নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়াশিংটন টাইমসের নিবন্ধ এবং গণতন্ত্র রক্ষার নামে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪



ওয়াশিংটন টাইমসের নিবন্ধ এবং গণতন্ত্র রক্ষার নামে

জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা

ফকির ইলিয়াস


============================================

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লেখা একটি নিবন্ধ সম্প্রতি ওয়াশিংটন টাইমসে ছাপা হয়েছে। বলে নেয়া দরকার, বাংলাদেশের কোনো প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কিংবা বিরোধীদলীয় নেতার এমন কোনো লেখা এই প্রথমবারের মতো বিদেশের কোনো কাগজে ছাপা হলো। যা কী না সম্পূর্ণরূপে নিজ দেশের রাজনীতি সংশ্লিষ্ট এবং সরকারকে কুপোকাৎ করার মতলবে লিখিত।



খালেদা জিয়ার এই লেখাটি নিয়ে দেশে-বিদেশে বেশ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ওয়াশিংটন টাইমসের ওয়েবসাইটে লেখাটির পেছনে শত শত মন্তব্য যুক্ত করেছেন পাঠক সমাজ। কেউ লেখার পক্ষে লিখেছেন। কেউ বিপক্ষে লিখেছেন। তা তারা লিখতেই পারেন। কারণ ওয়াশিংটন টাইমস এমন কোনো কাগজ নয়, যা বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে বা কোনো প্রভাব ফেলতে পারে। কথা হচ্ছে, বেগম জিয়া বিদেশের কাগজে কেন এমন নিবন্ধ লিখেছেন এবং এর সত্য-মিথ্যা কতোটুকু। খালেদা জিয়া যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানেন না- তা তার লেখার শুরুতেই তিনি প্রমাণ করেছেন। খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ১৯৭১ সাল থেকেই একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, যখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রই অন্যতম একটি প্রথম সারির দেশ যে কি না আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের স্বীকৃতি দিয়েছে।’ কথাটি কি ঠিক বলেছেন খালেদা জিয়া? তিনি সত্য বলেছেন? না বলেননি। কারণ, ১৯৭১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ের চরম বিরোধিতা করেছিল। যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পশ্চিমা হানাদারদেরকে প্রত্যক্ষ সাহায্য করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয়া তো দূরের কথা, বাংলাদেশের মানুষ যাতে দুর্ভিক্ষে মারা যায়, তারও নগ্ন চক্রান্তে লিপ্ত ছিল। হ্যাঁ, মার্কিন মুল্লুকের বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, সাধারণ মানুষ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূর্যকে সমর্থন দিয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন দেয়নি। তা হলে আজ বেগম জিয়া মার্কিনি প্রাক্তন নীতিনির্ধারকদের স্তুতিকীর্তন করে কাদের খুশি করতে চাইছেন? কেন তিনি ইতিহাস বিকৃতি করতে চাইছেন? এর নেপথ্য উদ্দেশ্য কী?



পরোক্ষভাবে খালেদা জিয়া তার নিবন্ধে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও কংগ্রেস গত চল্লিশ বছরে বাংলাদেশের জন্য অনেক কিছু করেছে। হ্যাঁ, করেছে তো বটেই। বাংলাদেশকে ‘ইসলামিক মডারেট কান্ট্রি’ হিসেবে যেমন তকমা দিয়েছে, ঠিক তেমনি এই খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জামাত-বিএনপি চারদলীয় জোট সরকারের সময়েই হরকাতুল জিহাদ, হিজবুত তাহরীরসহ বেশকিছু জঙ্গিবাদী-মৌলবাদী গোষ্ঠীকে বিশ্বমানবতার জন্য হুমকি বলে বিবেচনায় এনেছে। এমন কিছু সংগঠনকে যুক্তরাষ্ট্র নিষিদ্ধও করেছে। এই বেগম জিয়ার প্রধানমন্ত্রিত্বের কালেই (২০০১-২০০৫) থু থু দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভাসিয়ে দেয়ার হুঙ্কার দিয়েছে মৌলবাদী পাষ-রা। সেসব ভিডিও ফুটেজও ওয়াশিংটনে বসে দেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা। প্রশ্ন হচ্ছে- সে সময় তো বেগম জিয়াই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এ সময়ে তার নিজের কী ভূমিকা ছিল?



বিএনপি চেয়ারপারসন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে করুণা কামনা করার প্রধান কারণ হচ্ছে, তিনি বুঝতে পারছেন দেশের রাজনীতিতে তার পায়ের নিচে মাটি নেই। আর এর কারণ হচ্ছে, তার দলের, মৌলবাদ তোষণ নীতি। একাত্তরের পরাজিত ঘাতক-রাজাকারদেরকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিচ্ছেন তিনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার প্রত্যয় রয়েছে তার। আর নিজের লেখায় তিনি যুদ্ধাপরাধীদেরকে ‘ভিন্নমতাবলম্বী’ রাজনীতিক বলে আখ্যায়িত করতেও কসুর করেননি বেগম জিয়া। খালেদা জিয়া জানেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র স্পর্শকাতর। তাই তিনি ইউনূসের বিষয়টি এনে যুক্তরাষ্ট্রের মন জয় করতে চেয়েছেন। বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের নাম উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ হাসিনাই নোবেল পুরস্কারের যোগ্য বলে মন্তব্য করেছিলেন। এটা যুক্তরাষ্ট্র ভালো করে জানে, অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। তিনি তার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রস্তাব করতেই পারেন। রাষ্ট্রের যে কোনো নাগরিক তাদের প্রধানমন্ত্রীর জন্য নোবেল পুরস্কার প্রস্তাবনা বা দাবি করতেই পারে। এটা নোবেল কমিটির কাছে মুখ্য কোনো বিষয় নয়। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য খালেদা জিয়া, ড. ইউনূসও নোবেল বিষয়টির অবতারণা করেছেন।



নিবন্ধে খালেদা জিয়া শ্রমিক অধিকার কর্মী আমিনুল ইসলামের মৃত্যু বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন। আমরা জানি, তৎকালীন সেক্রেটারি অব স্টেটস হিলারি ক্লিনটন বাংলাদেশ সফরে গিয়েও এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তাহলে কী বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের অজানা? না অজানা নয়। অতএব নতুন করে বলার হেতু হচ্ছে, তার নিজ ক্ষমতাসীন সময়ের দুর্নীতি, খুন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসগুলোকে ঢেকে দেয়া। খালেদা জিয়ার নিবন্ধে অত্যন্ত ক্ষোভের বিষয়টি হচ্ছে- একাত্তরের মানবতাবিরোধীদের বিচার। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ‘দেশীয় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ বলে উল্লেখ করেছেন। আর একাত্তরের নরঘাতকদেরকে বলেছেন- ‘শেষ হাসিনার সঙ্গে ভিন্ন মতাবলম্বী নেতা’। এভাবেই তিনি আলবদর-রাজাকারদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন সাফাই গেয়ে। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠার নেপথ্য খায়েশ ব্যক্ত করেছেন। সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, বেগম জিয়া, শেখ হাসিনার সরকারকে একটি পরিবারের শাসনামল বলে আখ্যায়িত করতে চেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছেন, এই ‘পারিবারিক দুঃশাসন’ থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে।



কেমন অবাক করা কথা! বাংলাদেশে ‘আই উইল মেক দ্য পলিটিক্স ডিফিকাল্ট ফর দ্য পলিটিশিয়ানস’ এই দম্ভ নিয়ে মাঠে নামে সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান। যিনি জীবদ্দশায় কখনই নিজেকে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ দাবি করেননি। তারই পত্নী বেগম খালেদা জিয়া পরবর্তী সময়ে জে. জিয়ার পথ ধরে দেশে আলবদর-রাজাকারদেরকে মন্ত্রিত্বের পতাকা প্রদান করেন। চারদলীয় জোটের শাসনামলে দেশে ২১ আগস্টের ভয়ানক গ্রেনেড হামলা করা হয়। গোটা দেশজুড়ে একযোগে বোমা হামলা করা হয়। বিএনপি-জামাত জোট বলতে থাকে দেশে কোনো জঙ্গিবাদী নেই। ‘বাংলা ভাই’, ‘শায়খ রহমান’ মিডিয়ার সৃষ্ট দানব! ইত্যাদি ইত্যাদি। সে সময়ে দেশ পরিচালিত হতে থাকে ‘হাওয়া ভবন’ নামের একটি অদৃশ্য শক্তি কর্তৃক। বেগম জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমানই দেশে পারিবারিক ক্ষমতার মসনদ তৈরির স্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়েন। ফলে তাদেরই রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে তত্ত্বাবধায়কের প্রধান করা হয়। অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সংবিধানের দোহাই দিয়ে দেশে পারিবারিক স্বৈরশাসন তৈরি করেন। শাহ এ এম এস কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টারের মতো বরেণ্য নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তৎকালীন সরকার এসব ঘটনার সুবিচারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বাংলাদেশে এখনো পারিবারিক মসনদ কায়েমে বিভোর বেগম খালেদা জিয়া। তা বিদেশের পর্যবেক্ষকরাও বলছেন। তারেক ও কোকোকে ফিরিয়ে নেয়াই মূল লক্ষ্য তা কে না জানে। এ জন্য তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে চাইছেন যে কোনো প্রকারে। রাষ্ট্রক্ষমতার জন্য জঙ্গিবাদীদের সঙ্গে আঁতাত করছেন।



মনে রাখা দরকার, বাংলাদেশে চলমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি যুক্তরাষ্ট্র কায়েম করে দেবে না। দিতে পারবেও না। বাংলাদেশে ২০০১-২০০৫ সালে যে নারকীয় কা-কারখানা হয়েছে, তা নিয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা ও বিদেশের কাগজে কয়েক ডজন প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখতে পারতেন। কিন্তু তিনি লিখেননি। কেন লিখেননি? কারণ, শেখ হাসিনার দেশপ্রেম এতোটাই প্রখর যে তিনি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশের মিডিয়ায় লেখার দরকার মনে করেননি। শেখ হাসিনা অবাধ বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছেন রাষ্ট্রের মানুষের প্রতি। যা খালেদা জিয়া করতে পারেননি কিংবা পারছেন না। আর পারছেন না বলেই, ওয়াশিংটন টাইমস নামক একটি অখ্যাত দৈনিকের আশ্রয় নিয়েছেন। বলে রাখি, প্রচার সংখ্যার দিক দিয়ে ওয়াশিংটন টাইমসের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের একশত দৈনিকের তালিকায়ও নেই। ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ নামক দৈনিকটি ষষ্ঠ অবস্থানে থাকলেও ‘ওয়াশিংটন টাইমস’ একেবারেই অখ্যাত, অপঠিত একটি কাগজ। খালেদা জিয়া মার্কিন কংগ্রেস ও ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে অনুরোধ করেছেন যাতে ড. ইউনূসের প্রতি সম্মান অব্যাহত রাখা হয়। ইউনূস তার কর্মের জন্য আলোকিত-আলোচিত দুটোই হবেন। এ জন্য খালেদা জিয়ার দূতিয়ালি করার মতলব, শেখ হাসিনার ওপর পশ্চিমাদের মন খারাপের চেষ্টা করা। কিন্তু খালেদা জিয়া কতোটা সার্থক হতে পারবেন?



বেগম জিয়া তার নিবন্ধে বাংলাদেশের প্রতি যারা বাণিজ্যবান্ধব তাদেরকে ক্ষেপানোর চেষ্টা রয়েছে। চেষ্টা রয়েছে, বর্তমান সরকারের কোনো কোনো নেতার বিদেশী ভিসা বন্ধের অনুরোধও। যা খালেদা জিয়ার হীনমন্যতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। কারণ আমরা জানি, কোনো রাষ্ট্রের নাগরিককে ভিসা দেয়া না দেয়ার সিদ্ধান্ত দূতাবাস, রাষ্ট্রদূতই নেন কিংবা নিতে পারেন। সেখানে থার্ড পার্টির সুপারিশ কিংবা নিষেধ মুখ্য কোনো বিষয় নয়। খালেদা জিয়া তার নিবন্ধে বলেছেন, ‘সরকারের যেসব লোক গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার খর্ব করছেন তাদের ওপর ভ্রমণ ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি অবশ্যই পশ্চিমা শক্তিগুলোকে বিবেচনা করতে হবে। তাদের উচিত এসব প্রকাশ্যে বলা এবং করা, যাতে আমাদের নাগরিকরা দেখতে ও শুনতে পায়।’ এ কেমন অরণ্যে রোদন! বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কি জানেন না, ইন্টারন্যাশনাল ভিসা অ্যাক্ট অনুযায়ী কোনো দূতাবাস কাউকে ভিসা না দেয়ার এখতিয়ার রাখে। কিন্তু ঐ নাগরিককে জনসমক্ষে হেনস্তা করার মতো কোনো কথা, বাণী, ডকুমেন্টস প্রকাশ করার কোনো ক্ষমতা রাখে না। বেগম জিয়ার বুদ্ধির দৌড় দেখলে শিউরে উঠতে হয়!



বেগম জিয়া তার নিবন্ধের শেষে এসে ‘বিবেকের আদালত’-এর দোহাই দিয়েছেন। তাকে সবিনয়ে প্রশ্ন করি, তার এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহচর, বিএনপি নেতা আবুল হারিস চৌধুরী এখন কোথায়? কেন পালিয়ে আছেন এই দাপটশালী নেতা হারিস চৌধুরী? একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার কোন নেপথ্য রাজশক্তির হাত ছিল? খালেদা জিয়ার বিবেকবোধ কি জবাব দেবে এসব প্রশ্নের?



বিএনপি নেত্রীর জানা দরকার, এখনো আন্তর্জাতিক বহু সংস্থার তালিকায় ইসলামী ছাত্রশিবির একটি জঙ্গি সংগঠন। সাউথ এশিয়া টেরোরিজম পোর্টালে তিনি নিজেই এই তথ্য দেখে নিতে পারেন। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির একটি গবেষণা সংস্থা ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। প্রখ্যাত গবেষক জয়দ্বীপ সাইকিয়া প্রণীত ‘টেরর স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স : ইসলামিস্ট মিলিট্যান্সি ইন নর্থ ইস্ট এশিয়া’ (২০০৪) গ্রন্থে বাংলাদেশের জামাত-শিবির, হরকাতুল জিহাদ, জেএমবিসহ আরো কিছু সংগঠনের নাম আছে। বেগম জিয়া কী এদের বাঁচাবার জন্য ওকালতিতে নেমেছেন? এবার কিছু প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার কথা বলি। ১৯৮৮-৮৯ সালে স্বৈরশাসক যখন বাংলার মানুষের বুকের ওপর চেপে বসেছিল কিংবা চারদলীয় জামাত-বিএনপি জোট যখন বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের প্রচন্ড মদত দিচ্ছিল তখন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন মুখপাত্রের সঙ্গে ফোনে আমার কথা হয়। বাংলাদেশের দুরবস্থা তাদের সামনে তুলে ধরলে, তাদের কথা সব সময়ই একটা ছিল- ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানে সে দেশের মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে।’ আমি খুব ভালো করেই জানি যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেই নীতি এখনো অটুট রেখেছে। খালেদা জিয়া তাই যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা দেশসমূহের কাছে যে করুণা ভিক্ষা করেছেন, তাতে দরকারি কাজ কিছুই উদ্ধার সম্ভব নয়। তবে হ্যাঁ, খালেদা জিয়াই দেশের প্রথম শীর্ষ রাজনীতিক যে জন এমন হীনস্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে বিদেশের কাছে নালিশপ্রার্থী হয়েছেন। দেশের বোদ্ধা জনগণ এর কী মূল্যায়ন করেন, সেটাই দেখার বিষয় এখন।

----------------------------------------------------------------

দৈনিক ভোরের কাগজ // ঢাকা // শনিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩









মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

সুইট টর্চার বলেছেন: সবইতো দেকি বুঝেন তয় এত বগর বগর করতাছেন ক্যান X(( আপনি ভাদা এইডা জাহির করার কি অইল?

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৩

মিজান আফতাব বলেছেন: খালেদা তার মোটা বুদ্ধির প্রমাণ আবারো দিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.