যেন আপনার পরিশ্রমের যোগ্য প্রতিদান দেন।

এই বিষয়টি মন দিয়ে পড়লে হয়ত আপনার ভাল লাগতে পারে- ধন্যবাদ

২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৬

ইভা_110 বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, মহান স্রষ্টার প্রত্যেকের শুধু পরিশ্রমেরই প্রদতদান দেন না বরং প্রচেষ্টা ও নিয়্যাত ও শুভকামনারও প্রতিদান দিয়ে থাকেন। তাই আশা করি আমরা প্রত্যেকে যোগ্য প্রতিদান পাব।

১৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৫

ঘুমাইলে চোখে দেখি না! বলেছেন: সেম লেখাটা দেখেছিলাম ফেসবুকে একজন শেয়ার করেছিলো খুব সম্ভবত যে লিখেছিলেন উনি প্রজন্ম ব্লগের।

প্রশ্নটা হচ্ছে আপনি যেখান থেকে লেখাটা বা লেখাটার থিম নিয়েছেন সেটা আপনার লেখার নীচে যে লিংক দেয়া আছে তাতে কোনো বর্ননা নাই, তাহলে কি আপনি চৌর্যবৃত্তি করেছেন? ধরে নিলাম লেখার পুরো ব্যাপারটার ধারনা আপনারই মস্তিষ্কপ্রসূত, তাহলে কি ধরে নিতে পারি আপনি অন্যজায়গায় স্বনামে (যেহেতু ওখানে একটা পুরুষ নাম দেখেছি) লিখেন কিন্তু এখানে আপনি মেয়েলী নাম নিয়েছেন। এরকম হিজরা সাজবার কি কোনো যুক্তিযুক্ত কারন আছে?

আমরা কথায় কথায় বলি মুসলমানদের ঐক্যের পেছনে ইহুদী নাছারাদের হাত রয়েছে। কিন্তু যাদের মুখে এসব কথা শুনি তাদের কাজ কর্মে এমনকিছু পরিলক্ষিত হয় যেগুলো থেকে মনে হয় ইহুদি নাছারাদের উপর বন্দুক চালিয়ে তারা অনেক বড় বড় হারাম কাজে লিপ্ত হয়।

আশা করি ব্যাপারটার আপনি যথোপযুক্ত জবাব দেবেন

৩০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৯

ইভা_110 বলেছেন: লেখাটি যে ওয়েব সাইট থেকে নেয়া হয়েছে তার ঠিকানা দেয়ার পর নোংড়া চিন্তায় মাথা আসা উচিত না।
আসলে কি বলব : আপনি নিজের নামই দিয়েছেন, ঘুমাইলে চোখে দেখি না! , কিন্তু সত্য কথা না ঘুমাইলেও আপনি চোখে দেখেন না।
ধন্যবাদ।

১৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৯

বাধা মানিনা বলেছেন: ফ্যাতনা সৃষ্টিকারী আর তার সাথে অংশগ্রহণকারী উভয়েই সম-অপরাধী।

১৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

বীরেনদ্র বলেছেন: ধর্মে যুক্তির চেয়ে বিশ্বাসের স্থান উপরে। আর অধিকাংশ মানুষ জন্ম এবং সামজিকতা থেকেই ধর্মের উপর বিশ্বাস রাখে। যে মানুষ হিন্দু হিসেবে জন্ম নেয়, হিন্দু সমাজে বড় হয় সে পুজো করা শেখে, যে মুসলমান সে নামাজ রোজা করা শেখে। যদিও এ গুলোর মুল্য কতটা তা কিন্তু প্রশ্ন করা নিষিদ্ধ।প্রত্যেক ধর্মই পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যাপারের ব্যাখ্যা দিয়েছে তাদের মত করে যা যুক্তির চেয়ে বিশ্বাস করার উপর বেশী জোর দেয়। প্রশ্ন করোনা, বিশ্বাস করে যাও ইহকালে পরকালে সুখ ইত্যাদি আর বিশ্বাস না করলে শাস্তি।

আপনি মুসলমান সুতরাং আপনাকে ইসলাম ধর্মকে পবিত্র মানতে হবে। এটা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন নিষিদ্ধ ,এটা ধর্মেরই দাবী।

আর যদি যুক্তি দিয়ে প্রমান করার চেস্টা করেন তাহলে ধর্মের অধিকাংশ ব্যাপারই প্রমান করতে পারবেন না। একজন দাবী করবে ধর্মের এটা সঠিক অন্য জন অন্য কিছু ইত্যাদি। পাতার পর পাতা পড়বেন লিখবেন কিন্তু ফলাফল শুন্য।

পাজড়ের হাড় থেকে যে অন্য একজন মানুষের সৃস্টি সম্ভব নয় তা ভালভাবেই জানেন।

সুতরাং আপনি বিশ্বাস করতে চাইলে করুন তাতে যদি শান্তি পান তাহলে বেশী করে করুন।

১৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

গেস্টাপো বলেছেন: সাম্প্রদায়িক বিরু বাবুর জ্বলুনি দেখে ভালা লাগলো
বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিকের অনুসারি আর কি ;)

১৯| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

সোলাইমান এইচ আর বলেছেন: জানিনা লেখক আমার লেখাটি পাবে কিনা? যাই হোক আমি লেখক কে অনুরোধ করব সুরা নিসা আয়াত নং ১ ভাল ভাবে অর্থসহ পড়ার জন্য। মনে রাখবেন অল্প বিদ্যা খুবই ভয়ঙ্কর হয়। আপনি মেয়ে হিসাবে আপনার প্রথমেই জানা উচিত ছিল সুরা নিসা। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.