![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]
একাত্তরের পর ভয়াবহ মৌলবাদী তাণ্ডব
ফকির ইলিয়াস
===========================================
একটা ভয়ানক যড়যন্ত্র ছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তারা চেয়েছিল দেশটিকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাবার একটা স্টোন টেস্ট। না, পারেনি। দেশের মানুষ তা মেনে নেয়নি। এই চিহ্নিত মৌলবাদীরা ৫ মে ঢাকায় কী করেছে- তা দেখেছে দেশবাসী। টিভির পর্দায় দেখেছে বিশ্ববাসী। কী ভয়ানক তাদের অজগরমূর্তি! ওরা আল কুরআন পুড়িয়েছে। রাস্তা ভেঙেছে। গাছ কেটেছে। পুড়িয়েছে দোকানপাট। এটা আমরা একাত্তরে দেখেছি। এই ২০১৩ সালে এসে সেই দৃশ্য আবারো দেখতে হলো! হেফাজতে ইসলাম সে একটা মৌলবাদীÑ সাম্প্রদায়িক দল, তা এদেশের চিন্তাশীল মানুষ আগেই বলেছেন। সরকার খুব একটা পাত্তা দেয়নি ওসব কথা। যদি দিতো, তবে এই ভয়ানক পরিণতি হতো না। এদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় ব্যবস্থা আগেই নেয়া যেতো। কেন নেয়া হয়নি? কেন এরা পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীর সদস্যদের পর্যন্ত হত্যা করার সাহস পেলো? কোথা থেকে পেলো? এই সাহস জুগিয়েছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। ৫ মে একটা ফোন কলই সবকিছু পাল্টে দেয়। খালেদা জিয়া মওলানা শফীকে বলেন তার দেয়া ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের পক্ষেই কাজ করতে হবে। হেফাজত কর্মীরা যেন লাগাতার অবস্থান নেন। এর কারণ ছিল, খালেদা জিয়া হেফাজতের কাঁধে বন্দুক রেখেই শিকার করতে চেয়েছিলেন। যেমনটি ‘বাংলাভাই-শায়খ রহমানের’ ওপর ভর করেই পেশিশক্তি দেখিয়েছিল ‘হাওয়া ভবন’। খালেদা জিয়ার জঙ্গি লালনের পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে। এটা দেশবাসীর অজানা নয়। যার কারণেই খালেদা জিয়া তার দলকে জানিয়ে দেন হেফাজতকে পূর্ণ সমর্থন দিতে হবে। তার উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন- ‘হেফাজতিরা আমাদের মেহমান। তারা ঢাকার মুসাফির’। এসব বলার পরও কী দেশবাসী বুঝতে দেরি করবে- খালেদা জিয়া কিভাবে একাত্তর পরবর্তী এই তা-বের মদত দিয়েছেন?
এ বিষয়ে একটি লেখা এখানে প্রণিধানযোগ্য। আবু হাসান শাহরিয়ার সম্পাদিত ‘আমাদের সময়’-এ ৮ মে লেখাটি লিখেছেন দেশের বর্ষীয়ান কলামিস্ট এবিএম মূসা। শিরোনাম ছিল ‘খালেদার সিদ্ধান্ত ভুল, হাসিনার সঠিক’।
তিনি লিখেছেন- ‘আমি এই সরকারের প্রশংসা করেছি হেফাজত ও ধর্মাশ্রয়ী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে শক্ত হাতে দমন করার জন্য। মহাজোট সরকারের অনেক কিছুই সমর্থন করি না সত্য; তার মানে এই নয়, দেশে তালেবান সরকার চাই। হেফাজতি নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানে দুঃখজনক প্রাণহানি ঘটলেও উপযুক্ত সময়ে সরকারের এই অভিযানকে আমি সমর্থন করি। কারণ তারা অবরোধ ও সমাবেশের নামে হত্যাসহ যে নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালিয়েছিল, তাতে আরো বেশি প্রাণনাশের আশঙ্কা ছিল। বাংলাদেশকে ধ্বংস করার ফন্দি এঁটেছিল এই হেফাজত। গত রোববার ঢাকা অবরোধের নামে এর নমুনা দেখিয়েছে সংগঠনটি।
মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা জাকাত ও কুরবানির চামড়া বেচা অর্থ, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দানের অর্থের ওপর নির্ভরশীল। মাদ্রাসা শিক্ষাকে এসব কিছুর নির্ভরশীলতা থেকে মুক্ত করে পুরোপুরি সরকারের নজরদারি, অনুদান প্রদানের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। তাদের বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক শিক্ষার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমিকভাবে পুনর্বাসিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বর্তমান অসাম্প্রদায়িক সরকারকেই নিতে হবে। এর জন্য দশ বা বিশ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। শুধু কুরবানির পশুর চামড়া বেচা অর্থ, জাকাত ও ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল হলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সমাজের বৃহত্তর কোনো উপকারে আসবে না। আর সে-কারণেই তাদের দিয়ে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা- করিয়ে নেয়া সম্ভব। আর হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে দেশে এখন সেটাই হচ্ছে। আমি নাম ধরে বলতে পারি, ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা ট্রাস্ট, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক নাশকতার অর্থ জুগিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যবহার করেছে। হেফাজতের নেতারা এসব প্রতিষ্ঠানের অর্থে মাদ্রাসার কচি-কচি শিক্ষার্থীদেরই অধিক ব্যবহার করেছে। এমনকি মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। ওইসব শিশু-কিশোরদের অভিভাবকের উচিত, হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা। নিজেদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরই জানমালের হেফাজত করতে পারেন না যে কওমি আলেমরা, তারা ইসলামের কি হেফাজত করবেন?
স্বাধীনতার পর ধর্মের নামে সুবিধা নেয়া সাম্প্রদায়িক শক্তি গর্তে ঢুকে গিয়েছিল। বিএনপি তাকে গর্ত থেকে বের করে নিয়ে এসেছে। বড় দুদল এদের দুধকলা দিয়ে পুষেছে। এখন এরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। দেশকে বাঁচাতে হলে প্রথমেই এদের অবৈধ অর্থের জোগান বন্ধ করতে হবে।
ধর্মের নামে শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশের পেছনে বিএনপি-জামাতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ম“ ছিল। খালেদা জিয়া দলের নেতাকর্মীদের শাপলা চত্বরে সমবেত হেফাজতিদের পাশে থাকার নির্দেশও দেন। যদিও হেফাজতের ১৩ দফা দাবির সঙ্গে জামাত কী বিএনপি একমত কিনা, তার সুস্পষ্ট কোনো ঘোষণা নেই। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এসব দাবি বাস্তবায়ন করবে কিনা, সে সম্পর্কেও কোনো বিবৃতি নেই। তা হলে প্রশ্ন হচ্ছে, কেন হেফাজতের আন্দোলনকে বিএনপি সমর্থন করছে? সমর্থন এ জন্যে যে, হেফাজত আওয়ামী লীগের শত্রু, তাই তাদের সমর্থন দিয়ে যদি কোনো ফায়দা নেয়া যায়। এক্ষেত্রে, আমি বলবো, ভুল করেছে দলটিÑ ভুল করেছেন এর চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত সঠিক। সম্মানিত সাংবাদিক এবিএম মূসার এই লেখার পর কারোই বুঝতে অসুবিধা হবে না, শেখ হাসিনার সরকার সঠিক কাজটিই করেছে। ৫ মে রাতে তথাকথিত ‘গণহত্যা’র ধুয়া তুলে ‘হাজার হাজার’ মানুষ খুনের অপপ্রচার চালাচ্ছে এই মৌলবাদীদের গডফাদাররাই। কারণ তাদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সফল হয়নি। সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদীরা এদেশের কোমলমতি মাদ্রাসা ছাত্রদের সঙ্গে কিভাবে প্রতারণা করেছে, মিথ্যা বলেছে- সেসব খবর আমরা মিডিয়ায় দেখেছি।
প্রকাশিত কিছু খবরের খণ্ডচিত্র এখানে পাঠ করা যাক।
আমিনুল ইসলাম, সোহেব আহামেদ, আবদুস সালাম টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কওমি মাদ্রাসার ছাত্র। তিনজনেরই বয়স ১৬ বছরের নিচে। সোমবার সকালে বাসের অপেক্ষায় তারা দাঁড়িয়ে ছিল রাজধানীর শ্যামলী বাসস্ট্যান্ডে। তাদের চোখেমুখে আতঙ্ক। তারা হেফাজতের কর্মসূচিতে এসেছিল কিনা জানতে চাইলে আবদুস সালাম বলে, ‘মাদ্রাসার হুজুর আমাগো ধোঁকা দিছে, মিছা কথা কইয়া ঢাকা আনছে। হুজুরের কথায় আর আসুম না।’ আমিনুল বলে, ‘হুজুর কইছে ঢাকায় বড় ওয়াজ মাহফিল হইবো আর আমরা বইসা শুধু শুনমু। হুজুরের কথায় মাদ্রাসার দেড়শ ছাত্র আমরা ঢাকায় আসি, কিন্তু ঢাকায় আইয়া দেখি একেবারে যুদ্ধ লাইগা গেছে। একটুর লাইগ্যা মাথায় গুলি লাগে নাই।’ সোহেব নিজের পিঠে লাঠির আঘাতের চিহ্ন দেখিয়ে বলে, ‘অল্পের জন্য বাইচ্যা আইছি। আমরা কিছু করি নাই, আমাগো লগের অনেকেই পুলিশের ওপরে ঢিল মারছে, দোকানপাটে আগুন দিছে।’ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকেও ভুল বুঝিয়ে শিক্ষকরা ঢাকায় আনেন। নাস্তিকদের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে, কোনো ধরনের হট্টগোল হবে না- এমন আশ্বাস দিয়ে দুদিন আগেই সিরাজগঞ্জ থেকে সাভারের হেমায়েতপুরে একটি মাদ্রাসায় আনা হয় তাদের। রোববার ফজরের নামাজ পড়েই আমিনবাজারে অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেয় তারা। দুপুরে আমিনবাজার থেকে হেঁটে মতিঝিলের সমাবেশে অংশ নেয়। পরে রাতে আতঙ্ক আর ভোগান্তির মধ্যে পড়ে। পুলিশের পিটুনি ও রাবার বুলেটে অনেকেই আহত হয়েছে বলে জানায় নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র রুবেল হাসান, ইলিয়াস হোসেন ও আরিফুর রহমান। নরসিংদীর বেলাব বাজার হাফিজিয়া মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলে, ‘আর ঢাকা শহরে আসবো না। ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে ওয়াজ মাহফিলের কথা বলে আমাদের আনা হয়, কিন্তু নিজের চোখেই দেখলাম হেফাজতের লোকজনই বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনের দোকানগুলোতে আগুন দিলো। সেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেলো শত শত ইসলামি বই ও অনেক কুরআন শরিফ। এটা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না।’ ওই মাদ্রাসার আরেক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে, ‘যাদের ডাকে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ঢাকায় এসেছি কর্মসূচিতে, সেই তারাই যদি কুরআন শরিফে আগুন দেয় তাহলে এরা কেমন লোক! হেফাজতের ডাকে আর ঢাকায় আসবো না।’
কর্মসূচিতে অংশ নেয়া মাদ্রাসা ছাত্ররা অভিযোগ করে, ঢাকায় নিয়ে আসা হলেও অনেককে দুপুরের খাবার খেতে দেয়া হয়নি। অনেকেই বিস্কুট, চিঁড়া খেয়ে দিন পার করেছে।
মানিকগঞ্জের শিবালয় হিফজুল কোরআনিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রায়হান আবেদীন ও নূর মোহাম্মদ জানায়, দিনের বেলায় রোদের মধ্যে কষ্ট করে সমাবেশে থাকলেও রাতে সংঘর্ষ বাধলে তারা কোথায় যাবে সে পথ খুঁজে পায়নি। মতিঝিলের একটি ব্যাংকের ভবনে লুকিয়ে থাকে তারা। পরে পুলিশের কাছে কান ধরে ক্ষমা চেয়ে সেখান থেকে ছাড়া পায়। দুজনই জানায় আর ঢাকায় আসবে না তারা। এই হলো কিছু মর্মান্তিক দৃশ্য। যা তৈরি করেছে হেফাজতের মৌলবাদীরা। যদি বাংলাদেশের প্রতি, এই পতাকার প্রতি তাদের সম্মান থাকতো তাহলে তারা এমনভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষয়ক্ষতি করতে পারতো না।
আমরা দেখেছি, কিছু সাম্প্রদায়িক হায়েনা মিথ্যা ছবি দিয়ে না না গুজব ছড়াচ্ছে। মৃতের সংখ্যা অনেক, লাশ গুম করা হয়েছে, ইত্যাদি ইত্যাদি। যার মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে দেশে গোলযোগ বাধাবার চেষ্টা করছে- এরা মূলত শান্তির শত্রু। এদের বিষয়ে সবাইকে সাবধান থাকার বিনীত অনুরোধ করছি। এটা জাতির জন্য ছিল একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়। এমনভাবে একটা দেশে কিছু মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক শক্তি তা-ব চালাতে পারে না। অবরোধের নামে তারা ৫ মে ঢাকায় যা করেছে, তা দেখেছে বিশ্ববাসী। এটা কোনো ধর্মীয়, মানবিক কাজ হতে পারে না। সরকার তাদের ফিরে যেতে বলেছিল। তারা যেতে চায়নি। তাই বাধ্য হয়ে সরকার অ্যাকশনে গিয়েছে। না গিয়ে কোনো উপায় ছিল না। এর পাশাপাশি সরকার শাহবাগের গণজাগরণ চত্বরও ভেঙে দিয়েছে। আমি সরকারকে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তিনটি প্রশ্ন করতে চাই।
১। হেফাজত শুরু থেকেই সন্ত্রাসী কাজের ম“ দিচ্ছে। মহাজোট হেফাজতিদের ভোটের লালসা ছাড়তে না পারায়, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে । গণজাগরণ মঞ্চ কি কোনো সন্ত্রাসী কাজ করেছিল? তাহলে হেফাজতির সঙ্গে গণজাগরণ মঞ্চকে তুলনা করে কেন শাহবাগের মঞ্চ ভেঙে দেয়া হলো?
২। বেগম খালেদা জিয়া ও তার উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু প্রকাশ্যে বলেছেন, হেফাজতিরা তাদের মেহমান। পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন শুরু থেকেই। তারপরও সরকার কেন ‘ডিভাইড এন্ড রুল’ খেলতে গেলো ? সরকার কি জানে না তারা হেফাজতিদের একটা ভোটও পাবে না?
৩। ৫ মে বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন ‘হেফাজতে যারা আছে খুঁজলে দেখা যাবে এরা নিজেরা রাজাকার আলবদরের চামচা ছিল। অথবা নতুন প্রজন্মের হেফাজতিদের বাপ-দাদা ছিল ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী।’ এতো দেরিতে বিষয়টা বুঝলো সরকার? গণজাগরণ মঞ্চ শুরুতেই সে কথা বলেছে। তারপরও গণজাগরণ মঞ্চই আজ সরকারের চোখের বালি হয়ে গেলো? খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই- গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙে দিয়ে সরকার শুধু ভুলই করলো না, নিজেদের রাজনৈতিক ভিতেও কুড়াল মারলো। কারণ গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙে দিলেই হেফাজতিরা ‘বাংলাস্থান’ বানাবার খায়েশ বাদ দিয়ে দেবে- তা ভাবার কোনো কারণ নেই। এদেশের মানুষ, এই প্রজন্ম সরকারের সিদ্ধান্তকে সম্মান করে। আর করে বলেই গণজাগরণ চত্বর ভেঙে দেবার পরও তারা রাজপথে নামেনি। এই প্রজন্মই দেশকে এগিয়ে নেবে আলোর পথে। কোনো মৌলবাদী-মধ্যযুগীয়রা তা পারবে না।
-------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ // ঢাকা // : শনিবার, ১১ মে ২০১৩
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:২৩
হোদল রাজা বলেছেন: একদম মনের কথাটা সাজায়ে লিখছেন, ইলিয়াস ভাই !
ভালো আছেন তো?