নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

অর্জনের আলোর দিকে তাকিয়ে

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

অর্জনের আলোর দিকে তাকিয়ে

ফকির ইলিয়াস

==========================

নতুনকে আমরা ভালোবাসি। গ্লানি মুছে যাক। আসুক বৃষ্টি, ধুয়ে মুছে যাক সকল প্রাচীন শোকবোধ। এই কামনা মানুষের চিরদিনের। ২০১৩ সাল বাংলাদেশের জন্য কেমন হবে, সে প্রশ্ন অনেকের। এর কিছু কারণ আছে। আর তা হলো, বছরটি বর্তমান ক্ষমতাসীনদের শেষ বছর। যে কথাটি না বললেই নয়, তা হলো এই বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিশ্বাস স্থাপিত হয়নি গেলো চার যুগেও। যদি হতো, তবে এদেশের অবস্থা অন্য রকম হতো। নতুন বছরের শুরুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বিরোধী দলের সাথে ভেতরে ভেতরে সংলাপ চলছে। তিনি জানিয়েছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ইসু্যুসহ দেশের বিরাজমান সমস্যা বিরোধী দলের সঙ্গে বসে সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করা হবে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বিরোধী দলকে আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে বিরোধী দলের সঙ্গে ভেতরে ভেতরে আলোচনা চলছে। এ আলোচনা আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও রাজনৈতিক কারণে এসব আলোচনার কথা বলা যায় না। তবে আগামী সংসদ অধিবেশনে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। তবে বিএনপির সাড়া পেলে আগামী নির্বাচন নিয়ে শিগগিরই আলোচনায় বসতে চান তারা। তার আশাবাদ থেকে দেশবাসী ধরে নিচ্ছেন, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বিরোধী দলের সঙ্গে অচিরেই আলোচনা শুরু হবে। আলোচনার পর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলই অংশ নেবে। এটা বিশ্ব স্বীকৃত বিষয়- সমাধানের একমাত্র পথ আলোচনা। বিকল্প কোনো পথ নেই। যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনা যেন শুরু হয়, এটা চাইছেন এদেশের মানুষ।



ড. আকবর আলি খানের বক্তব্য সম্পর্কে সৈয়দ আশরাফ বলেছেন, বুদ্ধিজীবীরা তাদের কথা বলবেন। আর রাজনীতিবিদরা তাদের কাজ করবেন। মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে, আগে বাংলাদেশে কোনো ঘটনা ঘটলে সেটা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় তেমন কোনো সাড়া পেতো না। এখন ঘটনা-দুর্ঘটনা যা-ই ঘটুক না কেন, সেটা আন্তর্জাতিক মিডিয়ার প্রধান শিরোনাম হচ্ছে। হ্যাঁ, সৈয়দ আশরাফ ঠিকই বলেছেন, বুদ্ধিজীবীদের কাজ তারা করবেন। পুরো দুনিয়াতে সেভাবেই চিন্তাশীল মানুষরা রাষ্ট্র গঠনে অংশ নেন। কিন্তু রাজনীতিকদের এর সৃজনশীলতা বাস্তবায়নে অংশ নিতে হয় সম্মিলিতভাবে। বাংলাদেশে সে রীতি গড়ে ওঠেনি, তা খুব দুঃখজনকভাবে বলতেই হয়।



আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যের পরদিনই এক আলোচনা সভায় এ নিয়ে কথা বলেছেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেছেন, আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকারের ফর্মুলা চলবে না। তাদের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।’ বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ফর্মুলা পরিষ্কার। আগামী নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই হতে হবে। ওই সরকারের মেয়াদ হবে ৯০ দিন। নির্দলীয় সরকারের প্রধান ও তার ১০ জন উপদেষ্টা নিরপেক্ষ ব্যক্তি হতে হবে।’ সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, ‘এই লক্ষ্যে অবিলম্বে জাতীয় সংসদে নির্দলীয় সরকারের বিল নিয়ে আসুন। প্রয়োজনে আমরা সবাই আলোচনা করে নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা তৈরি করতে পারি।’ এটা এদেশের মানুষ খুব স্পষ্ট করে জানেন, দেশটিকে এগিয়ে নিতে হলে সহিংস



রাজনীতি পরিহার করতে হবে। ভাবতে অবাক লাগে, এদেশে লুটেরা শ্রেণীর সংখ্যা কিন্তু খুব বেশি নেই। অনেক ভালো কাজও হচ্ছে বাংলাদেশে। কিন্তু হায়েনাদের আগ্রাসী কার্যকলাপের কারণে তা ম্লান হয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি ২০১২ সালের দিকে ফিরে তাকাই তাহলে দেখবো, তথ্য প্রযুক্তির দিকে সামর্থ্য অনুযায়ী বেশ এগিয়েছে বাংলাদেশ। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি এবং কর বহির্ভূত আয়ের বেড়াজাল থেকে দেশকে মুক্ত করতে ২৬ মে ২০১২ অনলাইনে কর পরিশোধ পদ্ধতি চালু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডাটাসফট সিস্টেমস বাংলাদেশ লি. এবং টেকনোভিস্তা লি.-এর প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে এই অনলাইন কর পরিশোধ ব্যবস্থা। পাশাপাশি এর জন্য আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে বিশ্বব্যাংকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন।



বাংলাদেশের মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে ২০১২ সালে চালু হয় থ্রিজি (থার্ড জেনারেশন) সেবা। এ বছরের ১৪ অক্টোবর ২০১২ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মুঠোফোন অপারেটর টেলিটকের বহু প্রতীক্ষিত থ্রিজি ফোনের সেবা। থ্রিজি চালুর মাধ্যমে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে উন্মোচিত হয়েছে নতুন দিকের, জেগেছে নতুন সম্ভাবনা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে থ্রি-জি প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক সেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এখনো বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গভাবে থ্রিজি চালু না হওয়ায় দেশের মানুষের মধ্যে অসন্তুষ্টি লক্ষ করা গেছে। কথা উঠেছে, সব কিছু কি শুধু উদ্বোধনের মাঝেই সীমাবদ্ধ থেকে যাবে? বাংলাদেশে ২০১২ সালের শেষ দিকে আরেকটি বড় অর্জন হচ্ছে দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেছে, গেলো ৪ ডিসেম্বর থেকে অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে পরিচিত ইল্যান্স ডটকম। বাংলাদেশী সংস্করণে ওয়েবসাইট চালু করেছে ফ্রিল্যান্সার ডটকম গেলো ৫ ডিসেম্বর থেকে। বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং সাইটের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করার ঘটনা এটাই প্রথম। বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে ইল্যান্স। ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্রে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। ইল্যান্সারের তথ্য অনুযায়ী, সাইটটিতে ২৮ হাজারের বেশি বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারের কাজ করেন। বিশ্বে অনলাইনে কাজের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। দেশের আলোকিত তরুণরা এই যে সুযোগ পাচ্ছেন, তা অবশ্যই রাষ্ট্রের অর্জনের অংশ।



তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ইলেকট্রনিক অর্থ হস্তান্তর বা ইএমটিএস ও ক্যাশ কার্ড চালু করে ১৬ ডিসেম্বর ২০১২। ডাক বিভাগ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এই সেবার নাম ‘পোস্ট ই-পে’। বাংলায় বলা হবে ‘মুঠো ব্যাংক’। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলা ফোন ও কমলিংক ইনফো টেক লিমিটেডের প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে রাষ্ট্রীয় ডাক বিভাগ এটি চালু করেছে। আর বছরের শুরুর দিকে ১৬ ফেব্রুয়ারি মার্কেন্টাইল ব্যাংক ‘এমপে’ নামে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে।



বাংলাদেশে আরো অনেক কিছুই এই সরকারের সময় হতে পারতো। পদ্মা সেতু করতে না পারার ব্যর্থতা কিংবা হলমার্ক, রেলের কালোবিড়াল কেলেঙ্কারির মতো জঘন্য ঘটনা সামাল দিতে পারতো সরকার। কিন্তু তারা মনযোগ দেয়নি বলেই মনে হয়েছে। আমরা দেখেছি এদেশের কৃষকরা জেগে উঠেছেন সাহস নিয়ে। ২০১২ সালে আমন, আউশ ও বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে ধান উৎপাদনের পরিমাণ ৩ কোটি ৩৮ লাখ টনে পৌঁছেছে, যা ২০১১ এর চেয়ে ৩ লাখ টন বেশি। কৃষি সহায়ক সরকারি নীতি যেমন সারের মূল্য হ্রাস, সেচকাজে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, কৃষি খাতে ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে সার বীজ ও পানির সংকট হয়নি। এ ছাড়া পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগও হয়নি এ বছর। ফলে সরবরাহ বাড়ায় চালের দাম গত বছরের চেয়ে একটু কমেছে। এ বছর প্রতি কেজি চাল ২৮ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি হয়েছে, ২০১১ তে যা ছিল ৩২ থেকে ৩৫ টাকা। তবে চালের দাম কমলেও কৃষিপণ্যের ন্যায্য দর পায়নি কৃষক। কৃষককে উৎপাদন খরচের চেয়ে কম মূল্যে ধান বিক্রি করতে হয়েছে। বাংলাদেশের একটি বড় আয়ের উৎস বিদেশী রেমিটেন্স। বিদেশ থেকে কষ্টে অর্জন করেন যে ইউরো ডলার অভিবাসী-অনাবাসী বাংলাদেশীরা- সেটাই রাষ্ট্রের মেরুদ-কে মজবুত রাখে। এটা সবাই স্বীকার করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম ইতিবাচক দিক হচ্ছে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশীদের পাঠানো প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স। রেমিটেন্সের অর্থ মূলত ভোগে ব্যয় হয় বলে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা সব সময় বাড়তি থাকে। যার প্রভাবে স্থানীয় শিল্প খাত সারা বছরই উৎপাদন মুখর থাকে। ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি সব সময় চাঙ্গা থাকে। এ কারণেই ২০০৮ সাল থেকে চলতে থাকা বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করতে পেরেছে সামান্যই। গেলো অর্থবছরে ১২ বিলিয়ন ডলারের (৯৬ হাজার কোটি টাকা) বেশি রেমিটেন্স এসেছে দেশে। চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরে তা ১৪ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান। মূলত রেমিটেন্স দেশের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য (বিওপি) সব সময় উদ্বৃত্ত রাখে। কিন্তু দুঃখের কথা হচ্ছে, সেই প্রবাসী শ্রমিকরা নানাভাবে বিদেশে সমস্যায় জর্জরিত। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের এন্তার অভিযোগ স্থানীয় দূতাবাসগুলোর বিরুদ্ধে। সরকার এসবের সুরাহা করতে অনেকটা রোবোটের ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের অনেক অন্তরায় রয়েছে। এর অন্যতম হচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। বাংলাদেশের অর্থনীতি গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের ধারাবাহিকতা অতিক্রম করেই চলেছে। কখনো কোনো সরকারই চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস ও বিদ্যুতের সংস্থান করতে পারেনি। যা বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান দুর্বল দিক। সরকার ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ালেও তা চাহিদার তুলনায় সামান্য। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা থেমে আছে। মহাজোট সরকারের অনেক বড় বড় কথার ২০১২ সালটিও ছিল গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের বছর। হতে পারতো অনেক কিছুই। হয়নি। তারপরও এই দেশকে তাকাতে হবে অর্জনের আলোর দিকে। নানা ঘাত-প্রতিঘাত সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে। গত এক দশক যাবৎ বাংলাদেশ মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে, যা বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাগুলোর কাছে একটি ধাঁধার (প্যারাডক্স) বিষয়। শুধু তাই নয় বাংলাদেশ শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যু হার কমানোসহ বিভিন্ন সামাজিক সূচকের উন্নতিতে ভারতসহ উন্নয়নশীল অনেক দেশকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক সূচকে উন্নতি করে সারা বিশ্বের সামনে নজির সৃষ্টি করেছে। চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও এবারো বাংলাদেশ ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে বিভিন্ন সংস্থা ভবিষ্যদ্বাণী দিয়েছে। এর সবগুলোই আশার ঝলক। এই প্রজন্ম আশা নিয়ে বাঁচতে চায়। তবে রাজনীতিকদের সেই পথ প্রশস্ত করতে হবে। এই দেশ পরিচালিত হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আদর্শ নিয়ে। এখানে কোনো আপোস করা চলবে না। গণতন্ত্র সুসংহত করতে চাইলে আলোচনা অব্যাহত রাখতেই হবে। আর রক্তপাত নয়, একটি প্রত্যয়ী বাংলাদেশ গড়ে তোলাই হোক ২০১৩ সালে সকলের অন্যতম অভিপ্রায়।

----------------------------------------------------------------

দৈনিক ভোরের কাগজ / ঢাকা / শনিবার, ৫ জানুয়ারি ২০১৩

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪২

হ্যারিয়ার টু বলেছেন: ভাল

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২১

নিঃসঙ্গ ঢেউ বলেছেন: অর্জনের ঠেলায় দেশ ভাইস্যা যাইতেছে ফকির সাব। তা আপনে আম্রিকায় বইসা কিতা করেন? বাংলাদেশে আইসা এই অর্জনের ঠেলায় বান্দর নাচ দিয়া যান।

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভাবনা মনে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.